7. * " ; ; , লাখনেী А', so - " এই জেলার অধিকাংশ স্থানই উর্বর ও খামল শস্তে পরিপূর্ণ। মধ্যে মধ্যে গ্রাম ও বনমালাবিরাজিত বিস্তীর্ণ প্রাস্তরসমূহ রণক্ষেত্রের অতীতস্থতি বহন করিয়া সাধারণের হৃদয়ে বীরকীৰ্ত্তির উদ্বোধন করিয়া দিতেছে। স্থানীয় নদীমালার বালুকাময় সৈকতভূমি ভূর নামে এবং অনুৰ্ব্বর লোণজিমি উষর নামে পরিচিত। গোমতী ও সাইনদী শাখা প্রশাখা বিস্তারপূর্বক এখানে প্রবাহিত আছে। তন্মধ্যে বেহতা, নাগব, লোনী ও বার্ক নদীই প্রধান । এখানকার বিশেষ কোন প্রাচীন ইতিহাস নাই। সাহাবুউদ্দীনকর্তৃক বিজিত (১১৯৪ খৃঃ) প্রসিদ্ধ কনোজরাজ জয়চাদের রাজত্বকালের পূৰ্ব্বে লখনে নগর প্রতিষ্ঠিত হয় নাই। এই বিভাগে ঔপনিবেশিক রাজপুতগণের আগমনপ্রসঙ্গ আলোচনা করিলে জানা যায় যে, মুসলমান আক্রমণের পরই এখানে নানা রাজপুত শাখার বসবাস ঘটিয়াছে। মুসলমান জাতির অভু্যদয়ের পূৰ্ব্বে জানবার, পরিহার, ও গৌতমগণ এখানে আসিয়া বাস করিয়াছিল। জানবার জাতির ইতিহাস ভর ও বছরইচ জাতির সহিত সংমিশ্রিত। গৌতমদিগের প্রাচীন কিংবদন্তী অনুসরণ করিলে জানা যায় যে, র্তাহার কনোঙ্গরাজবংশের সহিত সংশ্লিষ্ট এবং বাঈজাতি এদেশে আসিয়াও কনৌজরাজের প্রাধান্য স্বীকার করিত। পশবার ও চৌহান রাজপুতগণ দিল্লীশ্বরের অধীনে এই প্রদেশ আক্রমণের জন্ত আসিয়া নানাস্থানে উপনিবেশ স্থাপন করে। পাঠান-রাজগণের আক্রমণে ও রাজ্যজয়ে গৃহভ্রষ্ট হইয়া ধৰ্ম্মনাশভয়ে অনেকানেক রাজপুত পরিবার এখানে পলাইয়া আইসে এবং তাহার ক্রমশঃ এক একটা স্থান অধিকারপূৰ্ব্বক তথাকার প্রভু হইয়া পড়ে। মোহল, লালাগঞ্জ ও নিঘোহান পরগণায় আমেঠয়া ও গৌতমগণ এইরূপে প্রভুত্বলাভ করিয়াছিল । খৃষ্টীয় ১৬শ শতাদের মধ্যভাগে শেখগণ অমেঠা পরগণা হইতে আমেঠিয়াদিগকে তাড়াইয়া দিয়া আপনার প্রভুত্ব বিস্তার করে। তাহাদের অধীনে ইকোনাবাসী জানবারগণ এখানে আসিয়া উপনিবেশ স্থাপন করিয়াছিল। বাঈ ও চৌহানগণ বিজ নেীর অধিকার করে। তদনন্তর বাঈগণ কাকোরী অধিকার করিয়া আপনাদের প্রভাব বিস্তার করিয়াছিল। জানবার ও রাইকবাড়গণ মোহন-ঔরস নামকস্থানে আসিয়া বাস করে। অতঃপর নিকুম্ভ, গাহরবাড়, গৌতম ও জানবারগণ মলিহাবাদ পরগণায় ক্রমশঃ বিস্তৃত হইয় পড়ে। পণবার ও চৌহানগণ মহোন আক্রমণ ও অধিকার করিবার পর, জানবারগণ উত্তরের কুলী ও দেবী জয় করে । তদনন্তর ठांशंद्र इलैं ख़ुश्रू यूनैि नशैत्र ७डन डीब्र गरीड इडांश به دو ] ... ?? লাখনৌ অধিকার করিয়াছিল। পরে বাঈগণ তাহাদের নিকট হইতে cमद अश्किjद्र कब्रिब्रां जङ्ग । ইহার পর