ধয়নবিদ্যা এতদ্ভিন্ন চুরি, কাচি, খুন্ত, মুগুর, দড়ি, হাতব্রাস, मॉस्त्रमফিতা, গজ, কোদাল, দা, বঁাশ প্রভৃতি আবশ্যক। दङ्गम-ॐग्निद्राँ বক্স বুনানির প্রথম সোপান স্থতা-প্রস্তুত ( Preparation of the yara ) । সৰ্ব্বাগ্রে স্বতাকে বয়নোপযোগী করিয়া লইতে হয়। পাড়াগায়ে এই স্থতা প্রস্তুত ব্যাপারটা প্রায়ই কারিকরদের মেয়ের করে। তাহারা স্থত প্রস্তুত করিয়া একেবারে তাতে চড়াইবার উপযোগী করিয়া দিলে কারিকরেরা কাপড় বুনিতে থাকে। কারিকরের এক চড়ন বুনতে বুনিতে ঐ সময়ের মধ্যে স্ত্রীলোকেরা আর এক চড়নের সমস্ত যোগাড় করিয়া দেয়। পূৰ্ব্বে এদেশে উচ্চশ্রেণীর হিন্দুর ঘরে অর্থাৎ ব্রাহ্মণ কায়স্থ পরিবারের স্ত্রীলোকদিগের মধ্যে চরকা কাটার রীতি ছিল । ব্রাহ্মণকুমারীর কাটাস্থত আজিও বিবাহাদি শুভকার্য্যে চলিয়া থাকে। কবচাদি ধারণেও কুমারীর “ব” স্থত না হইলে চলে না । সেই চরকা কাটার জন্ত তাহারা সুতার সরু মোটা হিসাবে পারিশ্রমিক পাইতেন। এক ফেটি স্বতার মজুরী।y• আনা পৰ্য্যন্ত ছিল । তৎকালে চরকার জন্ত এদেশে অল্পবস্ত্রের দুঃখ ছিল না । সকলেই বাল্যাবস্থা হইতে চরকা কাটিয়া কিছু নী কিছু রোজগার করিয়া গিয়াছেন। প্রাচীনাদের মুখে এখনও চরকার প্রভাবজ্ঞাপক এইরূপ একটা কিংবদন্তী শুনা যায়“চরকা আমার ভাতার পুত, চরকা আমার নাতি । চরকার দৌলতে আমার দরজায় বাধা হাতি ॥” লোকপরম্পরায় অবগত হওয়া যায় যে, "সে কালে চরকা কেটে স্থত করে তাতির বাড়ী দিলে সে ছয় আন মজুরি নিয়ে যে কাপড় বুনে দিত, তাহ পুরা এক বৎসরেও ছিড়িত না।’ ইহার কারণ এই যে, তথনকার চরকা কাটা স্থত রীতিমত পাকান হইত, তাহ সহজে ছিড়িত না, সুতরাং বুনানিও সহজে হইত। ইহাতে গৃহস্থেরও বস্ত্রব্যয় অনেক কম পড়িত। চরকা বন্ধ হইয়া যাওয়ায় আমাদের দেশে বিশেষ ক্ষতি হইয়াছে ; কলের স্থতা নিতান্ত আলগা, সুতরাং তাহাকে বয়নোপযোগী করিতে অনেক মজুরী পড়ে, স্থতাকে শক্ত, মুচিকণ এবং শৃঙ্খলাযুক্ত করিতে না পারিলে আদৌ বস্ত্রবয়ন চলিতে পারে না। কাপড়ের লম্বাভাবে যে স্থত থাকে, তাহাকে টানার স্থতা (Warp) এবং ঐ টানার স্বতাকে দুই ভাগ করিয়া কতক স্থতার উপর দিয়া ও কতক স্থতার নীচে দিয়া মাকুর সাহায্যে যে স্থত কাপড়ের পরিসর দিকে থাকে, তাহাকে ”পড়েনের *** ( west thread) on টানার স্বতা ( warp ) প্রস্তুত কালে বিশেষ মনোযোগ থাকা আবশুক । টানার সুতা বেশ মালা বা ‘ভাতান বলান” [ ৫২৭ } বয়নবিষ্ঠা চাই ; পড়েনের স্বতা (wet thread ) পরিপাট করিতে কিছু নরম থাকিলেও বিশেষ ক্ষতি