বিশ্বামিত্র to [ ७< } - বিশ্বামিত্র আজ ঋষিত্ব লাভ করিলে বিশ্বামিত্রকে এই বর দিয়া পুনৰ্ব্বার | যথাস্থানে গমন করিলেন। এখনও ব্রাহ্মণত্ব লাভ করিতে পারি । লাম না বুঝিয়া বিশ্বামিত্র শিল্পমনে আবারও অতি কঠোর তপস্তায় প্রবৃত্ত হইলেন । & রামায়ণ ও মহাভারতে মেনকার সঙ্গে বিশ্বামিত্রের রতিপ্রসঙ্গের উল্লেখ আছে । বিশ্বামিত্রের উগ্র যোগসাধনা দেপিয়া দেবগণ অত্যন্ত ভীত হন এবং ইক্স তাহার যোগভঙ্গ করিবার জন্ত মেনকা অপরাকে তাহার নিকট পাঠাইয়া দেন। অপর বিশ্বা মিত্রের যোগভঙ্গ করিয়া হাবভাবে তাহাকে ভূলাইতে সমর্থ হয়। ] মেনকার সহিত বিশ্বামিত্র দশবৎসরকাল সুথে অতিবাহিত করেন এবং তাহারই পরিণামে মেনকার গর্ভে শকুন্তলার জন্ম হয়। স্বীয় এই চিত্তচাঞ্চল্যের জন্ত বিশ্বামিত্র পরে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হন এবং ধীর বাক্যে অপরাকে বিদায় দিয়া উত্তরে হিমগিরিমূলে প্রস্থান করেন। এস্থানে থাকিয় তিনি সহস্ৰ বৎসর কঠোর তপস্তা করিতে থাকেন। পরে বিশ্বামিত্র ঐ স্থান তপোবিঘ্নকর মনে করিয়া হিমালয় পৰ্ব্বতে কৌশিকী নদী-তীরে যাইয়া কামজয়ের জন্ত অতি কঠোর তপস্তায় প্রবৃত্ত হইলেন। এই রূপ ভাবে যখন সহস্র ২ বৎসর অতীত হইল। তখন দেবগণ ও ঋষিগণ সকলে ভয় পাইয়া ব্ৰহ্মার নিকট গিয়া বলিলেন, বিশ্বামিত্রের তপস্তায় আমরা অত্যন্ত ভীত হইয়াছি ; আপনি অবিলম্বে তাহাকে বর দিয়া আমাদিগকে ভ্ৰাণ করুন। দেবতাদিগের কথাক্রমে ব্ৰহ্মা তখনই বিশ্বামিত্রের নিকট গিয়া বলিলেন, বৎস! তোমার তপে মামি বিশেষ প্রীতিলাভ করিয়াছি, অতএব তোমাকে ঋষিমুখ্যত্ব প্রদান করিতেছি । উক্ত রূপে বর প্রদানের পর বিশ্বামিব বুঝিলেন যে, আমি এবারও ব্রাহ্মণ হইতে পারিলাম না ; অতএব পিতামহকে বলি: লেন ভগবন! আপনি যখন আমাকে আমার স্বীয় শুভকৰ্ম্মলভ্য ব্রহ্মর্ষি বলিয়া সম্বোধন করেন না, তখনই বুঝিয়াছি আমি এখন ৪ জিতেন্দ্রয় হইতে পাৰি নাই, সুতরাং ব্রাহ্মণা লাতেরও অধিকারী নহি । ব্ৰহ্মা কছিলেন তুমি এখনও জিতেন্দ্রিয় হও নাই, জিতেন্দ্রিয় হইতে চেষ্টা কর। এই বলিয়া তিনি স্বর্গে গমন করিলেন। পথে বিশ্বামিত্র উদ্ধবাহু, নিরালম্বন ও বাহুক হইয়া তপস্তা করিতে লাগিলেন। বিশ্বামিত্রের এইরূপ কঠোর তপস্তা দেখিয়া ইন্ত্রের অতিশয় ভয় হইল। তখন তিনি দেবগণের সহিত পরামর্শ করিয়া ইহার তপোভঙ্গের জন্ত রম্ভ নামে অঙ্গরাকে নিয়োগ করি, লেন। রম্ভ আসিয়া ওঁtহার তপোভঙ্গের প্রতি বহুতর ૮68 করিতে লাগিল ; কিন্তু কিছুতেই বিশ্বামিত্রের মনোবিকার अत्राहे८ठ *ांद्रेिण नt । বিশ্বামিত্র রস্তার অভিপ্রায় বুঝিতে পারিয়া ক্রোধে হইয়া, ‘তুমি সহস্ৰ বৎসর পর্য্যস্ত পাষাণময়ী হইয়া থাকিবে' বলিয়া তাহাকে অভিসম্পাত করিলেন । এই কোপ বশত: তাহার তপস্ত বিনষ্ট হইল, তাহাতে তিনি মনে মনে স্থির করিলেন, আমি কদাচ আর ক্রুদ্ধ হইব না, এবং কোন মতে ৪ কাহাকে অভিশাপ দিব না । আমি শত শত বৎসর পর্য্যস্ত শ্বাসরুদ্ধ করিয়া তপশ্চরণ করিব, যতদিন না ব্রাহ্মণ্য লাভ করিতে পারি, ততনি তপস্ত দ্বারা শরীর পাত করিব । বিশ্বামিত্র এই স্থানকেও অপোব্যিকর, জানিয়া সে দিক পরিত্যাগ পূৰ্ব্বক পুৰ্ব্বদিকে গমন করিলেন এবং তথায় সহস্ৰ, বর্ষব্যাপী অত্যুত্তম মৌনব্রত গ্রহণ করিয়া শচর তপস্কায় নিরত হইলেন । এই সহস্ৰ বৎসর মধ্যেও দেবগণ নানা প্রকারে তপোবিঘ্ন করিতে চেষ্টা করেন, কিন্তু কিছুতেই তাহার ত্রততঙ্গ হয় নাই। এইরূপে সহস্ৰ বৎসর অতীত হইলে বিশ্বামিত্র যখন অন্নভোজন করিতে উদ্ভুত হইলেন, তখন ইন্দ্র ব্রাহ্মণ-ৰূপ ধারণ করিয়া সেই অন্ন প্রার্থনা করেন, বিশ্বামিত্র মৌনী ছিলেন তিনি কোনও বাক্য না বলিয়া সমস্ত অন্ন ব্রাহ্মণরূপী ষ্টক্সকে প্রদান করিলেন । বিশ্বামিত্র এই মৌনাবস্থায়ই:পুনরায় নিশ্বাস রোধ করিয়া তপস্তায় রত হন ; ইহাতে র্তাহার মস্তক হইত্তে সধুম অগ্নি নিঃস্থত হইতে থাকে, এবং তদ্বারা ত্ৰিভূবন অগ্নি সস্তুপ্তের স্তায় ক্লিষ্ট হইয়া পড়ে ; সমস্ত জগৎ তাহার তপস্তায় অস্থির হইয়া উঠে ; কি দেব, কি ঋষি, সকলেই অস্থির হইয়। ব্ৰহ্মার নিকট গমন করিয়া কছিলেন, ভগবন! বিশ্বামিত্র তপস্ত হইতে নিবৃত্ত না হইলে অচিরে জগৎ বিনষ্ট হইবে । আপনি তাহাকে তাহার অভিলষিত ব্রাহ্মণ্য বর দিয়া জগতের মঙ্গল বিধান করুন। এহ্মা আবার বিশ্বামিত্রের নিকট গিয়া বলিলেন, বিশ্বামিত্ৰ ! তুমি আজ তপোবলে ব্রাহ্মণ্য লাভ করিলে, এখন তোমার মঙ্গল হউক। অতপর চিরাভলম্বিত বর প্রাপ্তে বিশ্বামিত্র পরম প্রত হইয়া ব্ৰহ্মাকে কহিলেল, ভগবন! যদি আমি ব্রাহ্মণ্য ও দীর্ঘায়ু লাভ করিলাম, তাহ হইলে চতুৰ্ব্বেদ, ওস্কার ও বধটুকাবে আমার ব্রাহ্মণের স্তায় অধিকাব হউক এবং ব্ৰহ্মপুত্র বশিষ্ট আমাকে ব্রহ্মর্ষি বলিয়া স্বীকার করুন। বিশ্বামিত্রের শেষ প্রস্তাবের মীমাংসার জন্য দেবগণ বশিষ্ঠের নিকট গিয় তাহাকে প্রসন্ন করিলেন ; দেবগণের অনুরোধ বাক্যে প্রসন্ন হইয়া বশিষ্ঠ বিশ্বামিত্রের সহিত সখ্যতা স্থাপন করেন এবং উহাকে ব্রহ্মধি বলিয় তাহার ব্রাহ্মণত্ব স্বীকার
পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/৬৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।