পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

l ' तिलेtलिक्षि যস্ব তাং লরয়েৎ কস্তাং ব্রাহ্মণে জ্ঞানদুৰ্ব্বলঃ । অপ্রদ্ধেয়মপঙ ক্তেয়ং তং বিস্কাং বৃৰলীপতিম্ ॥” এই সকল বচনদ্বারা জানা যায় যে, কম্বার ঋতুর পর তাহার বিবাহ পাপজনক, কিন্তু মমুবচনে দেখিতে পাওয়া যায় যে, কস্তা ঋতুমতী হইয়। মৃত্যুকাল পর্য্যস্ত অবিবাহিতাবস্থার পিতৃগৃহে অব&ন করে, সে ও ভাল, তথাপি তাহকে নি গুণ পাত্রের হস্তে প্রদান করিবে না। রঘুনন্দন ইহার তাৎপর্য এইরূপ বলিয়া%েন যে, মচু স্বয়ং বরপাত্রের যে সকল গুণ হওয়া উচিত বলিয়া নির্দেশ করিয়াছেন, ঐ সকল গুণযুক্ত পুত্ৰ পাইলে অপরকে দিবে না, ইহাই উক্ত বাক্যের মৰ্ম্মার্থ। নতুবা গুণচীন পত্রিকে ক্যাসম্প্রদান করিবে না, ইহা বুঝা যায় না। মন্থ আরও বলিয়াছেন যে, গুণবান পাত্র উপস্থিত হইলে কস্তার বিবাহের অযোগ্য কালেও অর্থাৎ ৮ বৎসরের নূনবয়স্ক হইলেও তাছাকে সম্প্রদান কপ্লিবে । “কমমামরণাস্তিষ্ঠে গৃহে কন্তর্ভুমতাপি । নচৈবেনাং এযচ্ছেত্ত, গুণচীনায় কমিচিৎ ৷ ইতি তৎ স্বোক্ত গুণহীনমত্রিসস্থাবৰিষয়, অতএব গুণবতে "ৰধনুনাপি দেয়েভ্যাত মুম্ন---- উৎকৃষ্টায়াভিরূপার বরায় সদৃশীয় চ। মপ্রাপ্তামপি তাং কন্যাং তম্মৈদথা যথাৰিধি ॥ আ প্রাপ্তাং স প্রাপলিবাহ প্রশস্তকালীম্।।” (উদ্ধাহতত্ত্ব ) বিবাহের প্রশস্তকাল-স্মৃতিসরিনামক গ্রস্থে লিখিত আছে যে, সকল ৰণেৰই ৭ বৎসরের পব ৰুষ্ঠার বিবাহের কাল প্রশস্ত । আরও লিখিত আছে যে, অযুগ্মবর্ষে বিবাহ দিলে কন্যা গা, এবং যুগ্মবর্ষে বিবাহ দিলে বিধৰা, সুতরাং কন্যার গভঙ্গিত যুগ্ধবৎসরে বিবাহ দিলে পতিব্রত হয় । ওক্ষমাস | লষ্টয়া তিন মাসের পর হইতে অযুগ্মপর্য এবং জন্মমাস লইয়া | ৩নমাসের মধ্যে গর্ভ হইতে যুগ্মবৰ্ষ হয়। বাৎস্ত প্রভৃতি মুনি- | গণ জ্যোতিঃশাস্ত্রে জন্মমাস লইয়া তিন মাস পর্ষ্যস্ত যে গঙাম্বিত যুগাবৰ্ষ হয়, তাহাই বিবাহের শুদ্ধকাল বলিয়া স্থির করিয়াছেন । এই যুগ্ম ও অযুগ্মপর্য গণনা ভূমিষ্ঠ ও গর্ভাখান হইতে করিতে হয়, অর্থাৎ ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর হইতে গণনায় অযুগ্মবর্ধ শুদ্ধকাল এবং গর্ভাধানের পর হইতে গণনায় যুগাবৰ্ষ শুদ্ধকাল । "সপ্তসংবৎসর।