মুসলমানদিগের অভিযান আরম্ভ হয়। ১৯৩• খৃষ্টাব্দে সৰ্ব্বপ্রথম সৈয়দ মসাউঞ্জ এই স্থান আক্রমণ করেন, কিন্তু তিনি এখানে মুসলমানপ্রভাব বিস্তার করিতে পারেন নাই। তবে কোন কোন পরগণার প্রাচীন নগরাদিতে মুসলমানগণের ভগ্নপ্রায় কীৰ্ত্তি নিদর্শন দেখিয়া মনে হয় যে, তিনি যে যে স্থান দিয়া এই জেলা মধ্যে গমন করিয়াছিলেন, তথায় তাহার अष्ट्रচরগণ কর্তৃক মহল্লাদি নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। মোহনলালগঞ্জের নগ্রাম ও অমেঠা গ্রামে তিনি ছাউনী করিয়া সদলে কিছুদিন বাস করেন। সত্রিখ, নগরে তাহার সদর ছিল। সেনাদল ছাউনী পরিত্যাগ করিবার পর, সম্ভবতঃ আর সদর হইতে তথায় আসিয়া বাস করিতে সাহসী"ঞ্ছন নাই । অনন্তর শাহাবুদীনের অধিকারকালে ১২১২ খৃষ্টাব্দে খিলজীপুঙ্গব মহম্মদ-ই-বখতিয়ার এই স্থান আক্রমণ করেন। তাহার সাময়িক কোন মুসলমানকীৰ্ত্তি এখানে নাই। অধিক সম্ভব, তিনি মলিহাবাদের নিকটবর্তী বখতিয়ার নগর প্রতিষ্ঠা করিয়া এই নগরে একটী পাঠান উপনিবেশ স্থাপন করিয়াছিলেন । কিন্তু সেই পাঠানগণ কাকোরীর বাঈ-রাজা সাথনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিয়া এখানে পাঠানপ্রভাব বিস্তার করিয়া অষ্ঠত্র উপনিবেশ স্থাপন করিতে পারে নাই । খৃষ্টীয় ১৩শ শতাদের মধ্যভাগ হইতেই এখানে মুসলমানের উপনিবেশ প্রতিষ্ঠিত হয়। ঔপনিবেশিকের মধ্যে পরগণার ফসমীরবাসী শেখগণ ও সলিমাবাদের সৈয়দগণই প্রথম। তদনন্তর কিবোড়ার শেখগণ আসিয়া প্রভাব বিস্তার করে। ইহার পর, অন্যান্য মুসলমান-সম্প্রদায় কুর্স ও দেবার মধ্য দিয়া এখানে আসিয়া নানাস্থানে বাস করিয়াছিল। এখানে প্রবাদ এইরূপ যে, ঐ মুসলমানগণ সত্রিখ হইতে এখানে আইসে। সত্রিখ হইতে মুসলমানগণ উপযুপিরি এই জেলার নানাস্থান আক্রমণ করিয়াও স্থায়ী প্রভূত্ব লাভ করিতে পারে নাই। তাহারা সালর মসাউদের সেনাপতি শাহ বেগের অধীনে প্রথমে দেবী নগর আক্রমণ করিয়া ক্রমশঃ লাখনে অভিমুখে আসিয়া মণ্ডিয়াও পৰ্য্যস্ত অগ্রসর হইয়াছিল। এখানে শাহবেগ হিন্দুগণের নিকট পরাভূত ও নিহত হন। নিকটবর্তী একটা গ্রামে তাহার সমাধিমন্দির বিস্তমান আছে। डैशंद्र চুড়ার উচ্চতানিবন্ধন লোকে উহাকে নৌ-গজাপীর বলিয়া অভিহিত করে। অনস্তর, এখানে মুসলমান শাসনকর্তা নিযুক্ত হইবার পর, ক্রমশ: দেবাস, কুলী ও লাখনো হইতে কাকোরী পরগণ পৰ্যন্ত বিস্তৃত স্থানের গ্রামাৰিতে মুসলমানের
পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/১৯৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।