লক্ষণরাজদেব করিলেন এবং সেই স্থান অধিকারে কৃতসঙ্কল্প হইয় অকণোদয়েই রওনা হইলেন। প্রভাতে তিনি প্রশান্ত নীবক্ষে দিঙ নিরূপণ করিতে না পারিয়া ভ্রমক্রমে ইতস্ততঃ খুরিয়া বেড়ান। এইজন্ত তিনি সেই স্থানের নাম ভুলুরা রাখেন। প্রবাদ, ১১ই মাঘ অথবা ১২০৩ খৃষ্টাব্দে এই ঘটনা ঘটে । তৎপুর্বেই, মহম্মদ-ই-বখতিয়ার থিলিজি বাঙ্গাল আক্রমণ | করেন। প্রবাদ-বর্ণিত কালনির্ণয়ে আস্থা স্থাপন না করিয়াও আমরা লক্ষ্মণমাণিক্যের বংশলত হইতে জানিতে পারি যে, রাজা বিশ্বস্তুরের ১১শ পুরুষে রাজা লক্ষণমাণিক্য প্রাচ্ছ্ত হইয়াছিলেন। বিশ্বন্তরের মৃত্যু ও লক্ষণের জন্ম এতদুভয়ের মধ্যে ৩৫ • বৎসর । এদিকে ঐতিহাসিক প্রমাণেও জানা যায় যে, ১৫৮৬ খৃষ্টাব্দে চন্দ্রদ্বীপপতি রাজা কন্দপনারায়ণ জীবিত ছিলেন । রাজা লক্ষ্মণমাণিক্য র্তাহারই সমসাময়িক । কলাপনারায়ণের মৃত্যুর পর, বালক রামচন্দ্র রায় রাজা হন । বালক রামচন্দ্রকে লক্ষ্মণমাণিক্য বিশেষ তুচ্ছতাচ্ছিল্য করিতেন। এই শ্লেষোক্তি চন্দ্রদ্বীপে রামচন্দ্র রায়ের কর্ণে উপনীত হইলে তিনি ক্রোধে অধীর হইয়া ভুলুয়া আক্রমণার্থ রণতরীসমূহ সজ্জিত হইতে আদেশ দেন। তদনুসারে তাহার দলবল অস্ত্ৰ শস্ত্র লইয়া মেঘনা অতিক্রম করিয়া এবং ভুলুয়ায় উত্তীর্ণ হইয়া রাজা লক্ষ্মণকে সংবাদ প্রেরণ করিল। ভুলুয়ারাজ কোন আশঙ্কা না করিয়া প্রতিবেশী রাজার সম্বৰ্দ্ধনার্থ স্বয়ং উপস্থিত হইলেন, তাহার শরীররক্ষী প্রহরিদল কেহই সঙ্গে আসিল না । শত্রুর নৌকায় আরোহণ করিবামাত্রই তিনি বন্দিভাবে চন্দ্রদ্বীপে আনীত হইলেন। এখানে কারাগৃহে অবস্থানকালে একদিন রামচন্দ্র তাহার সহিত সাক্ষাৎ করেন। ঐ সময়ে লক্ষ্মণমাণিক্য র্তাহাকে নিষ্ঠুররূপে আহত করায় তিনি ক্রোধে অধীর হইয়া লক্ষ্মণের প্রাণবিনাশের আদেশ প্রচার করেন । রাজাদেশ অচিরেই প্রতিপালিত হইল। [ বিস্তৃত বিবরণ বারভূয়া শৰে দেখ। ] লক্ষণমাধুরকায়স্থ, লক্ষ্মণোৎসব ও বৈয়সৰ্ব্বস্ব নামক বৈঠক গ্রন্থপ্রণেতা । অমরসিংহের পুত্র । লক্ষণরাজদেব (পুং) চেনীরাজ্যের কলচুড়িবংশীয় একজন রাজা। কেয়ূরবর্ধ ১ম যুবরাজদেবের পুত্র । পিতার মৃত্যুর পর ৯৫০ খুটান্ধে পিতৃসিংহাসনের অধিকারী হন । ইনি রাজকন্তু রাহুড়ার পাণিপীড়ন করেন। তদীয় তনয়া বোম্বাদেবীর সহিত পশ্চিমগ্যাক্রিমূত্যের বিবাহ হয়। রাজ-দৌহিত্র ২য় তৈলপ ৯৭৩-৯৯৭ খৃষ্টাব্দ পর্য্যস্ত প্রভূত প্রভাবের সহিত রাজ্যশাসন করিয়াছিলেন। বিলহরি-ফলক হইতে জানা যায় যে, রাজা লক্ষ্মণরাজদেব [ ১২২ ] लक भांछ? কোশলাধিপতিকে