বঙ্গদেশ (খৃঃ ১৫শ শতাব্দে অবস্থা ) [ ৪৩৮ ] বঙ্গদেশ (খৃঃ ১৫শ শতাঝে অবস্থা) লাভ করিয়াছিলেন, এতদ্ভিন্ন আরও অনেকে সন্মানিত হইয়াছিলেন । রাষ্ট্ৰীয় অপেক্ষ বীরেন্দ্রদিগের সহিতই অধিক পরিমাণে মুসলমান রাজসংস্রব খটিয়াছিল ; তাহার গৌড়াধিপের অতি নিকটেই বাস করিতেন ; মুসলমান রাজসভায় তাহীদের সৰ্ব্বদাই গতিবিধি ছিল, এ কা ণ র্তাহাদের মধ্যে অনেকেই মুসলমান রাজাদিগের নিকট উচ্চ পদ লাভ করিয়াছিলেন, তজ্জন্ত রাঢ়শ্রেণী অপেক্ষায় বারেন্দ্ৰশ্রেণী বেশী বিষয়ী হইয়া পড়িয়াছিলেন এবং মুসলমান রাজসরকারে তাহাদের প্রভাব অত্যন্ত বৃদ্ধি পাইয়াছিল, তাহারই ফলে খৃষ্টীয় ১৪শ শতাব্দীর শেষ ভাগে ভাতুড়িয়ার হিন্দু জমিদার রাজা গণেশ মুসলমান অধিপতির সৰ্ব্বময় কৰ্ত্ত হইয়া পড়িয়াছিলেন । এই গণেশই বারেঙ্গমস্ত্রী নরসিংহ নাড়িয়ালের পরামর্শে মুসলমান নৃপতিকে বিনাশ করিয়া সমস্ত গৌড়ের অধীশ্বর হইয়াছিলেন, তিনি হিন্দুধৰ্ম্ম ও হিন্দুরাজ্য বিস্তার করিবার জন্ত বদ্ধপরিকর হইলেও তাহার চাল চলন ও আদব কায়দায় যথেষ্ট মুসলমানী প্রভাব সংক্রমিত হষ্টয়াছিল। তিনি এক জন প্রকৃত হিন্দু হইলেও তাহার রাজত্বকালে যে সকল মুদ্রা প্রচলিত হয়, তাহাতে “বয়াজিদ শাছ” এই মুসলমানী নাম অঙ্কিত দেখা যায়। তিনিও যে মুসলমান নৃপতিগণের অনুকরণে বাদশাহী নাম গ্রহণ করিয়া ছিলেন, তাহা তাহার প্রচলিত মুদ্রা হইতেই প্রমাণিত হইতেছে । রাঢ়ীয় ব্রাহ্মণ প্রবর অমরকোষের স্বপ্রসিদ্ধ টীকাকার বৃহম্পতি গণেশবংশীয় মুসলমান অধিপতির নিকট “রায়মুকুট” উপাধি এবং তাহার প্রিয়পুত্র কবীন্দ্র শ্রীরাম “বিশ্বাস” উপাধি লাভ করেন । যাহা হউক, এই সময় ও পরবর্তীকালের ইতিহাস আলোচনা করিলেও বেশ বুঝা যায় যে, হিন্দু ও মুসলমান ক্রমেই ঘনিষ্ঠত স্বত্রে আবদ্ধ হইতেছিল, মুসলমান নরপতিগণ হিন্দুর প্রতি অভক্তি বা অবহেলা প্রদর্শন করিতেন না। তাহারা হিন্দু সমাজকে আয়ত্তাধীনে আনিবার জন্ত সমাজনেতা ব্রাহ্মণগণকে হস্তগত করিতে সচেষ্ট ছিলেন । র্তাহারা বাঙ্গালায় স্থায়িপ্রভাব বিস্তারোদেশেই মান্ত, গণ্য ও বিচক্ষণ বাঙ্গালীদিগকে রাজকীয় উচ্চপদে নিয়োগ করিতেন । রাজসংস্রব ক্রমশঃই বিষম হইতে বিষময় হইয়া দাড়াইল। মুসলমান দরবারে নিরস্তর গতিবিধি নিবন্ধন ব্রাহ্মণেরাও মুসলমানী আদবকায়দা, চালচলন বা রীতি-নীতি অভ্যাস করিতে বাধ্য হইলেন। ক্রমে এই সংক্রামক ব্যাধিতে অনেক নিষ্ঠাবান ব্রাহ্মণসন্তানও আক্রান্ত হইয়াছিলেন। হিন্দু-মুসলমানের এই মেশামিশির ফলে রাঙ্গ গণেশ কর্তৃক .