বধ [ 888 J বধক エニエ প্রবাসন, পরাসন, নিসূদন, নিহিংসন, নির্বাসন, সংজ্ঞপন, নিগ্রন্থন, অপাসন, নিস্তর্ষিণ, নিহনন, ক্ষণ, পরিবর্জন, নির্বাপণ, বিশসন, মারণ, প্রতিঘাতন, উদ্বাসন, প্রমথন, ক্রথন, উজ্জাসন, আলস্ত, পিঞ্জ, বিশর, ঘাত, উন্মস্থ, হিংসা, ঘাতন, বিদারণ, পিঞ্জক, পাত, পরিঘ, পরিঘাতম, কদন, নিবারণ, সমাঘাত, fสิร์ฐส, মারি, মারী, উৎপাত, মারক, মরক, মার, সংঘাত । ( শব্দবত্বা” ) কোন প্রাণীকে বধ করিলে পাপ হইয়া থাকে । কিন্তু আততায়ী শত্রকে বধ করিলে পাপ হয় না । “মাততায়িবধে দোষে হস্তুর্ভবতি কশ্চন।” ( গীতায় ১২৬ টীকায় স্বামী ) পারিভাষিক বধ-- “বপনং দ্রবিণাদানং দেশান্নিৰ্যাপনং তথা । এষ হি ব্ৰহ্মবন্ধ,নাং বধো নান্তোহস্তি দৈহিক: " ( ভারত দেীপ্তিকপ” ) ব্রাহ্মণদিগের মস্তকমুগুন, সমস্তধন গ্রহণ এবং দেশ হইতে নিৰ্ব্বাসন করিয়া দিলে, তাহতেই তাহাদিগের বধ হয় । ইহাকে পরিভাষিক বধ কহে । কলিকাপুরাণে লিখিত আছে যে, যে স্থলে এক ব্যক্তিকে বধ কবিলে অনেকের মঙ্গল হয়, সেই বধ পুণ্যপ্রদ এবং স্বর্ণচৌর, তুর্যপায়ী, ব্ৰহ্মহত্যাকারী, গুরুপত্নীগামী এবং তাত্মিঘাতী এই সকল ব্যক্তিকে বধ করিলে তাঙ্গতে পাপ হয় * ম এবং এই বধ ও পুণ্য প্রদ বলিয়া অভিহিত হইয়াছে।
- একস্ত যত্ৰ নিধনে প্রান্ত দুষ্টকারিণ: | ব্যুনা ভপতি ক্ষেমং তস্ত পুণ্য প্রদে বধঃ ॥ কুকুস্তেমী সুরাপশ্চ ব্রহ্মস্থা গুরুতল্লগঃ । আত্মান ঘতিয়েদনস্থ তস্য পুণ্য প্রদে বধ ॥"
( কালিকাপু০ ২৯ অ” ) একের জন্ত বহুকে বধ কলিতে নষ্ট, কিন্তু বহুলোকের শান্তির জন্য একজনকে বধ করা সাইন্তে পারে, তাহাতে iপ হয় না । “নৈকস্তার্গে বয়ন হন্তাদিতি শাস্থেষু নিশ্চয় । একং হন্যাদবহুনাং হি ন পাপী তেন জায়তে ॥” ( বামনপু০ ৪৫ অ” ) বধ এবং বন্ধন পূৰ্ব্বকৰ্ম্মের বগু, অর্থাৎ পূৰ্ব্বকৰ্ম্মানুসাবেই রপ ও বন্ধন হইয়া থাকে । “ন কশ্চিন্তাত কেনাপি বধ্যতে হস্ততেহপি বা । বধবঙ্গে পূৰ্ব্বকৰ্ম্মবঙ্গে নৃপতিনন্দন ॥” ( বামনপু: ৬২ অ’) স্মৃতিতে বৈধহিংসা বিচারস্থলে অভিহিত হইয়াছে যে, যজ্ঞাদিতে যে পশুবধাদি করা হয়, তাহাতে পাপ হয় না, বৈধহিংসা ব্যতীত হিংসা করিলেই পাপ হইয়া থাকে। যজ্ঞার্থ যে বধ তাহা অবধ । “যজ্ঞার্থে পশবঃ সৃষ্টা: