বয়নবিদ্যা [ ৫২৪ ] বয়নবিদ্যা তাহাতে বুনানির সময় নরাজ ডাহিনে বাবামে সরির কাপড়াতেড়া হইবার সম্ভাবনা নাই। তাতে যত গ্রন্থের কাপড় বুনানি হইবে, নরাজের মধ্য দিয়া ততদুর পর্যন্ত আধ ইঞ্চি চওড়া একটা লম্বা জুলি থাকিবে। নরাজের মধ্যবিন্দু ঠিক করিয়া তথায় একটা চক্রাকার দাগ দিয়া লওয়া ভাল। সেইরূপ ৪২% ৪৩,৪৪, ৪৫% ইঞ্চি স্থানেও দাগ দিয়া বিভিন্ন রং দ্বারা রঞ্জিত করিয়া লইলে কাজের সুবিধা হয়। নরাজের দক্ষিণ দিকে বা ছুপ ইঞ্চি কাঠি যাইতে পারে, এইরূপ ছুইটি ছিদ্র থাকা উচিত। কেহ কেহ নরাজের দক্ষিণ প্রান্তে লোহার দাতওয়াল চাক ( Toothed wheel ) লাগাইয় তাহার উপরে একটি ছেনী আঁটিয়া লয়েন । কোল-নরাঞ্জ (Cloth Beam)—oth কারিকরের ঠিক কোলের দিকে থাকে বলিয়া ইহার নাম কোল-নরাজ । ইহার নিম্ন দিয়া পা চালাইতে হয়। র্তাত ফ্রেমে ঝুলাইতে হইলে চেয়ারে বসিয়া যে স্থানে ঝুলাইতে হইবে এবং মাটিতে তাত বসাইলেও বসিবার স্থানের ঐরূপ একটুকু উপরে বসাইয় লইতে হইবে । সে জন্ত ফ্রেমের সঙ্গে একেবারে না আঁটিয়া চামড়ার দল বা ফিতা দিয়া ঝুলাইয়া রাখা কৰ্ত্তব্য। কোল নরজে এবং বহির নরাজে প্রথমে স্থত টান করিয়া লইতে হয়, পরে যেমন বুনানি হইতে থাকে, তেমনই কোল নরাজে কাপড় জড়াইতে এবং বাহির নরাজ ঢ়িল দিয়া স্থত ছাড়িতে হয়। বাহির-মরাজ (Warp Beam )–এই নরাজে টানার ' . স্থতা জড়ান থাকে । ইহা ফ্রেমের অপর দিকে কোল নরাজের অপেক্ষ কিছু নীচে লাগাইয়া লইতে হয়। তাহাতে টানার স্থত। বেশ টান টান থাকে। তাত মাটিতে বসাইলে এই নরাজ ২টা ও যথাস্থানে ছোট ছোট খুঁটির উপরে বসাইয়া লওয়া অবশ্যক । - ওসারি বা মতি ( Stretcher )—কাপড় বুনিবার সময় দুই নরাজের দ্বারা যেমন স্থতা ও কাপড় লম্বাভাবে টান রাখিতে হয়, সেইরূপ যে অংশ বুন হইতেছে, তাহার বহরের দিকেও টান থাকা আবশ্বক ; সেইজন্ত তাহার মূথে টান রাখিবার অভিপ্রায়ে দুইখানি বাখারির সরু কাবারি ধমুকের মত করিয়া লাগাইতে হয়। ঐ কাবারি দুইখানির অগ্রভাগে আলপিন বা সরু লৌহ বধিয়া লইয়। তাছাক্ট পাড়ের কাছে বিধিয়া দিতে হয়। কাবারি দুইখানির মাঝখানে এইরূপ ভাবে সুতা দিয়া বাধা থাকা দরকার ; যেহেতু ইচ্ছামত ধনুকে বেশী জোর বা কম জোর দেওয়া বায়ু । কাপড়ের ওসার রাখে বলিয়া ইহার নাম “ওসারি”। বেলন বা তলপসর-শাল বা সেগুন অথবা অন্ত কাঠের ১ বা ১ ইঞ্চি মোট এবং ৩ ফুট লম্বা একখানি কাঠের দণ্ড । তাহাতে ছিদ্র কক্স বা খচি কাটা