বরণ “মদেকপুত্র! জননী জরাতুর নবপ্রস্তুতির্বরটা তপস্বিনী।” ( নৈষধ ১।১৩৫ ) ২ কুম্ভবীজ । ইহার গুণ-— “বরটা মধুরা স্নিগ্ধ রক্তপিত্তকফাপহা। কুষায় শীতলা গুৰ্ব্বী স্তাদর্ষ্যানিলাপহ ॥” (ভাবপ্রঃপূঃ প্র)৩ বরলা, অগ্নিপ্রকৃতি কীটভেদ, চলিত বোলত । ৪ বঙ্গ । বরট ( স্ত্রী) বরট-জাতে উীষ, ১ হংসী । ( মেদিনী• ) ২ গন্ধেলী । ( ত্রিক০ ) "স্বহ্মকুণ্ডোস্টিটিঙ্গ-বরটীশতপদীশূকবলভিকাশূঙ্গীভ্রমরা: শূকতুগুবিষা: " (মুশ্রুত কল্পস্থান ৩ অঃ ) বরটিক ( স্ত্রী) কুম্ভবীজ। পর্য্যায় –বরটা । ইহার গুণ— মধুব, স্নিগ্ধ, গুরু, অবৃষ্য ও বামুহুর। ( ভাব প্র০ ) বরণ ( ) বৃ-ভাবে লুট্টি। ১ মনোনয়ন বা পছন্দ করিয়া কার্য্যে নিয়োজন। যাহাকে কোন মঙ্গল কার্যে নিয়োগ করা যাইতেছে, তৎপ্রতি শিষ্টাচার ও শ্রদ্ধা দেখাইয়া তাকার সম্মাননারূপ তদীয় সৰ্ব্বাঙ্গের সম্বন্ধন কস্তাববাহে বব-বরণেব রীতি। “ন চ বি েপ্রধপাকারো বিষ্ঠতে বরণং প্রতি । স্বয়ম্বরঃ ক্ষ িএয়াণমিতীয়ং প্রথিত এতিঃ ॥” (মহাভা" ১১৯০৭) হোমসাধ্য যে কোন বিহিত কয়েই হোম আরম্ভ করিবার পূৰ্ব্বে যজমান আপন শিষ্ট ও বিনীতভাব দেখাইবার জন্য আচাৰ্য্য প্রভূতিকে স্বয়ং বরণ কবিয়া দিবেন । আচাৰ্য্য প্রভৃতি বরণীয় ব্রাহ্মণদিগকে গঙ্গাদি দ্বারা প্রতি বিপান কবিয়া কৰ্ম্মকরণার্থ প্রেরণ করার নামই বরণ । দানবাচন, আম্বাবস্ত, বরণ ও ব্রত প্রভৃতি স্থলে যজমান-কর্তৃতাই বুঝিতে হইবে। ববণকালীন যজমানকে পূৰ্ব্বমুখ এবং আচাৰ্য্য প্রভৃতিকে উত্তরমূখ হইয়া বসিতে হইবে । - “সৰ্ব্বত্র প্রায়ুথে দাতা গৃহীতা চ উদমুর্থ: " (স্মৃতি) কাত্যায়ন বরণবিধি এইরূপ নির্দেশ করিয়াছেন। যথা— প্রথমে যজমান আসন আনিয়া বলবেন,-“সাধু ভবান আস্তামৰ্চয়িষ্যামো ভবন্তং। বরণীয় ব্রাহ্মণ উত্তর করিবেন, ‘সাধ্বহমাসে’ হরিশৰ্ম্ম বলেন--"অচ্চয়িষ্যামো ভবস্তুং এই কথার পব ‘অৰ্জ্জয়’ এইরূপ প্রতিবচন প্রযোজ্য । ( সংস্কার তত্ত্ব ) যে কৰ্ম্মে ববণ করিতে হইবে, তাহাতে নিম্নোক্তরূপ সঙ্কল্প করিয়া বস্ব ও উপবীতাদি দিতে হইবে। যাহাকে বরণ কবিতে হইবে তাহার দক্ষিণ জানু স্পর্শ করিয়া “বিষ্ণুরো তৎসদোমন্ত অমুকে মাসি অমুকে পক্ষে অমুকাতপো অমুকগোত্র অমুক প্রবরং ঐ অমুকদেবশদ্মাণং অমুককৰ্ম্মকর্ণায় এভিবক্সপুষ্পমালাদিভিরভ্যর্চ ভবন্তমহং বৃণে” এবং ঋত্বিক, "তোহস্থি” বলবেন। পরে যজমান বলিবেন—“যথাবিহিতং XVII
- 。
