বর্ষাতি হৰ্ম্ম্যপৃষ্ঠে বাস প্রশস্ত। নীজল, উদমন্থ ( স্থত প্রক্ষেপ সহযোগে জলসিক্ত শক্ত, ৰায় যে খাদ্য প্রস্তুত হয় তাহাকে উদমন্থ কহে ) দিবানিজ, পরিশ্রম ও আতপ পরিহার কর্তব্য। ( বাতট স্বত্রস্থা- ৩ অe ) * বর্ধকালে এই সকল বৈষ্মকোত্ত বিধিনিষেধ মানিয়া চলিলে ব্যাধির প্রকোপ হয় না, শরীর মুস্থ থাকে । মুশ্রীতে লিখিত আছে যে, এই কালে দিবারাত্রির মধ্যেও সংবৎসরের স্তায় শীত, গ্রীষ্ম, ও বর্ষাদির মত ছয় ঋতুর লক্ষণ এবং সন্ধ্যাকালে বৰ্ষাঋতুর লক্ষণও প্রকাশ পায়। এই জন্ত বর্ষাকালের নিষিদ্ধ দ্রব্য সন্ধ্যাকালে আহার করিবে না । কবিকল্পলতায় লিখিত আছে যে, বর্ষ বর্ণন করিতে হুইলে শিখী, স্ময়, হংসাগম, পঙ্ক, কন্দল, উদ্ভেদ, জাতী, কদম্ব, কেতক, ঝঞ্জানিল, নিম্নগা ও হলিপ্রতি এই সকল বর্ণন করিতে হয়। “বর্ধাস্থ ঘনশিথিম্ময়হংসাগমাঃ পঙ্ককন্দলোস্তুেদেী। জাতী কদম্বকেতকঝঞ্জানিলনিমগাহলিপ্রতিঃ ॥”(কবিকয়লত) “পত্নী কুজতি কাননে চ সরসী স্নানায়ুপূর্ণ তথা ংসা মানসমব্রিজস্তি কমলান্তস্নানতাং যাস্তি চ | গৰ্জ্জন্মেঘমহেঞ্জকন্যরদরী শস্তাবৃতা শুমলা ভাত্যেবং পবনস্ত কোপনকরে। বৰ্ষাঋতু: শোভিতঃ ॥" ( হারাত ১৪ অ” ) এই শব্দ নিত্য বহুবচনাস্ত, দারাদেনিত্যং’ এই সূত্রানুসারে দার, অপ, বর্ষা, এই তিন শব্দ নিত্য বহুবচন, এই সকল শদের উত্তর একবচন বা দ্বিবচন হয় না । বর্ধাংশক (পুং) বর্ষপ্ত বৎসরষ্ঠ অংশ। মাস। ( ত্রিক০ ) বর্ধকাল (পুং) বৰ্ষাঋতু। আষাঢ় ও শ্রাবণ মাসদর বর্ষ। বর্ধকালীন (ত্রি ) বর্ষাসময়োপযোগী। दईकांश (१९) वर्षींद्रश्च । বৃষ্টিপাত । বন্ধবোৰ (পুং) বর্ধাস্ব ঘোষে মহান শম্বোইত। মহামওক। বর্গ (পুং) বর্ষপ্ত বৎসরস্ত অলমিৰ অভিধানাং পুংজন। মাস । ( হারাবলী ) বর্ধাঙ্গা (স্ত্রী) বর্ষাস্থ অঙ্গং বস্তাং তত্র জাতাকুরদর্শনাং তস্তাস্তথাত্বম্ পুননবা । ( শঙ্করত্নাবলী ) ইহার বিস্তৃত বিবরণ পুনন বা শম্বে দ্রষ্টব্য। বর্ষাচর (ত্রি) বর্ষায় বিচরণকারী। বর্বাচরোহন্ত ভূতক: ( ভারত ১৩ পৰ্ব্ব ) বধাজ্য (ত্রি ) বর্ষাকালোৎপন্ন স্থত সক্টর। ( অথৰ্ব্ব ১২।১।