রাজকোটরাজ্য আক্রমণ করেন। ঐ সময়ে রাজকোটরাজ উপারাস্তুর না দেখিয়া সৌভাগ্যাম্বেষী ভারতীয় সামন্তরাজ জর্জ টমাসের সাহায় ভিক্ষা করিয়াছিলেন। ১৮৯৬ খৃষ্টাৰো মহারাজ রণজিৎ সিংহ সিন্ধু মদ অতিক্রম করিয়া এই বিভাগের অপরাপর শিখসর্দারদিগকে পরাজয় করেন। ঐ সময়ে রাজকোটের রায়বংশের অধিকৃত রাজ্যও রণজিতের করকবলিত হইয়াছিল। যুণজিৎ সিংহ রাজকুমার ও তাহার দুইটী বিধবা মাতার ভরণপোষণার্থ দুইটমাত্র গ্রাম দান করিয়াছিলেন। ১৮৯৯ খৃষ্টাব্দে রণজিতের তৃতীয় অভিযানের পর, ইংরাজগবমেন্টের সহিত পঞ্জাবপতির যে সন্ধি হয়, তাহাতে রণজিৎ শতদ্রু পার হইয়া আর অধিক রাজ্য হস্তগত করিতে পারেন নাই। উক্ত সন্ধির পর, ইংরাজরাজ স্বাধিকাররক্ষণমানসে লুধিয়ানায় একটি সেনানিবাস স্থাপন করেন। তৎকালে ঐ সেনাবাস ঝিন্দরাজ্যের অধিকার মধ্যে স্থাপিত হওয়ায়, ইংরাজগবমেন্ট ক্ষতিপূরণ স্বরূপ বিন্দরাজকে কর দিতে বাধ্য হইয়াছিলেন। ১৮৩৫ খৃষ্টাব্দে বিন্দরাজবংশের প্রকৃত উত্তরাধিকারীর অভাবে লুধিয়ানার চতুষ্পার্শ্ববৰ্ত্তী কতকস্থান ইংরাজাধিকারে আইসে, তাহা হইতেই বর্তমান লুধিয়ান জেলার উৎপত্তি। ১৮৪৬ খৃষ্টাব্দে ১ম শিখযুদ্ধের অবসানে লাহোর রাজ্যের কতকাংশ এই জেলার অন্তভূক্ত করিয়া লওয়া হয় । তদবধি এই নগরের উত্তরোত্তর শ্ৰীবৃদ্ধি হইতে থাকে। অতঃপর শিখজাতি শাস্তভাব ধারণ করিলে ইংরাজগবমেণ্ট ১৮৫৪ খৃষ্টাব্দে এখানকার সেনানিবাস উঠাইয়া লন। ১৮৫৭ খৃষ্টাব্দের সিপাহিবিদ্রোহের সময় স্বল্পসংখ্যক সেনা লইয়া এখানকার ডেপুটী কমিশনর দিল্লী অভিমুখে যাত্রাকারী জালন্ধরস্থ বিদ্রোহী সেনাদলের গতিরোধ করিতে চেষ্টা পান। কিন্তু সিপাহীদলের নিকট তিনি সম্পূর্ণরূপে পরাজিত হইয়াছিলেন। ১৮৭২ খৃষ্টাব্দে কুকাসম্প্রদায়ের কতকগুলি ধৰ্ম্মোন্মত্ত ব্যক্তি রাজদ্রোহী হইয়। এখানে ঘোরতর অনিষ্ট করে । ইংরাজরাজ সেই বিদ্রোহিদলকে যথোপযুক্ত শাস্তি দিয়া তাহদের দলপতি রামসিংহকে ইংরাজাধিকৃত ব্ৰহ্মরাজ্যে বন্দিরূপে প্রেরণ করেন। সিন্ধু, পঞ্জাব, দিল্লী রেলপথ ও সরহিন্দ থাল বিস্তারের সঙ্গে এখানকার শান্তি ও সমৃদ্ধি উত্তরোত্তর বৰ্দ্ধিত হইয়াছে। ১৮৩৯-৪২ খৃষ্টাব্দে প্রথম আফগান যুদ্ধের পর কাবুল রাজ্য হইতে বিতাড়িত সুলতান শাহস্বজার বংশধরেরা এই নগরে বাস করিতেছে। লুধিয়ান, জগয়াওন, রায়কোট,মচ্ছিবাড়, খারাও বহু লোলপুর নগরে সাধারণতঃ এখানকার বাণিজ্যকাৰ্য পরিচালিত হয়। XVII . • * [ ২৮৯ } 禪 রাজসিংহাসনে বালক রাজাকে উপবিষ্ট দেখির শিখসর্দারগণ
