লৌহ { లిలిరి ) লৌহ লোমায়স্য (পুং ) লোমনের বংশধর মাত্র। লেমি (পুং ) লোমের গোত্রাপত্য। ( পা ৪।১।৯৬ বাহাদিগণ) লেীলাহ প্রাচীন স্থানভেদ। (রাজতর ৭৷১২৫১) লৌলিক, একজন প্রাচীন কৰি। লোঁল্য ( ক্লী) লোলন্ত ভাবং ১ চাঞ্চল্য, অস্থিরতা। ২ অস্থায়িত্ব, লোপত্ত্ব। "ধৰ্ম্মলেীলোন সংযুতাঃ” (হরিবংশ) ‘ধৰ্ম্মলোপেন নীলকণ্ঠ । ৩ ইচ্ছা, ফলস্পৃহা । ৪ শৈথিল্য। (ভাগবত ॥১৫১৯) লেীলাত (স্ত্রী দৈতানিবন্ধন বস্তু বিশেষে বলবতী আকাক্ষ। “গৃহস্থত ক্রিয়াত্যাগে ব্রতত্যাগো বটোরপি। তপস্বিনে গ্রামসেবা ভিক্ষোরিক্রিয়গৌল্যত ॥* ( ভাগবত ৭৷১৫৩৮) লেীলাবৎ (ত্রি) ১ অতিশয় স্পৃহাশীল। ২ অর্থগৃহ, ৩ আকাঙ্ক্ষাযুক্ত। ( কথাসরিৎসাং ২২।২•• ) লোঁশ (কী । কওক প্রকার সাম। লোঁহ (পুং ) লোহ এব। (প্রজ্ঞাগুণ। পা ৪৩,১৫৪ হত্রে রাজতাদিগণে এই পদের ব্যুৎপত্তি সিদ্ধ করিয়াছেন)। স্বনামপ্রসিদ্ধ লোহ নামক ধাতু । ভূগর্ভে এই ধাতুর উৎপত্তি। বিশেষ বিশেষ গুণ থাকায়, বিভিন্ন দেশীয় চিকিৎসক ও বৈজ্ঞানিকগণ ইহার রাসায়নিক বলাবল পরীক্ষা করিয়া ঔষধরূপে ইহা সেবন করিতে আদেশ দিয়াছেন । খনিজ লৌহ সংস্কারাস্তুে যথাবিধি গ্রহণ করিয়া অন্যান্য ঔষধের যোগে পাক করিতে হয়। বৈসুক মতে লৌহের ত্রয়োদশ প্রকার সংস্কার সাধিত হইয়া থাকে—১ শালিঘর্ষণ, ২ উদ্বর্তন, ৩ অল্পভাবন, ৪ আতপশোষ, ং নিষেক, ৬ মারণ, ৭ দলন, ৮ ক্ষালন, ৯ স্বৰ্য্যপাক, ১• স্থালীপাক, ১১ চূর্ণন, ১২ পুটপাক, এবং ১৩ পাকনিষ্পন্ন। বর্তমান সময়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে লৌহের আকর দৃষ্ট তইলেও, প্রাচীন ও আধুনিক ভারতে মৃদুস্তর বিশেষে যে সকল বিভিন্ন প্রকার লৌহ পাওয়া যাইত বা যায়, তৎসমুদায় লৌহই সংস্থানানুসারে বিভিন্ন গুণ ও বলপ্রদ। আয়ুৰ্ব্বেদপ্রবর্তক ঋষিগণ কাঞ্চী, পাণ্ডি, কান্ত, কালিঙ্গ ও বজ্ৰক নামে লৌহের পাচট ভো নির্দেশ করিয়াছেন। উক্ত পঞ্চ নামধেয় লৌহই শ্ৰেষ্ঠ এবং ব্যবহার করিলে বিশেষ ফলদায়ক হয়। ইহার গুণআয়ু, বল, বীৰ্য্য ও কামদ, রোগনাশক এবং শ্রেষ্ঠতম রসায়ন । কৃষ্ণবর্ণ লৌহের গুণ-শোখ, শূল, অৰ্শ, কুষ্ঠ, পাণ্ডু, প্রমেহ, মেদ ও বায়ুনাশক, বয়ঃস্থৈৰ্য্য ও চক্ষুস্তেজকারী, সারক ও গুরু। শোধিত লৌহের গুণ-সৰ্ব্বরোগনাশক, মরণরোধক। অশুদ্ধলোঁহের গুণ-জারণযোগ্য ও আয়ুর্নাশক। লৌহের জারণ মারণাদির সংক্ষিপ্ত পরিচয় যথাস্থানে বর্ণিত হইয়াছে। [ রসায়ন ও লোহ দেখ। ] XVII br8 جسيتجسسسسسد ভারতের বিভিন্ন স্থানে এবং