তাড়া তিজাইবার সময় একপ্তর ঐক্ষপ বাখার সাজাইয় তাহার উপর পর্যাপ্ত চূৰ্ণ ছড়াইয়া দিতে হয়, যেন চুণে বাখারিগুলি ঢাকা পড়ে। .এইরূপে উপযুপরি বাথারী ও চূণ চৌবাচ্ছায় সাজাইয় উপর হইতে আস্তে আস্তে অল্প অল্প জল ঢালিতে হয়। ক্রমে তন্মধ্যসঞ্চিত জলরাশি উপরের বাখারিস্তরকে ঢাকিয়া ফেলিলে জল দেওয়া বন্ধ করা হয়। এইরূপে চূর্ণ মিশ্ৰিত জল মধ্যে ৩ । ৪ মাস কাল নিমজ্জিত থাকিলে বাখার পচিয়া আইসে। তখন উহাকে তুলিয়া ঢেকিতে বা উর্দুখলে কুটিয়া গুড়া করে। অতঃপর সেই গুড়াগুলি উত্তমরূপে পরিষ্কারপূর্বক পুনরায় পরিষ্কৃত জলে মাখা হইয়া থাকে। কাগজের আয়তন বা দৈর্ঘ্য প্রন্থ ও স্থূলতা অনুসারেই পরিষ্কার জল মাথান নিয়ম। অনস্তর ঐ জলমাখা বংশ-চুর্ণের মাড় চৌকা ছানীর স্থায় আকারের স্থাচে ঢালিয়া যথারীতি কাগজ প্রস্তুত করা হয়। কাগজের অনুরূপ স্থাচে ঐ মাড় সমানভাবে বিস্তৃত হইয়া কাগজের আকার ধারণ করে বটে, কিন্তু তখনও উহা ভিজা থাকে ; ঐ ভিজা কাগজ শুকান আবশ্বক। ছাঁচ হইতে ভিজা কাগজ উঠাইয়া প্রথমে ঈষদুষ্ণ একট দেওয়াল গাত্রে তাহাকে শুকাইতে দেওয়া হয়। তদনন্তর পুনৰ্ব্বার আতপতাপে শুকাইয়া লইতে হয়। এই প্রকারে বঁাশের কেঁাড়া ফটকিরি মিশ্রিত জলে পচাইয়া কাগজ করিতে পারিলে সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট কাগজ উৎপন্ন হইয়া থাকে। বংশযষ্টির হরিস্বর্ণ নাশ করিয়া যে কাগজ হয়, তাহ মধ্যম এবং বংশ-চূর্ণ হইতে প্রধানত: যে কাগজ হয়, তাহ নিকৃষ্ট বলিতে হইবে। এক জন পাকা কারিগর প্রতি মিনিটে এইরূপে ছয়খানি কাগজ প্রস্তুত করিতে পারে। আমেরিকা ও যুরোপবাসী কাগজব্যবসায়িগণ ওয়েষ্ট ইণ্ডিজ, দ্বীপপুঞ্জ হইতে সহস্ৰ সহস্র টন “বাঁশের আইস” ( Bamboo fibre ) আনাইয়া উৎকৃষ্ট কাগজ প্রস্তুত করিয়াছেন। ব্রেঞ্জিলবালী বৈজ্ঞানিকগণ ইহার স্বল্প তত্ত্বসমূহ রেশম, অথবা পশমের সহিত মিশ্রিত করিয়া বস্তুষয়নের উপযোগিতা প্রতিপাদনে মনোযোগী হইয়াছেন । Mr. Routledge ভারতবর্ষে বীশের অ’াইসে কাগজ প্রস্তুত করিবার ব্যবস্থা প্রতিপাদন করেন। কিন্তু কচি কোড় ব্যতীত, অপর পরিপক্ক বাশে উহার উপযোগিতা জয় দেখিয়া এবং তাহাতে বার বাহুল্য জানি উক্ত প্রস্তাব DBB B BBB BB