বঙ্গদেশ ( সেনবংশ ) [ 8२७ ] বঙ্গদেশ ( সেনবংশ ) বিজয়ের দীর্ঘরাজত্বকাল মধ্যেই সম্ভবতঃ মল্ল ও শুiমল ইহলোক পরিত্যাগ করেন। এই কারণ বিজয়সেনের মৃত্যুর পরে তাহার অপর পুত্র বল্লাল ১৯৪১ শকে ( ১১১৯ খৃষ্টাব্দে ) পিতৃসিংহাসনে অভিষিক্ত হইলেন । বিজয়সেন গোঁড়াধিপ পালরাজকে পরাজয় করিয়া বরেন্দ্র ভূমে বিজয়চিহ্ন স্বরূপ প্রহ্লামেশ্বরশিবালয় প্রতিষ্ঠিত করিলে ও তাহার নিজ রাজধানীতে প্রত্যাবর্তনের সহিত ভাগীরণীর উত্তরতীরবর্তী অধিকাংশ জনপদ আবার পালবংশের শাসনাধীন হইয়াছিল । বল্লালসেন রাজপদে আসীন হইয়াই গৌড় হইতে পালবংশকে বিতাড়িত করিয়া মিথিলা পৰ্য্যন্ত জয় করিয়াছিলেন, মিথিলা বিজয়কালেই তাহার প্রিয় পুত্র লক্ষ্মণসেন ভূমিষ্ঠ হন, সেই ঘটনা চিরস্মরণীয় করিবার জন্যই তিনি লগাণ-সংবৎ ( ল সং ) প্রচলিত করিয়াছিলেন। গৌড় হইতে মিথিলা পৰ্য্যন্ত এক সময় সৰ্ব্বত্র এই অদ প্রচলিত ছিল, বল্লালসেনের পিতা ও পিতামহ সকলেই বেদনিষ্ঠ শৈব ছিলেন। বল্লালও প্রথমে পৈতৃকধৰ্ম্মে একান্ত নিষ্ঠাবান ছিলেন, কিন্তু সমস্ত গৌড়রাজ্য অধিকার ও গৌড় নগরে রাজপাট স্থাপনের সহিত বল্লাল দেখিলেন যে, তাহার অধিকাংশ প্রজাই বৌদ্ধ তায়িকপৰ্ম্মানুরক্ত। বহু চেষ্টাতেও তাহার পিতা পিতামহ বৌদ্ধতম্ভের প্রভাব এক কালে থৰ্ব্ব করিতে সমর্থ হন নাই | পালরাজগণের প্রসঙ্গে পূর্বেই লিপিয়ছি, রাঢ়ের পূৰ্ব্বতন প্রভাবশালী সারস্বত সপ্তসতী) ব্রাহ্মণদিগকে হস্তগত করিবার জন্য ধৰ্ম্মপাল প্রমুখ প{লর জগণ অনেক রাঢ়ীয় সরস্বত বি প্রকে অনিয়া বরেন্দ্রভূমিতে প্রতিষ্ঠিত করিয়ছিলেন । তাহদের মধ্যে অনেকে পালরাজগণের অনুকরণে ও দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান প্রমুখ বৌদ্ধ তান্ত্রিকগণের ধৰ্ম্মেপদেশ গুণে বৌদ্ধতন্ত্রে অনুরক্ত হইয়াছিলেন । বল্লtল এইরূপ বাবে সারস্বত বিপ্রবংশসস্থত অনিরুদ্ধ ভট্ট নামক এক ব্যক্তিব শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন, সেই সঙ্গে তাহার মতিগতিও ফিরিল । তিনি প্রথমে তান্ত্রিক মতেই অসুরক্ত হইয়া পড়িলেন। তিনি তন্ত্রোক্ত বিধি অনুসারে অতি নীচজাতীয় রমণী ও বেশুদি লইয়া ভৈরবী চক্রের অনুষ্ঠান করিতে লাগিলেন ; তজ্জন্ত র্তাহার পিতা ও পিতামহের সময়কার নিষ্ঠাবান ব্রাহ্মণ সস্তানগণ বল্লালের আচরণে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হইলেন, প্রচ্ছন্ন বৌদ্ধভাব বল্লালের হৃদয় অধিকার করিয়াছে ভাবিয়া বৈদিক ব্রাহ্মণমাত্রেই বল্লালের নিন্দ করিতে লাগিলেন। এই উপলক্ষেই তাহার চৰ্ম্মকার বা ডোম-কন্যার পাণিগ্রহণপ্রবাদ রচিত হইল। এমন কি, বৈদিক বিপ্ৰগণের ষড়যন্ত্রে লক্ষ্মণসেন পিতার বিরুদ্ধাচরণ করিতে প্রস্থত হইয়াছিলেন । এই সময় রাজনীতিকৌশল বল্লাল একদিকে নিজ রাজপদ রক্ষা ও অপরদিকে প্রজাদিগকে সন্তুষ্ট রাখিবার অভিপ্রায়ে প্রিয়পুত্র লক্ষ্মণের চরিত্রে দোষারোপ করিয়া কিছুদিনের জন্ত তাহাকে রাজ্য হইতে নিৰ্ব্বাসিক্ত করিলেন । ইহার পর তিনি হিন্দু জনসাধারণকে নিজ মতামুবী কৰিবার অভিপ্রায়ে প্রাচীন হিন্দুতন্ত্রোক্ত ধৰ্ম্ম আশ্রয় করিলেন, তখনও এ দেশে হিন্দুতন্ত্রগুলি বৈদিকের নিকট বেদবিরুদ্ধ ৰলিয়াই গণ্য ছিল, সেই সময়ের হিন্দু ও বৌদ্ধতান্ত্রিকগণের মত কতকটা মহানিৰ্ব্বাণতন্ত্রে বর্ণিত হইয়াছে। মহানিৰ্ব্বাণ-তন্ত্রকার ঘোষণা করিয়া গিয়াছেন, “এখন বৈদিক মন্ত্র সকল বিষহীন সৰ্পের ন্যায় বীৰ্য্যহীন । কলিযুগে একমাত্র তথ্রোক্ত কাৰ্য্যমাত্রই শীঘ্ৰ ফল প্রছ”। মহারাজ বল্লালসেন তষ্কামুৰী হইয় প্রথমত: ঐক্কপ বেদবিরুদ্ধ মতই প্রচার করিয়াছিলেন, তাহাতে বৈদিক বিপ্রসমাজ, বল্লালসেনের কোন কোন আত্মীয় এবং উত্তররাঢ়ীয় ও অভিনব বারেন্দ্র কায়স্থসমাজ বল্লালসেনের বিরোধী হইয়াছিলেন ; এ দিকে তান্ত্রিক ধৰ্ম্মের পক্ষপাতী কনেজিয়া বিপ্রসন্তান রাঢ়ীয়-বারেন্দ্রগণ অনেকে তাহাদের অধিপতির পক্ষপাতী হইয়াছিলেন । সেন বংশের সম্পর্কিত বঙ্গজ কায়স্থ-সমাজ ও বল্লালসেনের পক্ষ সমর্থন করেন । যে যে সমাজ গৌড়াধিপের তান্ত্রিক ধৰ্ম্ম অমুমোদন করিয়াছিলেন, বল্লালসেন তাহাদিগকে লইয়া নূতন সমাজ গঠন করিলেন। তাহা হইতেই বল্লালসেনের অভিনব কৌলীন্ত-মৰ্য্যাদার স্বষ্টি । প্রথমে যাহারা তাঞ্জিক ধৰ্ম্মাসুরক্ত, বিদ্বান, বুদ্ধিমান, কুলাচারী ও তান্ত্রিক ক্রিয়ায় সুদক্ষ ছিলেন, তাহাদিগকেই গোঁড়াধিপ সৰ্ব্ব প্রথমে সম্মানিত করেন এবং তঁহারই প্রথমে কুণীন বলিয়া বল্লালসভায় পুঞ্জিত হইয়াছিলেন। যাহা হউক, অল্পকাল মধ্যে গোঁড়বঙ্গে সৰ্ব্বত্রই রাজা বল্ল{লসেনের উৎসাহে হিন্দুতান্ত্রিক মত প্রবর্ধিত হইল, বৌদ্ধতান্ত্রিকগণ সহজেই এখন হিন্দুতান্ত্রিকগণের সহিত সম্মিলিত হইতে লাগিল। রাজা বৌদ্ধদ্বেষী, তাহার প্রধান অমাত্য বৌদ্ধদিগকে অতি ঘৃণার চক্ষে দেখেন ; সুতরাং রাজভয়েই হউক, অথবা রাজার অনুগ্রহলাভাশায় হউক, প্রজা সাধারণ বৌদ্ধ মত পরি ত্যাগ করিয়া হিন্দুতান্ত্রিকের আশ্রয় লইতে লাগিল। যাঙ্গর হিন্দু তন্ত্রোক্ত ধৰ্ম্ম না মানিয়া বৌদ্ধধৰ্ম্মে আস্থা দেখাইতে লাগিল, তাহার রাজাদেশে অতিহীন বর্ণ বলিয়া গণ্য হইল । পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি,বল্লালও তাহার পিতাপিতামহগণেরষ্ঠায় প্রথমে শৈব ছিলেন, তাহা তাহার “নিঃশঙ্কশঙ্করগৌড়েশ্বর" উপাধিব মধ্যেই দেথা যায়। কিন্তু শক্তিমন্ত্রে দীক্ষার পর তিনি ঘোর শাক্ত হইয়া পড়িয়াছিলেন । সমস্ত বঙ্গবাসীকে শক্তিমন্সে দীক্ষিত করিবার জন্ত তিনি কুলীন গুরু নিযুক্ত করেন, এবং প্তাহীদের সন্মানবন্ধনের জন্ত তাম্রশাসন দ্বারা তাহাদিগকে বহুগ্রামও দান করিয়াছিলেন। আগমোক্ত প্রমাণদ্বারাও তিনি
- বঙ্গের জাতীয় ইতিহট্ট এ ং ৩৩ হইতে ৮ পৃষ্ঠ। 18" الذي يع
പ്പ് - 下ヘリの。 > .’ ●う Tz 1.1ΒRΑRΥ ルミ
- ۔ عبدم۔ ب ما۔ ۔۔‘‘ So ماه و ۲۹ام به n / لات