বিশ্ববিদ্যালয় ' [ 8१ } বিশ্ববিদ্যালয় ৪ অত্ৰিগোত্রজী বিশ্ববার নাম্নী রমণী : ইনি ঋগ বেদের ৫ম • মণ্ডলের ২৮ হুক্তের ১ম হইতে ৬ষ্ঠ খকের ঋষি ; ঐ ঐ ঋকে ইহার সম্বন্ধে এইরূপ লিখিত আছে,-- “অগ্নি প্ৰজলিত হইয়। আকাশে দীপ্তি বিস্তার করেন এবং উষার সম্মুখে বিস্তৃতভাবে প্রদীপ্ত হয়েন, বিশ্ববাবা পূৰ্ব্বাভিমুখী হইয়া দেবগণের স্তবোচ্চারণ পূৰ্ব্বক ব্যপাত্র লইয়া (অগ্নির অভিমুখে ) গমন করিতেছেন ; হে অগ্নি ! তুমি সম্যক্রূপে প্রজ্বলিত হইয়া অমৃতের উপর আধিপত্য কর, তুমি হবাদাতার কল্যাণ বিধানাথ ঠাহীর নিকট উপস্থিত থাক ; তুমি যে যজ মানের নিকট বর্তমান থাক, তিনি সমস্ত ধনলাভ করেন এবং ! ৰোমার সম্মুখে অতিথিযোগ্য হবা প্রদান করেন। হে অগ্নি ! আমাদিগের বিপুল ঐশ্বৰ্য্যের নিমিত্ত শক্রগণকে দমন কর। তোমার দীপ্তি সকল উৎকর্ষ লাভ করুক, তুমি দাম্পত্য সম্বন্ধ স্বগৃঙ্খলাবদ্ধ কর এবং শক্রগণের পরাক্রম আক্রমণ কর। ठेऊाप्ति” বিশ্বকাৰ্য্য (ত্রি) বিশ্বকার। ( ঋক্ ৮১৯১১) বিশ্ববাস (পুং । ১ সৰ্ব্বলোকের আবাসভূমি। ২ জগৎ। বিশ্ববাহু (পুং ) ১ মহাদেব। ( ভা’ ১৩৷১৭৫৮ ) ২ বিষ্ণু । ( ভা” ১৩১৪৯৪৭) বিশ্ববিখ্যাত ) জগদ্বিখ্যাত, সৰ্ব্বত্র প্রসিদ্ধ। বিশ্ববিজনিন (লি) সন্ম শল। বিশ্ববিদ (বি)১ সৰ্ব্বজ্ঞতা লাভে সমর্থ। "বিশ্ববিদং বিশ্ববেদন সমর্থাং বিশ্বৈবেদনীয়াং বা ' (ঋক্ ১১৬৪১ • সায়ণ ) ৩ সৰ্ব্বস্ত্র । ৪ সৰ্ব্ববিষয়ের বিজ্ঞাপক । “বিশ্ববিদ বিশ্বং জানস্তেী বিশস্ত বেদয়িত্রেী বা ।” ( ধক ৬৭০৬ সায়ণ ) বিশ্ববিদ্যালয়, যে স্থানে বহু বাদশ ইষ্টতে ছালে কাসিয়া উচ্চ অঙ্গেৰ সকল বিদ্য শিক্ষা কলে, তাহাকেই বিশ্ববিদ্যালয় বলা । হয় এ শব্দটা বৰ্ত্তমান কালের রচনা । ইংৰাজী Thiversity বলিলে যে অর্থ বুঝায়, বাঙ্গালায় বিশ্ববিদ্যালয় বলিলে আমবা এখন সেইরূপ অর্থ বুঝি। বাস্তবিক ৫- ৬০ বর্ষ পূৰ্ব্বে ‘বিশ্ববিদ্যালয়' শব্দটী ভারতবর্যে প্রচলিত ছিল না। অতি পূৰ্ব্বকাল sērs? siqzzzá ofana” ( Council of education ) বলিয়া একটা স্বত্য জিনিষ ছিল, তাহা হইতেই বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্য্য পরিচালিত হইত। উপনিষদে মামথ ঐৰূপ পরিষদের উল্লেখ পাই । ভারতবর্যের মধ্যে কাশ্মীরেই সৰ্ব্বপ্রথম ‘পরিষদ বা বেদাধ্যাপনার উচ্চ সভা প্রতিষ্ঠিত ইষ্টাছিল। • শাখায়নব্রাহ্মণে তাহার এইরূপ আভাস পাওয়া যায়-- | | | | “পথ্যাস্বস্তিরুদীচী দিশং প্রাজানাং । বাগ বৈপথ্যস্বস্তি । তন্মাহুদীচ্যাং দিশি প্রজ্ঞাততর বাগুস্ততে। উঞ্চে উ এব যান্তি