লিঙ্গায়ৎ s ও বরপক্ষীয় নিকটাত্মীয়েরা কস্তাগৃহে যাইয়া বিবাহ সম্বন্ধ স্থির করিয়া আসেন। কথা পাকা হইলে, তাহার কন্যাকে নব বস্ত্র ও অঙ্গরাখা পরিধান করাইয়া তাহার মুখে চিনি দেয় এবং কন্যাকর্তৃ অতিথিদিগের ছন্তে পাণ দিয়া বিদায় দেন। জঙ্গম বা স্থানীয় আচাৰ্য্য ব্রাহ্মণগণের সহিত পরামর্শ করিয়া বিবাহের শুভ দিন ধাৰ্য্য হয়। ঐ দিনে বরগুহে ও কন্যালয়ে একটা চাদোয়া খাটান হইয়া থাকে। কন্যাগৃহে বিবাহের জন্য একটা বেদী বা মণ্ডপ বাধা হয়, ঐ বেদীর উপর সিন্দূর চিত্রিত চারিট সাদা মাটীর ঘটী পাচ থাকে উপরি উপরি সাজান থাকে। বর অশ্বারোহণে বাস্থ্যাদি সহকারে সদলে কস্তাগৃহে গমন করে। তখন কন্যাপক্ষীয়েরা বরকে লইয়া যায় এবং ভয়কে হরিদ্র মাখাইয়া পরস্পরের বস্ত্রাঞ্চলে গাইট বাধিয়া দেয়। তদনন্তর তাহারা সেই নবদম্পতীকে লইয়া নিকটস্থ মহাদেবমন্দিরে প্রণাম করাইয়া আনে। তাহার পর নির্দিষ্ট চতুষ্কোণ শিলার মধ্যভাগে স্থাপিত কাঠের চৌকীতে তাহদিগকে আনাইয়া বসান হয় । উহার চারি কোণে চারিট ও সম্মুখে একটা পিস্তল কলস জলপূর্ণ থাকে। অনন্তর বর ও কন্তী জঙ্গমের সাহায্যে সম্মুখস্থ বৃষভবাহন শিবমূৰ্ত্তি পূজা সমাপন করিলে, জঙ্গম বিবাহের মগ্ন পাঠ করিতে থাকেন। ঐ সময়ে অস্ত্রীয়েরা সকলে উভয়ের মস্তকের উপর চাউল ফেলিতে থাকেন। জঙ্গম কন্তুক বিবাহমন্ত্র পাঠ সমাপা হইলে বর ও কন্যা উভয়ে সম্মুখস্থ শিব ও নন্দীকে প্ৰণাম করে। তখন হইতেই তাহার স্বামীরূপে পলিগণিত হয় । অতঃপর কন্যাকৰ্ত্তা বর ও ক’মেকে উপরোক্ত বেদীতে বসাইয়া স্বীয় জামাতার হস্তে একটী তামা ( তামনিৰ্ম্মিত কলস ) ও পিত্তলের থাল (পিতালী ) উপহার দিয়া থাকে। তাহার পর জ্ঞাতি কুটুম্ব ও বরযাত্রগণের ভোজ হয় এবং একটী পাণের থিলি লইয়া সকলে চলিয়া যায। বিবাহের পর দিন উভয় পক্ষে নমস্কারী বঙ্গের উপহার বিনিময়ের পর বরকষ্ঠ পুত্রবধূ সঙ্গে লইয়া গৃহে প্রত্যাবৃত্ত হন এবং নববধূ সন্দর্শনার্থ আগত বন্ধুবান্ধবকে পাণ দিয়া বিদার করেন। কোন লিঙ্গাস্বতের মৃত্যু সময় উপস্থিত হইলে, আত্মীয় স্বজনের মরণাপন্ন ব্যক্তির আত্মার শুভকামনায় ভিক্ষাদান করিয়া থাকে। ঐ ব্যক্তির প্রাণবায়ু দেহত্যাগ করিলে গৃহস্থ অপর আত্মীয়েরা সেই শবদেহ একখানি কাষ্ঠচৌকীর উপর বসাইয়া তাহার পৃষ্ঠদেশ গৃহপ্রাচীরে ঠেসাইয়া রাখে এবং দুই জনে দুই পাশ্বে ধরে। তার পর সেই চৌকীর চারিদিকে রাশের বেড়া দিয়া উহার চারি কোণে চারিট কলাগাছ বাধিয়া দেয় এবং ঐ বেড়ার তিন দিক্ রাঙ্গাবস্ত্রে আচ্ছাদিত করিয়া শবসহ ঐ কাঠচৌকী গৃহের বাহিরে আনে। এখানে २१¢ } লিঙ্গিন শীতল জলে স্নান করাইয়া ঐ মৃত