বর্ণলিপি í সহিত অশোকের বিপৰ্যন্ত লিপির সাদৃশুস্থাপনে স্বেরূপ অগ্রসর হইয়াছেন, তাহা অনেকটা কষ্ট কল্পনা মাত্র, তাহদের উদ্দেশু निक हक्क नांझे ! * আর একটা কথা—প্রাচীন ফণিকলিপিসমূহে ২টার অধিক বর্ণ মিলিবার উপায় নাই,-সেই ২•ট বর্ণের নাম— অলেফ, বেথ, গিমেল, দলেথ, হে, বাও, জইন, চেন্নাথ, য়ো, কফ, লমেদ, মেম্, মুন, সমেছ, ফে, ছ’লে, কোফ, রেষ, ধিন্, তও। এই ২•ট বর্ণের উচ্চারণ ধরিয়া যথাক্রমে অ, ব (বর্গীয়), १, म, श्, द (अस्त्रः३), छ, 5, झ, रु, छा, भ, म, न, °, झ, थ, ब्र, ষ এবং ত বা ট এই বর্ণ বাহির হইতে পারে। কিন্তু ভারতের উত্তরপশ্চিম সীমা হইতে আবিষ্কৃত অশোক, যবন, শক ও কুষণরাজগণের সময়ে ব্যবহৃত থরোষ্ঠী লিপিগুলি একত্র করিলে তাহা হইতে আমরা ৩৯ বর্ণ দেখিতে পাই, যথা— अ हे छे ७ ७ श्र६ 히 한 5 झु छ त्यो 43 ট ঠ ড ঢ ণ 5 প ফ ব ভ ম शू ज़ का रु * झ ञ श् খরোষ্ঠী যে ভাষায় প্রথম ব্যবহৃত হয়, সেই অবস্তার সুপ্রাচীন গাথা আলোচনা করিলে আ, ঈ, উ, ঐ, ঔ, এই {ট অধিক পাওয়া যায়। সুতরাং খরোষ্ঠীর ৪৩ট বর্ণের মধ্যে ফণিকেরা স্ব স্ব বাণিজ্যে ব্যবহারোপযোগী ২১টা অক্ষর মাত্র গ্রহণ করিয়াছিল। যেমন সংস্কৃত শাস্ত্রে ৫০টার অধিক বর্ণমালা থাকিলেও সাহিত্যিক হিসাবে না ধরিয়া বাঙ্গালীর উচ্চারণ ধরিলে এদেশে যেমন ৩০৩২ট অক্ষরের বেশী আবশ্বক নাই, স্বীকার করিতে হয়, [ বাঙ্গালা ভাষা দেখ ] অথচ যেমন বঙ্গলিপি ব্রাহ্মীলিপিরই সন্তুতি, সেইরূপ আবস্তিক ধৰ্ম্মশাস্ত্রে ৪৪টি বর্ণের ব্যবহার থাকিলেও ফণিকদিগের ২০টার অধিক ব্যবহারে আসে নাট, অথচ ঐ ২৩টী আদি থবোষ্ঠী লিপিরই সস্তুতি । এখন যুরোপীয়গণ যেরূপে স্ব স্ব দেশপ্রচলিত লিপির উৎপত্তি স্বীকার করিয়া থাকেন, তাহাই আলোচ্য। যুরোপীয় লিপিতত্ত্ববিদগণ বর্ণলিপির সৃষ্টির পূৰ্ব্বে এইরূপে সাঙ্কেতিকলিপির উৎপত্তি স্বীকার করেন - 1 كاهن
- Taylor's Alphabets, Vol. I S Indische Palaegraphie von G. Buhler HT IT FT
বর্ণলিপি प*लिभिद्र भूक्ऊिँ मांरकठिक फ़िह । প্রাচীন যুগের মনুষ্যপ্রকৃতির ইতিবৃত্ত আলোচনা করিলে স্পষ্টই হৃদয়ঙ্গম হয় যে, মানবজাতির উন্নতির ক্রমবিকাশের সঙ্গে সঙ্গেই লিপিকার্যের আবশ্বকতা অনুভূত হইয়াছিল। র্তাহার কএকটী অভাবমোচনের জন্ত চিহ্নমাত্র অঙ্কন করিতে অভ্যাস করেন। তাহারা বিশেষ বিশেষ কাৰ্য্যামুষ্ঠানের