বশীকরণ রাজমোহনে প্রজাৰণীকরণে স্ত্রীপুরুষরঞ্জনিলোকবগুমোহনি মে সোহং ‘ওঁ গুরুপ্রসাদেন এই মন্ত্র পাঠ করিতে হয় । কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশীর রাত্রিতে ইষলাদলিয়ার মূল, নরতৈল, মধু ও হরিতাল এই সকল দ্রব্য একত্র করিয়া কপালে তিলক করিলে সৰ্ব্বলোককে বশীভূত করিতে পারা যায়। যমানীবৃক্ষের মূল ও হরিতাল একত্র পেষণ করিয়া গুটিক করিবে, ঐ গুটিকা মুখমধ্যে রাখিয়া যাহার নিকট ষে দ্রব্য প্রার্থনা করা যাইবে, তিনি বশীভূত হইয়া তৎক্ষণাৎ সেই ফ্রব্য প্রদান করিবেন। ‘ওঁ অশ্বকৰ্ণেশ্বরে দুর্বলে অহিঁ কেশিক জটাকলাপে ঢঙ্কারফেংকারিণি স্বাহা’ এই মন্ত্র পাঠ করিয়া ইহার অনুষ্ঠান করিতে হয় । বটপত্র ও ময়ূরশিখা তুল্য পরিমাণে লইয়া ঘষিয়া তিলক করিলে সৰ্ব্বলোক বশীভূত হয় এবং কৃষ্ণাপরাজিত, কৃঙ্গরাজের মূল, খোৰোচন, বেড়েলা ও খেতাপরাজিতার মূল এই সকল দ্রব্য একত্র পেষণ করিয়া অবিবাহিত কস্তার হস্তে লেপন করিবে, অজগরে ঐ লিপ্ত বস্তু জলের সহিত ঘর্ষণ করিয়া তিলক করিলে সৰ্ব্বলোক বশীভূত হয়। রক্তকরবীর পুষ্প, কুড়, শ্বেতসর্ষপ,শ্বেত আকনের মূল,তগর, শ্বেতগুঞ্জ ও রাখাল-শসার মূল এই সকল দ্রব্য পুষ্যানক্ষত্রযুক্ত কৃষ্ণাষ্টমী বা কৃষ্ণ চতুর্দশী তিথিতে একত্র করিয়া পেষণ করিবে, তৎপরে ঐপিষ্টদ্রব্য দ্বারা তিলক করিলে সকল লোক বশীভূত হয়। অপামার্গের মূল ও গোরোচনা একত্র পেষণ করিয়া কপালে তিলক করিলে ত্রিজগৎ বশীভূত হয়। ‘ওঁ নমো বরঙ্গালিনী । সৰ্ব্বলোকবশঙ্করী স্বাহা’ এই মন্ত্র ৮ হাজার জপ করিয়া উক্ত । কার্য্য করিবে । পেচকের চক্ষু উৎপাটন করিয়া লইয়া তাহার সহিত গোরোচনা মিশ্ৰিত করিয়া যাহাকে জলের সহিত পান করিতে দিবে, সেই ব্যক্তি বশীভূত হইবে। পেচকের দুই কর্ণ এবং চটক পক্ষীর চক্ষু এই দুই দ্রব্য একত্র চূৰ্ণ কৰিবে, এই চূর্ণ দ্বারা কপালে তিলক কৰিলে জগৎ বশীভূত করিতে পারা যায়। আর এই চূর্ণ কোন ব্যক্তির ভক্ষ্য দ্রব্য ও পানীয় জলের সহিত প্রদান করিলে অথবা গদ্ধাব্য ও পুষ্পের সহিত জাম্ৰাণ করাইলে বা কোন ব্যক্তির মস্তকে অর্পণ করিলে সে বশীভূত হয়। পেচকের মাংস, কুঙ্কুম, অগুরু, রক্তচক্ষন ও গোরোচনা এই সকল দ্রব্য সমপরিমাণে একত্র পেষণ করিয়া ভক্ষণ কিংবা পাশের সহিত প্রদান কবিলে ত্রিজগৎ বশীভূত হয়। ইছা করিবার পূৰ্ব্বে ‘ওঁ শ্ৰীং শ্ৰীং হ্রঃন্ধঃ হেঃ ফটু নমঃ’ এই মন্ত্ৰ সহস্ৰৰায় জপ করিয়া করিতে হয়। ইহাতে কি স্ত্রী কি পুরুষ সকলেই বশীভূত হয়। পূৰ্ব্বদিবস উপবাসী থাকিয়া রাখালপার মূল উত্তোলন করিয়া, [ gسمان ] বণীকরণ 4. ॐखब्राठिभूष $पूधरन भै बून कूप्लेष्ठ कब्रिप्र, जमखग्न भै भून ও ত্রিকটু তুল্য পরিমাণে লইয়া ছাগমূত্রে পেষণপূর্বক ছায়াতে শুকাইয়া বট প্রস্তুত করিৰে। তৎপরে ঐ বটিকা ও রক্তচন্দন একত্র ঘর্ষণ করির স্বীয় অঙ্গুলিতে লেপন করিয়া ঐ অঙ্গুলি দ্বার যাহাকে স্পর্শ করা যাইবে, সেই ব্যক্তি বশীভূত হয়। পূৰ্ব্বোক্ত বট, দেবদারু ও শ্বেতচন্দন তুল্য পরিমাণে লইয়া একত্র জলে ঘর্ষণ করিয়া যাহার অঙ্গে লেপনার্থ প্রদান করা যায়, সেই ব্যক্তি বশীভূত হইয়া থাকে। পূৰ্ব্বকৃত বট ও গোরোচনা এই দুই দ্রব্য তুল্য পরিমাণে লইয়া জলের সহিত পেষণ করিয়া কপালে তিলক করিলে সেই ব্যক্তি সৰ্ব্বত্র জয় লাভ করে। ‘ওঁ নমঃ শচী ইজাণী সৰ্ব্ববশঙ্করী जर्सार्थनाशिनैौ त्राश' alहे भङ्ग गश्व ज* कब्रिग्रा ऐशंद्र फप्रकूठेॉम कब्रिटरु । কৃষ্ণ চতুর্দশী বা কৃষ্ণাটমী তিথিতে উপবাসী থাকিরা দেবতাকে বলিপ্রদানপূর্বক বেড়েলার মূল উত্তোলন করিয়া চূর্ণ করবে। এই চূর্ণ তালের সহিত যাহাকে ভক্ষণ করিতে দিবে, সেই ব্যক্তি বশীভূত হইয়া থাকে। গোরোচনা ও বেড়েলা একত্র পেষণ করিয়া তিলক করিলে সকল লোক বশীভূত হয় । মনঃশিলা ও বেড়েলার মূল একত্র পেষণ করিয়া অঞ্জন করিলেও সৰ্ব্বলোক বশীভূত হয় । বেড়েলার মূল সপ্তাহ পর্যন্ত তাৰলের সহিত প্রয়োগ করিলে রাজাও বশীভূত হয় । বেড়েলার মূল চূৰ্ণ করিয়া মস্তকে ধাৰণ করিলে বণীকরণ হয়। ঐ মূল মুখে রাখিয়া যে নারীকানন করা যায়, সেই নারী বশীভূত হইয়া থাকে। ইহা করিবার পূৰ্ব্বে ‘ওঁ নমো ভগবতি মাতঙ্গেরি সর্বমুখরঞ্জনি সৰ্ব্বেষাং মহামায়ে মাতঙ্গি কুমারিকে লেপে লঘু লঘু বশং কুরু স্বাহা’ এই মন্ত্র সহস্ৰ জপ করিয়া উক্ত প্রক্রিয়া করিতে হয় । শ্মশানের মঙ্গার ও শৃগালের রক্ত একত্র করিয়া যাহার মস্তকে নিক্ষেপ করা যায়, সেই ব্যক্তি নিশ্চয় বশীভূত হয়। ময়ূরের পিত্ত, গোরোচনা, জাতীপুষ্প এই সকল দ্রব্য অবিবাহিত কস্তাদ্বারা পেষণ করাইয়া যাহাকে স্পর্শ বা পান করান যায়, সেই ব্যক্তি ৰণীভূত হইয়া থাকে। চক্রগ্রহণ কালে শ্বেত অপরাজিতার মূল আহরণপূর্বক তার অঞ্জন করিয়া কপালে তিলক করিলে সকল লোক বশীভূত হয়। কাটা নটরার মূল মুখে রাখিলে বশীকরণ করিতে পার হার এবং প্রতিবাদী মূক হয়, বা অস্তত্ব পলায়ন করে। কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে শ্বেতগুয়ার মূল উদ্ভূত করিয়া তালের সহিত যাহাকে দেওয়া যায়, সেই ব্যক্তি বশীভূত হয়। এই প্রক্রিয়া স্বার সকল লোককে বশীভূত করিতে পারা যায়।
পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/৬৮২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।