বগলামুখী [ 3bه س | বগলামুখী .wo ----۔ ইষ্ট আছে, তাহার দ্যাসাদি পূজা প্রণালী সকলই পূৰ্ব্ববং, কেবল সান স্বতন্ত্র । ধ্যান যথা – ‘গম্ভীরাঞ্চ মনোন্মত্তাং স্বর্ণকাস্তিসমপ্রভাম্। চতুভুঞ্জিাং ত্রিনয়নাং কমলাসনসংস্থিতাম । মদগর দক্ষিণে পাশং বামে জিহবাঞ্চ বঞ্জকম। পীতাম্বরধরাং দেবী দৃঢ়পীনপয়োধরাম্ ॥ হেমকুগুলভূষাঞ্চ পীতচন্দ্রাঙ্কশেখরাম । পীতভীষণভূষাঞ্চ রত্নসিংহাসনে স্থিতায় ।” পূৰ্ব্বেই উক্ত হইয়াছে যে, এই দেবীর পূজায় বাক্স্তস্তন, বুদ্ধিনাশ ও শক্ৰক্ষয়াদি ঘটিয়া থাকে । কিরূপে এষ্ট দেবীমন্ত্র প্রয়োগ করিলে এই সকল আধিভৌতিক ব্যাপার সাধিত হইতে পারে, শুকাই নিম্নে বিবৃত হইতেছে । . দশ সহস্রবার মন্ত্ৰঞ্জপ করিয়া নিশাকালে হরিদা ও হরিতালের সঠিত লবণ হোম করিলে দুষ্ট ব্যক্তির বাক্স্তম্ভন ও বুদ্ধি বিপর্যায় ঘটে এবং ইহা দ্বারা শত্রসৈন্তাকে স্তম্ভন করিতে পারা যায়। সুত, মধু ও শর্কর যোগে পীতপুষ্পের হোম স্তম্ভক কার্যাবিশেষে ফল প্ৰদ । কার্য্যসাধনার্থ প্রথমে একটা যন্ত্র প্রস্তুত করা আবশুক । তৎপরে স্তস্তনাথ হোমাদি পুজাই বিধি । যন্ত্র অঙ্কনপ্রণালী— ওঁকারয়ো সম্মুখয়োরূদ্ধাধ; শিরসে লিখেৎ। মধ্যগং নাম সাধ্যস্ত তদ্বাহে চাক্ষরত্রয়ম্ ॥ বীজং দ্বিতীয়বর্গস্ত তৃতীয়ং বিন্দুভূষিতম্। চতুর্দশস্বরোপেতং সংলিখেৎ পৃথিবীগতম। ( ষ্ট্রে ) ঠকারেণ সমাবেঃ চতুষ্কোণপুর্টং বহিঃ ! তৎকোণরেপাসংসৰ্ত্তৈ: শৃন্তেব্বজাষ্টকং লিখেৎ। ত্ৰিশূল মধ্যরেখা : পূগীজান পার্থয়োঃ । (লং ) অষ্টঙ্কাপ চ কোণেষু তদ্বতির্মগলাং লিগেৎ । পথিবাস্তরিতং বাহে মাতৃক পরিমণ্ডলম । আবেষ্ট চণ্ঠধা পশ্চাৎ তদ্বহে স্থিরমায়য়া । নিরুধ্যাঙ্কুশবজেন নাস িলিতান্ত্ৰিণ । লিখেৎ পূৰ্ব্ববদাচেষ্টা পশ্চাচ্চ বগলামুখীম।” অর্থাৎ উদ্ধাধঃক্রমে মুখ সংযুক্ত করিয়া ওঁকারদ্বয় অঙ্কিত কপূিবে । তাহার মধ্যস্থলে সাধ্য বা উদিষ্ট ব্যক্তির নাম এবং উপম পাশ্ব জে এই বীজ লিথিয়া লইবে । পরে তাহা ঠকার দুলি বেষ্টনপূর্বক তাহার বহির্দেশ চতুষ্কোণ দ্বারা পুটিত করিবে, ম চতুষ্কোণদ্বয়ের অষ্টকোণে অষ্টবজ্রসহ ত্রিশূল এবং সেই ত্ৰিশূলের । মপারেথার পাশ্বদ্বয়ে লং বীজ আঁকিয়া রাখিবে । তাহার বহিভাগে ওঁ হুলী বগলামুখি সৰ্ব্বদুষ্টানাং বাচং মুখং স্তম্ভয় জিহাং কালয় কীলয় বুদ্ধিং নাশয় স্থলী ও স্বাহ । এই যন্ত্ৰ বৃত্তাকারে লিধিৰে । তৎপরে একটা বৃত্ত অঙ্কিত করিয়া মাতৃকা বর্ণ দ্বার