পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/১৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লাক্ষাদিতৈল , { ১৯e ] লাক্ষাদ্বীপ ২ শতপত্নী। ৩ সেবর্তী। (ভাবপ্র” ) লক্ষণগুগগুলু, আয়ুৰ্ব্বেদোক্ত ঔষধবিশেষ। প্রস্তুতপ্রণালীলাক্ষা, হাড়জোড়া, অর্জুনছাল, অশ্বগন্ধ, গোরক্ষচাকুলে প্রত্যেক এক তোলা এবং গুগগুলু ও তোলা একত্র মর্দন করিয়া লইবে । ভগ্ন স্থানে ইহার প্রলেপ দিলে ভগ্ন ও স্থানচ্যুত অস্থির বেদন নিবারিত হইয়া অঙ্গ সকল বজের স্থায় দৃঢ় হয়। কেহ কেহ বলেন, উক্ত পাচ প্রকার চুর্ণের তুল্য পরিমাণ গুগগুলু মিশাইলে যথেষ্ট হয় । লাক্ষাতরু (পুং ) লাক্ষোৎপাদকস্তর । পলাশ বৃক্ষ। (শব্দমা) লক্ষতৈল ( ক্লী ) লাক্ষাদিভিঃ পঙ্কং তৈলং। পকতৈলবিশেষ, লক্ষাদি দ্বারা এই তৈল প্রস্তুত হয়, এজন্য ইষ্ঠাকে লক্ষাতৈল কহে। এই তৈল দ্বিবিধ স্বল্প ও বৃহৎ। প্রস্তুতপ্রণালী স্বল্পলাক্ষাতৈল – সমপরিমাণ লাক্ষা, হরিদ্র ও মঞ্জিষ্ঠা দ্বার তৈল পাক করিয়া পাক শেষ হইলে উহাতে গন্ধদ্রব্য মিশাইয়া নামাইতে হয়। এই তৈল দাহ, শীত ও দরনাশক । (স্বথবোধ) ২ বালরোগাধিকারে তৈলভেদ। প্রস্থত প্রণালী-তিল তৈল । ৪ সের, লাক্ষার কার্থ ৪ সের, দধির মাত ১৬ সের। কন্ধার্থ– | রাম, রক্তচন্দন, কুড়, মুথা, অশ্বগন্ধ, হরিদ্রা, দারুহরিদ্র, গুলফ, দেবদারু, যষ্টিমধু, মুগরামুল, কটুকী ও রেণুক মিলিত ১সের এই সকল কস্ক দ্বারা যথাবিধানে তৈল পাক করিতে হয় । এই তৈল মৰ্দ্দনে বালকের জরাদির উপশম হয় ও বলবৃদ্ধি পায় । (ভৈষজ্যরত্নী • বালরোগাধিকী০ ) অন্তবিধ-কুটিত লাক্ষ ৩ শরাব, জল ১৬ শরাব, ২১ বার | দোলাযন্ত্রে পরিশ্রুত করিয়া ১৬ শরাব গ্রহণ করিবে। অথবা লাক্ষ ৮ শরাব, জল ৬৪ শরাব, পাক করিয়া শেষে ১৬ শরাব গ্রহণ করিতে হইবে । পরে তিলতৈল ৪ শরাব, লক্ষারস বা কাথ ১৬ শরাব, দধিমস্ত ১৬ শরাব, কন্ধার্থ শুলফা, হরিদ্র, মূৰ্ব্বমূল, কুষ্ঠ, রেণুক, কটুকী, যষ্টিমধু, রান্না, অশ্বগন্ধ, দেবদারু, মুস্ত ও রক্তচন্দন প্রত্যেকে ২ তোলা, যথাবিধানে পাক সিদ্ধ হইলে কপূর, শিলারস ও নপী প্রত্যেকে ২ তোলা করিয়া উহ। মিশ্ৰিত করিতে হইবে। এই তৈল জরাদি রোগনাশক । (রসব০) লালদিতৈল, জররোগে উপকাবক তৈলৌষধবিশেষ। প্রস্তুতপ্রণালী--মূৰ্ছিত তিলতৈল ৪ সের, পুরাতন কাজি ২৪ সের ; করার্থ-লাহ, হরিদ্র, মঞ্জিষ্ঠ মিলিত ১ সের। এই তৈলমৰ্দ্দনে জর এবং তজনিত দাহ ও শীত নিবরিত হয় । মহাক্ষা তৈল নামে ইহার আর একপ্রকার তৈল প্রস্তুত হইয়া থাকে। প্রণালী—মূৰ্ছিত তিলতৈল ৪ সের, লাক্ষার কাথ ১৬ সের ( লাক্ষা ৮ সের, ৬৪ সের জলে সিদ্ধ করিয়া শেষ ১৬ সের।) দবির মাত ১৬ সের। কন্ধাৰ্থ-গুলফা, হরিদ্র, মূৰ্ব্বা মূল, কুড়, রেণুক, কটকী, যষ্টিমধু, রাম, অশ্বগন্ধ, দেবদারু,মুখা, রক্তচন্দন প্রত্যেক ২ তোলা। পাক সমাপ্ত হইলে কপুর ২ তোলা, শিলারস ২ তোল, ও নর্থী ২ তোলা ঐ তৈলে মিশ্রিত করিবে। এই তৈল মর্দনে বিধম-জরাদি নানারোগ दिमठे झग्र ! t লাক্ষার ছয় গুণ জলে অর্থাৎ ১৮ সের জলে ৩ সের লাক্ষা কুটিয়া নিক্ষেপ করিবে। তদনন্তর ঐ জল দোলাযন্থসাহায্যে পরিস্রাবিত করিয়া সেই জল ১৬ সের গ্রহণ করা যাইতে পারে, উহার অবশিষ্ট ভাগ পরিত্যাগ করা কর্তব্য । অথবা ৮ সের লাক্ষ ৬৪:সের জলে পাক করিয়া তাহারই এক পাদ কাথ ঔষধপ্রস্তুতকালে প্রয়োগ করা যাইতে পারে। (ভৈষজ্যরত্নী০ জরাধিকাe ) লাক্ষাদিবর্গ (পুং ) সুশ্রাতাক্ত লাক্ষাদি গণভেদ। এই গণ যথা – লাক্ষা, রেবত, কুটজ, অশ্বমার, কট ফল, হরিদ্র, দারুহরিদ্র, নিম্ব, সপ্তচ্ছদ, মালতী ও ত্রায়মাণ। (সুশ্রুত স্বত্র০৩৮অ•) লাক্ষাদ্যতৈল, মুখরোগে হিতকর ঔষধবিশেষ। প্রস্তুতপ্রণালী-তিলতৈল ৪ সের, লাক্ষারস ৪ সের, দুগ্ধ ৪ সের, খদিরের কাথ ১৬ সের। কন্ধার্থ-লোধ, কটুফল, মঞ্জিষ্ঠ, পদ্মকেশর, পদ্মকাষ্ঠ, রক্তচন্দন, উৎপল, যষ্টিমধু, প্রত্যেক ১ পল। এই তৈলের গওয করিলে,দালন, দন্তচাল, দস্তমোক্ষ, কপালিকা, শীতাদ, মুখদেীর্গন্ধ্য, অরুচি ও মুখের বিরসতা নষ্ট হইয়া দন্ত সকল সুদৃঢ় হয়। লাক্ষাদ্বীপ, দক্ষিণভারতের মলবার উপকূলের অদূরবর্তী একটা দ্বীপপুঞ্জ । ভারতমহাসাগরে অবস্থিত । অক্ষা” ১০° হইতে ১৪° উঃ এবং দ্রাঘি ৭১’৪০ হইতে ৭৪ পূঃ মধ্য। ভারত উপকূল হইতে প্রায় ২০০ মাইল ব্যবধান। ১৪টা দ্বীপ লইয়া এই দ্বীপপুঞ্জ গঠিত। উহার ৯টতে লোকের বাস আছে। ২টতে আদে বসতি নাই এবং ৩ট কেবলমাত্র সাগরজলের উপর ভাসমান রহিয়াছে। ইহার উত্তরাংশ দক্ষিণকণাড়ার কলেষ্টারের অধীন এবং অবশিষ্ট দক্ষিণভাগ কোরের আলীরাজার শাসনাধীন। উহা মলবার জেলার একটা অংশ বলিয়া পরিগণিত । এখানে একত্র বহুসংখ্যক দ্বীপ থাকায় লক্ষদ্বীপ শব্দ হইতে লাক্ষাদ্বীপ শব্দের উৎপত্তি হইয়াছে। সম্ভবত: একসময়ে মালদ্বীপ ও লাক্ষাদ্বীপপুঞ্জ একযোগে শ্রেণীবদ্ধভাবে গঠিত হইয়াছিল। তখন লোকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র লক্ষদ্বীপ দেখিয়া উহার নাম লাক্ষাদ্বীপ রাখে । আবার অনেকে বলেন, প্রবালসমষ্টিযোগে এই দ্বীপের উৎপত্ত্বি। প্রবাল ও লাক্ষার আকৃতিগত সাদৃপ্ত দেখিয়া লোকে ইহাকে লাক্ষাদ্বীপ বলিয়া থাকে। অধিক সম্ভব, আরবীয় বণিক্গণ