লেপিন প্রদেহ ব্যবহার করা যায়। যাহা ক্ষত স্থানে প্রয়োগ করা যায়, তাহাকে নিরুদ্ধা লেপন কহে, ইহা স্বারা ত্রণের স্রাব রুদ্ধ ও ব্ৰণ কোমল এবং তাছা হইতে পূতিগন্ধযুক্ত মাংসনির্গম হইয়া থাকে। যে শোফ ক্ষারের দ্বারা দগ্ধ করা না হয়, তাহার পক্ষে আলেপ হিতকর। যে দ্রব্য ভক্ষণ বা পান করিলে শরীরের অভ্যন্তরস্থ ষে দোষের শাস্তি হয়, সেই দ্রব্যের প্রলেপ দিলে শরীরে ত্বকৃস্থিত সেই দোষের শান্তি হয় এবং ব্রণের জালা ও চুলকনাও নিবৃত্ত হয়। শরীরের ত্বক সংশোধন ও ব্রণের দাহ শাস্তি করিতে হইলে আলেপনই প্রধান উপায়। ইহা দ্বারা মাংস ও রক্ত সংশোধিত হয় এবং শোফের চুলকনার শাস্তি হইয়া থাকে। শরীরের মৰ্ম্মস্থানে বা গুহস্থানে যে সকল রোগ জন্মে, তাহার সংশোধনের নিমিত্ত আলেপন বিধেয়। আলেপন প্রস্তুত করিতে হইলে পিত্তজন্ত রোগে সকল আলেপন দ্রব্য মিলিয়া যে পরিমাণ হইবে, তাহার ষোড়শ ভাগের ছয় ভাগ স্নেহ দ্রব্য ( ধৃত তৈলাদি ) সংযোগ করিতে হষ্টবে। বায়ু জন্য রোগে চারি ভাগ পরিমাণে এবং শ্লেষ্মজ রোগে অৰ্দ্ধ পরিমাণ সংযোগ করিয়া প্রয়োগ করিবে । মহিষের চৰ্ম্ম আৰ্দ্ৰ হইলে যে পরিমাণ উচ্চ হয় ( ফুলিয়া উঠে ), শরীরের আলেপ ও সেই পরিমাণ বেধবিশিষ্ট ( পুরু ) হইবে। আলেপন রাত্রিকালে প্রয়োগ করিবে না এবং যে পর্যন্ত ব্ৰণ হইতে উত্তাপ নির্গত হইতে থাকে, সে পৰ্য্যন্ত তাহাতে শীতল আলেপন প্রয়োগ করিবে না । কারণ ব্রণের উষ্ণতা নির্গত না হইলে সেই উষ্ণতা বন্ধ থাকিয়া ব্রণের মধ্যে বিকৃতিভাব জন্মায় । শরীরে প্রদেহ লেপন করিতে হইলে দিবাভাগে লেপন করাই হিতকর, বিশেষতঃ পিত্তজ, রক্তজ ও অভিঘাত জন্ত অথবা বিষ জন্য রোগে দিবাভাগেই লেপন করা কর্তব্য। যে প্রলেপ পূৰ্ব্ব দিন প্রস্তুত করা থাকে, তাহা কদাচ ব্যবহার করিবে না। কারণ সেই প্রলেপ গাঢ় হইয়া যায় এবং তাহ প্রয়োগ করিলে উষ্ণতা, বেদনা ও দাহ জন্মে । প্রলেপের উপর প্রলেপ দিবে না । যে প্রলেপ একবার শরীর হইতে মোচন করা যায়, তাহা পুনৰ্ব্বার শরীরে প্রয়োগ করা কৰ্ত্তব্য নহে। ইহা শুষ্ক হওয়া প্রযুক্ত অকৰ্ম্মণ্য হইয় পড়ে। ( সুশ্রুত স্বত্রস্থা” ১৯ অ” ) ২ সুধ, কলিচুণ। ৩ ভোজন। (পুং ) ৪ তুরুষ্ক নামক গন্ধদ্রব্য । ( রাজনি" ) ৫ সিহ্নলক, শিলারস । লেপাপোছ ( দেশজ ) দেয়ালাদির গাত্রাদি হইতে কোন দাগ উত্তম রূপে মুছিয়া ফেলা । , লেপিন (পুং) লিম্পতীতি লিপণিনি। ১ লেপক। (ত্রি) ২ লেপকর্তী, লেপবিশিষ্ট । [ ৩০৪ ] লেলিহান লেপ্য (ত্রি) লিপ-ণ্যৎ । লেপনীয়, লেপ্তব্য। “শৈলী দারুময়ী লৌহী লেপ্য লেখ্য চ সৈকতী । মনোময়ী মণিময়ী প্রতিমাষ্ট্রবিধা স্থত ॥” (ভাগব• ১১২৭৷১২) লেপ্যকৃৎ (পুং ) লেপ্যং করেতীতি কু-ক্ষিপ্ত তুকৃ চ । লেপক। লেপ্যনারী (স্ত্রী) ১ অগুরুচন্দনচর্চিত রমণী। লেপ্যন্ত্রী। ২ প্রস্তর বা মৃদাদি দ্বারা নিৰ্ম্মিত রমণী মূৰ্ত্তি। লেপ্যময়ী (স্ত্রী) লেপা-ময়ট, জীপ, । কাষ্ঠাদি ঘটিত পুত্তলিকা, পৰ্য্যায় অঞ্জলিকারিক । ( হেম ) লেপ্যযোষিৎ (স্ত্রী) লেপ্যনারী। লেপ্যন্ত্রী (স্ত্রী) লেপা স্ত্রী। সুগন্ধদ্রব্যলিপ্ত স্ত্রী। (শারত্না-) লেফাফা (আরবী) খাম, যাহার মধ্যে চিঠিপত্র পুরিয়া দেওয়া হয় । লেম (হিন্দী ) ১ একতা । ২ মিলন। ৩ সদ্ভাব, সম্প্রীতি । লেম্রে, নিম্নত্রহ্মের অন্তর্গত একটা নদী। আরাকান প্রদেশের উত্তরস্থ জঙ্গলাবৃত শৈলমালা মধ্যে ইহার উৎপত্তি। পৰ্ব্বতবক্ষ অবতরণকালে এই নদী শৈলগাত্রবাহী নানা স্রোতোমালায় পুষ্টকলেবর হইয়া আকায়াব জেলার সমতলক্ষেত্রে পড়িয়াছে। পরে তথা হইতে সমুদ্রাভিমুখে প্রবাহিত হইয়া নানা শাখা প্রশাখা বিস্তারপূৰ্ব্বক হান্টাসবে নামক সাগরোপকূলে সমুদ্রবক্ষে মিশিয়াছে। লে-ম্যোৎ-হ, ব্রহ্মরাজ্যের ইরাবতীবিভাগের বেসিন জেলার অন্তর্গত একটা নগর। বেসিন বা ও গা-বুনা নদীতটে অবস্থিত। অক্ষা- ১৭৩৪৫-“উঃ এবং দ্রাঘি• ৯৫-১৩৪৯′ পূঃ । নদীতে বঙ্গ হইলে এই নগরের পথঘাট সময় সময় ৩ ফিটু জলে ডুবিয়া যায়। লেয় ( পুং Leo ) সিংহরাশি । ( জ্যোতিস্তত্ত্ব ) লেয়াকৎ ( আরবী ) ১ গুণ । ২ সামর্থ্য । ৩ দক্ষ। ৪ কুশলবুদ্ধি। লেয়াকতী (আরবী ) ১ দক্ষতা, নিপুণত । ২ যোগ্যতা । লেলয় ( স্ত্রী ) কম্পমান । লেলিহ (ত্রি) লিহ-যঙ যঙলুক,লে-লিহ-অচ, । পুনঃ পুনঃ লেহন । লেলিহান (পুং ) পুনঃ পুনরতিশয়েন বা লেঢ়ীতি লিহ-যঙ, শানচ বা । ১ শিব। (শক্ষরত্না, ) ২ সপ। ( হেম ) (ত্রি) ৩ পুনঃ পুনঃ লেহনকর্তা । “সপ্তজিহবাননঃ ক্রুরে লেলিহানো বিসপতি ।”(ভারত ১২৩৩৫) লেলিহান! ( স্ত্রী) তন্ত্রোক্ত মুদ্রাবিশেষ। মুখ বিবৃত করিয়া অধোমুখে জিহা পরিচালিত করিবে, এবং উভয় হস্তের মুষ্টি উভয় পার্থে স্থাপন করিলে তাহাকে লেলিহান মুদ্রা কহে। এই মুদ্রা তারাপূজায় প্রশস্ত। অস্ত প্রকার-তর্জনী, মধ্যম ও অনামিকা সমভাগে
পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/৩০৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।