বঙ্গদেশ (জৈন ও বৌদ্ধপ্রভাব ) [ 8०४ ] ইয়াছিল। এই সমরে মগবাপি অজাতশত্রুর পুত্র উদায়ী | গঙ্গাতটে পাটলিপুত্র নগরী স্থাপন করেন। প্রাচীন জৈনগ্রন্থ মতে, বীব মোক্ষের ৬• বর্ষ পরে অর্থাৎ ৪৬৭ খৃষ্টপূৰ্ব্বাদে ১ম নদের অভিষেক। ইহারই চারিবর্ধ পরে । প্রসিদ্ধ জৈন গণধর জম্ব স্বামী মোক্ষলাভ করেন।" প্রথম নন্দের পর আরও ৭ জন নল রাজত্ব করেন, কল্লকপুর । শকটালের ভ্রাতৃগণ র্তাহীদের মন্ত্রিত্ব করেন। অবশেষে ৯ম নন্দ সিংহাসন লাভ করেন, ইহারই প্রধান মন্ত্রী শকটাল। এই | শকটালের পুত্র স্থলভদ্র । স্থলভদ্রের কিছু পূৰ্ব্বে জৈনদিগেব শেষ শতকেৰলী ভদ্রবাহুর । অভু্যদয়। র্তাহার শিষ্য প্রশিষো সমস্ত ভারত পরিব্যাপ্ত হইয়াছিল । তাহার কাশুপ-গোত্রীয় চারিজন প্রধান শিষ্য ছিল, তন্মধ্যে প্রথম শিষ্যের নাম গোদাস। এই গোদাস হইতে চারিট শাখার সৃষ্টি,—এই চারি শাখার নাম তাম্রলিপ্তিকা, কোটিবর্ষীয়, পুণ্ড বৰ্দ্ধনীয়া ও দাসী কর্কটিয়া ।“ এই শাখা চতুষ্টয়ের নাম হইতে সহজেই মনে হইবে যে, তাম্রলিপ্ত ( বর্তমান তমলুক্ ) কোটিবর্ষ ( বর্তমান দিনাজপুর জেলাস্থ দেওকোট পরগণা ), পুণ্ড বৰ্দ্ধন ( মালদহ ও বগুড়া জেলার মধ্যে ) এবং কর্বট( সম্ভবতঃ মানভূম জেলার ) অর্থাৎ তুই হাজার বর্ষেরও পূৰ্ব্বতন কালে বর্তমান বঙ্গদেশের নানা স্থানে জৈনদিগের প্রতিপত্তি ও শ্রেণিবিভাগ ঘটিয়াছিল । অতঃপর চন্দ্র গুপ্তের অধিকার । চাণক্যের কৌশলে ননীকে বিনাশ করিয়া চন্দ্রগুপ্ত ভারতের একচ্ছত্র অধিপতি হইয়াছিলেন । হেমচন্দ্রের পরিশিষ্টপৰ্ব্বমতে-বীরমোক্ষের ১৫৫ বর্ষ পরে অর্থাৎ ৩৭২ খৃঃ পূৰ্ব্বাদে চন্দ্রগুপ্তের অভিষেক । এ সময়ে বঙ্গদেশে ব্রাহ্মণাচার এক প্রকার বিলুপ্ত, সৰ্ব্বত্রই ঞ্জৈনচার প্রবল হইয়া উঠিয়াছে । স্বয়ং চন্দ্রগুপ্ত ভদ্রবাহুর শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। এই চন্দ্রগুপ্তের অধিকারকালেই পাটলিপুত্রে জৈনদিগের শ্ৰীসভম্ব আহত ও জৈন অঙ্গশাস্ত্রগুলি সংগৃহীত হয় । চন্দ্রগুপ্ত এক প্রকার ভারত-সম্রাটু হইয়াছিলেন । র্তাহার পরিজনবর্গ তাহার অধীনে ভারতের বিভিন্ন প্রদেশ শাসন করিতেন। সুতরাং পাটলিপুত্রের জৈন অনুষ্ঠান সহজেই চন্দ্রগুপ্তের অধীন সামস্তগণের চেষ্টায় সমস্ত ভারতে পরিগৃহীত रुझेभ्रांछ्लि । ( ৪৪ ) পরিশিষ্ট পৰ্ব্ব ৪৬১ বঙ্গদেশ (জৈন ও বৌদ্ধপ্রভাব ) -- জৈন-প্রভাববিস্তারের সহিত সমগ্র ভারত হইতে ব্ৰাহ্মণপ্রভাব অতিশয় খৰ্ব্ব হইয়া পড়িল । ক্ষত্রিয়-রাজগণের চেষ্টায় এরূপ পরিবর্তন সাধিত হইয়াছিল বলিয়া ক্ষত্রিয়গণের উপর ব্রাহ্মণগণের জাতক্রোধ হইল, তাহারা পুরাণে রটাইলেন যে আর ক্ষত্রিয় নাই, ক্ষত্ৰিয়বংশ নিমূল হইয়াছে। “ চন্দ্রগুপ্ত ব্রাহ্মণবিরোধী ও জৈনমতাবলম্বী ছিলেন বলিয়াই ব্রাহ্মণের নিকট তিনি 'বৃষল বলিয়া লাঞ্ছিত হইলেন। ৩১৬ খৃঃ পূৰ্ব্বাদে চন্দ্রগুগুপুত্র বিন্দুসারের রাজ্যসমাপ্তি এবং অশোকের অভু্যদয় । অশোক-প্রিয়দর্শী চন্দ্রগুপ্তের অপত্য বলিয় “চন্দ্রগুপ্ত" ( san. drakoplas ) নামেও পাশ্চাত্য ঐতিহাসিকের নিকট পরিচিত । [ ভারতবর্ষ শব্দ ৩৬৪ পৃঃ দ্রষ্টব্য) ব্রাহ্মণ-রচিত গ্রন্থে অশোক শূদ্র বলিয়া চিহ্নিত হইলেs প্রাচীন বৌদ্ধগ্রন্থে তিনি ক্ষত্রিয় এবং বিশুদ্ধ ক্ষত্ৰিয়াচারী বলিয়াই পরিচিত। র্তাহার রাজ্যাভিষেকের পূৰ্ব্বে তিনি কতকটা ব্রাহ্মণ, ভক্ত ছিলেন । র্তাহার ভোজনশালায় শত শত পশুবধ হইত । র্তাহার রাজ্যাভিষেকের সঙ্গে প্রথমে তিনি জৈন, শেষে বৌদ্ধধৰ্ম্মামু রাগী হইয়া পড়িয়াছিলেন। হিমালয় হইতে কুমারিক এবং চট্টগ্রাম হইতে আফগানস্তানের সীমা পর্য্যস্ত র্তাহার সাম্রাজ্য ৰিষ্কৃত হইয়াছিল। সুদূর যুরোপও আফ্রিকায় বৌদ্ধধৰ্ম্মপ্রচারার্থ তিনি উপযুক্ত পরিব্রাজক নিযুক্ত করিয়াছিলেন এবং তখনকার শ্রেষ্ঠ যবন, রাজগণ তাহার সহিত আত্মীয়তা ও মিত্রতাপাশে আবদ্ধ হষ্টয়াছিলেন । [ প্রিয়দর্শ দেথ । ] অশোকের সময়ে তাহার অধীনে বঙ্গদেশ নানা প্রদেশে বিভক্ত এবং এক এক জন পরাক্রান্ত সামস্তরাজের শাসনাধীন ছিল । ভারতের অন্তান্ত প্রদেশের দ্যায় বঙ্গের নানাস্থানে অশোকের ধৰ্ম্মানুশাসন ও ধৰ্ম্মরাজিক প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল। অশোকের সময় বঙ্গভূমে কোন কোন রাজা রাজত্ব করিতেছিলেন, তাহার নাম পাওয়া যায় নাই । আবুলফজল এখানকার পুরাতন ইতিবৃত্ত সংগ্ৰহ করিয়া যে সংক্ষিপ্ত বিবরণ প্রকাশ করিয়া গিয়াছেন, তৎপাঠে মনে হইবে যে বঙ্গভূমে ২৪১৮ বর্ষ ক্ষত্রির অধিকার, তৎপরে ২০৩৮ বর্ষ কায়স্থ অধিকার, অতঃপর মুসলমান অধিকার চলিয়াছিল।" পূৰ্ব্বেই লিখিয়াছি যে, বলিপুত্র অঙ্গ বঙ্গাদি হইতে এখানে ক্ষত্রিয়াধিকারের স্বত্রপাত। তাছা মহাবীর কর্ণের পঞ্চদশ পুরুন্ন পূৰ্ব্বে বা পাঁচহাজার বর্ষেরও পূৰ্ব্বেকার কথা। অর্থাৎ বর্তমান কলিযুগ প্রবর্তিত হইবার পূর্বেই এদেশে ক্ষত্রিয়াধিকার প্রচলিত হইয়াছিল।" এখন আবুল
سیسے سمے۔.
{ a ५ ) जनकझग्रज अछेयः । * মূলে “দাসীখন্ধটায়” আছে। ‘কৰ্কটীয় পাঠই সাধু। মহাভারতে “ कपर्दछ” नांभश् चांtर । (मठां*6 ९०॥२०) (so )Col. H S Jarrett's Ain-i-Akbari. Vol I p. 143-149. ( *१) पtनग्न आफैौद्र ईफिशन, $भ कtनं ८७-** श्रृं* अडेवा ।