বয়নবিদ্যা [ ¢२० 1 বয়নবিদ্যা নিকট ১• পল পরিমিত সূত্রগ্রহণ করে এবং বস্ত্রাধিকারীকে ভক্তমগুমিশ্রণের জন্য ১১ পলমান বস্ত্র না দেয়, তাহা হইলে রাজদণ্ডাম্বুসারে সে ১২ পল দিতে বাধ্য হইয়া থাকে। “তত্ত্ববায়ো দশপলং দস্তাদেকপলাধিকম্। অতোহন্তথা বর্তমানো দাপো দ্বাদশকং দমম্ ॥” (মমু ৮৩৯৭) উপরোক্ত তুলার পরিমাণ দৃষ্টি উপলব্ধি হয় যে, তৎকালে যে সকল প্রমাণ বস্ত্র প্রস্তুত হইত, তাহা দীর্ঘ ও প্রস্থে প্রায়ই বর্তমান প্রমাণ বস্ত্রের অমুরূপ ছিল । তৎকালে কাপাস, রেশম ও পশমী বস্ত্রের বহুল ব্যবহার ছিল। র্তাহারা জলপ্রক্ষালন দ্বারা কার্পাসবক্স এবং ক্ষারজমৃত্তিকা দ্বারা রেশমী ও পশমী বস্ত্র বিশুদ্ধ করিয়া লইতেন — “অদ্ভিস্থ প্রোক্ষণং শৌচং বহুনাং ধান্তবাসসাম্। প্রক্ষালনেনত্বল্পানীমস্তি: শৌচ বিধীয়তে ॥ চেলবৎ কৰ্ম্মাণাং শুদ্ধির্বৈদলানাং তথৈব চ। শাকমূলফলানাঞ্চ ধান্তবং শুদ্ধিরিষ্যতে ॥ কোঁষেয়াবিকয়ারূষৈ: কুতপানামরিষ্টকৈ: | ঐফলৈরংগুপট্রানাং ক্ষেীমানাং গেীরসর্ষপেঃ ॥ ক্ষৌমবং শঙ্খশৃঙ্গানাং অস্থিদন্তময়ন্ত চ | শুদ্ধিৰ্বিজনিত কাৰ্য্যা গোমূত্রেনোদকেন বা ॥” ( মনুসংহিতা ৫।১১৮-১২১ ) উক্ত গ্রন্থের ১০ম অধ্যায়ে ৩৫ ও ৫২ শ্লোকে নিষাদচণ্ডালাদি হীনজাতীয়ের মৃতচেল পরিধানের বিধি আছে ; কিন্তু অষ্ঠের পক্ষে মৃতের বাস ত দুরের কথা-বুজককর্তৃক ভ্রমক্রমেপ্রদত্ত পরবাসও গ্রহণ করিতে নাই। মনুসংহিতায় উহার নিষেধবচন বিধিবদ্ধ আছে,— “শান্মলী ফলকে শ্লক্ষে নেনিজ্যান্নেজক: শনৈ: | ন চ বাসাংসি বাসোভিনিহিরেন্ন চ বাসয়েৎ ॥” ৮৩৯৬ শ্লোক তৎকালে কুসুস্তাদি দ্বারা রক্তরজিত শাণক্ষৌমাজিনাদি নিৰ্ম্মিত বস্ত্র + বিক্রয় ব্রাহ্মণের পক্ষে বিশেষ নিষিদ্ধ ছিল ( মমু ১০৮৭ ) । এই সকল আলোচনা করিলে বেশ বুঝা যায় যে, বৈদিকযুগ হইতে স্থতিযুগ পর্যন্ত ভারতীয় আৰ্যসমাজে বয়নঘন্ত্রও বয়নবিষ্কার
- costa diots; so Kosa,—“No trace of linen cloth made from flax is to be found in Manu or in any other earlier works of the Hindus, and it is probable that flax has never been made from the linseed plant for the manufacture of yarn for weaving. frv মনুসংহিতায় ১৯৮৭ গ্লোঙ্কের "সৰ্ব্বঞ্চ তাওবং রইং শপিং ক্ষোমাষিকানি চ ( চরণ পাঠ করিলে সেকথা মনে হয় না, বরং ভারতবাসী আধাদিগকে সকল প্রকার সরু ও মোট স্বত্রে
