লাখনে [ ১৯৬ ] লাখনে মুসলমান রাজবংশ যথাক্রমে রোহিলখণ্ড, আলাহাবাদ, কাণপুর, গাজিপুর ও এই বিভাগে শাসন বিস্তার করিয়াছিল। তাহার পূৰ্ব্বে সয়দং খাঁর বংশপরম্পর এই নগরে আধিপত্য বিস্তার করে। তাহার পূৰ্ব্বে এখানে ব্রাহ্মণ ও কায়স্থগণের প্রভাব বিস্তৃত ছিল। মচ্ছিভবন দুর্গের প্রাকারমধ্যস্থ লক্ষ্মণটলা নামক उक्रङ्कुभि३ সেই প্রাচীন জনপদের নিদর্শন। প্রবাদ, এই স্থানে অযোধ্যারাজ রামচন্দ্রের ভ্রাতা লক্ষ্মণ শেষনাগের পবিত্রতীর্থের নিকটে স্বনামে লক্ষ্মণপুর নগর স্থাপন করিয়াছিলেন । সেই পবিত্রতীর্থের উপর মোগলসম্রাটু অরঙ্গজেব একটা মসজিদ স্থাপন করেন, কিন্তু লক্ষ্মণপুরের পবিত্র স্মৃতি আজিক্ত লক্ষেীবাসীর হৃদয় ছুইতে অপস্থত হয় নাই। শেখ বা লখনের শেখজাদা নামে প্রসিদ্ধ মুসলমান রাজবংশই প্রথমে অযোধ্য জয় করিয়া এখানে প্রতিপত্তি লাভ BBB S ggg gg BBBBSBBB BBSBBB BBSB BBBK BBB মুসলমান শাসনদ ও পরিচালিত করিয়াছিলেন । ইহার ঠিক পূৰ্ব্বেই ত{ং এই ধ্বস্ত এায় ম{চ্ছ ভবন দুর্গ নিৰ্ম্মাণ কপাইয়াছিলেন । ক্রমে ঐ দুর্গের চতুপাশ্বে জনসমাগম হইতে থাকে। মোগলসমাট আকবরশাহের রাজত্বসময়ে উহাই লাখনে নামে প্রসিদ্ধি লাভ করে । রাজা টোডরমল্পের জরিপ-বিবরণীতে গোমতী-তীরবর্তী সমৃদ্ধির উল্লেখ আছে । আইন-ই-আকবরী পাঠে জানা যায় যে, এখানে মুসলমান সাধু শেখ মীনা শাঙ্গের সমাধিমন্দিব ছিল, লোকে তাহার পুজার জন্ত এখানে আসিয়া ভজনাদি করিত। তৎকালে এখানে বহুসংখ্যক ব্রাহ্মণের বাস ছিল, সম্রাটু আকবরশাহ তাংদের তুষ্টিবিধান জন্ত লক্ষ টাকা দিয়া বাজপেয় যজ্ঞের অনুষ্ঠান করেন । তাহার পূৰ্ব্বে এইস্থানের বিশেষ কোমরূপ সমৃদ্ধি ছিল না । ত{tার উল্লুযোগে ও পরে সয়াদ আলী খাঁ ও আসিফ উদ্দৌলার অধ্যবসায়ে এই মগরের উত্তরোত্তর শ্ৰীবৃদ্ধি সাধিত হয়েছিল। প্রাচীন নগরভাগ যেখানে বৰ্ত্তমান চক্ ও চকের সংলগ্ন নগরের দক্ষিণাংশ সমাট আকবর শাহ বিশেষ যত্নে নিৰ্ম্মাণ করান । তষ্ঠুির তিনি অদ্যান্ত স্থানের অঙ্গ-সৌষ্ঠব সম্পাদনার্থ বিশেষ অর্থব্যয় করিয়ছিলেন । তৎপুর মীর্জ সেলিম শাহ ( জাহাঙ্গীর ) বৰ্ত্তমান দুর্গের পশ্চিমপাশ্বে মীর্জমণ্ডি’ স্থাপন কপিয়ছিলেন । তদনন্তর অযোধ্যা-রাজবংশের পূৰ্ব্বে আর কোন মোগলসম্রাট ই প্রাসাদদি স্থাপন দ্বারা এই নগরের উৎকর্ম-সাধন করেন নাই । নৈশাপুরের সুপ্রসিদ্ধ পারসিক বণিক্ সয়াদৎ খা বাণিজ্যবাপদেশে ভারতে উপনীত হইয়া যুদ্ধ ব্যবসায়ে স্বীয় সৌভাগ্য অর্জন করিয়াছিলেন। তিনি মোগল-সম্রাটের অনুগ্রহে শেখ-দগের অধিকারসীম । ১৭৩২ খৃষ্টাব্দে অযোধ্যার শাসনকৰ্ত্ত