বঙ্গদেশ ( খিলজীৰংশ ) 1 سيخدع ] বঙ্গদেশ ( খিলজীৰংশ ) বাঙ্গালা রাজ্যের পশ্চিম অংশ হস্তচু্যত হওয়ার বহুদিন পর পৰ্য্যন্তও ছিন্দুরাজগণ পূৰ্ব্ব-বাঙ্গালার সোশারগাও প্রভৃতি স্থানে রাজত্ব করিয়াছিলেন। কিন্তু ১২•৯ খৃঃ অন্ধের পুৰ্ব্ব হইতেই সোণারগাঁও নগরে মুসলমানগণের সমাগম ঘটিয়াছিল। খৃষ্টীয় অষ্টম শতাব্দীতেও বসোরীর আরব সওদাগরগণ ভারতবর্ষ ও চীনের সহিত বহুল পরিমাণে সামুদ্রিক বাণিজ্যে নিযুক্ত ছিলেন। র্তাহার যে সকল দেশে পরিভ্রমণ করিতেন, তথায় এক একটা বাণিজ্যাবাস স্থির করিয়া যান । বাঙ্গালার বাণিজ্যপ্রাধাপ্ত হইতে আমরা বেশ বুঝিতে পারি যে, অতি পূৰ্ব্বকাল হইতে বাঙ্গালার মুসলমানদের উপনিবেশ স্থাপন করার সুযোগ ঘটিয়াছিল। প্রাচীনকালে পশ্চিম জগতের সহিত এ দেশের যেরূপ বস্থল পরিমাণে বাণিজ্যাদি চলিত, খৃষ্টীম ৯ম শতান্ধে লিখিত দুই জন মুসলমান পরিব্রাজকের ভ্রমণবৃত্তাত্ত্বে তাঁহার সবিশেষ উল্লেখ আছে। র্তাহার “এ দেশকে রামি রাজার দেশ ৰলিয়া” উল্লেখ করিয়া গিয়াছেন ! মারও বলিয়াছেন—“তাহার অসংখ্য হস্তী আছে । বাঙ্গালার প্রধান রপ্তানি দ্রব্য স্বশ্ন তুলার কাপড় (ঢাকাই মসলিন ? ), অগুরু চন্দন, এক প্রকার চৰ্ম্ম, গণ্ডারের খড়গ ইত্যাদি। এই সকলই কড়ি বিনিময়ে ক্রয় করা যায়। কড়িই এ দেশের প্রচলিত মুদ্ৰা ।” মুসলমান য়াজত্বের ইতিবৃত্ত । ( প্রথম শাসনকাল । ) মহম্মদ-ই-বখতিয়ার খিলজী ঘোরের একজন অমাত্য ছিলেন। সুলতান গিয়াস উদ্দীন মহম্মদ শাহের রাজত্ব সময়ে তিনি গজনীতে আসেন। সেই স্থানে কিছুদিন থাকিয়া তিনি ভারতবর্ষে উপনীত হন এবং মালিক মুয়াজিম হিসাম উদ্দীনের অধীনে চাকরী গ্রহণ করেন। ইনি সুলতান শাহাব, উদ্দীনের একজন প্রসিদ্ধ সদস্য ছিলেন। ১১৯৯ খৃঃ অব্দে তিনি বাঙ্গাল আক্রমণপূৰ্ব্বৰু ১২০৩ খৃঃ অব্দের মধ্যে রাঢ় ও বরেন্দ্র নামক প্রদেশ জয় করেন । “তবকৎ ই-নাসিরী” নামক ইতিহাসে লিখিত আছে, লক্ষ্মণবর্তী নামক রাজ্যের অন্তর্গত নদীয়া নগর রায় লছ মণিয়ার রাজধানী। গঙ্গানদীর উভয়কূলে ঐ রাজ্যের দুইটী বাহু আছে । পশ্চিম বাহকে রাঢ় ৰলে । লক্ষ্মণাবতী নগরী এই অংশে অবস্থিত । পুৰ্ব্ব বাহুর নাম বরেন্দ্র বা বরেন্দ্রা, দেওকোট নামক নগরী এই বরেন্দ্রভূমে অবস্থিত। নদীরা এবং লক্ষ্মণাবতী উভয় নগরই রাঢ় প্রদেশে বিদ্যমান। ফিরিস্তার লিখিত আছে, মহম্মদछे-दशडिग्रांद्र मनैौब्रां छाग्रग्न अबाबहिष्ठ *रब्रहे लऋणावर्डौ ७ অষ্টান্ত রাজ্যগুলি অধিকার