পরাজিত করিষ্ণ পশ্চিমপ্রদেশ জয় করিতে গমন করেন এবং গুজরাতে সোমেশ্বরলিঙ্গের উপাসনা , করিয়াছিলেন। লক্ষণবন্দ্যোপাধ্যায়, একজন বাঙ্গালী কবি। ইনি সম্ভবতঃ বশিষ্ঠকৃত অধ্যায়রামায়ণের বঙ্গানুবাদ সঙ্কলন করিয়াছিলেন। এই রামায়ণ গ্রন্থের দুইশতবৎসরের প্রাচীন পুথি পাওয়া গিয়াছে। লক্ষণবেদান্তাচাৰ্য্য,তারপ্রকাশিক নাৰী প্রভাব্যটকা-রচয়িতা। লক্ষণশান্ত্রিন, অমরকোষব্যাখ্যা প্রণেতা। বিশ্বেশ্বর শাস্ত্রীর পুত্র। লক্ষণসিংহ, শতকেটামণ্ডলগ্রণেতা। লক্ষণসেন (পুং ) বাঙ্গালার সেনবংশীয় একজন রাজা । বল্লালসেনের পুত্র। ইহার সময়ে মুসলমানসৈন্ত ৰাঙ্গাল আক্রমণ করে। যাজ্ঞবল্ক্যীপকলিকাপ্রণেতা শূলপাণি, হলায়ুধ, পশুপতি, জয়দেব ও ধোয়ীকৰি তাহার সভা উজ্জল করিয়াছিলেন । এই সকল পণ্ডিতগণের সহবাসে তিনিও একজন সুকবি হইয়া উঠেন। প্যাবলীতে র্তাহার রচিত কতকগুলি কবিতা উদ্ধৃত হইয়াছে। প্রাচীন তাম্রলিপিতে তিনি দক্ষিণান্ধিবিজয়ী বলিয়া উল্লেখ দেখা যায়। মহম্মদ-ই-বখতিয়ারের আগমনে উৎকোচগ্রাহী পণ্ডিতগণের প্ররোচনায় বৃদ্ধরাজা কিরূপে রাজ্য ছাড়িয়া জগন্নাথদর্শনচ্ছলে পলাইয় যান, তাহাও সাধারণের অবিদিত নাই । কুলশাস্ত্রে তিনি কুলপদ্ধতিসংস্কারক বলিয়া প্রসিদ্ধ। [ সেনরাজবংশ দেখ ] লক্ষণসোমযাজিন, সীতারামবিহারকাব্যগ্রণেতা। ওর্গষ্টি শঙ্করের পুত্র। লক্ষণস্বামিন, বাশ্মীরস্থ মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত লক্ষ্মণ-মূৰ্ত্তি । ( ब्रांछङग्न" 8|२१७ ) লক্ষণ ( স্ত্রী) লক্ষ্মণমস্ত্যন্ত ইতি অর্শ আদিত্বাদচ, টাপ । ১ শ্বেতকণ্টকারী । (রাজনি•) ২ সারসী । ৩ ওষধিভেদ । (মেদিনী) পৰ্য্যায় -লক্ষ্মণকেন্দ, পুত্রকনা, পুত্রদ, নাগিনী, নাগাহা, নাগপত্রী, তুলিনী, মজ্জিকা, অস্ত্ৰবিন্দুচ্ছদ, পুচ্ছদ ৷ গুণ— মধুর, শীতল, স্ত্রীবন্ধ্যতানাশক, রসায়ন, বলকর ও ত্রিদোষনাশক । ( রাজনি• ) ২ মদ্রাধিপতির এক কস্তা । ( ভাগবত ১৯৫৮৫৭ } ৩ ফুৰ্য্যোধনের কস্তা, এই কস্ত যখন স্বয়ম্বর হয়, তখন শ্ৰীকৃষ্ণপুত্র সাম্ব এই কস্তাকে হরণ করিয়া বিবাহ করেন। “জুৰ্য্যোধনস্কতাং রাজন লক্ষ্মণাং সমিতিঞ্জয়ঃ। স্বয়ম্বরস্থামহরৎ সাম্বো জাম্ববতীসুত ॥” (ভাগবত ১৯৬৮১) ৪ জবাগাছ। a মুচুকুনাবৃক্ষ । (বৈম্বকনি• ) লক্ষণাচাৰ্য্য (পুং ) গ্রন্থকারভেদ। [ লক্ষ্মণ আচাৰ্য্য দেখ। ] লক্ষণাঞ্জট (স্ত্রী) লক্ষ্মণামুল ।
পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/১২২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।