জন্ত, সময় বিশেষের নির্দ্ধারণ জন্য, অমুপস্থিত অথবা যাহার সহিত সহজে সাক্ষাৎকারের সুবিধা নাই এরূপ ব্যক্তির নিকট ভাব বিশেষ জ্ঞাপন নিমিত্ত কতকগুলি সাঙ্কেতিক চিহ্নের প্রয়োজন উপলব্ধি করিতে থাকেন। সেই আদিম যুগের অধিবাসিবর্গ আপনাপন অন্ত্র, শস্ত্রাদি, স্ব স্ব পালিত গবাদি পশুকে পরস্পরের স্বাধিকার ও স্বাতন্ত্র্য নির্দিষ্ট রাখিবার জন্ত অথবা স্বহস্তে নিৰ্ম্মিত মৃৎপাত্ৰাদি বা অপর কোন দ্রব্যের অপর সাধারণ হইতে পার্থক্যনির্দেশের জন্ত বিশেষ বিশেষ চিহ্ন ব্যবহার করিতেন। অস্থাপিও ভূগর্ভনিহিত মৃৎপাত্রসমূহে ঐন্ধণ বিভিন্ন চিহ্ন বিদ্যমান দেখা যায় এবং তাহ আলোচনা করিলে বেশ বুঝা যায় যে, খৃষ্ট জন্মের বহু পুৰ্ব্ব হইতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তি দ্বারা ঐ সকল পাত্ৰাদি নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। এখনও ভিন্ন ভিন্ন স্থানের মৃৎপাত্রে তৎকালের স্থায় কুম্ভকারেব সাঙ্কেতিক চিহ্ন ব্যবহৃত হইয়া থাকে। প্রাচীন কালে যাহা ব্যক্তি বিশেষের পারিবারিক সম্পত্তির স্বাতন্ত্র্য চিহ্নরূপে গৃহীত হইয়াছিল, বর্তমান যুগে তাহাই ক্রমশঃ উন্নতির পরিণতি প্রাপ্ত হইয়া “ট্রেড, মার্কে” পৰ্য্যবসিত হইয়াছে। . সকলেই জানে, আমাদের দেশের অঞ্জ রমণীরা পরিধেয় বস্ত্র বা রুমালাদিতে চিহ্নস্বরূপ তাহার কোণে গ্রস্থি দিয়া রঞ্জককে দিয়া থাকেন। সাওতাল, কোল প্রভৃতি বর্ণজ্ঞানবৰ্জ্জিত জাতির মধ্যে এখনও ঋণগ্রহণকার্য্যে অর্থের সংখ্যা নিরূপণার্থ স্বত্রে বা রজুখণ্ডে গ্রন্থি দেওয়া হইয়া থাকে। পূৰ্ব্ববঙ্গের নিরক্ষর গোপগণ মুগ্ধ ক্রয়বিক্রয়ের হিসাব বঁাশের চটায় দাগ কাটিয়া রাখে । ইহাও অনেক সময় দেখা গিয়াছে, যদি কখনও হিসাবের টীকা আদান প্রদান লইয়া আদালতে মোকদম উপস্থিত হইয়াছে, তখন বিচারক ঐ সকল দাগ দেখিয়া মোকদ্দমার সত্যাসত্য স্থিল করিয়াছেন। পাশ্চাত্য জগতেও ঐরূপ এক সময়ে ঋণসংখ্যাগ গ্রস্থিচিহ্ন ব্যবহৃত হইত। হেরোদোতাসের ( I W. 78 ) বিবরণীতে জানা যায় যে, শকাভিযান কালে দরায়ুস ইষ্টার নদী অতিক্রম করিয়া সেতুরক্ষক গ্ৰীক সেনাদলের হস্তে বহু গ্রন্থিযুক্ত একটা দীর্ঘ রজ্জ্ব রাখিয়া দেন এবং বলেন, ইহাতে হত গ্রন্থি আছে, ততদিন তোমরা এই সেতু রক্ষা করিবে এবং প্রত্যহ এক একটা গ্রন্থি খুলিয়া কেলিৰে । যদি শেষ গ্রন্থি