গৌড়েশ্বরের বিনাশ সাধিত হইয়াছিল। • উত্তর দলের বিশেষ ঘনিষ্ঠতাপ্রযুক্তই রাজা গণেশের পুত্র মুসলমানের উঞ্জি তাম্বল গ্রহণে ও নিতান্ত সংস্রবদোষে পড়িয়া ইসলামধৰ্ম্মে দীক্ষিত হইতে বাধ্য হন। গণেশবংশধরগণ ইসলামধৰ্ম্মে দীক্ষিত হইলেও হিন্দুসমাজ তৎকালে জাতীয় শক্তি হাঁরা নাই। গণেশবংশের গৌরবরবি অস্তমিত হইলে ১৪৪• হইতে ১৪৭, খৃষ্টাৰ পৰ্য্যন্ত বাঙ্গালার মসনজে উচ্চবংশীয় মুসলমানগণের আধি. পত্য বিষ্কৃত হয় এবং ৰাঙ্গালায় বিধক্ষ্মীর অত্যাচার শ্রোতঃ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি হইতে থাকে। এই অত্যাচারের দিনেও নসির শাহ, ৰাৱঁক শাহ, ঘুম শাহ, সেকন্দর শাহ ও ফতেশান্থ মামধেয় কয়জন ধৰ্ম্মানঃ সুলতান শাস্তিময় শাসন-পদ্ধতির ব্যবস্থা করেন। বাৰ্ব্বকশাহ রাজ্যশাসনের সুবিধার্থ হাবলী ও খোজাদিগকে সেনাবিভাগে এবং যোগ্যতানুসারে অন্যান্য রাজকর্মে নিয়োগ করিয়া যে বিষময় বীজ বপন করিয়া যান, তাহাই অঙ্কুরিত হইয়া কালে হিন্দুসমাজের সৰ্ব্বনাশ সাধন করে। মুসলমান রাজপুরুষগণ ব্রাহ্মণদিগকে মুসলমান করিবার অতিপ্রায়ে অতি জঘন্তরূপে নির্যাতন আরম্ভ করেন। উপর্যুপরি অত্যাচারে অনেক হিদু বংশ মুসলমানদোষসংশ্লিষ্ট হয়। বহুসংখ্যক ব্রাহ্মণ কুল, জাতি ও মানের ভয়ে বঙ্গদেশ ছাড়িয়া ভিরদেশে পলাইয়া যান। অনেকে মানসম্রমরক্ষা করিতে না পারিয়া মুসলমানস্রোতে জাতিকুল বিসর্জন দিয়াছিলেন । এই পাঠান-শাসনকালে হিন্দুসমাজের বিশেষতঃ ব্রাহ্মণ কুলীনসমাজেরও তৎকালে যথেষ্টবিশৃঙ্খলা সমুং পাদিত এবং তাহ হইতেই এদেশে অনেক সামাজিক পরিবর্তন প্রবৰ্ত্তিত হইয়াছিল । ১৪৭৪ খৃষ্টাব্দে বাৰ্ব্বক শাহের মৃত্যুর পর, তৎপুত্র যুস্তফ, শাহ গৌড়-সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হন। তাহার স্তায়পরতা ও দয়াদাক্ষিণ্যগুণে হিন্দু-প্রজা শাস্তির মুখ দেখিতে পাইল। ১৪০২ শকে অর্থাৎ ১৪৮০ খৃষ্টাব্দে দেবীবর ঘটক, রাঢ়ীয় কুলীন ব্রাহ্মণসমাজের সংস্কার সাধন করিয়া মেলনিয়ম প্রচারিত করিলেন । এই ঘটনার কিছুকাল পূৰ্ব্বে বারেজ কুলশাস্ত্রবিশারদ উদয়ন চাৰ্য্য ভাদুড়ী বারেন্দ্র কুলীনসমাজকে আটট পটিতে বিভক্ত করেন। এদিকে দক্ষিণ-বঙ্গে দেবীবরের সমকালবৰ্ত্তী পুরনার বয় দক্ষিণরাটীয় কায়স্থসমাজে পুত্র পৌত্ৰাদি ক্রমে সমান পর্যারে
- ঈশাননাগরকৃত অদ্বৈতপ্রকাশে লিখিত আছে যে, অদ্বৈতাচাদে निउभिश् मृनिरह वा मब्रनिश् नांज्जिहान निक:आणिग्न ७ णाम ७षत्र नवीन
“बोहाँब्र मञ्चनं गरज ****** ब्रांअt । cश्रोrङ्गद वाक्नार मांछि cगोरफ़्त्र श्रेण ब्रांब " (चtष७मक*)