৪৭) বর্ষাৎ (হিন্দি ) বর্ষাকাল। বদ্ধতি (ত্রি) ১ বর্ষাকালসমূৰীয়। ২ বর্ষাকালে পরিধেয় পরিচ্ছতো । ৩ গবাখাদির বর্ষাজনিত রোগবিশেষ । XVII [ ७¢ 9 ] বর্ষাধিপ বর্ষাধিপ (পুং ) বর্ষাণামধিপ: ৬তৎপুরুষঃ । ১ বর্ষসমূহের অধিপতি । [ বর্ষ দেখ। ] ২ বর্ষাধিপ গ্ৰহগণ । এক এক নব বর্ষে এক একটী গ্রহ অধিপতি হইয়া থাকেন। গ্রহানুসারে বর্ষের ফলাফল স্থির করিতে হয়। এই বর্ষফলাফলের উপরই পৃথিবীর মঙ্গলামঙ্গল নির্ভর করে । বরাহমিহির এ সম্বন্ধে বৃহৎসংহিতায় লিখিয়াছেন, স্বৰ্য্য যে বার বর্ষাধিপতি, মাসাধিপতি বা দিনাধিপতি হন, সে বার পৃথিবীর সর্বত্র অন্ন শস্ত হয়। বনবিভাগ বুভূক্ষু দংষ্ট্রিগণে পূর্ণ হইয়া উঠে, নদীগণ প্রচুর বারিক্ষরণ করে না, পীড়ায় প্রযুক্ত ঔষধ সকল তাদৃশ বলকারক হয় না। শীতকালেও স্বৰ্য্য প্রথর তাপ দিয়া থাকেন। পৰ্ব্বতোপম মেঘগুলি বেশী বর্ষণ করে না, আকাশের নক্ষত্ররাজি, এমন কি স্বয়ং চন্দ্ৰম পৰ্য্যস্ত দীপ্তিষ্ঠান হইয়া উঠে, গো ও তাপসকুল বিষাদগ্ৰস্ত হয় এবং হস্তী, অশ্ব, পদাতি প্রভৃতি বলবাহনযুত নরপতিগণ অনুচর সহচর সমডিব্যাহারে বহু বাণ, ধমু ও অসি প্রভৃতি অস্ত্র শঙ্গ লইয়া দেশধ্বংসে প্রবৃত্ত হন । চন্দ্র বর্ষাধিপ হইলে, প্রচলিত পৰ্ব্বতোপম মেঘদল, কৃষ্ণসপ, কজ্জল, ভ্রমর বা মহিষবৎ কৃষ্ণবর্ণ হইয়া আকাশমণ্ডল ছাইয়৷ ফেলে, লোকের উৎকণ্ঠস্বচক গভীর শব্দে অখিল দিয়গুল পূর্ণ হইয় উঠে। নিৰ্ম্মল সলিলে পৃথিবী পূরিত হয়। সরোবর সকল পদ্ম, উৎপল ও কুমুদমালায় মণ্ডিত হইয় উঠে। উপরনস্থ দ্ৰুমদল প্রফুল্ল হয় ও ভ্রমর ঝঙ্কার করে। গাভী সকল প্রচুর দুগ্ধবর্তী হয়, সুন্দরী কামিনীর অমুরাগভরে নিয়ত পুরুষসঙ্গ করে। পৃথিবী গোধূম, শালি, যব, শ্রেষ্ঠ ধান্ত ও ইক্ষুশালিনী হইয়া নানা নগর ও চৈত্যসমূহে শোভিত, পবিত্র হোম ধ্বনিতে পূর্ণ এবং নরপতিগণ কর্তৃক পালিত হইয় থাকে। মঙ্গল বর্ষাধিপতি হইলে পবনোদ্ভূত প্রাপ্তবহি,-গ্রাম, বন ও নগর দগ্ধ করিতে উদ্যত হয়, পৃথিবীতে মর্ত্যবর্গ দস্থ্যগণে আহত ও নিঃস্ব হইয়া হাহাকার করিয়া বিচরণ করে, পশুকুল নিৰ্ম্মল হয়,মেঘদল শূন্তে অস্থারত ও সংহত মূৰ্ত্তি হইয়াও কোথাও প্রচুর জল বর্ষণ কবে না, পঙ্কপ্রায় শস্ত শেষ প্রাপ্ত হয় এবং কোনরূপে নিম্পন্ন হইলেও অবিনয় বশে অপর ব্যক্তিরা তাহ হরণ করিয়া লয় । মঙ্গলের সংবৎসরে নৃপতিগণের চিন্তু প্রজাপালনে তাদৃশ অনুরক্ত হয় না। পিত্তঙ্গাত রোগের প্রাচুর্ঘ্য হয়। ভুজঙ্গগণের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। এইরূপে প্রজাবৰ্গ শস্যহীন, বিপন্ন ও উপহত হইয়া উঠে । বুধ বর্ষাধিপতি হইলে, মায়া, ইঙ্গজাল ও কুহককারী নাগরগণ এবং গান্ধৰ্ব্ব, লেখ্য, গণিত ও অন্ত্রবিদগণের বৃদ্ধি হয়
- t8