মণ্ডল করিবে । তদনন্তর তাহার বহির্ভাগে এই বীজ দ্বার আটবার বেষ্টন করিয়া ক্রোং এই বীজ দ্বারা একবার বেষ্টনপুৰ্ব্বক পুনৰ্ব্বার বগলামুখী মন্ত্রে আটবার বেষ্টন করিবে। ধাতুফলকে অথবা পাষাণপাট্ট অথবা হরিদ্র, ধুস্তর ও করি, তাল দ্বারা যন্ত্র অঙ্কিত করাই প্রশস্ত। দেবস্তস্তন ও শক্রগণের মুখস্তম্ভনাৰ্থ উক্ত যন্ত্র লিগিয়া গাঢ় আক্রমণ করিবে । হরিদ্রাদি পূৰ্ব্বোক্ত দ্রব্যের দ্বারা ভূৰ্জপত্রে যন্ত্র আঁকির সেই যন্ত্রে কুম্ভকাল চক্রের মৃত্তিকানিৰ্ম্মিত বৃষ পৃষ্ঠে স্থাপন করিয়া বগলামুখী। আরাধনা করিলে বিবাদে জয় লাভ হয়। ঐ বৃষের নাসিকতে পীতবর্ণ রক্ষু নিক্ষেপ করিয়া প্রতিদিন পীতবর্ণ পুষ্পাদি উপসন দ্বারা স্বীয় গৃহে পূজা করিলে ষ্টের মুখস্তস্তন হয়। বগলামুণীস্তোত্র । “চলৎ কনককুগুলোল্লসিতচারুগগুস্থলী লসৎ কনকচম্পকতৃতিমদিন্দুবিম্বাননাম। গদাহতবিপক্ষকং কলিতলোলজিহ্বাঞ্চলাং স্মরামি বগলামুখীং বিমুখসন্মনঃস্তস্তিনীম ॥১ পী,হোদধিমধ্যচারু বিলসৎ রক্তোৎপলে মওপে যৎসিংহাসনমৌলিপাতিতরিপুপ্রেতাসনাধ্যাসিনীম্। স্বৰ্ণাভাং করপীড়িতারিরসনাং ভ্রাম্যদগদাবিভ্রতাং ইত্থং ধ্যায়তি যান্তি তস্ত সহসা সদোহথ সৰ্ব্বাপদ; ॥২ দেবি ত্বচ্চরণাম্বুজাৰ্চনকৃতে যঃ পীতপুষ্পাঞ্জলিং ভক্ত বানকরে বিধায় চ মমুং মন্ত্রী মনোজ্ঞাক্ষরম্ । পীঠধানপরোহথ কুস্তকবশাদ্বীজং স্মরেৎ পার্থিবং তস্তামিত্রমুখস্ত বাচি হৃদয়ে জাড়াং ভবেৎ তৎক্ষণাৎ ॥৩ বাদী মুকতি রঙ্কতি ক্ষিতিপতিৰ্ব্বৈশ্বানব; শতিতি ক্রোধী শাম্যতি দুৰ্জ্জন: মুঞ্জনতি ক্ষিপ্রামুগঃ খঙ্গতি । গবব থৰ্ব্বতি সৰ্ব্ববিচ্চ জড়তি তৃন্মণিমন্ত্রিত:, শ্রীনিতে বগলামুণী প্রতিদিনং কল্যাণি তুভ্যং নমঃ ॥ মন্ত্রস্তাবদলং বিপক্ষালনে স্তোত্ৰং পবিত্রঞ্চ তে, যন্ত্রং বার্টিনিযুক্মিণং ত্ৰিজগতাং জৈত্রস্তু চিত্ৰং নু তে । মাত: ঐবগলেতি নাম ললিতং যম্ভাস্তি জন্তোম্মখে তন্নামগ্রহণেন সংসদি মুখস্তম্ভে ভবেদ্বাদিনাম্ ॥৪ দুঃস্তম্ভনমুগ্রবিন্নুশমনং দারিদ্র্যবিদ্রাবণং ভূড়াভূশমনং বলদ গৰ্দশাঃ চেতং সমাকৰ্ষণম্। সৌভাগ্যেকনিকেতনং মম দৃশোঃ কারণ্যপূর্ণামৃতং মৃতোর্শারণমাবিরস্তু পুরতোমাতত্ত্বীয়ং বপুঃ ॥৬ মাতঙঞ্জয় মে বিপক্ষবদনং জিহাং চলাং কীলয় ব্রাহ্মীং মুদ্রয় নাশয়াণ্ড ধিষণমুগ্ৰাং গতিং স্তম্ভয় ।
পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/৩৮০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।