বঙ্গদেশ (খৃীঃ ১৫শ শতাব্দে অবস্থা) বিৰহ দিবার কুলবিধি প্রচারিত করিয়াছিলেন। এই সময়ে চঞ্জদ্বীপেও রাজা পরমানন্দ রায় বঙ্গজ কায়স্থদিগের সামাজিক কুলাচার সম্বন্ধে কতকগুলি নিয়ম অবধারণ করিয়া যান। ইহারইকিছু পরে নবদ্বীপধামে প্রেম ও শাস্তির পূর্ণ মূৰ্ত্তি গ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু আবিভূত হইয়া বৈষ্ণবধর্ম প্রচার করেন। হিন্দুসমাজ তখন হরিনামের প্রভাবে মাতোয়ারা হইয়া নগরে নগরে হরিনাম কীৰ্ত্তন করিয়া শাস্তি ও প্রেমের পীযুষধারী ঢালিয়া দিয়াছিল। যুমুফ শাহের পূৰ্ব্ববর্তী স্কুলতানগণের অধিকারকালে রাজকর্মচারিগণের অত্যাচার এবং তৎসাময়িক শাস্তিভাব জয়ানন্দের চৈতন্যমঙ্গলে বিবৃত আছে। তৎপূৰ্ব্বে হাবসবংশীয় শেষ সুলতান মুজাফর শাহের শাসনকালে মুসলমানের অত্যাচার চরমসীমায় উঠিয়াছিল। সম্ভবতঃ এই অমামুষিক অত্যাচারের প্রারম্ভ দর্শন করিয়াই নবদ্বীপের মনীষিমগুলী নবদ্বীপ ছাড়িয়া নানা স্থানে পলায়ন করেন । প্রধান মৈয়ায়িক বাস্বদেব সাৰ্ব্বভৌম এই সময়ে সপরিবারে উৎকল যাত্রা করেন ।* - বলিতে কি, খৃষ্টীয় ১৫শ শতাদের শেষভাগে বিদ্যাচর্চা ও গঙ্গাবাস উপলক্ষে নানা গোষ্ট্ৰীয় বৈদিক ব্রাহ্মণ আসিয়া নবদ্বীপে বাস করিতে থাকেন। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভূর পিতা জগন্নাথ মিশ্র ও সেই সময়ে শ্রীহট্ট হইতে নবদ্বীপে আসিয়া নীলাম্বর মিশ্রের কন্যা শচী দেবীকে বিবাহ করিয়া নবদ্বীপবাসী হন । ঐচৈতন্তদেব নবদ্বীপধামে বিস্তা, বুদ্ধি ও জ্ঞানের প্রাখৰ্য্য দেখাইয়। ভারতবাসীকে মোহিত করেন। ভক্তের নিকট তিনি অলৌকিক শক্তিপ্রভব মহাপুরুষরূপে প্রকট হইয়াছিলেন। ঐধর, গদাধর ও ঈশ্বরপুরী এবং শ্ৰীপাদ অদ্বৈতাচাৰ্য্য প্রভূ তাহার ধৰ্ম্মক্ষেত্রের সহায় ছিলেন। ঈশ্বরপুরীর ভক্তিমাখা মুখখানি দেখিলে মহাপ্রভু পাগলের স্তায় ব্যাকুল হইয়া পড়িতেন। এ হেন মহাপ্রভূর সহপাঠীরূপে নবদ্বীপধামে আবিভূত হইয়া ও সেইরূপ জ্ঞানবত্তার পরিচয় দিয়া রঘুনাথ শিরোমণি স্তায়শাস্ত্রে অদ্বিতীয় প্রতিভা বিকাশ করিয়া গিয়াছেন । এই সময়েই স্মৃতি নিবন্ধকার স্বাৰ্ত্তপ্রবর রঘুনন্দন আবির্ভূত হইয়াছিলেন। এই | সময়ে নবদ্বীপধামে কমলাকান্ত ভট্টাচাৰ্য্য, কাশীনাথ বিদ্যানিবাস, ও তৎপুত্র বিশ্বনাথ তর্কপঞ্চানন প্রভৃতি অসাধারণ ধীশক্তিসম্পন্ন
- *अङ;*ांद्र भवईौ८° झईश ब्रॉछडघ्र ।
