বর্ণসঙ্কর s や》> J বর্ণসঙ্কর বর্ণলেখিকা (স্ত্রী) বর্ণলেখ স্বার্থে কন্। টাঙ্গ অন্তর কঠিনী। ১ খড়ি। ২ লেখনোপযোগী খুক্তি। বলবৎ (ত্রি ) বর্ণোহুস্ত্যন্ত বর্ণ (রসাদিভ্যশ্চ । পা ৫২৯৫ ) ইতি মতুপ, মন্ত বঃ। বর্ণবিশিষ্ট। স্ক্রিয়াং ভীষ। বর্ণবতী হরিদ্র। 妙 ( জটাধর ) বর্ণবর্তি, বর্ণবর্তিক ( স্ত্রী) লেখনী (Pen বা Pencil) বর্ণবাদিন (পুং ) প্রশংসাকারী। স্তুতিকারক । বর্ণবিকার (পুং ) বর্ণের বিকার। যেমন ষোড়শ । ষষ দশ, দ স্থানে উ ও ষ স্থানে ডু ইহার পদ হইল - ষোড়শ । (কাতন্ত্রপঞ্জিকায় ত্ৰিলোচনদাস ) বর্ণবিলাশিনী ( স্ত্রী) হরিদ্রা। বর্ণবিলোড়ক (পুং ) বর্ণন বিলোড়য়র্তীতি কিলোড়ি-মূল। শ্লোকস্তেন, যে ব্যক্তি অন্তের লিখিত বিষয় চুরি করিয়া নিজের বলিয়া পরিচয় দেয় । ২ সন্ধিচৌর, সি দেল চোর। বর্ণরক্ত (ক্লী) অনুষ্টুভ, ইন্দ্রবঞ্জা প্রভৃতি সাধারণ শ্লোক, যাহাদের বর্ণ ধরিয়া ছন্দোগণনা করা হয়। [ মাত্রাবৃত্ত দেখ। ] বর্ণব্যবস্থিতি (স্ত্রী) বর্ণন্ত ব্যবস্থিতিঃ । চাতুর্ণিবিভাগ। বর্ণশিক্ষা ( স্ত্রী) বর্ণাভ্যাস । বর্ণশ্রেষ্ঠ (পুং ) বর্ণেধু শ্রেষ্ঠ । বর্ণের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ব্রাহ্মণ। চারিবর্ণের মধ্যে ব্রাহ্মণ প্রধান । বর্ণস (ত্রি ) বর্ণযুক্ত । ( পা ৪।২৮০ তৃণাদিগণ । ) বর্ণসংযোগ (পুং ) সবর্ণ বিবাহ। বর্ণসংসগ (পুং ) অসবর্ণ বিবাহ। বর্ণসংহার (পুং) ১ অসবর্ণ বিবাহ দ্বারা সবর্ণের নাশ । ২ ব্রাহ্ম ণাণি চারিবর্ণের একত্র সন্মিলনী । বর্ণসঙ্কর (পুং ) বর্ণতো ব্রাহ্মণাদিভ্য: বর্ণনাং বা সঙ্করো মিশ্রণং যত্র । মিশ্রিতজাতি, ব্রাহ্মণাদিবর্ণের অনুলোম বা প্রতিলোমে জাত জাতি । গীতায় লিখিত আছে যে, যখন অধৰ্ম্মের অত্যন্ত প্রাদুর্ভাব হয়, তখন কুলললনাগণ দুষিত হয়। তাহারা দূষিত হইলে ঐ ললনাগণ হইতে বর্ণসঙ্কর জাতির উৎপত্তি থাকে । বর্ণসঙ্কর হইলে দেব ও পিতৃকাৰ্য্য লোপ এবং কুলধৰ্ম্ম ও জাতিধৰ্ম্ম নষ্ট হয়। উৎসন্নকুলধৰ্ম্মাণাং মনুষ্যাণাং জনাৰ্দ্দন । নরকে নিয়তং বাসো ভবতীত্যমুণ্ডশ্রমঃ ” (ভগবদগীত। ১ অ• ) ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশু ও শূদ্র এই চারিট বর্ণ, এই চারি বর্ণের অতিরিক্ত আর বর্ণ নাই। চারিবর্ণের অতিরিক্ত যে সকল জাতি দেখিতে পাওয়া যায়, তাহারা সঙ্কর জাতি । এই চারি