বড়গুজর
তাহাদের মধ্যে বংশামুগত কিংবদন্তী এই যে, মচেরী প্রদেশের দেবতী-রাজ্যের রাজধানী রাজোড় হইতে রাজা প্রতাপ সিংহ স্বীয় আত্মীয় ও স্বজাতীয়বর্গে পরিবৃত হইয় পিত পুরের নিকটস্থ ঘেরিয়া নামক স্থানে আসিয়া বাস করেন। কোএল নগরে তিনি দোর-জাতীয়া এক রাজপুত-কস্তার পাণিগ্রহণ করিয়া দোরবাজপুতগণের প্রতিভাজন হন । তদনন্তর তিনি দোরদিগের্ব সাহায্যে মেবার্তী ৪ ভিহর জাতিকে পদানত করিয়া বুলন্দসহরের পূর্বাংশে গঙ্গাকূলে প্রায় ২৪ শত গ্রাম অধিকার করেন। মৃত্যু সময়ে তিনি বুলদসহর জেলাৰ পহাসুর নিকটবৰ্ত্তী চেন্দেবা নগরে স্বীয় রাজপাট স্থাপন করিয়াছিলেন। রাজা প্রতাপের জতু ও রাণু নামে দুই পুত্র ছিল। জতু রোহিলখণ্ডের অন্তর্গত কাতিহার নামক স্থানে এবং রাণু চেন্দেরায় রাজপাট স্থাপন করিয়া পৈতৃক সম্পত্তি শাসন করিয়াছিলেন। কনৌজের রাঠোর-রাজবংশের আখ্যায়িক হইত্তে জানা যায় যে, রাঠোরপতি নয়নপালেব পৌত্র ভরত বড়গুজরসর্দার বন্দ্রসেনের নিকট হইতে কনকশির রাজ্য অধিকার করিয়া লন। বংশতালিকাকথিত নয়নপাল খৃষ্টীয় ৫ম শতাদে বিদ্যমান ছিলেন । কাতিহাব এবং অতুপসহরের বড়গুজবের অস্থাপিও আপনাদের কুলধৰ্ম্ম প্রতিপালন করিা আদিতেছে । কিন্তু অন্যান্ত স্থানেল, বিশেষতঃ মুজঃফরনগরের বড়গুজরের আলাউদ্ধান পলঞ্জাব রাজাকালে ইসলামধৰ্ম্ম গ্রহণ করিয়াছে। তাহা হইলেও তাহারা রাজপুচকুলের গৌরবজ্ঞাপক ঠাকুর উপাধি পরিত্যাগ করে নাই, তাই এখনও ঠাকুর আকবর আলী খা, ঠাকুর মর্দন আলী খাঁ প্রভৃতি নামেরও প্রচলন দেখা যায়। অনেকে মুসলমান হইলেও হিন্দুর হোলিপৰ্ব্বে মদ্যাদি পান সহকরে বিশেণ আমোদপ্রমোদ করিয়া থাকে ; এই প্রথার কিন্তু ক্রমশঃ হ্রাস ঘটিতেছে । বিবাহেব সময় ইষ্ঠার গৃহদ্বারে একটা কাহার রমণীর প্রতিমূৰ্ত্তি চত্রিত করিয়া থাকে। প্রবাদ– কোন কাহারিন চাকরাণীর নিদেশ অনুসারে তাহদের কোন পূৰ্ব্বপুরুষ মেবার্তাদিগকে ধ্বংসমুখে পতিত করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন, সেই ঘটনা স্মরণ করিয়া আজিও তাহবো কাহার রমণীকে এইরূপে সন্মান করিয়া থাকে । মুজঃফরনগরবাসী বড় গুজরের বলে যে, তাহার আলবাব রাজ্যের দক্ষিণস্থ দেবদেশ্বর নামক স্থান হইতে সর্দার কুমারসেনের সহিত এখানে আসিয়াছে। এখনও তাহারা উক্ত কুমারসেনের পূৰ্ব্বপুরুষ “বাবা মেঘার” স্মরণার্থে উৎসব করিয়া থাকে। তাহার। প্রধানতঃ গহলোত, ভটি, তোমর, চৌহান, কাতিহার, চাণবার ও পণ্ডিব রাজপুতকে কস্তা দেয় এবং গহলোত, [ وليو 8 ] বড়নগর বাছল, পণ্ডির, চৌহান, বাঈ, জঙ্গার প্রভৃতি শ্রেণীর কন্ত৷ গ্রহণ করে । বড়গেনহল্লী, দক্ষিণ-ভারতের মহিমুর-রাজ্যের বঙ্গলুর জেলার অন্তর্গত একটী নগর। অক্ষা" ১৩২৮ উঃ এবং দ্রাঘি• ৭৭৫২ পূঃ । এখানে মিউনিসিপালিটী থাকায় নগরের উত্তরোত্তর প্রবৃদ্ধি সাধিত হইতেছে। স্থানীয় তুলা ও আলুর ব্যবসা লিঙ্গায়তগণ এক চেটিয়া করিয়াছে। বড়গোখুরী ( 37°5 ) gift-R (Kyllingia umbellata) বড়চকৃমা ( QF-15 ) ğ"FTER (Quercus squamosa) { KIŞEHI ( Gris ) biors" (Cicer arietinum) i বড় চুয়া ( দেশজ ) ইন্দুরভেদ (Mus decumanus) | বড়চুলী { casts ) azia rotē (Menyanthes Indica) i বড়ছুচা ( CR-B ) ğ TER (Cyperus Iria) ! «golzīrāt ( Cos) ofton (Panicum setigerum) : qgūsm ( GT-R ) oặTISH (Tabernæmontana coro naria) বড়ডানকুনা ( Così ) worst (Clupen vittata) বড়নগর, পশ্চিম-ভারতের গুজরাত-প্রদেশের বড়োদা রাজ্যের অন্তর্গত কড়ি জেলার একটা উপবিভাগ। ভূপরিমাণ ৭৬ বর্গমাইল । এখানকার উত্তরপশ্চিম সীমায় যে খাড়ি আছে, তাহার জল ঈষৎ লবণাক্ত হওয়ায় পানেৰ অনুপযোগী হইয়াছে। প্রায় ৮০ হইতে ১০০ ফিটু গভীর কুপ-থনন না করিলে সুমিষ্ট জল পাওয়ার আশা করা যায় না। ২ উক্ত উপবিভাগের প্রধান নগর । বিশ নগর হইতে ৪॥৩ ক্রোশ উত্তরপূৰ্ব্বে অবস্থিত। প্রবাদ, অযোধ্যার স্বর্যবংশীয় কোন রাজা ১৪৫ খৃষ্টাব্দে অযোধ্য রাজধানী পরিত্যাগপূর্বক এই স্থানে আগমন করেন এবং পরমারবংশীয় কোন রাজকুমারের নিকট হইতে এই স্থান জয় করিয়া তথায় বড়নগর রাজধানী স্থাপন করিয়ছিলেন । নাগরগোত্রীয় রাজগণের রাজধানী আনন্দপুরেই এই বড়নগর স্থাপিত হয়। এই বড়নগরের নাম হইতেই এখানকার ব্রাহ্মণগণ নাগর ব্রাহ্মণ নামে পরিচিত। আনন্দপুরে ২২৬ খৃষ্টাব্দ পর্য্যন্ত নাগরগোত্রীয়দিগের প্রাদুর্ভাব ছিল । [ দেবনাগর দেখ। ] চীন-পরিব্রাজক হিউএন সিয়াং খৃষ্টীয় ৭ম শতাৰে এই নগরের সমৃদ্ধি ও জনতার উল্লেখ করিয়া গিয়াছেন। বহুকাল হইতে এখানে বড়োদা-রাজের আশ্রিত দীনোজ ব্রাহ্মণগণ বাস করিতেছে। তাহারা কদাচারী ও দস্থাপ্রকৃতিক, ঐ ব্রাহ্মণদিগের অত্যাচার ও উপদ্রবের পরিচয় পাইয়া বোম্বাই গবর্মেন্ট সয়াজী মহারাজের রাজত্বকালে তাহাদিগকে বড়োদা দরবারের