লিঙ্গ ] 1 بوانه লিঙ্গ ঐ তথুল অধিক হয়, তাহা হইলে ঐ লিঙ্গ গৃহস্থদিগের পূজনীয়। ওজন ৩, ৫ বা ৭ বার করিতে হয়। যদি তুলায় প্রত্যেক বারই যদি সমতা হয়, অর্থাৎ এক ওজনই থাকে, তাহা হইলে ঐ লিঙ্গ জলে ফেলিয়া দিতে হইবে। তণ্ডুল অপেক্ষ যদি লিঙ্গ অধিক হয়, তাহা হইলে ঐ লিঙ্গ উদাসীনদিগের পক্ষে হিতকর । “ইত্যেতল্লক্ষণং প্রোক্তং পরীক্ষাতন্ত্রকোবিদৈঃ । ত্রি:সপ্তপঞ্চবারং বা তুলাসাম্যং ন জায়তে। তদা বাণং সমাখ্যাতং শেষং পাষাণসম্ভবম্ ॥” ( বীরমিত্রোদয়স্কৃত শ্লোক ) ‘তুলাকরণস্তু তুলেন,অপরতুলাদিযুত ধুলা যদ্যধিকাঃ স্বাস্তদা তন্নিঙ্গং গৃহিণাং পুজামবধাৰ্য্যং লিঙ্গঞ্চেদধিকং তদোদাসীনপূজ্যং তদিতি কিংবদন্ত্রীতি হেমাদ্রিদ্ধত লক্ষণাক্রাস্তম্। “সপ্তকৃত্যস্থলাৰূঢ়ং বৃদ্ধিমতি ন ইয়াত। বাণলিঙ্গমিতি খ্যাতং শেয়ং নাম্মদদুচ্যতে ॥ ত্রিপঞ্চবরং যম্ভৈব তুলাসাম্যং ন জায়তে। তদা বাণং সমাখ্যাতং শেযং পাষাণসম্ভবম্ ॥” ( স্বতসংহিতা ) বাণলিঙ্গ কি না এইরূপ প্রণালী অনুসারে পরীক্ষা করিয়া তাহার সংস্কারপূৰ্ব্বক পূজা করিবে। লিঙ্গপূজাবিধি। বাণলিঙ্গ পূজা করিতে হইলে প্রথমে সামান্য পূজাপদ্ধতিক্রমে গণেশাদি দেবতা পূজা করিয়া বাণলিঙ্গকে স্নান করাইতে হইবে। পরে নিম্নোক্ত ধ্যান পাঠ করিয়া মানসোপচারে পূজা এবং পুনরায় ধ্যান করিয়া পূজা করিতে হয়। পূজা যথাশক্তি ষোড়শাদি উপচারে করা যাইতে পারে। ধ্যান— ওঁ প্রমন্তং শক্তিসংযুক্তং বাণাথ্যঞ্চ মহাপ্ৰভম্। কামবাণান্বিতং দেবং সংসারদহনক্ষমম্। । শৃঙ্গারাদিরসোল্লাসং বীণাপ্যং পরমেশ্বরম্।” এই ধ্যানে পূজা ও জপাদি করিয়া স্তব পাঠ করিতে হয়। বাণলিঙ্গপূজায় আবাহন ও বিসর্জন নাই। বাণলিঙ্গ বহু প্রকার,—আগ্নেয়লিঙ্গ, যামলিঙ্গ, নৈঋতলিঙ্গ, বারুণলিঙ্গ,বায়ুলিঙ্গ, কুবেরলিঙ্গ, রৌদ্রলিঙ্গ, বৈষ্ণবলিঙ্গ, স্বয়স্কৃলিঙ্গ, মৃত্যুঞ্জয়লিঙ্গ, নীলকণ্ঠ লিঙ্গ, মহাদেবলিঙ্গ, জলল্লিঙ্গ, ত্রিপুরারিলিঙ্গ, অৰ্দ্ধনারীশ্বর লিঙ্গ ও মহাকাল লিঙ্গ প্রভৃতি । ইহাদের প্রত্যেকটীর পৃথক পৃথক্ লক্ষণ শাস্ত্রে নির্দিষ্ট হইয়াছে, সেই সেই লক্ষণ দ্বারা উক্ত লিঙ্গ স্থির করিতে হয়। বাণলিঙ্গের শুভাশুভ লক্ষণ বিশেষ করিয়া পরীক্ষা করিয়া লইতে হয়। নিন্দলিঙ্গ-বাণলিঙ্গ কৰ্কশ হইলে পুত্ৰদারাদিক্ষয়, চিপিটকার অর্থাৎ চেপষ্ট হইলে গৃহভঙ্গ, এক পাশ্বস্থিত হইলে পুত্রদ্ধারাদি ধনক্ষয়, শিরোদেশ ফুটিত হইলে ব্যাধি, লিঙ্গ ছি হইলে বিদেশগমন, এবং লিঙ্গে