হয় না, কিন্তু টানার স্থতার থাটুনি খুব বেশী, তাহা বেশ শক্ত, বিচ্ছিন্ন এবং যথাস্থানে সন্নিবেশিত হওয়া আবশুক । স্থতা-ভাঙ্গা (Unfastening)-স্থত কিনিবার সময় সুতায় বেশী গুটী বা কাটা আছে কিনা পরীক্ষা করিয়া লইতে হইবে। প্রতি মোড়ায় ২• কুড়ি শিকলি স্থত থাকে। দুই শিকলি করিয়া স্থত পৃথক্ করিবে। দুই হাটুর উপর বাধাইয়া শিকলি ভাগ করিয়া লওয়াই সুবিধা । ইহাকেই সুতা-ভাঙ্গ বলে। স্বতা ভিজন (Watting )--একটা গামলা বা বালতির মধ্যে পরিষ্কার জলে স্থতা ভিজাইয়া রাখিবে। টানার স্থত। এইরূপে তিন দিন ভিজাইয়া রাখা চাই। প্রত্যহই জল বদলাইয়া দেওয়া উচিত। পড়েনের স্থত এক দিনের বেশী জলে রাখার দরকার হয় না। স্থত ডিজাইলে মজবুদ হয়, কিন্তু তাই বলিয়া খুব বেশী দিন ভিজাইয়া রাখা উচিত নহে । রঙ্গিন স্থত বেশী ভিজাইতে হয় না । afāi-sāl (Winding the reels)—Sofia of: জল নিংড়াইয়া তাহার মধ্যস্থ অন্ত স্থতার বাধা ফেট ( skein ) গুলি পরস্পরে খসাইয়া লইবে । পরে একটি চরকিতে পরাইয়া চরকিটা ১ ২ হাত দূরে বসাইবে । চরকির স্থতাগুলি তখন জুই হাতে চিরিয়া ফেট-( skein ) গুলি পর পর সাজাইয়া লইবে । তাহাতে যদি একাধিক থেষ্ট বাহির হয়, তাহা হইলে তাহার একটি মাত্র লইয়া নাটাল এক পাটীতে (কাবারী দণ্ডে ) জড়াইয়া লইবে এবং অপর ধেইগুলি চরকির এক প্রান্তে জড়াইয়া রাখিবে; নতুবা চরকি ঘুরিবার সময় স্থতায় স্থতায় জড়াইবার সম্ভাবন । তৎপরে “বুরণী কাঠের” মধ্যস্থিত দোয়াতের স্তায় গর্তের মধ্যে নাটার দণ্ডের আগাট রাখিয়া এবং নাটার গোড়া উপরের দিকে করিয়া নাটাইদণ্ডের মধ্যস্থল ধরিয়া বৃদ্ধাঙ্গুলি দ্বারা বামদিক্ হইতে দক্ষিণে ও অন্তান্ত অঙ্গুলি দ্বারা দক্ষিণ হইতে বামে মোচড়া দিলেই নাটাই বেশ ঘুরিতে থাকে। তখন বামহস্তের বৃদ্ধাঙ্গুলি ও তৰ্জ্জনীর দ্বারা সুতাট সহজ ভাবে টিপিয়া ধরিবে । তাহাতে স্থতার সহিত কোনরূপ জঞ্জাল বা গিরা যাইতে পারে না । মোচড়া ( Piecing )—স্থত মাঝে মাঝে ছিড়িলে গির দেওয়া ব্যতীত এই উপায়ে জুড়িয়া লইতে হয়। দুইটা স্থতার অগ্রভাগ বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি ও তর্জনী দ্বারা ধরিয়া দক্ষিণ হাতের ঐ ঐ অঙ্গুলি দিয়া উপর মুখে চাপিয়া পাক্ দিয়া সেষ্ট পাকের সঙ্গে সঙ্গে নীচ দিকে আনিয়া দক্ষিণের স্থতার সহিত মিলাইয়া নীচদিকে একটু চাপিয়া একটা মোচড়া দিতে হবে।
পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/৫২৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।