ব্যক্তিকে নববস্ত্র পরিধান করায় । তাহার কপালে, বক্ষে ও বাহুতে ভস্ম মাথাইয়া দেয় এবং কণ্ঠদেশ পুষ্পমালায় সুশোভিত করে । তদনন্তর একটা প্রদীপ জালিয়া তাহার মুখমণ্ডল ও শরীরে আরতি সমাপন করিয়া চারি জনে সেই চৌকী স্বন্ধে করিয়া সমাধিক্ষেত্রে লইয়৷ যায়। শবের সম্মুখে এক জন জঙ্গম মুহুমুহু: শঙ্খ ও ঘণ্টাধ্বনি এবং অপরাপর স্ত্রীপুরুষগণ তাহার পশ্চাতে “হর, হর, মহাদেব” শব্দে চীৎকার করিতে করিতে গমন করে। সমাধিক্ষেত্রে উপনীত হইয় তাহারা সেই বাশের বেড়া পুলিয়া ফেলে এবং যে স্থানে শবদেহ প্রোথিত করিতে হইবে, সেই স্থানে জল ছিটাইয়া চারি হাত গভীর একটা গৰ্ত্ত খনন করে। ঐ গর্ভে তাহারা শবদেহ স্থাপন করিয়া তাহার গলদেশ হইতে পুৰ্ব্বস্তৃত লিঙ্গ খুলিয়া লইয়া হস্ত তালুতে রক্ষা করে এবং সেই লিঙ্গোপরি বিশ্বপত্র দিয়া মৃত ব্যক্তির নিকটাত্মীয় স্বীয় সাধ্যানুসারে শবদেহ লবণ দ্বারা আচ্ছাদিত করিয়া উপস্থিত ব্যক্তিগণের সাহায্যে পুনরায় সেই গৰ্ত্ত মৃত্তিকা দ্বারা পূর্ণ করিয়া থাকে। তৎপরে সেই গৰ্ত্তের উপর এক খণ্ড প্রস্তর স্থাপন করা হয়, জঙ্গম সেই প্রস্তরে দাড়াইয়া প্রেতের মঙ্গলকামনায় মন্ত্র পাঠ করিতে থাকেন । মন্ত্র পাঠ শেষ হইলে জঙ্গম সেই প্রস্তরনিদিষ্ট স্থানে বিল্বপত্র দিল্প পুঞ্জ করেন। অবশেষে সকলে মৃত ব্যক্তির গুহে প্রত্যাবৃত্ত ইষ্টয়া যে স্থানে এ ৭্য। ওর মৃত্যু ঘটিয়াছে, তথাকার প্রসলিত স্থী বহি সন্দশন করিয়া স্ব স্ব গৃহে চলিয়া যায়, তখন ঐ ওদেীপ নিবাহঁয়া দেওয়া হয় । ro ইহা ভিন্ন তাহদের শোক প্রকাশের আর কোনরূপ ক্রিয়াত পরিলক্ষিত হয় না। সমর্থ হইলে তাহারা মৃতের সমাধির উপর লিঙ্গ ও নন্দ সমেত একঠী সমাধি স্তম্ভ নিৰ্ম্মাণ করাইয় থাকে। তৃতীয় দিনে তাহারা আত্মীয় স্বজনকে একটা ভোজ দেয়, বাৎসরিক শ্ৰাদ্ধ দিনে তাহারা ঐপি অার একটা ভোজ দিয়া থাকে,তদ্ভিন্ন মৃতের প্রেতাত্মাল উদ্দেশে আর কোন কৰ্ম্মই কপেন। তাহদের সামাজিক দলাদলি পঞ্চােয়ত দ্বারা নিষ্পত্তি হইয়া থাকে। লিঙ্গার্চন ( ক্লী) লিঙ্গপূজা । লিঙ্গার্চনতন্ত্র ( ক্লী ) তন্ত্রভেদ। ইহাতে শিবলিঙ্গের উপাসনা পদ্ধতি বিবৃত আছে। লিঙ্গালিকা ( স্ত্রী । ক্ষুদ্র মুখিক, পৰ্য্যায়-দীনা । (হারাবণী ) লিঙ্গিন (পুং) সিঙ্গমস্তস্থেতি ইনি। ১ হস্তী ! ( জটাধর ) (ত্রি ) ২ ধৰ্ম্মধ্বজ, কপট দায়িক । "ক্সলিঙ্গী লিঙ্গবেশেন যে লিঙ্গমুপঞ্জীবতি । স লিঙ্গানাং হরোনিং তির্যাগযোনে চ গচ্ছতি ॥” (কুৰ্ম্মপু ১৫জ ) ৩ বাসনাশয় ।
পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/২৭৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।