লাখনে s § - Y } e जैथिएनौ -ایجین: সাধারণ লোককে হিন্দুস্থানী ভাষায় বুঝাইয়া দেন যে, ইংরাজশাসন হিন্দু ও মুসলমানের পক্ষে বিশেষ হিতকর ; সুতরাং সকলেরই ইংরাজশাসনের পক্ষপাতী হইয় তাহারই অনুগামী হওয়া কৰ্ত্তব্য। উক্ত তারিখের পরদিন প্রভাতে মিরাটের হত্যাকাগুৈর সংবাদ লাখ নে নগরে আসিয়া পৌছিলে, এখানে সেনাদলের মধ্যে বিপ্লবের সূচনা হইতে লাগিল । ১৯শে তারিখে সর হেনরী লরেন্স অযোধ্যান্থ সেনাদলের সর্বময় কর্তৃত্ব লাভ করিয়া রেসিডেন্সি মধ্যে যুরোপীয় নরনারী সংস্থাপনপূর্বক দুর্গ এবং মচ্ছিভবন সুরক্ষার ব্যবস্থা করিলেন। ৩০শে মে রজনীতে লাখনে নগরে বিদ্রোহী সেনাদলের হৃদয়নিহিত অগ্নি ধূম উদগীরণ করিতে লাগিল। ৭১ সংখ্যক সেনাদলের ও অন্তান্ত দলের কতকগুলি লোক একত্র হইয়া অধ্যক্ষগণের বাঙ্গালায় । অগ্নি প্রদানপূর্বক জালাইয়া দিল এবং গৃহস্থিত ব্যক্তিবর্গকে নিহত করিল। পরদিন প্রাতে যুরোপীয় সেনাদল তাহাদিগকে আক্রমণ করিয়া হটাইয়া দিল । কিন্তু ৭ম সংখ্যক অশ্বারোহিদল বিদ্রোহিদলে যোগ দিয়া একত্র সীতাপুর অভিমুখে প্রস্থান করিল। ১২ই জুন পর্যন্ত লাখনে নগর ইংরাজ অধিকারে থাকিল বটে, কিন্তু অযোধ্যার অপরাপর অংশ বিদ্রোহীরা অধিকার করিয়া লইল । ১১ই জুন সামরিক পুলিশ ও দেশীয় অশ্বারোহী বিদ্রোহী সেনাদল প্রকাশে ইংরাজদিগের প্রতি গোলাবর্ষণ করিতে লাগিল । পরদিন দেশীয় পদাতিক দল তাহদের সহিত যোগ দিয়া নগর ভাগ আলোড়িত করিয়া ফেলিল। ২০এ জুন কণিপুর বিদ্রোহিদলের হস্তগত হইয়াছে সংবাদ পাইয়া সিপাহীগণ উৎফুল্ল ইষ্টয়া উঠিল । ২৯এ জুন ৭• • • হাজার বিদ্রোহী ফৈজাবাদ পথে অগ্রসর হইয়া রেসিডেন্সীর আট মাইল অদূরবর্তী কিনহাট গ্রাম আক্রমণ করিলে সর হেনী লরেন্স যুদ্ধার্থ অগ্রসর হইলেন, কিন্তু তিনি শত্রর সম্মুখে অধিকক্ষণ থাকিতে না পারিয়া পরাজয় স্বীকারপূৰ্ব্বক প্রত্যাবৃত্ত হষ্টলেন । তিনি শত্রপক্ষের বল অধিক দেখিয়া মটীভবন পবিত্যাগ করিয়া রেসিডেন্সীর বলপুষ্ট করিতে তথায় সমস্ত সৈন্ত সমবেত করিলেন। ১লা জুলাই শত্রদল রেসিডেন্সী অবরোধপূর্বক গোলাবর্ষণ করিতে লাগিল। ২রা শক্রপক্ষের { একটা গোলা সৱ হেনরীর শয়নকক্ষে প্রবিষ্ট হইয় তাহাকে আহত করিল । সেই আঘাতের যন্ত্রণায় অস্থির হইয়া তিনি ৪ঠা তারিখে পঞ্চত্র প্রাপ্ত হইলেন। তখন মেজর বাস্কস্ সিভিল বিভাগের ও ব্রিগেডিয়ার ইনগ্নিস্ সামরিক বিভাগের অধ্যক্ষ তইলেন। ২-এ জুলাই শক্ৰগণ পুনরায় ইংরাজদিগকে আক্রমণ করিল। পরদিন মেজর বাস নিহত হইলে, ব্রিগেডিয়ার XVII t? ইনগ্নিস্থ সৰ্ব্বময় কর্তী হইলেন। ১•ই ও ১৮ই আগষ্ট তারিখে উপযুপিরি দুইবার আক্রমণ করিয়াও শত্রদল ইংরাজদিগকে বিপৰ্য্যস্ত করিতে পারিল না। রেসিডেন্সীস্থিত ইংরাজগণও পুনঃ সাহায্যলাভের আশীয় ক্রমশই হতাশ হইয়া পড়িতেছিলেন। এমন সময়ে আউট্রাম ও হাবেলকের আগমন বাৰ্ত্ত শুনিয়া তাহারা কিঞ্চিৎ উৎফুল্ল হইয়া উঠিলেন । ২২শে সেপ্টেম্বর হাবেলক আলমবাগে উপনীত হইয়া তথাকার বিদ্রোহীদিগকে বিপর্য্যস্ত করিলেন এবং ২৫এ পর্য্যন্ত শত্রদিগের সহিত থগুযুদ্ধ করিতে করিতে বীরদপে ২৩শে রেসিডেন্সীর দ্বারদেশে আসিয়া সমুপস্থিত হইলেন। তৎপূৰ্ব্বেই শত্রপক্ষের আক্রমণে জেনারল নীল নিহত হইয়াছিলেন । শত্রদল ইংরাজের বলহীনতার পরিচয় পাইয়া পুনরায় নগর আক্রমণ করিল, আউটুমি ও হাবেলক বিশেষ বিচক্ষণতার সহিত দিবারাত্র যুদ্ধ করিয়া নগররক্ষায় নিযুক্ত ছিলেন। অক্টোবর মাস পর্য্যন্ত ইংরাজগণ বিশেষ বীরত্বের সহিত আত্মরক্ষা করিতে লাগিলেন । ১০ই নবেম্বর সর কলিন কাম্বেলের অধীনস্থ সেনাদল কাণপুর হইতে আলমবাগে আসিয়া উপনীত হইলে তিনি কলিকাতায় উপনীত হইয়াই লাখনেী উদ্ধারমানসে নানাস্থান হইতে সৈন্তসংগ্রহের ব্যবস্থা করিয়াছিলেন। ১২ই নবেম্বর তিনি সদলে আলমবাগ আক্রমণ করিলেন। ক্ষণকাল যুদ্ধের পর শত্রদল পরাস্ত হইল। তদনন্তর তিনি দিলখুস প্রাসাদ অধিকারপূর্বক মাটিনেয়ার অভিমুখে অগ্রসর হইলেন। এখানে কামানাদির দ্বারা সুরক্ষিত হইয়া বিদ্রোহী সিপাহী দল’ অবস্থান করিতেছিলেন। উক্ত স্থান অধিকার করিয়া তিনি খাল উত্তরণপূর্বক ১৬ই তারিখে শত্ৰদলের প্রধান কেন্দ্র সিকেনারাবাগ আক্রমণ করিলেন । এখানে উভয় পক্ষে ঘোরতর যুদ্ধের পর বিদ্রোহিদল পরাজিত হইল। ইংরাজসেনা দুর্গ অধিকারান্তে নববলে বলীয়ান হষ্টয়া মোতিমহল পর্য্যস্ত অগ্রসর হইলে হাবেলক রেসিডেন্সী হইতে বহির্গত হইয় তাহাদের সহিত সদলে মিলিত হইলেন । এইরূপে বিজয়ী দ্বিতীয় সাহায্যকারী সেনাদল লাখ নেী নগরে উপস্থিত হইলেও ইংরাজের পক্ষে নগর-রক্ষা অসম্ভব হইয়া উঠিল। তখন সত্ব কলিন কাম্বেল শত্রুপক্ষের প্রতিপক্ষতাচরণ দুরূহ বিবেচনা করিয়া ইংরাজ পুরুষ, রমণী ও বালকবালিকাদিগকে এখান হইতে উদ্ধারপূর্বক কাণপুরে লইয়া কলিকাতায় পাঠাইতে মনস্থ করিলেন। তদনুসারে তিনি ২•এ নবেম্বর সদলে অগ্রসর হইলেন । রেসিডেন্সী পুনৰ্ব্বার শত্রুর হস্তগত হইল। পথিমধ্যে সর হেনরী হবেলকের মৃত্যু হওয়ায় আলমবাগে তাহার সমাধি হয়।
পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/২০১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।