যজ্ঞার্থে পশুঘাতন: | অতত্ত্বাং ঘাতয়িষ্যামি তন্মাযজ্ঞে বধোহবধ: ॥” (স্থতি ) কিন্তু সাংখ্যদর্শনের সাংখ্যতত্ত্বকৌমুদীতে বাচস্পতি মিশ্র লিথিয়াছেন যে, যজ্ঞাদিতে পশুবধ করিলে পাপ ও পুণ্য দুই হইবে, বধজন্ত যে পাপ তাহা হইবে এবং যজ্ঞের পূর্ণতাজন্ত যে পুণ্য তাহাও হইবে ; সুতরাং পশুবধে পাপ ও পুণ্য দুইই আছে। যজ্ঞপূর্ণ হওয়ায় স্বৰ্গভোগ এবং পশুবধজন্ত পাপভোগ অবশুম্ভাবী। তবে যজ্ঞে পুণ্যের ভাগ অধিক এবং পাপের ভাগ কম, সুতরাং অনেক সুখভোগ করিয়া অল্পমাত্র কষ্টভোগ করা তত দুঃখজনক নহে । [ বিশেষ বিবরণ হিংসা শব্দে দেখ ] অজ্ঞানতঃ গো প্রভৃতি বধ করিলে তাহার প্রায়শ্চিত্ত করিতে হয় । প্রায়শ্চিত্ত করিলে বধজন্ত পাপ হইতে মুক্তিলাভ করা যায়। যজ্ঞাদি ভিন্ন অন্তস্থলে বধ করিলেই প্রায়শ্চিন্তু করিতে হইবে। বধক (পুং ) হস্তীতি হন্-কুন ( হনো বধশ্চ । উণ, ২৩৬ ) ইতি বধাদেশ: ১ বধকৰ্ত্ত, বধকারী । ২ হিংস্ৰ । ৩ ব্যাধি । ৪ মৃত্যু ৷ ( সংক্ষিপ্তসার উণ” ) বধক, ( বধিক ) উত্তরপশ্চিমপ্রদেশবাসী জাতিবিশেষ, দস্থ্যবৃত্তি ইহাদের প্রধান উপজীবিকা, ছলে ভুলইয়া অসহায় পথিক অথবা তীর্থযাত্রীদিগকে বধ করে বলিয়৷ ইহারা বধক নামে পরিচিত ; কিন্তু জাতিগত সাদৃশ্বে বাওয়ারিয়া ও বহেলীয়াদিগেব অনুরূপ। সুধু ইহীদের মধ্যে রাজপুতদিগেরই আধিক্য দৃষ্ট হয়। বৰ্ত্তমানকালে অনেক ধৰ্ম্মভ্রষ্ট মুসলমান ও ইহাদের দলভূক্ত হইয়াছে। মথুরা, পিলিভিং ও গোরখপুর জেলায় এই দ্যুদিগের বাস আছে । ইংরাজশাসনে ইহার এক্ষণে অনেকটা শাস্তভাব ধারণ করিয়াছে । ইহারা সময়ে সময়ে ব্রাহ্মণ, ভিক্ষক অথবা বৈরাগীব বেশে তীর্থযাত্রীদিগের সহিত গমন করে এবং আবখ্যকমত তীর্থক্ষেত্রে যাত্রীদিগের তীর্থকাৰ্য্য সম্পন্ন করে। এই অবসরে ইছারা দক্ষিণ ও প্রণামীরূপে বলপূৰ্ব্বক অর্থ আদায় করিবার চেষ্টা পায়। অনেক সময়ে যাত্ৰাদিগকে ধুতুরা সংযুক্ত প্রসাদ সেবন করাইয় তাহাদিগের যথাসৰ্ব্বস্ব অপহরণ করিয়া লয়। কালীমাতা ইছাদের প্রধান উপাস্ত দেবতা । ইহার দেবী পূজায় ছাগ বলি দেয়, ছাগমাংস ব্যতীত শৃগাল, খেকশিয়াল ও গোধাদি সরীস্থপমাংস ইহারা ভক্ষণ করিয়া থাকে। ইহাদের বিশ্বাস, শৃগালমাংস ভক্ষণ করিলে শীতকালের রাত্রিতে বিচরণ