[ ৩৬২ ] র্যাশবাড়িয়ার বঁশবাড়িয়ার পপগণ পুনঃ প্রাপ্ত হন। নৃসিংহদেব তাহার পৈতৃক বিপুল জমিদারীর মধ্যে কয়েকটি মাত্র পরগণা লাভ করিয়া সন্তুষ্ট হইতে পারেন নাই। যখন লর্ড কর্ণওয়ালিস গবর্ণর জেনারল নিযুক্ত হইয়া আসেন, নৃসিংহ তাঙ্গার নিকট সমুদায় জমিদারী পুনঃ প্রাপ্ত হইবাধ জন্য প্রার্থনা করেন। লর্ড কর্ণওয়ালিস তাহাকে বিলাতে কোর্ট অব ডিরেকটারস্দিগের নিকট আবেদন করিতে বলেন। নৃসিংহদেব বিলাতে আপিলের বিপুল ব্যয় নিৰ্ব্বাহের জন্য অর্থসঞ্চয় করিতে থাকেন। সেই } | | i | ; } i | | i
t উদ্দেশে কিছুদিন ৬ কাশীধানে বাস করেন । সেখানে ধাৰ্ম্মিক । ঘোগপথাবলম্বী সন্ন্যাসীদিগের সহিত মিলিয়া মিশিয়! তাহার মতি গতি পরিবৰ্ত্তিত হয় । সাহায্যে যোগমার্গে শনৈ: শনৈঃ উন্নতিলাভ করিতেছিলেন। তিনি ভাবিলেন, বিলাত আপিলে বিপুল ব্যয় হইবে, অথচ । তিনি এই সময় তাহাদিগের । | i | { ! ! t s } } | তাহার ফল অনিশ্চিত । যে অর্থ সঞ্চিত হইয়াছে, তস্থার কোনও । স্থায়ী কীৰ্ত্তি মন্দির প্রতিষ্ঠিত করিলে অর্থের সদ্ব্যয় হইবে । মনে করিয়া তিনি ষট চক্রভেদ প্রণালীতে হংসেশ্বরী মন্দিরপ্রতিষ্ঠার আয়োজন করিতে লাগিলেন । মন্দিরনিৰ্ম্মাণকার্যা আরস্ত হইল বটে, কিন্তু তিনি তাহ শেষ করিয়া যাইতে পারেন নাই । ১৮৯২ খৃষ্টাব্দে তিনি পরলোক গমন করেন । নৃসিংহদেব ১৭৮৮ খৃষ্টাব্দে vস্বয়ম্ভবার মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। মন্দিরগাত্রে একখানি প্রস্তর ফলকে নিম্নলিখিত শ্লোকটী অঙ্কিত আছে : “আশাচলেন্দুসম্পূর্ণ শাকে শ্ৰীমৎ স্বয়ম্ভব । রেজে তৎ শ্ৰীগৃহষ্ণু শ্ৰীবৃসিংহদেবদত্ততঃ ॥” নৃসিংহ দেব সংস্কৃত ও ফারসী ভাষায় সুপণ্ডিত ছিলেন। চিত্র ও সঙ্গীতবিদ্যায় তিনি অসাধারণ নিপুণতা লাভ করিয়া ছিলেন । তিনি উডওঁীশতন্ত্র বাঙ্গাল কবিতায় অনুবাদ করেন । তিনি ধৰ্ম্মবিষয়ুক অতি সুন্দর মুনীর সঙ্গীত রচনা করিয়াছিলেন । ভূকৈলাস-রাজ জয়নারায়ণ ঘোষাল তাহ লিথিয় গিয়াছেন “মনে করি কাশীখণ্ড ভাষা করি লিখি । ইহার সহায় হয় কাহারে না দেখি । সতরশ চৌদ্দ শকে পৌষ মাস ধৰে । আমার মানস মত যোগ হইল তধে ॥ শূদ্রমণি ফুলে জন্ম পাটুলী নিবাসী। শ্ৰীযুক্ত নৃসিংহ দেব রাস্বাগত কাণী ॥ 彎 奪 豪 輪 豪 尊 - 蚤 মুখুৰ্য্যা করেন সদা কবিতা পাতড়া । তাহারে করেন রায় তজ্জম খসড়া ॥ রায় পুনৰ্ব্বার সেই পাতড়া লইয়া । পুস্তকে এথেন তাহ সমস্ত শুধিয়া ॥”(জয়নারায়ণের কাশীখ) এই রাজা নৃসিংহ দেবের পত্নী রাণী শঙ্করী সুবিখ্যাত ছাসেখরা মন্দির ১৮১৪ খৃষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠা করেন। ঐ মন্দিরগাত্রে একথাম প্রস্তরফলকে নিম্নলিখিত শ্লোকটী উৎকীর্ণ অাছে : শাকাৰো রসবছিমৈত্রগণিতে শ্ৰীমন্দিরং মন্দিরং মোক্ষদারচতুৰ্দ্দশেখরসমং হংসেশ্বরী রাজিতং । • ভূপালেন নৃসিংহদেবকৃতিনারজং তদাঞ্জামুগ তৎপত্নী গুরুপাদপদ্মনিরতা শ্ৰীশঙ্করী নিৰ্ম্মমে ॥ শকাৰী ১৭৩৬ t शtंश्लक्ष्āौ झग्नििद्भः । yহংসেশ্বরী মন্দির বাঙ্গালার একটা উৎকৃষ্ট কীৰ্ত্তি। নাম স্থান হইতে বহু যাত্রী এই দেবীমূৰ্ত্তি দর্শনে আগমন করিয়া থাকে। একটা ত্রিকোণ যন্ত্রের উপরে দেবাদিদেব শায়িত আছেন । তাহার নাভিকুও হইতে প্রস্ফুটিত পন্ন উত্থিত হইয়াছে, দারুময়ী দেৰী মূৰ্ত্তি হংসেশ্বরী তাহর উপর বিরাজিত আছেন । ইহার গঠননৈপুণ্য সাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণ করিতে সমর্থ। স্বামীর মৃত্যুর পর রাণী শঙ্করী বৈষয়িক কাৰ্য্য পর্য্যালোচনায় অভিনিবিষ্ট হন। তিনি সকলকেই সস্তানের স্তায় স্নেহ করিতেন । প্রজাবৰ্গ তাহার মধুর ব্যবহারে সস্তুষ্ট ছিল। তাহার রাণীমাব নাম স্মরণ না করিয়া জলগ্রহণ করিত না । রাণীমাতা সামষ্টি চালচলনের পক্ষপাতী ছিলেন । পুত্র কৈলাস দেবের সোপান, ও বিলাসিত আদে দেখিতে পারিতেন না । তাহা বলিয়া