লোহারডাগ [ ૭રક્ત ] লোহারা ভোগ তারণ এই বিদ্রোহে যোগদান করার ক্রমশঃ তাহাজের দল বল পুষ্ট হইতে থাকে। ঐ সময়ে রামগড়ের বিদ্রোহী সেনাদল পালামে নগরে আশ্রয় লাভ করিয়া তথাকার রাজদ্বেষী ভূম্যধিকারী নীলাম্বর সিংহ ও পীতাম্বর সিংহের সাহায্যে বিদ্রোহের মাত্রা ক্রমশঃ বৃদ্ধি করিয়া তুলে ; ২৬ সংখ্যক মাঙ্গাজ পদাতিক দল এবং রামগড়ের কতকগুলি রাজভক্ত সেনার সাহায্যে ঐ বিদ্রোহ প্রশমিত হয়। সাত বারওয়া দুর্গ সমক্ষে বিদ্রোহিদল পরাজিত হইলে নীলাম্বর ও পীতাম্বর বন্দিরূপে কারাগারে প্রেরিত হন, অবশেষে ইংরাজগবর্ণমেণ্টের বিচারে তাহদের ফাঁসি হয়। এই পৰ্ব্বতময় জেলায় সৰ্ব্বসমেত ৪ট নগর ও ১২১২৬ খানি গ্রাম আছে। আদমশুমারির তালিকা হইতে জানা যায় যে, ঐ স্থানে প্রায় ১৬ লক্ষ লোকের বাস । ঐ সকল অধিবাসীর মধ্যে আদিম কোল ও ওরাওনদিগের সংখ্যাই অধিক। তমিয়ে হিন্দুধৰ্ম্মাবলম্বী ও অৰ্দ্ধ সভ্য ভূইয়া, খরবার, দোষা, গোড় প্রভৃতিকে গণনা করা যায়। আদিম অসভ্য জাতির মধ্যে অনেকেই খৃষ্টধৰ্ম্মের আলোক লাভ করিয়া সত্যতা সোপানে আরূঢ় হইতেছে। মুণ্ড বা ওরাওনদিগের মধ্যে অনেকে খৃষ্টধৰ্ম্মে দীক্ষা গ্রহণ না করিলেও তত্ত্বাম্বেষণতৎপর হইয়া আপনাদিগকে খৃষ্টান বলিয়া অভিহিত করিতে কুষ্ঠিত হয় না। ১৮৪৪ খৃষ্টাব্দে বাভেরিয়াবাসী গ্রোসনার সৰ্ব্বপ্রথমে এখানে খৃষ্টধৰ্ম্ম মিশন প্রতিষ্ঠা করিয়া ধৰ্ম্মপ্রচার করেন। তাহার পর জন্মাণ লুদারণ ইভাঞ্জেলিকান মিসন ও চার্চ অব, ইংলও মিসন পরস্পরে খৃষ্টধর্মের মাহাত্মবিস্তারে ব্যাপৃত রহিয়াছেন । ১৮৪৭ খৃষ্টা পৰ্য্যন্ত লোহারডাগী নগরে এখানকার বিচার সদর প্রতিষ্ঠিত ছিল। পরে তাহ রাচিতে স্থানান্তরিত হইয়াছে। রচিনগরের দক্ষিণে দোরেন্দার; গোরাবাজার। মিউনিসিপালিটী না থাকিলেও এখানে প্রায় ১৮ হাজার লোকের বাস আছে। রাচি নগরের ২ মাইল পূৰ্ব্বে ছুটয় নামক গওগ্রাম, ঐ গ্রামের নামে এই স্থান ছোট নাগপুর নামে প্রসিদ্ধ হইয়াছে। পালামে উপবিভাগের বিচার সদর ডাণ্টনগঞ্জ ও উত্তর কোএল নদীতীরকী গড় বা মগর বাণিজ্যকেন্দ্র বলিয়া পরিগণিত। রাচী নগরে মিউনিসিপালিট থাকায় স্থানীয় স্বাস্থ্য উত্তরোত্তর বৰ্দ্ধিত হইতেছে। লোহারডাগা, গড় বা ও দোরেন্দায় একএকটা চৌকি আছে। রাচী নগরের ৩ মাইল দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থিত জগন্নাথপুর গ্রামে একটা গণ্ডশৈলের শিরোদেশে একটী স্ববৃহৎ মন্দির বিদ্যমান আছে। উহা পুরীধামন্থ জগন্নাথদেবের প্রসিদ্ধ মন্দিরের অনুরূপ প্রণালীতে গঠিত। দোইস গ্রাম এক সময়ে বিশেষ সমৃদ্ধিশালী নগররূপে