যত্ত্ব [ 8१8 ] বজ্রকলিকা পুরাকালে ইন্দ্র যখন বৃত্ৰাসুরকে নিহত করিবার জন্ত বজ্র উত্তোলন করেন, তখন ঐ বঙ্গ হইতে অগ্নিস্ফূলিঙ্গ নির্গত হইয়া ভয়ানক শব্দের সহিত পৰ্ব্বতশিখরে পতিত হয় । যে যে পৰ্ব্বতশিখরে ঐ অগ্নিকণা নিপতিত হইয়াছিল, তথায় অভ্রের উৎপত্তি হয়। বজ্ৰ হইতে ইহার উৎপত্তি বলিয়া উহার নাম বজ্র হইয়াছে। ইহা ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশু ও শূদ্ৰভেদে চারিজাতি। ব্ৰাহ্মণজাতীয় অভ্র শুক্লবৰ্ণ, ক্ষত্রিয়--রক্তবর্ণ, বৈশু-পীতবর্ণ, এবং শূদ্র কৃষ্ণবর্ণ। শ্বেতবর্ণ রৌপ্য সংস্কারবিষয়ে, রক্তবর্ণ অভ্র রসায়নে, পীতবর্ণ অভ্র স্বর্ণসংস্কারবিষয়ে এবং কৃষ্ণবর্ণ অত্র সৰ্ব্বরোগে প্রশস্ত । পিনাক, " , নাগ ও বস্ত্র এই চারি প্রকার মন্ত্ৰ। ইহার মধ্যে বজ্র নামক অভ্র অগ্নিতে নিক্ষেপ করিলে বজ্রের দ্যায় স্থিরভাবে থাকে, কোন প্রকার বিকৃত হয় না । এই অভ্র অন্য সকল অভ্র হইতে উৎকৃষ্ট । বজ্রাত্রদ্বারা জরাদিরোগ প্রশমিত হয় এবং ইহাতে অকালমৃত্যু নিবারিত হইয়া থাকে । অভ্রশোধন করিয়া ব্যবহার করিতে হয় । শোধিত অভ্রই গুণকারক। শোধিতের গুণ-কষায়, মধুররস, শীতবীৰ্য্য, আয়ুষ্কর, ধাতুবৰ্দ্ধক এবং ত্রিদোষ, ব্রণ, প্রমেহ, কুষ্ঠ, প্লীহা, উদর, গ্রন্থি, বিষ ও কৃমিনাশক । ইহা নিত্য সেবনে রোগনাশক, শরীরের দৃঢ়তাসম্পাদক, বীৰ্য্যবৰ্দ্ধক, অত্যন্ত কোমলতাজনক, পরমায়ুবৰ্দ্ধক, পুত্ৰজনক, সিংহ সদৃশ বিক্রমজনক, অকালমৃত্যুনাশক, এবং প্রত্যহ একশত স্ত্রী রমণ করিবার শক্তিজনক । অশোধিতের গুণ – মানবগণের নানাবিধ পীড়াজনক এবং কুষ্ঠ, ক্ষয়, পাণ্ডু, শোখ, হৃদগত ও পার্শ্বগত বেদন এবং শরীরের গুরুতা উৎপাদক । ( ভাব প্র০ ) { অভ্রশাদ দেপ ] ৯ কোকিলাক্ষবৃক্ষ • শ্বেতকুশ । ( রাজনি• ) ১১ সেন্থগুবৃক্ষ । ( ভাব প্র- ) ১২ খ্ৰীকৃষ্ণের প্রপৌত্র, রুক্মিণী গর্ভজাত প্রত্যুম্নের পুত্র । ( গরুড়পু০ ১৪৪ অঃ, ভাগবত ১৯৯০ অ• ) ১৩ বিশ্বামিত্রের পুত্রভেদ । ( ভারত ১৩৪৫১-৫৯ ) ১৪ বিষ্কস্তাদি সপ্তবিংশতিযোগের অন্তর্গত পঞ্চদশ যোগ । জ্যোতিষ শাস্ত্রে লিখিত আছে যে, বজযোগের আদি ৯ দণ্ড নিন্দনীয়, অর্থাৎ এই নয় দণ্ডে যা ত্ৰাদি কোন শুভ কৰ্ম্ম করিতে নাই । “ত্যজাদেী পঞ্চ বিন্ধন্তে সপ্ত শূলে চ নাড়িকাঃ। গওব্যাঘাতয়োঃ ধৰ্টু চ নৰ হর্ষণবজয়োঃ ॥ বৈধৃতিব্যতীপাতে চ সমস্তেী পরিবর্জয়েৎ ॥” (জ্যোতিস্তত্ব ) যদি কোন বালক এই যোগে জন্মগ্রহণ করে, তাহ হইলে বালক গুণী, গুণগ্রাহী, বলবান, তেজস্বী, রত্ন ও বস্ত্রাদির পরীক্ষক এবং শত্রুনাশক হইয়া থাকে । جمعیتsec---------- “গুণী গুণজ্ঞে বলবান মহৌজাঃ সত্রত্নবস্ত্রাদিপরীক্ষক; স্তাৎ । বজাভিধানে যদি চেৎ প্রস্থতো বজোপমঃ স্তাদ্রিপুকামিনীনাং ।” ( কোষ্ঠীপ্রদীপ ) ১৫ বৌদ্ধ মতে চক্রাকার চিহ্নবিশেষ । বজ্রক ( ক্লী) বজ্ৰসংজ্ঞায়াং কন্। বজ্ৰক্ষার রাজনি, ) ২ সৰ্ব্বতোভদ্রচক্রের অন্তর্গত স্বৰ্য্যভোগ্য নক্ষত্র হইতে ত্রয়োবিংশ নক্ষত্রাত্মক উপগ্রহবিশেষ । “স্বৰ্য্যভাং পঞ্চমং ধিষ্ট্যং জ্ঞেয়ং বিদ্যুন্মুখাভিধম্। শূন্তঞ্চাষ্টমগং প্রোক্তং সন্নিপাতং চতুর্দশং ॥ কেতুমষ্টাদশং প্রোক্তমুল্ক স্তাদেকবিংশতিঃ । স্বাবিংশতিতমং কম্পং ক্রয়োবিংশঞ্চ বজকম্। নিৰ্ঘাতঞ্চ চতুৰ্ব্বিংশমুক্ত অষ্টাবুপগ্রহাঃ ।” (জ্যোতিস্তম্ব) বত্ত্বকক্ষার (পুং কী ) বজ্ৰক্ষার। (বৈশ্বকনি” ) বজকঙ্কট (পুং) বজ; কঙ্কটাে দেহাবরণমস্ত। হনুমান। বজ্ৰকণ্টক (পুং ) বজ্রস্ত কণ্টকমিব তারকাং। হীরক্ষ। (জটাধর) ২ কোকিলাক্ষ বৃক্ষ, চলিত কুলেখাড়া গাছ। (রাজনি") বজকন্টশালালী (স্ত্রী) নরকভেদ। ভাগবতের মতে অষ্টাবিংশতি নরকের মধ্যে এই নরক ত্রয়োদশ । যে সকল পাপী সৰ্ব্বাভিগামী, যমলোকে তাহাদিগের এই নরকে গতি হইয়া থাকে। “যস্থিহ বৈ সৰ্ব্বাভিগমস্তমমুত্র নিরয়ে বর্তমানং বজ্ৰকণ্টকশালালীমারোপা নিষ্কর্যস্তি ॥” (ভাগবত ৫।২৬২১) বজকন্দ (পুং ) বজাকার; কন্দোহন্ত। বজ্রকর্ণ, চলিত সকর কন্দ আলু। ( রত্নমা ) ২ তালবৃক্ষের শিবোমজ্জা, তালের মাতি । ৩ বনশূৰণ, বুনে ওল । (বৈদ্ধকনি” ) বজকপটমৎ (ত্ৰি ) সুদৃঢ় দ্বারযুক্ত । বজকপলিন (পুং) বঞ্জকপালোংস্তান্তীতি ইনি। বুদ্ধবিশেষ, পৰ্য্যায়—হেরম্ব, হেরুক, চক্রসম্বর, দেব, নিশুম্ভীশ, শশিশেখর, বজ্ৰটীক । ( হেম ) বজকণ (পুং ) বজ্রকন, চলিত সকরকন্দ আলু (রুমা ) বজ্রকাঞ্জিক ( ক্লী) স্ত্রীরোগাধিকারের ঔষধবিশেষ। প্রস্তুত প্রণালী-বাজি ১ সের, কন্ধাৰ্থ পিপুল মূল, পিপুল, ওঁঠ, ধমনী, জীরা, কৃষ্ণজীর, হরিদ্র, দারুহরিদ্র, বিট লবণ, সচল লবণ এই সকল দ্রব্য মিলিত এক পল, পাকার্থ জল ৪ সের, শেষ কাথ ১ সের, যথা নিয়মে পাক করিবে। ইহা কন্ধ সহিত পেয়। ইহা সেবন করিলে স্ত্রীদিগের অগ্নিবৃদ্ধি ও আমপুল, এবং কফ নষ্ট হইয়া বল বীৰ্য্য ও স্তনচুগ্ধ বৃদ্ধি হয়। ভৈযজ্যরর") বক্তকারক (পুং ) নখী নামক গন্ধ দ্রব্য । (বৈস্তুকনি” ) বজকালিকা (স্ত্রী) বজোপলক্ষিতা কালিকা ৷ ১ মায়াদেবী। ২শাক্যমুনির মাত ।
পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/৪৭৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।