- # , 嶽。 fi * - A
ssage অধিবাসীদিগের মধ্যে হিন্দু ও মুসলমান জাট জাতিই প্রধান। রাজপুত, গুজর, কাশ্মীর প্রভৃতি বিভিন্ন স্থানবাসীর সংখ্যাও নিতান্ত কম নহে। ব্যবসায়ীশ্রেণীর মধ্যে ক্ষত্রী ও বেশিরার সংখ্যাই অধিক । y এখানে পশমী কাপড়ের প্রভূত কারবার আছে। শাল, মোজা, দস্তান, রামপুরী চাদর প্রভৃতি নানাপ্রকার পশমী বস্ত্র এবং থেস, লুঙ্গী, গাব রুণ প্রভৃতি বিভিন্ন রকমের কার্পাস বস্ত্র এথানে প্রস্তুত হইয়া বিক্রীত হয়। এতদ্ভিন্ন আসবাব, গাড়ী ও কামান বন্দুক প্রভৃতি প্রস্তুতের জন্য এখানে বড় বড় কারখানা আছে। পাকা রাস্তায় ও রেলপথে প্রধানতঃ এখানকার বাণিজ্যকাৰ্য্য পরিচালিত হইয়া থাকে। 像 ২ উক্ত জেলার অন্তর্গত একটি তহশীল। ভূপরিমাণ ৬৭৮ বর্গমাইল। অক্ষা ৩০°৪৫-২০% হইতে ৩১°১/উঃ এবং দ্রাঘি• ৭৫%০৩০% হইতে ৭৬°১২′ পূঃ মধ্য। ৩ উক্ত জেলার প্রধান নগর ও বিচার সদর, শতক্রনীর দক্ষিণ উচ্চকূলে বর্তমান নদীখাত হইতে ৪ ক্রোশ দূরে অবস্থিত। অক্ষা ৩০°৫৫২৫ উঃ এবং দ্রাঘি• ৭৫’৫৩৩০ পুং । এখানে সিন্ধু-পঞ্জাব-দিল্লী রেলপথের একটী ষ্টেসন থাকায় স্থানীয় বাণিজ্যের বিশেষ সুবিধা ঘটিয়াছে। নগরের উত্তরাংশে প্রশস্ত প্রাস্তরে এখানকার কেল্লা অবস্থিত। সিপাহীযুদ্ধের পর ঐ স্থান পরিষ্কার করিয়া একটি বিস্তৃত ময়দানে পরিণত করা হইয়াছে। দিল্লীর লোদী রাজবংশের কুমুফ ও নিহঙ্গ নামক দুই জন রাজকুমার ১৮৪০ খৃষ্টাৰো এই নগর স্থাপন করেন। ১৭৬০ খৃষ্টাব্দে মোগল রাজসরকার হইতে ইহা রায়কোটের রায়দিগের অধিকারে আইসে । ১৮শ শতাদের শেষভাগে রণজিৎসিংহ এই নগর অধিকার করিয়া ঝিন্দের রাজা ভাগসিংহের হস্তে অৰ্পণ করেন ( ১৮০৯ খৃষ্টাব্দ)। শতদ্রুপ্রবাহিত সামন্তরাজ্যসমূহের পলিটিকাল এজেণ্ট জেনারল অক্টাল'নী এই নগর দখল করিয়া অস্থায়ী সেনাবাস স্থাপন করিয়াছিলেন ; কিন্তু ভারত-গবমেণ্ট এই অবৈধ আচরণের ক্ষতিপূরণস্বরূপ বিন্দরাজকে উপযুক্ত অর্থদান করিয়াছিলেন। ১৮৩৪ খৃষ্টাব্দে ঝিনারাজবংশধরের প্রকৃত উত্তরাধিকারীর অভাবে র্তাহার রাজা ইংরাজ-গবমেন্টের শাসনভুক্ত হয়। তদবধি এই নগর ইংরাজ-সেনার একটী ক্ষুদ্র ছাউনীরূপে পরিগণিত ছিল। ১৮৫৪ খৃষ্টাৰাে এখান হইতে সেনাদল অন্তর পরিচালিত হয়, কেবল একদল মাত্র সৈন্ত দুৰ্গরক্ষার জন্ত রহিয়াছে। ፃን মুসলমান সাধু শেখ আবদুল কাহিদরই জলানীর পবিত্র উর্ধে জাগমন করেন। এখানে প্রতি বৎসর একটি মেলা इु ! ॐ नक्ष वर रिर् ९ छगणशन शै{बाजी এখানে