পরিগণিত ছিল। এখানকার রাজপ্রাসাদির ধ্বংসাবশেষ অস্থাপি সেই অতীত সমৃদ্ধির পরিচয় দিতেছে। ছোট নাগপুর রাজবংশের পূৰ্ব্বতন রাজগণ এখানে বাস করিতেন। তিলী গ্রামে ছোট নাগপুর বুজিবংশের অন্যতম শাখা ও ঠাকুর উপাধিধারী সামস্ত রাজগণের বাস ছিল। আজিও তথায় তাহাদের নিৰ্ম্মিত প্রাচীন ফুর্গের ধ্বংসাবশেষ পতিত রহিয়াছে। জেলার দক্ষিণপশ্চিমাংশে ছোকাহটু গ্রাম। এখানে মুগুদিগের একটী বিস্তৃত সমাধিক্ষেত্র বিদ্যমান দেখা যায়। উহা সাধারণের দেখিবার জিনিস। ছুটয়া গ্রামে ও ডাণ্টনগঞ্জ নগরে বৎসরে দুইটী মেলা হয়। এখানে প্রধানতঃ গম, যব, মক্কা, কাঙনিদান, মটর, ছোলা ও অন্তান্ত তৈলকর শস্ত, ধান্ত, পাণ, তুলা, তামাক, তিল, চা প্রভৃতি দ্রব্যের চাস হইয়া থাকে। ঐ সকল দ্রব্য রচীি, লোহারডাগা, পালকোট, গোবিন্দপুর, বুদু, গড়ব, নাগর, উওরি, সাতবারওয়া ও মহারাজপুর প্রভৃতি বাণিজ্যকেন্দ্রে আনীত হইয়া নানা স্থানে প্রেরিত হইয়া থাকে। এতদ্ভিন্ন এখানে গাল, রজন, ধূনা, তসরের গুটী, চামড়া ও বনজ তেষজাদি বিক্রয়ার্থ আনীত হয়। রাঁচী ও বুদুতে পাতগালার কারখানা আছে। পূৰ্ব্বে এখানে গালা রঙেবও কারবার ছিল। এখনও এখানে মোটা কাপড় এবং পিত্তল ও লৌহনিৰ্ম্মিত পাত্ৰাদি নিৰ্ম্মাণের যথেষ্ট কারবার চলিয়া থাকে। ২ উক্ত জেলার সদর উপবিভাগ। ভূপরিমাণ ৭৮০৪ বর্গমাইল। বালুমাৎ, বারোয়া, বাসিয়া, বীন্ধ, ছোরিয়া, কোরম্বে, লেtধম, লোহারডাগা, পালকোট, শীল্লি, তমাক, তোরপ ও রাচী থান৷ ইহার অন্তৰ্ভুক্ত । ৩ উক্ত জেলার প্রধান নগর । অক্ষা ২৩°২৫/৪৮′ উ: এবং দ্রাঘি• ৮৪”৪৩১৬% পুং । ১৮৪• খৃষ্টা পৰ্য্যন্ত এখানে জেলার বিচার সদর প্রতিষ্ঠিত ছিল, পরে তথা হইতে ৪৷৫ মাইল পূৰ্ব্বে রচীি নগরে স্থানান্তরিত হয়। মিউনিসিপালিট থাকায় এই নগরী বেশ স্বাস্থ্যকর, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং বিশেষ মনোরম। এখানে স্থানীয় বাণিজ্যের বিস্তৃত কারবার অাছে। লোহার, মধ্যপ্রদেশের রায়পুর জেলার ধামতরি তছীলের অন্তর্গত একটা ভূসম্পত্তি। ১২ খানি গ্রাম ও ৩৬৮ বর্গমাইল ভূমি লইয়া এই বিষয় গঠিত। ইহার পূর্ব ও পশ্চিম সীমান্ত ভাগে তেন্দুল ও কর্করা নদী প্রবাহিত। এতদ্ভিন্ন শৈলগাত্রবাহী বহু নদী নালার শাখা প্রশাখা এই স্থানে বিস্তৃত থাকায় এখানে আদেী জলাভাব ঘটে না । উক্ত পৰ্ব্বতমালার একাংশ দীপাহাড় নামে খ্যাত । উহ! প্রায় ২••• ফিট উচ্চ। এই পৰ্ব্বতোপরিস্থ বন প্রদেশে
পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/৩২৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।