দুৰ্দ্ধং বিবাহ সাৰ্ব্ববর্ধিক: | কন্তয়: শস্ততে রাঙ্কল্পস্তথা ধৰ্ম্মগঠিত: | অযুগে দুর্ভণ নারী যুগে চ বিধবা ভবেৎ। ভম্মাদ গঙ্গন্ধিতে যুগে বিৰাহে সা পতিব্ৰতা । মাম্ব মাদুৰ্দ্ধমযুগ্মবর্ষে যুগে ইপি মাসত্রয়মেৰ যাবৎ । বিৰাহ শু৯িং প্রবদন্তি সৰ্ব্বে বাৎস্তাদয়ে জ্যোতিষি জন্মমাসাৎ ৷ অত্র যুগ যুগ্মগণনা প্রস্থত্যাধানাপেক্ষয় প্রস্বত্যাধানতঃ শুদ্ধিবিষমেছদে সমে ক্ৰমাৎ । ইতি বচনাৎ । ( উদ্ধাহতৰু ৷ বিবাহে অকালাদি দোষাভাব- কস্তার দশবৎসরের পর অকালাদি জষ্ঠ দোষ হয় না । শাস্ত্রে আছে, গুরুশুক্রের বাল্য,বুদ্ধ ৪ অস্তজনিত যে অকালাদি হয়, তাহাতে বিবাহদি দিবে না. কিন্তু কন্যাব যদি কস্তাকাল অর্থাৎ দশবৎসর অতীত হয়, তাহ! হইলে বিবাহে অকালাদিদোষ হইবে না । কারণ শাস্ত্র বলেন, কোন একটী তীর্থে দ্বিতীয়বার গমনকালে, কৰ্ম্ম আরব্ধ হইলে কিম্বা কস্তার বিবাহকাল অতীত হইলে আর কালদোষ হইবে না । “আবুত্ত্বে তীর্থগমনে প্রতিজ্ঞাতে চ কৰ্ম্মণি ৷ কালাত্যয়ে চ কস্তায়t: কালদোষো ন বিস্তুতে ॥* কস্তাদানাধিকারী-বিবাহ কালে কস্তাকে যথাবিধি দান করিতে হয়। কোন কোন ব্যক্তির কন্যা দান করিবার অধিকার আছে, তাহার বিষয় এইরূপ লিখিত আছে যে,-পিতা, পিতামহ, ভ্রাতা, সকুল্য, মাতামহ, এবং মাত্ত ইহাব সকলেই কন্যাদানে অধিকারী । ইহাদের মধ্যে পুৰ্ব্ব পুৰ্ব্ব ব্যক্তির অভাব ঘটিলে পর পর উল্লিখিত ব্যক্তি যদি প্রকৃতিস্থ হন, তাহা হইলে তিনি কস্তাকে সম্প্রদান করিবেন " প্রকৃতিস্থ শব্দের অর্থ পতিত বা উন্মাদ আদি রোগদোষশূন্ত । অপ্রকৃতিস্থ পিতা ব! অপর অধিকারী কর্তৃক কন্ঠদান করা হইলেও ঐ দান অসিদ্ধ হইবে। . কিন্তু ইহাতে একটু বিশেষ এই যে, অপ্রকৃতিস্থ পিত্ৰাদি যদি বা দান কবেন, তাহা হইলে তাঙ্গাই অসিদ্ধ হইবে । যদি বিবাহ সম্পন্ন হইয়া যায়, তাই হইলে অনধিকারী দান করিয়াছে বলিয়া ঐ দানরূপ অঙ্গ বা অপ্রধান কাৰ্য্যমাত্রেধ বৈকল্যহেতু ঐ বিবাহ আর ফিরিবে না। পিতার নিজেরই কন্যাদান করা কর্তব্য। নিজে অসমর্থ হইলে তাহার অনুমতি লই য়ু ভ্রাতা দান করিতে পারে। এই দুইজনের পর মাতামহ, মাতুল, সকুল্য এবং বান্ধৰ যথাক্রমে কন্তদানে অধিকারী । আর ইহান্ধের সকলের অভাবে মাত। অধিকারিণী । কিন্তু ইহীদের সকলেরই প্রকৃত্তিস্থ হওয়া চাই । ইহান্ধের মধ্যে পুৰ্ব্ব পূর্বের অভাব হইলে পর পর উল্লিখিত দিগের মধ্যে যে যে প্রকৃতিস্থ হইবে, সে সে যথাক্রমে অধিকারী হইবে । উক্ত অধিকারিগণ কন্যার উপযুক্ত সময়ে যদি দান না করেন, তাহা হইলে অবিবাহিত কষ্ঠার প্রতিঋতুতে তাহার ক্রণহত্যার পাপী হইয়া থাকেন। কন্যা দানের যে সকল অধিকারীর উল্লেখ করা হইল, যদি এই সকলেরই অভাব হয়, তাহা হইলে কন্যা নিজেই গম্য বরকে পতিরূপে বরণ করিবে ।