করিলেন। তাহার নামে খুৎবা পাঠ এবং মুদ্র প্রচারিত হইল। যে সকল মুসলমান উহার সহিত জাসিয়াছিলেন, বা পরে বাহারা আসিয়া তাহার সহিত যোগদান করিয়াছিলেন, তাহার এই নূতন বিঙ্কিত প্রদেশে প্রতিষ্ঠিত্ত হইলেন । তাছার জায়গীরস্বরূপ অনেক ভূসম্পত্তি লাভ করিয়াছিলেন। গৌড় বা লক্ষ্মণাবতী নগরে বখতিয়ার রাজধানী স্থাপন করেন । [ লক্ষ্মণসেন দেখ। ] বরেন্দ্র এবং রাঢ় ১২-৩ খৃঃ অব্দে মুসলমান শাসনাধীন হইলেও, প্রকৃত বঙ্গদেশ বা বাঙ্গালার পুৰ্ব্বাংশ মহম্মদ তোগলৰ শাহের রাজত্বকালে মুসলমানকর্তৃক্ষ ১৩৩৪ খৃঃ অষো অধিকৃত হয়। গৌড়, সপ্তগ্রাম এবং সুবর্ণগ্রাম নগর বা বন্দরে উক্ত সম্রাটের প্রতিনিধিগণ রাজধানী স্থাপন করিয়া রাজকাৰ্য্য নিৰ্ব্বাং করিয়াছিলেন। মহম্মদ-ই-বখতিয়ার খিলজী হইতে আরম্ভ করিয়া কামর খার শাসন সময় পৰ্য্যন্ত বাজাল দিল্লী-সাম্রাজ্যভুক্ত ছিল । তৎকালে দাস, খিলজী ও তোগলকবংশীয় দিল্লীশ্বরগণ আপন আপন প্রতিনিধি দ্বারা বাঙ্গাল শালম করিতেন। কিন্তু সুলতান ফখর উদ্দীনের রাজত্ব সময়ে বাঙ্গালী দিল্লীর অধীনতা উন্মোচন করিয়া স্বাধীন হইল ( ১৩৪০ খৃঃ অঃ ) । তিনি বাঙ্গালা রাজ্যের সমগ্র শাসনশক্তি স্বহস্তে গ্রহণ করিয়া আপনাকে স্বাধীন বাদশাহ বলিয়া ঘোষণা করেন। যতদিন মা আকবর বাদশাহ দায়ুকে পরাজিত করিয়া খৃষ্টীয় ১৫৭৬ অঙ্গে বাঙ্গালার স্বাধীনতা হরণ করিয়াছিলেন, ততদিন বাঙ্গাল পাঠানজাতির অক্ষুন্ন প্রতাপ ও অপরিসীম অত্যাচার অকুষ্ঠিত চিত্তে সহ করিতে বাধ্য হইয়াছিল। কবিকাহিনীতে তাহ বিশেষরূপে বিবৃত আছে। মহম্মদ-ই-বখতিয়ার স্বীয় অধিকৃত বাঙ্গালা প্রদেশ দুই খণ্ডে বিভক্ত করিয়াছিলেন। বরেন্দ্রভূমি ও বগড়ীর কিয়দংশ লইয়া যে বিভাগ গঠিত হয়, দিনাজপুরের নিকটবৰ্ত্তী দেবকোট নামক স্থানে তাহার রাজধানী ছিল । অপর বিভাগের রাজধানী গোঁড় বা লক্ষ্মণাবতী। রাঢ় ও মিথিলার কিয়দংশ তাহার অন্তভূক্ত। মুসলমানপতি উত্তর-প্রদেশবাসী হিন্দুরাজগণের আক্রমণ হইতে স্বাধিকৃত গৌড়ৰাজ্যরক্ষার জম্ভ রঙ্গপুরে দুর্গ নিৰ্ম্মাণ করাইয়াছিলেন । অতঃপর কামরূপ ও তিব্বত অধিকারে মানস করিয়া তিনি কামাতপুর-রাজের সহিত সন্ধিস্থাপন করেন; কিন্তু কামরূপ সেনার পরাক্রমে পাঠানসৈন্ত সমূলে বিনষ্ট হয়। যুদ্ধে পরাজয় স্বীকার করিয়া মহম্মদ-ই-বখতিয়ার দেবকোটে প্রত্যাবৃত্ত হই লেন, তথায় বলক্ষয়ে ও চিন্তাজনিত জরে অল্পদিনের মধ্যেই
- शtनक आउँीव्र हेडिहन, जाक्रनक७, •ग जान जडेश ।