[ & 83 J }లి* বরণডালা অমুক কৰ্ম্ম কুরু।” ঋত্বিক যথাঞ্জানং করবাণি’ এই কথা বলিবেন । এইরূপে ঋত্বিক বরিত হইয়া তাহাব সঙ্কল্পিত কৰ্ম্ম আরম্ভ করিবেন। যজমান নিজে কৰ্ম্ম করিতে না পাবিলে পুরোধিত প্রভৃতিকে বরণ করিয়া দিবেন, পুরোহিত ঐ পূজাদি কম্মে ব্ৰতী হইয়া কাৰ্য্য সমাধা করিবেন। বিবাহেও জামাতাঁকে প্রথমে বরণ করিয়া পরে কন্যাসম্প্রদান করিতে হয় । বিবাহে বরণ স্থলে বব ও কস্তার উদ্ধতন তিন পুরুষের নাম উল্লেখ করিয়া বরণ করিতে হয়। “বিবাহে যে বিধি: প্রোক্তে বরণে স বিধি: স্তুতঃ । বাক্যং ত্রৈপুরুষিকং কার্য্যং ত্রিবাবৃত্তিবিবৰ্জ্জিতে ॥"(উদ্ধাহতত্ত্ব) বিবাহে বরণবাক্য এইরূপ হইবে। সংপ্রদাতা বরের দক্ষিণ জানু স্পর্শ করিয়া-বিষ্ণুরোম তৎসদোমন্ত অমুকে মাসি অমুকে পক্ষে অমুকতিথেী অমুকগোয়ঃ শ্ৰীঅমুকদেবশৰ্ম্ম অমুকগোত্ৰত অমুকপ্রবরস্ত অমুকদেবশদ্মণ: প্রপৌত্র: অমুকগোত্রস্ত অমুকপ্রবরস্ত অমুকদেবশৰ্ম্মণঃ পৌত্রং অমুকগোত্ৰস্ত অমুকপ্রবরস্ত অমুকদেবশৰ্ম্মণ: পুত্ৰং অমুকগোত্ৰং অমুক প্রবরং শ্ৰীঅমুকদেবশৰ্ম্মাণং বরং ; অমুকগোত্ৰস্ত অমুক প্রবরস্ত অমুকদেবশদ্মণ: প্রপৌত্ৰীং অমুকগোত্রস্ত তমুক প্রবরস্ত অমুকদেবশৰ্ম্মণ: পৌত্রাং অমুকগোত্রস্ত অমুক প্রবরস্ত অমুক দেবশম্মণ: পুত্ৰী অমুকগোত্রাং অমুক প্রববাং শ্ৰীঅমুকদেবীং কস্তাং দাতুমেভিৰ্গশ্ব দিভিরভ্যর্চ্য বরত্বেন ভবন্তমহং বৃণে" বলবেন । পরে জামাতা বৃতোহস্মি’ বলবেন। যথাবিধি বরণ করিয়া দিলে তবে তাহার কার্য্যে অঙ্কুি • করে হয়, এই জন্ত ব্ৰতাদিতে পুবোহিত্যদিকে বরণ কবিতে হয়। প্রতিনিধি বা উপযুক্ত ব্যক্তিনিয়োগের নামই ববণ। যেমন রাজপদে বরণ। এই জন্য মাঙ্গলিক কাৰ্য্যাদিতে নিযুক্ত ব্যক্তির সম্মানার্থ কতকগুলি মাঙ্গলিক দ্রব্য দ্বারা তাহার সম্বৰ্দ্ধনা করা গুইয়া থাকে। যে পাত্রে ঐ মাঙ্গলিক দ্রব্যগুলি একত্র সন্নিবেশিত থাকে, তাহাকে বরণডাল বলে । ২ বেষ্টন। ৩ পুজাচনাদি। (পুং) ৪ প্রাকার । ৫ বকণবৃক্ষ। (অমর) ও উর্দু। ৭ সংক্রম, চলিত সাকী ! ( হলাযুপ ) বরণক (ত্রি ) বরণকারী। আচ্ছাদন। বরণডালা (দেশজ ) মাঙ্গলিক দ্রব্যপূর্ণ একখানি পিস্তলের থামা বা বংশথওনিয়িত গোলাকাব ডালা । কুলকামিনীগণ সে পা4েপুরি রাপিয় তাহাতে নিম্নোক্ত দ্রব্যগুলি সাজাইয়া দেন । পুরোহিত তাহার একটা একটা তুলিয়া বরকে বরণ করেন। স্ত্রী-আচারের সময়ে সধবা কামিনীগণও কএকখানি ঐরুপ পাত্র বিভিন্ন দ্রব্যে সাজাইয়া মাথায় লইয়া বরের চারিদিকে ঘুরিয়া বেড়ায় এবং নিৰ্ম্মস্থন করে।