থাকে, তাহার উপর দিকে "ব"এর কাপের শরের সহিত ও নিম্ন দিকে পাদলের সহিত দড়ি স্বারা সংযোজিত থাকে। বীপ ( Healds )—ইহা ঠিক সানার পরেই থাকে এবং ইহার মধ্যে দিয়া টানার স্থত চলিয়া সানার ছিদ্র পার হইয়া যায়। স্থতায় স্থতায় একরূপ শিকলের মত অীকড়া থাকে, তাস্থাকে “ব” বলে। ঐরুপ “ব” চারি পংক্তি এবং ‘ব’ এর উপরে নীচে ও মধ্যস্থানে একএকটি শর ( Heald Shaft ) সংলগ্ন দেথা যায়। উপরের শর নাচনির সহিত স্থতা দিয়া এবং নীচের শর বেলনার সহিত আবন্ধ থাকে। পাদলের সঙ্গে সঙ্গে এই ব’ও উঠা নাম করে, ইহাকে "ঝ"প তোলা” বলে । বীপের সঙ্গে সঙ্গে সানার কোলের দিকেও একটা ফাক হয় তাহাই মাকু চলিবার পথ। পায়ে এই ঝাপ তোলার সঙ্গে সঙ্গে হাতল টানিবার একটী তাল আছে। সেইটী অভ্যস্ত লইলে দ্রুত কাপড় বুনিবার আর ব্যাঘাত হয় না । সান বা নাছ ( Reed )-বাশের সরু খিল বা শরের সরু কাঠি দ্বারা এই সান তৈয়ারি হয়। ইহা দেখিতে ঠিক চিরুণীর দ্যায়। ইহার পিল এবং ফাক সমান ভাবে থাকে। যে সকল মুসলমান কেবল এই সানা প্রস্তুত করে, তাহাদিগকে “নাছি” বলে। বঁাশের বা শরের উপরিভাগটি খুৰ পাতলা করিয়া টাচিয়া ২% বা ২ ইঞ্চি লম্বা সরু সলা করিয়া বাধিয়া যায় । ইহার উপর ও নীচে অতি পাতলা বাশের বেতী আছে, তাহা সুতার মধ্যে থাকায় দেখা যায় না ; তাহাতেই সান শক্ত থাকে। বাশের অপেক্ষ শরের সানা ভাল ; খুব পাকা বঁাশের সান হইলে তাহার ধার বেশী হয়, আবার খুব কাচা বাশের হইলে তাহা খিল বাকিয়া যাইতে পারে। গামছা ইত্যাদিতে ৬০ ০৭• • সান এবং ৪০ নং স্বতায় ১৯৫• বা ১১ ও সানার ব্যবহৃত হয়। ৪০ ইঞ্চ দৈর্ঘ্যের মধ্যে যত কাটি থাকে, তাহাই সানার সংখ্যা ধর হয়। কাপড় বুনানির সময়ে বা কাপড় এক প্রস্থ উঠিয়া গে:ে সানায় তেল দিয়া লইতে হয়। তাহতে সানা মজবুদ্ধ হয় এব মুতাও ভাল চলে। যদি দক্তির রেল অপেক্ষা সানা ছোট হয় তবে সান মধ্যভাগে বল্লাইয়া দুই পাখে মোট কাগজ দিয়া সান সহিত মিল করিয়া লইতে হয়। এই মিল ভাল ন হইে মাকু পড়িয়া যায়। এইরূপ কাগজ দিয়া না লইলে মাকু সে ফ'ক দিয়া বহির হইতে পারে। সানার মধ্যে কে স্থানে ২১টি খিল ভাঙ্গিয়া গেলে পাশের যে স্থানটী কাপড়ে বাহিরে থাকে, তথা হইতে ২১ট খিল খসাইরা ঐ ভগ্ন ;ি বদলাইতে হয় । সান হঠাৎ মা ভাঙ্গিয়া গেলে ২ বা ; বৎসর চলে । y
পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/৫২২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।