বনমানুষ লইয়া এক খানি কুড়ে ঘর প্রস্তুত করে। বরখানির ব্যাস ২ ফিট । ইহারা গাছের ডালগুলি চেটাই বুনার স্তায় এড়ো ও লম্বাভাবে সাজায়। বন মধ্যে রাত্রি যাপন করিতে হইলে মানুষকে কুঠার বা ছুরীর অভাবে বৃক্ষশাখা দিয়া যেরূপ "ছৎরি” প্রস্তুত করিয়া মুখে শয়ন করিতে হয়, ইহারাও ঠিক তদনুরূপ ঘরের পাটাতন করে। তৎপরে তাহার উপর গাছের কচি ও কোমল পাতা বিছাইয়া সেই কোমল শয্যায় ইহারা চিৎ হইয়া শুইয়া থাকে। নিদ্রাকালে ইহার হাত বা পা বাড়াইয়া নিকটস্থ অপেক্ষাকৃত দৃঢ় শাখা ধরিয়া স্বপে নিদ্রা যায়। যতদিন পর্যন্ত এই পত্রগুলি শুকাইয়া ছিন্ন ভিন্ন না হয়, ততদিন তাহারা স্বচ্ছন্দে তদুপরে গুইরা থাকে ; কারণ বৃক্ষশাখাগুলি পল্লববিচু্যত হইলে সহজেই অসুখদায়ক হইয়া থাকে। বোধিও স্বীপবাসী ওরঙ্গগণ অত্যন্ত বিবাদপটু। বনমধ্যে ফল ফুল থাইতে যাইয়া কোন সামান্ত কারণে বিবাদ উপস্থিত হইলে তাহারা আপনাপন শৌবন দন্ত স্বারা পরম্পরে কামড়াকামড়ি করিয়া ক্ষত বিক্ষত হয় । ঐ শৌবন-দস্ত তাহীদের আত্মরক্ষার অস্ত্রস্বরূপ। বিরোধের সময় তাহারা শত্রুর হাত বা মাথা টানিয়া লইয়া হাতের অঙ্গুলিগুলি অথবা ওষ্ঠস্বয় কামড়াইয়া লয়। যদি কখন কোন মনুষ্য বা হস্তী ঘটনাক্রমে তাহদের বাসার সম্মুখে আসিয়া পড়ে, তাহা হইলে তাহারা তাহাদের তাড়াইয়া দিবার জন্য বৃক্ষের শাখা ও প্রস্তরখণ্ড লইয়া তাহাদের , উপর সবেগে নিক্ষেপ করিতে থাকে । হস্তিগণ পাছে গাছ ভঙ্গিয় তাহদের বাসা নষ্ট করিয়া দেয়, এই ভয়ে তাহার হস্তী দেখিলেই তাড়াইতে অগ্রসর হয় । সময় সময় তাহারা বনমধ্যগামী অসহায় পথিকদিগকে অপব সিংহদিগকে উপরোক্ত রূপ শস্ত্রে পরিবৃত হইয়া আক্রমণ করে। কুভিয়ার ও কাপ্তেন পাইনের বর্ণনা জানা যায় যে, এক সময়ে তাহারা নিগ্রো বালিকাদিগকে হরণ করিয়া বন মধ্যে লুকাইয়া রাখিয়াছিল। পিঞ্জরাবদ্ধ শিম্পাঞ্জীর অমুকরণপ্রিয়তা ও মুবুদ্ধির পরিচয় পাইয়া ডাঃ টুেল বলেন যে, তাহাদের স্বভাব বড়ই বিস্ময়প্রদ। তাহা পৰ্যবেক্ষণ করিয়া নিত্যই নূতন গল্প সঙ্কলন করা যাটতে পারে। তাহারা সহজেই বশীভূত হয়, এমন কি, যাহারা তাহাকে ভালবাসে, তাহার পাশ্বে বসিয়া ভোজন করে, যে ব্যক্তি নিরস্তুর তাহদের জালাতন করে, তাহাকে দেখিলেই বিরক্তিভাল প্রকাশ করিয়া সরিয়া যায়। য়ুরোপীয় প্রথায় তাহারাও করমর্দন করিয়া আনন্দ জ্ঞাপন করিয়া থাকে। তাহদের গাত্রচৰ্ম্ম লোমবহুল হইলেও, তাহারা শীতপ্রধান স্থানে বাস করিতে ভালবাসে না। শীতপ্রধান যুরোপখণ্ডে তাহার কাল জড়া [ & 28 1 বনমানুষ ইয়া মুখে পড়িয়া থাকে। রাগিয়া উঠিলে তাহার ੇ চিৎকার করে এবং সুমিষ্ট খাবার পাইলে তাহার “হাম, ছাম” শব্দ দ্বারা আনন্দ প্রকাশ করিয়া থাকে। fજાફી ) শরাবক হইতে সর জেমস্ ব্ৰুকু কলিকাতাস্থ বেঙ্গল এসিয়াটিক সোসাইটীর যাদুঘরে ৭ট দীর্ঘাকার বনমামুষের কঙ্কাল পাঠাইয় দেন। মিঃ ব্লাই উহাদের পার্থক্য লক্ষ্য করিয়া ab fèfèr, «If* fûtô* *fá£fraga,—s Pithecus Brookei বা মিয়াস রম্বি ; ২ P. Satyrus বা মিয়াস পাপ্পান ; ৩ P. Curtus i fratrị gifta; s P. morio il fants *** এবং P Owenii, ঐ সকল বিভিন্ন থাকের বনমানুষ ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জের বিভিন্ন অংশে বাস করে । সুমাত্রার উত্তরাংশে P. morio qq; forsiteto P. Owenii astfSH It" (Roð ty i strzostw után o tot Simia Satyrus s S, morio নামের দুই জাতীয় বনমানুষের উল্লেখ করিয়াছেন । পশ্চিম আফ্রিকার গিকুন নদীতীর প্রদেশবাসী T. gorilla ও T, nigar থাকের শিম্পাঞ্জী ও গরিলা জাতির বিস্তৃত বিবরণ স্থানান্তরে দ্রষ্টব্য। [ বানর দেখ। -
পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/৫০৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।