বক্রেশ্বর [ ७१२ ] Tানজানেন শাক্ত ও বৈঞ্চব প্রভাববিস্তারের সঙ্গে ক্রমেই যে এই সুপ্রাচীন ক্ষেত্র দুর বঙ্গবাসীর নিকট অপরি বক্রেশ্বর নিপত্য শ্বেতগঙ্গায়ামুঞ্চতোয়ং বহেল্পী । কেচিত্ত্বোগবতীং প্রাহুর্গঙ্গাঞ্চ কেচিদূচিরে। জ্ঞাত হইয়া পড়িয়াছে, তাহাতে সন্দেহ নাই। কেচিৎ শ্বেতস্ত নামা তাং শ্বেতগঙ্গাং বদস্তি বৈ ৷ डको ७ ॐ भूब्राcभद्र बडर्गङ बप्ऊर्थबमाशरझा दाऊत्रद्र পাতালেশং বটঞ্চৈব স্বাত্ম চৈব নদীশ্বরম। ক্ষেত্রের পূর্ব পরিচয় ও মহিমা সবিস্তার বর্ণিত হইয়াছে। বঙ্গ- ব্ৰহ্মযোনিং ব্রহ্মশিলাং স্থাপয়িত্ব মহানদীম্। ৰfলীর এই তীর্থপরিচয় সবিশেষ জ্ঞাতব্য মনে করিয়াই বক্রেশ্বর- একাংশেন শিবং স্নাত্বা প্রায়ান্ধৈ দক্ষিণাং দিশং । মাহাত্ম্য হইতে এই তীর্থের পরিচয় সংক্ষেপে উদ্ভূত হইল,- ৰক্রেশ্বরস্ত পাশ্চাত্যে ভাগে পাপপ্রমোচনে ॥ "গৌড়দেশে মহৎ ক্ষেত্রং বক্রেশ্বরস্থসঙ্গতম্। ধমুন্ত্রিক প্রমাণ বৈতরণী পাপমোচনী । সন্নামৰ্ম্মরণোপি মুচ্যতে সৰ্ব্বকিৰিষাৎ ৷” তামাক্রম্য নরে ভক্ত্যা মুচ্যতে যমজাড়য়াৎ ॥ গৌড়দেশে বক্রেশ্বর নামে এক মহৎ ক্ষেত্র আছে, যাহার নাম স্মরণমাত্র মানব সৰ্ব্ব পাপ হইতে মুক্ত হয়। এই বক্রেশ্নরের উৎপত্তি কিরূপে হইল,এ সম্বন্ধে দেখা যায়— “পুর কৃতযুগে বিপ্ৰ অষ্টাবক্রো মহাতপাঃ । প্রথমে নাম তষ্ঠাসীৎ সুত্ৰতো নাম পুঙ্গব: | পুরা দেবসভায়াস্তু নৃত্যমাসীন্মনোহরম্। লক্ষ্মীস্বয়ম্বরে পুণ্যে ত্ৰৈলোক্যৈশ্বৰ্য্যসংযুতে। তত্ৰ দেবাশ্চ গন্ধৰ্ব্ব মুনয়: সিদ্ধচারণা: | সমাজগ, পরং দ্রঃ কমলা স্বয়ম্বরম। তত্ৰামরেশ্বরে দেবী শচীনাথঃ পুরন্দর: । অগ্রে দস্তান্নোমশায় পাস্কাৰ্য্যাচমনীয়কহ ॥ লোমশঞ্চ মহাত্মানং দৃষ্ট চ ভগবান মুনিম। সুব্রতো ন শশাপেন্দ্রং তপোতঙ্গভয়ানমুনিঃ। মহাকোপেন চাষ্টাঙ্গে বক্রত্বমগমমুনিঃ। অষ্টাবক্রাভিধেয়তুং ততঃ প্রাপ দ্বিজোত্তমঃ ॥ দেব প্রখ্যা সমাগত্য ক্ষেত্রেইস্মিন হুশরং তপ: | ঢকার ৰিপুলং বিপ্রঃ সৰ্ব্বলোকপ্রতাপনম্। দশবর্ষসহস্রাণি কেবলাম্বুপিবস্তথা । পর্ণাশনস্ততশ্চালীং তাবৎ কালং মহামুনিঃ ॥ তাবৎ কালং তদ বায়ুর্ভক্ষ্যমাসীজ্জিতেন্দ্ৰিয়ঃ। এবমেঘ তপশ্চক্রে স মুনিঃ সংযতাত্মবান ॥. নাতপ্তস্তং প্রবাধেত মুনিং বক্রশরীরিণম্। ত্ৰিকুগুং বিস্তুতে তত্র পারকাগার এব চ। দক্ষিণাগ্নিগাৰ্বপত্যাহবনীয়াথ্যমেব চ। তস্মাৎ পায়াৎ সুমুরভিজলং স্বৰ্গপ্রদায়কম। অগ্নিত্ৰয়ং হি পাতালে অতলাংথ্য তু তিষ্ঠতি । ভোগৰত্যা জলং তত্র বিতলে শিবমৰ্চয়েণ্ড । হাটকাখ্যং মহাদেৱং সুমেরুর্যস্ত মস্তকে ॥ ততশ্চোদ্ধজলং মাতি যত্র চাঙ্গিক্ৰয়ং বুধা। তৃমালিঙ্গ্য ততশ্চোদ্ধং তেজলা পাবকেন চ }, ধনুঃশতপ্রমাণ বৈ বহেৎ পাপহরা ততঃ। তস্তাঃ সম্প্রদর্শনে নাপি অতিরাত্রং ফলং লভেৎ ॥ সৰ্পকারং মহৎক্ষেত্ৰং পুণ্যং পাপহরং শুভম্। তত্ৰ তিষ্ঠেষ্মহাদেবন্ত্রৈলোক্যত্রাণহেতবে ॥ তমুদিপ্ত তপস্তেপে স চ বক্রো মহাতপা: | তং মুনিং সুপ্রসল্লোহভূৎ স স্বয়ং পাৰ্ব্বতীপতিঃ ।” সত্যযুগে মহাতপা অষ্টাবক্রের প্রথমে নাম ছিল মুত্রত। ত্ৰৈলোক্যে ঐশ্বর্যের আম্পদীভূত লক্ষ্মীর স্বয়ম্বরে দেৰসভায় মনে, হর নৃত্য হইয়াছিল। দেব, গন্ধৰ্ব্ব, সিদ্ধ, চারণ প্রভৃতি সকলেষ্ট কমলার স্বয়ম্বৱ দেখিতে উপস্থিত হইয়াছিলেন । তথায় অমর. প্রতি শচীনাথ ইন্দ্র লোমশ মুনিকে সৰ্ব্বপ্রথমে পাদ্য, অর্ঘ্য ও আচমনীয় অর্পণ করেন। তাহা দেখিয়া ভগবান মুব্রত তপোভঙ্গভয়ে অতিসম্পাত না করিলেও অতিশয় ক্রুদ্ধ হইয়াছিলেন । এই ক্রোধহেতু তাহার অষ্টাঙ্গ বক্র হইয়া পড়ে, তাহাতেই তাহার অষ্টাবক্র নাম হয় ; এইরূপে বক্রাঙ্গ হইয়া মুনিবর এই ক্ষেত্রে আশিয়া তুশ্চর তপস্ত আরম্ভ করিলেন। তাহার তপস্তায় সৰ্ব্বলোক উত্তপ্ত হইয়াছিল । তিনি দশ হাজার বর্ষ কেবল জলমাত্র পান করিয়া, তৎপ, দশ হাজার বর্ষ কেবল মাত্র গাছের পাতা খাইয়া, তৎপরে উক্ত সংখ্যক বর্ষ বায়ু ভক্ষণ করিয়া জিতেন্দ্রিয় মুনিবর কঠোর তপশ্চৰ্য্যা করিলেন। বক্র শরীর মুনির নিকট পাবকাকার তিনটী কুও বিদ্যমান হইল, তাহাই দক্ষিণাগ্নি, গার্হপত্যাগ্নি ও আহবনীয়াগ্নি । সেই অগ্নিত্রয় অতল নামক পাতালে অবস্থিত, সেই সুরভি জল স্বৰ্গপ্রদায়ক, তথায় ভোগবতীর জলপ্রবাহিত যাহার মস্তকে জুমেরু সেই হাটক নামক মহাদেবকেও বক্রঋষি অৰ্চনা করিলেন। তাহার উদ্ধ জটা হইতে জল গিয়া তিনটী অগ্নিকুণ্ডের সহিত মিলিত হইয়াছে। পাবক সেই জল মালিম্বন করিয়া উষ্ণতোর শ্বেতগঙ্গা নদীরূপে বহিতেছেন। এই নদীকেই কেহ ভোগবতী, কেহ বা খেতের নামানুসারে শ্বেতপদ বলিয়া থাকে। এখানে পাতালেশ, অক্ষয়বট ও নদীশ্বরে স্নান, পরে ব্ৰঙ্কানি ও রক্ষ
পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/৩৭২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।