ভিন্ন ভিন্ন রাজ্যে এই ধাতু পৃথক পৃথক্ নামে পরিচিত। হিন্দী , লোহা, লোহ; ৰাঙ্গালা— লোহা, লৌহ ; মরাঠী-রোধও ; গুজরাটী-লেবু ; তামিল— ইরু ; তেলগু-ইমুমু ; কনাড়ী-কবিন ; মলয়ালমৃ-ইরুষ, ব্ৰহ্ম-দান, থান ; আরব-ইদিদ ; পারস্ত—আহন; শিঙ্গাপুরwww; Ratst–Iron ; mista-Ferrum ; rafst–Fer; vrst–Eisen ; পর্তুগাল ও ইতালী-Ferro ; স্পেন— Hierro; frata s acafort-Jern; sortu-Jizer, Yzer ; siq-Ais ; *—Sideros ; তুর্ক-দেমির, তিমুর, coitets-Zelazo; F-Scheleso ; * #—"R":"ti; মলয়-বসি, বেসি । রাসায়নিকদিগের মতে এই ধাতু মঙ্গলগ্রহের প্রভাবসম্পন্ন। ভারতের ভূপঞ্জর আলোচনা করিলে দেখা যায় যে, বিভিন্ন স্তরে বিভিন্ন পার্থিব পদার্থের সহযোগে লৌহধাতু মিশ্রভাবে বৰ্ত্তমান আছে। বৈজ্ঞানিকগণ ঐ সমস্ত বিভিন্ন স্তরের অপরিস্কৃত লৌহ (Iron ores ) বিশেষভাবে পর্যবেক্ষণ করিয়াছেন। র্তাহারা বলেন যে, প্রাকৃত অবস্থায় ধাতুবিশেষের সহিত স্বল্প বা অধিক পরিমাণে লৌহ মিশ্রিত থাকে। আবার কোন কোন ৷ স্থলে লৌহের সহিত অন্ত ধাতুর সংস্রব থাকে না, কেবল কতকগুলি পার্থিব পদার্থের সমাবেশমাত্র দেখা যায় । যৌগিকরূপে এই লৌহ প্রচুর পাওয়া যায়। মুক্ত লৌহ অপেক্ষাকৃত ফুল্লভ পদার্থ। লৌহের স্বাভাবিক যৌগিক অসংখ্য প্রকার । ইহার অক্সাইডু, কাৰ্ব্বনেটু, ফসফাইড, প্রভৃতি রাসায়নিক পরীক্ষা ও বিশ্লেষণ দ্বারা অবগত হওয়া যায়। কতকগুলি অপরিস্কৃত যৌগিক লৌহকে পরীক্ষা দ্বারা বিশুদ্ধ করিয়া দেখা গিয়াছে যে, ঐ সকল খনিজ পদার্থে লৌহের পরিমাণ অন্তান্ত স্তরীয় মৃদ্ধিকারাদির লৌহ-সংস্থান অপেক্ষা অনেক অধিক, সাধারণের অবগতির জন্য নিয়ে কএকটী বিশুদ্ধ ও পরীক্ষিত লৌহের তালিকা প্রদত্ত হইল : চুম্বক-প্রস্তর বলিয়া যে দ্রব্যটা সাধারণে প্রচলিত আছে, তাহা লৌহের একটা অক্সাইড মাত্র, FFfCT Ferroso-ferric z Magnetic Oxide (Fe3O4 ) RTP, ইহার অপর নাম Maguetire or magnetic iron, #&so of 18.8 of বিশুদ্ধ লৌহ থাকে। বৈজ্ঞানিক ভাষায় এই যৌগিককে Protosesquioxide **i wf* i f&&ŵ লৌহগ্রাপ্তির আশায় ভারতের নানা স্থানের লোকেরা কৃষ্ণবর্ণ বালুকা বিশেষ ( Black and ) অগ্নির উত্তাপে গলাইয় লয়। উহাতে Magnetite s titaniferous cru cifratri fifars থাকে। গিরিমাটা—বৈজ্ঞানিক ভারায় Red hematile ও
পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/৩৩৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।