নিযুক্ত হন এবং লাখনো নগরে স্বীয় রাজপাট-স্থাপন করেন । তদবধি অযোধ্যায় এই স্বাধীন রাজবংশের প্রতিষ্ঠা হয়। এই বংশই পরে অযোধ্যার উজীয়-বংশ বলিয়া থ্যাত হইয়াছিল। Įs সয়াদতের বংশধরগণ রাজ্যসমৃদ্ধিতে গৌরবান্বিত হইয়৷ লাখ নেী নগরী বিচিত্র চিত্রসম্পন্ন নানা অট্টালিকায় ভূষিত করিয়াছিলেন। স্বয়ং সুবাদার সয়াদং খ মচ্ছিভবনের পশ্চাদ্ভাগে একটী সামান্য অট্টালিকায় বাস করিতেন । দুর্গের দক্ষিণ-পশ্চিমে যেখানে ইংরাজরাজের অস্ত্রাগার ( orduance ৪tores ) প্রতিষ্ঠিত রহিয়াছে, সেই স্থানে এখানকার সেখরাজগণের নিৰ্ম্মিত ছুইটী সুপ্রাচীন অট্টালিকার নিদর্শন পাওয়া যায়, সয়াদৎ খাঁ সুবাদাব হইয়া আসিয়া উহার একটা ভাড়৷ লন। তিনি মাসে মাসে উহার নির্দিষ্ট ভাড় দিতেন, কিন্তু তাহার বংশধরগণ আর অধিকারীদিগকে ঐ অট্টালিকার কোমরূপ থাজানা দেন নাই। সফদর জঙ্গ ও সুজাউদ্দৌলা ঐ অট্টালিকার একখানি বন্দোবস্তী খত লিখিয়া মাসিক ভাড় ধাৰ্য্য করিয়াছিলেন বটে, কিন্তু তাহারা তাহা কর্য্যে পরিণত করেন নাই। অবশেষে নবাব আসফ উদ্দৌলা ঐ অট্টালিকা রাজসম্পত্তি বলিয়া বাজেয়াপ্ত করিয়া লন । সয়দং খ প্রথমে যখন এখানে আসিয়াছিলেন, তখন সেথগণ উপযুপিরি তাহার প্রতিদ্বন্দ্বিতাচরণ করিতে কাতর হন নাই, অবশেষে তাহারা সেই বীরবরের বলবীৰ্য্য দেখিয়া নিজে নিজেই বশীভূত হইতে বাধ্য হন। মৃত্যুর পূৰ্ব্বে সয়াদং স্বীয় শত্ৰকুল নিৰ্ম্মল করিয়া অযোধ্যাবিভাগে একটা স্বাধীন জনপদ প্রতিষ্ঠা করিয়া যান। বৃদ্ধবয়সেও তাহার বলবীর্য্যের কিছুমাত্র হ্রাস ঘটে নাই। হিন্দুগণ তাহার যুদ্ধকৌশলে পরাজিত ও ভীত হইতেন। প্রসিদ্ধ হিন্দুবীর ভগবন্ত সিংহ খ্ৰীচি তাহার সহিত দ্বনযুদ্ধে নিহত হন। তাহার অধীনস্থ সেনাদল ও অধ্যক্ষের শিক্ষণগুণে তৎকালে বিশেষ প্রতিষ্ঠা লাভ করিয়াছিল। তাহার জামাতা ও উত্তরাধিকারী নবাব সফদরজঙ্গ (১৭৪৩ খৃষ্টাব্দে ) দিল্লীতে উজীরপদে নিযুক্ত ছিলেন। তিনি বাইসবাড়ার তুৰ্দ্ধৰ্ষ বাঈজাতিকে ভীত রাখিবার জন্ত নগরের ৩ মাইল দক্ষিণে জলালাবাদ দুর্গ স্থাপন করেন এবং লক্ষ্মণপুরের প্রাচীন দুর্গের পুনঃসংস্কার করিয়া মচ্ছিভবন নাম দেন। ঐ দুর্গ বাটিকার চূড়াদেশে একটা মৎস্ত স্থাপিত থাকায় উহ মচ্ছিভবন বা মটীভবন নামে খ্যাত হয় । তিনি নগরগাত্রবাহী নদীবক্ষে দুইট সেতুনিৰ্ম্মাণের উদবোগ করিয়াছিলেন, পরে আসফ উদ্দৌলার যত্নে তাহার নিৰ্ম্মাণ কাৰ্য্য সুসম্পন্ন হইয়াছিল।
পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/১৯৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।