BB BB S BB kDD DS নাশক, কচ, পাচন, ৰম্ভ ও শূল। এইক্ষোনুক্রয় , বংশাঙ্কুর বা বাঁশের ক্টোড়ের গুণ-কটু, তিক্ত, অন্ন, কায়, শীতল, পিত্ত্বরক্তদাহ-কৃচ্ছ্বয় ও রুচিকর। “কবীরে বংশলো কক্ষ বাতপিত্তকর কষ্ট্র। i. স ক্যায়ে বিনাহী চ শ্লেষ্ময়ঃ পাকতঃ কটুঃ ” (রাজনি" ) ভাবপ্রকাশ মতে, ইহার গুঞ্জ “বংশ: সরো হিমঃ স্বাত্নঃ ক্যায়ো বস্তিশোধক: । ছেদন কফপিত্তম কুষ্ঠাশ্ৰৱণশোথঞ্জিৎ ॥ তৎকরীর কটু পাকে রসে রুক্ষে গুরুঃ সরঃ । কষায়: কফকৃৎ স্বাকুর্ক্সিবাহী বাতপিত্তলঃ ॥ তদৰ্যবাস্তু সরা রূক্ষা কৰায়ঃ কটুপাকিনী । বাতপিত্তকরা উষ্ণ বদ্ধমুত্রাঃ কফপহ ॥” অর্থাৎ বাশ সারক, শীতবীৰ্য্য, মধুর ও কষায়রস, বন্তিশোধক, ছেদন এবং কফ, পিত্ত, কুষ্ঠ, ত্রণ ও শোধনাশক ; বঁাশের কোড়–কটু, ক্যায়, মধুর রস, কটু, বিপাক, রূক্ষ, গুরু, সারক, বিনাহী এবং কফ, বায়ু ও পিত্তবৰ্দ্ধক ; বেণুফল সারক, রূক্ষ, ক্যায় রস, কটু, বিপাক, বায়ু ও পিত্তবৰ্দ্ধক, উষ্ণবীৰ্য্য, মূত্ররোধক ও কফনাশক। নল, শর প্রভৃতি তৃণবিশেষও বৈজ্ঞানিক মীমাংসায় বংশজাতীয় বলিয়া বর্ণিত। প্রাচীন বৈষ্মক শাস্ত্রেও ইহা তৃণজাতির অন্তভুক্ত বলিয়া গৃহীত এবং স্বতন্ত্র ভাবে আলোচিত হইয়াছে। [ নল ও সার শব্দ দেখ। ] বঁাশের পাতা ও কচি কেঁাড় সিদ্ধ করিয়া তাহার ক্কাথ সেবন করাইলে স্ত্রীলোকের রজোনির্গম হইয়া থাকে। ভারতবর্ষে ও চীনরাজ্যের স্থানে স্থানে প্রসবের পর প্রস্থতিকে ঐ কাথ থাইতে দেয়। তাহাতে রীতিমত রক্তস্রাব হইয়া জরায়ু পরিষ্কার হইয়া থাকে। হস্তপদ ভগ্ন হইলে বাড় বাধিবার সম্ভ বাশের বিশেষ উপযোগিতা দেখা যায়। স্থানবিশেষে বঁাশ দ্বিখণ্ডিত ও উত্তমরূপে পরিষ্কৃত করিয়া লইলে অথবা বংশপত্রাবরক লইয়া ভগ্নস্থানে দৃঢ়ৰূপে বধিলে বাড়ের কার্য হয়। ভগ্নপদের ছিরাগ্রে বাঁশের চোঙ্গ পুরিয়া দিলে অথবা পাসদ্ধি ছেদনের পর বাশের গাইট সেই স্থানে আবদ্ধ করিলে উহা সন্ধিস্থানের কার্য্য করে। ২ গৃহের উর্দ্ধকাষ্ঠ । আড়কাঠা । বিংশ পৃষ্ঠাস্থি, গেহোর্দ্ধকাষ্ঠে বেগেীগণে কুলে।’ ( ৭৩৯ রদুটকায় মঞ্জিলাখ ধৃত কেশৰ ) . .
পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/৩৫৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।