বর্ণ হইতেই সঙ্কর জাতির উৎপত্তি হইয়াছে। শাস্ত্রে লিখিত আছে যে, স্ত্রীদিগকে অতি সামান্ত দুঃসঙ্গ হইতে যত্নপূর্বক রক্ষা করিবে, তাহ না করিলে সেই স্ত্রী পিতা ও স্বামী এই উভয় কুলেরই সন্তাপের কারণ হয়। পত্নীকে সৰ্ব্বতেভাবে রক্ষা করা সকল ধৰ্ম্ম হইতে শ্ৰেষ্ঠ। কি দুৰ্ব্বল, কি সবল, কি অন্ধ, কি খঞ্জ, সকলেই নিজ নিজ ভাৰ্য রক্ষা কবিতে যত্নবান হইবেন, এক ভাৰ্য্যাকে রক্ষা করিলেই ধৰ্ম্ম ও কুল পবিত্র হয়।* ভাৰ্য্যা মুরক্ষিতা ন হইলে তাহাদের মধ্যে ব্যভিচাব ঘটিয়া থাকে, তাহাতে বর্ণসঙ্কর হয়। বর্ণসঙ্কর হইলে ধৰ্ম্ম ও কুল নষ্ট হয়। ধৰ্ম্ম ও কুল নষ্ট হইলে ঐহিক ও পারত্রিক কোন রূপ মঙ্গলের সম্ভাবনা থাকে না । এইজন্ত যাহাতে বর্ণসঙ্করত্ব ন হইতে পারে, এবং বর্ণসঙ্করের মূল কারণ যে স্ত্রী জাতি তাহাদিগকে অতিশয় যত্নের সহিত রক্ষা করিতে হইবে। ইহাই শাস্ত্রের উপদেশ । ইহা ভিন্ন ব্রাহ্মণাদি বর্ণক্রয় যদি স্বধৰ্ম্ম ত্যাগ করেন, তা । হইলে তাহারাও বর্ণসঙ্কর নামে অভিহিত হন। মনুতে লিখিত আছে যে, অন্তোন্ত স্ত্রীগমন, সগোত্রে বিবাহ এবং উপনয়নাদি স্বধৰ্ম্ম ত্যাগ প্রভৃতি কারণে ব্রাহ্মণাদি বর্ণফ্ৰয়ের মধ্যে বর্ণসঙ্কবত্ব ঘটিয়া থাকে। “ব্যভিচারেণ বর্ণনামবেদ্যাবেদনেন চ । স্বকৰ্ম্মণাঞ্চ ত্যাগেন জায়ন্তে বর্ণসঙ্করাঃ ॥” ( মনু ১৯২৪ ) সুতরাং তখন সকলের নরক হইয়া থাকে । “অধৰ্ম্মাভিভবাৎ কৃষ্ণ ! প্রত্নষ্যস্তি কুলস্ত্রিয়ঃ । স্ত্রীষু দুষ্টাসু বাষ্ণেয়! জায়তে বর্ণসঙ্করঃ ॥ সঙ্করো নৱকায়ৈব কুলম্বানাং কুলস্ত চ। পতন্তি পিতরে হ্যেষাং লুপ্তপিণ্ডোদকক্রিয়া ॥ দোষৈরেতৈ কুলস্থানাং বর্ণসঙ্করকারকৈঃ। উৎসান্তস্তে জাতিধৰ্ম্মা: কুলধৰ্ম্মাশ্চ শাশ্বতা: |
- "সুহ্মেভ্যোহপি প্রসঙ্গেত্যঃ স্ত্রিয়োরক্ষ্য বিশেষতঃ ।
দ্বয়েহি কুলম্বো: শোকমাবংেযুররক্ষিতাঃ । ইমং হি সৰ্ব্ববর্ণীনাং পশুপ্তে ধৰ্ম্মমুত্তমম্। যতন্তে রক্ষিতুং ভাৰ্য্যাং ডক্টরো দুৰ্ব্বল অপি । স্বাং প্রসূতিং চরিত্রঞ্চ কুলমায়ানমেব চ। স্বঞ্চ ধৰ্ম্মং প্রযন্ত্রেন জায়াং রক্ষন হি বৃক্ষতি ॥ 冲 率 率 事 舉 襯 বাদৃশং ভজতে হি স্ত্রী স্বতং স্বতে তখাৰিং। তন্মাৎ প্রজাবিশুদ্ধ্যর্থং স্ক্রিয়ং রক্ষেং প্রস্বত্বত: । ন কশ্চিযোধিতঃ শক্ত: প্রসহ পরিরক্ষিতুং । এতৈরুপারযোগৈম্ভ শক্ষান্তাঃ পরিরক্ষিতুৰ।" ( মন্তু ৯১. )