বস্তুবুলিতে স্বাক্ষ বলিয়াই বিবেচনা করা যায়। প্রভূত প্রচলন ছিল। পরবর্তী পৌরাণিক যুগে তাহার প্রভাৰ আরও বিস্তৃত দেখা যায়। রামায়ণ ও মহাভারতাদি ঐতিহাসিক মহাকাব্যে এবং পুরাণাদি শাস্ত্রগ্রন্থে বিভিন্ন বর্ণরঞ্জিত বস্ত্রের বহুল ব্যবহারের প্রমাণ আছে ; কিন্তু স্থঃখের বিষয় তাহার কোন নিদর্শন নাই । t, যদি জগতের প্রাচীন বস্ত্রশিল্পের নিদর্শন দেখিতে হয়, যদি জগতের সৰ্ব্বপ্রাচীন তাতের অস্তিত্ব উপলব্ধি করিবার আবশুক হয়, তাহা হইলে একবার প্রাচীন মিশররাজ্যের দিকে দষ্টি নিঃক্ষেপ করিলে সকল সন্দেহই মিটিয়া যাইবে । তাক Rif-ofETH NEKI (Mummy pits of Egypt ) wxrista করিলে আজিও শবাচ্ছাদিত বস্ত্রের (মড়াজড়ান কাপড়) প্রভূত নিদর্শন পরিলক্ষিত হইবে । মিশরের এই লিনেন বস্ত্র পরিচ্ছন্ন ও দীর্ঘকাল স্থায়ী দেখিয়া তথাকার লোকে সমাদরে উহাকে শবদেহের অস্ত্যেষ্টি-ব্যাপারে নিয়োজিত করিয়াছে। রোজেটর প্রস্তরলিপি হইতে জানা যায় যে, তথাকার রাজসরকার হইতে পুরোহিতদিগকে তাহাদের চিরপ্রিয় কাপাসবন্ত্র দেওয়া হইত। তথাকার উচ্চশ্রেণীর সম্রাস্তলোকেরা কাপাস ও পশমী বাস পরিধান করিত এবং দরিদ্রগণ একমাত্র পশমী বস্ত্রই অঙ্গে ধরিত। এই পশমী বস্ত্র ভারী ও তাহাতে পোকা লাগে বলিয়া তথাকার পুরোহিত সম্প্রদায় লিলেনবস্ত্রেরই বিশেষ পক্ষপাতী ছিলেন। হিব্রু জাতির ধৰ্ম্মযাজক ও পদস্থ সন্ত্রাস্ত ব্যক্তিগণ উৎকৃঃ লিলেন বস্ত্রই ব্যবহার করিতেন। বাইবেল গ্রন্থের ইংরাজী অনুবাদে র্তাহাদের যে রেশমী বস্ত্র ব্যবহারের কথা আছে, তাহা সম্পূর্ণ প্রামাদিক, কেন না, প্রাচীন হিব্রু বা আসীরীয়দিগের মধ্যে রেশম ব্যবহারের বিশেষ কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না । #*Irg# British museum RR# sf## zifỂR ## লিলেন বস্ত্রের যে নিদর্শন আছে, তাহার স্বতা ১ পাউণ্ড ওজনে প্রায় ১০০ হাঙ্ক ( Hank ) এবং ১ ইঞ্চ স্থানের মধ্যে টানায় (warp ) ১৪০ খাই ও পোড়েনে ( woof ) ৬৪ খাই স্থত বিদ্যমান রহিয়াছে। থেবিস নগরে ও অন্যান্য স্থানে প্রাচীন মিশরীয় তাতের যে সকল নমুনা বিদ্যমান আছে, তাহার বয়ন-প্রণালী অবিকল ভারতীয় তীতেরই অনুরূপ, কেবল প্রভেদের মধ্যে এই যে, মিশর-দেশীয় তাত খাড়া-ভাবে পাতা (vertical), আর ভারতীয় তাত পাটাভাবে পাড়া ( Horizontal ) ৷ পাশ্চাত্য পণ্ডিতগণের বিশ্বাস, স্মরণাতীত কাল হইতে ভারতীয় আৰ্য্যগণ যে প্রথায় বস্ত্রবয়ন করিয়া আসিতেছেন, সেই চিরন্তন প্রথালিদ্ধ তাত ক্রমে পারস্ত হইয়া প্রাচীনকালে যুরোপে প্রবেশ লাড়