ब|श्न* ५ग्निग्न ब्रांछ! ब्रांज़ि aiण जग्न ? বিশারদল্পত সাৰ্ব্বভৌম ভট্টাচার্ধ্য। बषशt* ४९काल (अल झांफ़ि निङ ब्रांअ ॥ ठांग्न जाऊां विनाiषांठणठि cभौफ़्षांनौ। विलांद्रन मेिषां न कब्रिल पांद्रां★नैौ ॥” ( अङ्गांननाङ्गठ ६s* अ*) | { ৪৩৯ ) বঙ্গদেশ (খৃঃ ১৫শ শতাব্দে অবস্থা) æà, পণ্ডিতমণ্ডলী জন্মগ্রহণ করিয়া বাঙ্গালার মুখোম্বল করিয়া গিয়াছেন। সুখের বিষয়-মুসলমানের কঠোর শাসন ও অত্যাচার মহাপ্রভুর প্রেমপ্রবাহে ভাসিয়া গিয়াছিল । নবদ্বীপ ও চৈতন্যচন্দ্র দেখ। ] খুঁচৈতন্ত মহাপ্রস্তু ১৫.৯ খৃষ্টাৰে কেশব ভারতীর নিকট মন্ত্রীক্ষা ও খ্ৰীকৃষ্ণ-চৈতন্ত নামগ্রহণপূর্বক গৃহস্থাশ্রম ত্যাগ করিয়া প্রত্ৰজ্যত্রত অবলম্বন করেন । মলিন প্রত বৈষ্ণবধৰ্ম্মের পুনরুদ্দীপন ও জনসমাজে তাহার প্রচার, তাহার জীবনের মূল লক্ষ্য ছিল । তাহার পার্ষদ ও ভক্ত পণ্ডিতমণ্ডলীর মধ্যে অনেকেই মুকবি ছিলেন। তাহারা মহাগ্ৰন্থর লীলা-বর্ণনপ্রসঙ্গে অনেক তত্ত্বকথার পরিচয় দিয়া গিয়াছেন। সুতরাং স্বীকার করিতে হইতেছে যে, স্বাধীন পাঠান নরপতিগণের রাজত্বকালে বাঙ্গালার সাহিত্য, দর্শন ও ধৰ্ম্মশাস্ত্রের যথেষ্ট উন্নতি সাধিত হইয়াছিল। হিন্দুগণ ধাৰ্ম্মিক প্রবর মুলতান আলাউদ্দীন হুসেন শাহের রাজ্যকালে মুখে স্বচ্ছনো বাস করিয়া নিশ্চিন্ত মনে পরমার্থ চিন্তা করিবার অবসর পাইয় ছিলেন। তংপূৰ্ব্বে ব্রাহ্মণবংশে সুপ্রসিদ্ধ কবি বিদ্যাপতি, চণ্ডীদাস ও কৃত্তিবাস এবং কায়স্থবংশে গুণরাজ খান প্রাদুর্ভূত হন। উক্ত কবিগণ ব্যতীত অপর সকল পদকর্তাই শ্রীচৈতন্ত মহাপ্রভুর সমসাময়িক, অথবা তাহার পরবর্তী। পদকল্পতরু, রসমঞ্জরী, গীতচিন্তামণি, পদকল্পলতিকা প্রভৃতি সংগ্রহ পুস্তকে যে সকল পদকৰ্ত্তাদিগের নাম পাওয়া যায়, তন্মধ্যে মুসলমানভক্ত আকবর আলী, কমরালী, নাসির, মাঙ্গু, ফকির, হবীব, ফ’তন, সাল বেগ, শেখ জালাল, শেখ ভিকৃ, শেখ লাল ও সৈয়দ মূৰ্ত্তাজার নাম উল্লেখযোগ্য । এতদ্ভিন্ন জ্ঞানদাস, গোবিনা দাস, বলরাম দাস, কৃষ্ণদাস কবিরাজ এবং রামী, রসময়ী, মাধবী দাসী প্রভৃতি সাময়িক বহু পুরুষ ও স্ত্রীকবিগণ তৎকালে প্রাচুভূত হইয়া বাঙ্গালা সাহিত্যের ঐসম্পাদন করিয়া গিয়াছেন। { বাঙ্গালা ভাষা শব্দে বিস্তৃত ৰিবরণ দ্রষ্টব্য । ] এককথায় বলিতে কি, খৃষ্টীয় ১৫শ শতাদের মধ্য হইতে ১৬শ শতাদের প্রারম্ভকাল পর্য্যন্ত মুসলমান-শাসনে বাঙ্গালায় কি ধৰ্ম্ম, কি সাহিত্য, কি রাজনীতি, কি সমাজনীতি সকল বিষয়েই একটা অলৌকিক পরিবর্তন সাধিত হইয়াছিল। উদয়নাচাৰ্য্য, দেবীবর, পুরন্দর বস্ব ও পরমানন্দ রায় সমাজবিধি সংস্কার করেন। ১৫০৯ হইতে ১৫৩৩ খৃষ্টাব্দে অন্তর্ধান কাল পৰ্য্যন্ত ঐচৈতন্য দেব মুসলমান অত্যাচারে বিলীনপ্রায় হিন্দুধৰ্ম্মের পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্ত ভক্তিপ্রধান বৈষ্ণবধর্মের পুনরুখান ও প্রবৃদ্ধি সাধন করেন। শ্ৰীমৎ অদ্বৈতাচাৰ্য্য ও নিত্যাননা প্ৰভু মহাপ্রভূর সহযোগিরূপে বৈষ্ণবসমাজে বিশেষ সম্মানভাজন