কণিকা থাকিলে ব্যাধি হয়, সুতরাং এই সকল দোষযুক্ত বাণলিঙ্গ পূজা করিতে নাই। ইয় ভিন্ন তীক্ষাগ্ৰ, বক্ৰশীর্ষ, এবং ত্রাস্ত্ৰ (ত্রিকোণ) লিঙ্গ পরিবর্জনীয়। ইহা ভিন্ন অতি স্থল, অতিক্লশ, স্বর ও ভূষণযুক্ত লিঙ্গ গৃহী পৃষ্ঠা করিবে না, এই লিঙ্গ যাহারা মোক্ষার্থী তাহদের পক্ষে হিতকর। “কৰ্কশে বাণলিঙ্গে তু পুত্ৰদারক্ষয়ে ভবেৎ। চিপিটে পুজিতে তস্মিন গৃহভগ্নো ভবেঞ্জবম্ ॥ একপাশ্বস্থিতে ধেনুপুত্ৰদারধনক্ষয়: । শিরসি স্কটিতে বাণে ব্যাধিৰ্ম্মরণমেব চ। , ছিদ্রলিঙ্গে হচ্চিতে বাণে বিদেশগমনং ভবেৎ। লিঙ্গে চ কণিকাং দৃষ্ট ব্যাধিমান জায়তে পুমান । তীক্ষাগ্ৰং বক্রণীর্ষঞ্চ ত্রাশ্রলিঙ্গং বিবর্জয়েত । অতিস্থলঞ্চাতিকৃশং স্বয়ং বা ভূষণান্বিতম্ ॥ গৃহী বিবর্জয়েন্তদৃক তদ্ধি মোক্ষার্থিনো হিতম্ " বীরমিত্রের শুভলিঙ্গ—ঘনাভ ও কপিল বর্ণ লিঙ্গ বিশেষ শুভ, এই লিঙ্গ পূজায় শুভ হইয়া থাকে। লঘু বা স্থল কপিল বর্ণ লিঙ্গ গুী কদাপি পূজা করিবে না। ভ্রমরের স্তায় কৃষ্ণবর্ণ লিঙ্গ সপীঠ অর্গ্য বা মন্ত্র সংঙ্গার রহিত হইলেও তাহা গৃহস্থ পূজা করিতে পারে। “অর্থদং কপিলং লিঙ্গং ঘনাভং মোক্ষকাঙ্ক্ষিণঃ। লঘু বা কপিলং স্থূলং গৃহী নৈবাৰ্ডয়েং কচিৎ। পূজিতব্যং গৃহস্থেন বর্ণেন ভ্রমরোপমম্। তৎসপীঠমপীঠং বা মন্ত্রসংস্কারবর্ভুিতম্।।” ( বীরমিত্রোদয়) বাণলিঙ্গের আকার পদ্মবীজের সদৃশ। এই বাণলিঙ্গ ভূক্তি ও মুক্তিপ্রদায়ক। পক জন্তু ফলের ন্যায় ও কুকুটাও সমাকৃতিীে লিঙ্গ তাহাও বাণলিঙ্গ নামে খ্যাত, এই লিঙ্গও পূজায় বিশে প্রশস্ত। মধুবৰ্ণ, শুক্ল, নীল, মরকত মণির বর্ণ এবং হসডিজ আকৃতিবিশিষ্ট যে লিঙ্গ, তাহ স্থাপনে প্রশস্ত। এই লিঙ্গ নৰ্ম্মদাদি নদী জলে পৰ্ব্বত হইতে স্বয়ংই উদ্ভূত হন। সুতরাং নদী হইতে তুলিয়া আনিয়াই সংস্কার করিয়া পূজা করিতে পার যায়। পূৰ্ব্বে বাণ তপস্তা করিয়া মহাদেবের নিকট বর লইয়ারি যে, তিনি সৰ্ব্বদা পৰ্ব্বতে লিঙ্গরূপে আবিভূর্ত থাকিবেন, এইচ জগতী তলে ঐ লিঙ্গ বাণলিঙ্গ নামে খ্যাত। একটা বালির পূজা করিলে বহুলিঙ্গ পূজার ফললাভ হয়। “পঙ্কজষ্ঠ ফলাকারং কুকুটাওসমাকৃতি। ভুক্তিমুক্তিপ্রদঞ্চৈব বাগলিঙ্গমুদাহৃতম্। পঙ্কজম্বুফলাকারং কুকুটাওসমাকৃতি । প্রশস্তং নাম্মদং লিঙ্গং পঙ্কজম্বুফলাকৃতি। মধুবৰ্ণ তথা শুরুং নীলং মরকত প্ৰভম্।
পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/২৬৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।