বাচং শিক্ষিতুং। যে বা তত আগচ্ছতি তন্ত বা শুশ্ৰষন্তে ইতি ম্মাহ । এষা হি বাচো দিকৃপ্রজ্ঞাত৷ ” (শাশ্ব ব্রা ৭৬ ) ভাষ্যকার বিনায়ক উটু লিখিয়াছেন,-“প্রজ্ঞাততরা বা গুপ্ততে কাশ্মীরে সরস্বতী কীৰ্ত্ততে। বদরিকাশ্ৰমে বেদখোষ: শ্ৰয়তে। বাচং শিক্ষিতুং সরস্বতী প্রসাদাৰ্থমুদ্গঞ্চে ।” সুতরাং ভাষ্যানুসারে উক্ত ব্রাহ্মণাংশের এইরূপ অনুবাদ করা যাইতে পারে— “পথাস্বস্তি উত্তরদিক্ অর্থাৎ কাশ্মীরদেশ জানেন । পথ্যাস্বস্তিই বাক্ অর্থাৎ সবস্বতী । কাশ্মীরই সারস্বত স্থান বলিয়া কীৰ্ত্তিত হষ্টয় থাকে। লোকেও সেইজন্ত কাশ্মীরে বিস্কা শিক্ষ করিতে যায়। এইরূপ প্রবাদ আছে যে, যে লোক ঐ দিক্ হইতে আসিয়া থাকেন, সকলে তিনি বলিতেছেন এই বলিয়া তাহার ( উপদেশ ) শুনিতে ইচ্ছা করেন। কারণ ঐ স্থান বিস্তার স্থান বলিয়া প্রসিদ্ধ । এখন যেমন অক্সফোর্ড, লিপসিক প্রভৃতি যুরোপীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তীর্ণ ছাত্র বা অধ্যাপকের কথা যুরোপীয় মাত্রেই আদরে ও যত্নের সহিত শুনিয়া থাকেন, এখনও যেমন কাশী বা নবদ্বীপ হইতে শিক্ষিত ও উচ্চ উপাধিপ্রাপ্ত পণ্ডিতমণ্ডলী ভারতের সর্বত্র আদৃত হইয়া থাকেন, বৌদ্ধপ্রাধান্তকালে যেমন নালদের পরিষদ ইষ্টতে উত্তীর্ণ ও সম্মানপ্রাপ্ত আচাৰ্য্যগণ বৌদ্ধজগতের সর্বত্রই শ্রেষ্ঠ সম্মান লাভ করিতেন এবং তঁtহাদের উপদেশ বেদবাকাখত বৌদ্ধসমাজ আগ্রহের সহিত শ্রবণ করিতেন, বৈদিক সময়ে অর্থাৎ ৪৫ হাজাৰ বৰ্ম পূৰ্ব্বে ভারতবাসী সেইরূপ BKBB BYYBB BB BB BBBB S BB BBBB BBB হয় কাশ্মীর লিষ্ঠার আদস্থ}ম বা সারদাপীঠ বলিয়া পরিচিত । এখন যেমন উচ্চ-শিক্ষার জন্য বিভিন্ন সহবে বা রাজধানীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা দেখা যায় । পুৰ্ব্বকালে ভারতে এরূপ জনবহুল স্থানে বা বুজখুনীতে এরূপ উচ্চ শিক্ষাল ব্যবস্থা ছিল না। উপনয়নের পরষ্ঠ দ্বিজাতিকে নি জন অবণ্যধেষ্টত গুকল আশুমে গিয়া ব্রহ্মচর্য অবলম্বনপূৰ্ব্বক অবস্থান করিতে হইত। ধিনি সকল উচ্চবিদ্যার পাণ্ডিত্যলাভে অভিলাষী ছিলেন,তাহাকে ৩৬ বৰ্ষ কাল গুরুগৃহে থাকিতে হইত। উচ্চ শিক্ষার্থীর আশ্রমস্থান প্রথম কাশ্মীরে সারদাপীঠ, তৎপরে বদরিকাশ্রমু এবং পেপাণিক যুগে নৈমিধারণ্য নিদিষ্ট ছিল । উক্ত স্থানত্রয় ইষ্টতেই ভারতবর্ষীয় সহস্ৰ সহস্ৰ আচার্যের অভু্যদয় ঘটয়াছিল। "টুরিংশদাধিকং চং থাই ত্ৰৈবেদক ব্ৰত।" (ম ৩১)
পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/৪৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।