বৌদ্ধধৰ্ম্ম w উপনিষদযুগের অবসানের সঙ্গে সঙ্গেই বৌদ্ধধশ্বের অভু্যখান ঘটে ; কারণ বৌদ্ধধৰ্ম্মের ত্রিপিটক ও স্বত্রগুলি পর্যালোচনা করিলে স্পষ্টই প্রতীয়মান হয় যে, তৎকালে উপনিষৎ বা বেদাস্তমত উন্নতির সোপানে আরোহণ করিয়াছিল, যোগসাধনা বেদান্তের অঙ্গভূত না হইলেও প্রকৃতপক্ষে বৈদাস্তিকগণ তাহার পূর্ণাঙ্গতা সম্পাদন বিষয়ে বিরুদ্ধমত প্রকাশ করেন নাই, এবং যোগস্থ একার পতঞ্জলির সময়ে যোগধৰ্ম্ম যতদূর উন্নত ও পুষ্ট হইয়াছিল, বুদ্ধদেবের আবির্ভাবকালে তাদৃশভাবে জনসমাজে প্রচারিত না হইলেও যোগচৰ্য্যা যে ভিক্ষু বা সন্ন্যাসিসমাজে বিশেষ আদৃত ও অনুষ্ঠিত ছিল, তাহ প্রাচীন বৌদ্ধগ্রন্থাদি আলোচনা করিলে মুস্পষ্টরূপে বুঝা যায়। বুদ্ধ-প্রবর্তিত কৰ্ম্মবাদ ও আত্মার দেহান্তৱবাদ তৎকালে জন সাধারণের চিন্তার বিষয়ীভূত হইয়াছিল সন্দেহ নাই। বৌদ্ধগণ যদিও আত্মার ! অস্তিত্ব স্বীকার করেন নাই ; কিন্তু কাৰ্য্যতঃ তাহার কৰ্ম্মফলকে স্বীয় ধৰ্ম্মতত্বের সারভূত করিয়া লইয়াছেন। জীবের বা আত্মার এই ধৰ্ম্ম বৌদ্ধ মনোবিজ্ঞানের সম্পূর্ণ বিরোধী হইলেও [ १.१ ] ওৎসাময়িক বেদান্ত ও যোগতত্ত্বের প্রচার বিষয়ের নিদর্শন স্বরূপে বৌদ্ধ ধৰ্ম্মনীতিতে স্থান লাভ করিয়াছিল । বৌদ্ধধর্মের অভূখান-সময়ে শিক্ষিত ও চিন্তাশীল ভারত- | বাসীর পারলৌকিক মুক্তিচিন্তা গভীর দুশ্চিন্তায় ( বৌদ্ধমতে, সম্বেৰ্গ ) পরিণত হইয়াছিল। তৎকালে তাহারা যে কোন আদশঁকে লক্ষ্য কবিয়া ধৰ্ম্ম ও নীতির পথে অগ্রসর হইতেছিলেন, তাই আলোচনা করিলে দেখা যায় যে, সে সময়ে সকলেই কণ্ঠময় জীবনের যন্ত্রণ, বাদ্ধক্য এবং মৃত্যুর আশঙ্কায় ভীত ছিলেন । পুন: পুন: জন্ম-পরিগ্রহের ভয়ও তাহ{দের সেই পীড়াদায়ক চিন্তাকে আরও ভয়ানক করিয়া তুলিয়াছিল। সকল সম্প্রদায়ের লোকেই তৎকালে জীবনকে অতিশয় গুরুভার মনে করিতেন এবং ইহাকেই মানবজীবনের একমাত্র অবিমিশ্র দুঃখের কারণ বলিয়া জানিতেন । এজন্ত সকলেই পুনজ স্ম বা ‘গুংসারযন্ত্রণা হইতে মুক্তিলাভের জন্ত ব্যতিব্যস্ত হইয়াছিলেন। সকলের মনেই দৃঢ় বিশ্বাস ছিল যে, পুনর্জন্ম-নিবারণের विछिप्न ७°ाङ्ग अझ । उद्धनश्र्छनहे भूक्लिलाएउद्र ५५ প্রশস্ত হয়। অজ্ঞান বা অবিদ্যার পরাজয় ও শ্রেষ্ঠতম সত্য (সম্বোধি) লাভ করাই ঐ পথাশ্রয়ের একমাত্র উপায়। বৈদান্তিকের বলেন, পরমাত্মা এবং জীবাত্মার ঐকাস্তিক ভাবে একত্র ংশ্রেয়সের নাম সত্য বা তত্ত্বজ্ঞান। সাংখ্যবাদীরা বলেন, আয়ু অনন্ত ও বিশুদ্ধ এবং ভূত বা তত্ত্ব হইতে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। আত্মা দেহাবচ্ছিন্ন থাকিলেও কখন পবিত্রতা নষ্ট করেন না। বৌদ্ধগণ আত্মা বা পরমাত্মরূপ কোন পদ্ধার্থের অস্তিত্ব স্বীকার করেন না। | XIX *Wre বৌদ্ধধৰ্ম্ম সম্বোধি লাভের পর মহাত্মা শাক্যবুদ্ধ আৰ্যসত্য ও প্রতীত্য সমুৎপাদ প্রচার করেন । [ বর্গীয় 'ব'এ दूकरनर भक (नष। ] ७हे ध्रुहे$िहे ॐाशद्र প্রচারিত ধৰ্ম্মের মূলভিত্তি। যথা-দুঃখ, সমুদয়, নিরোধ এবং প্রতিপদ বা মার্গ এই চারিটী সত্যই আর্য্যসত্য। :থ আছে একথা কেহই অস্বীকার করিতে পারে না । দুঃথ থাকিলেই তাহার কারণ (সমুদয় ) আছে। এই দুঃখের নিরোধ করিতে অবশুই কোন পন্থা বা উপায় ( মার্গ ) আছে । প্রতীত্যসমুৎপাদের সংখ্যা দ্বাদশটি। অন্ততর নাম দ্বাদশনিদান । এই দ্বাদশ নিদানের উদ্দেশু দুঃখের প্রকৃত কারণ নির্ণয় করা । আযুৰ্ব্বেদের সঙ্গে নিদানের যে সম্বন্ধ, আর্য্যসত্যের সঙ্গে এই দ্বাদশ নিদানের সেই সম্বন্ধ । স্বাদশ নিদানের নাম যথা— অবিস্কা, সংস্কার, বিজ্ঞান, মামরূপ, ষড়ায়তন, স্পর্শ, বেদনা, তৃষ্ণা, উপাদান, ভব, জাতি, জরামরণ, শোক, পরিদেবন, দুঃখ, দৌৰ্ম্মনন্ত, উপায়াস ইত্যাদি । [ বুদ্ধদেব শব্দ ৭২ পৃষ্ঠা দেপ। ] মানুষ প্রথমতঃ অবিস্কাচ্ছন্ন অর্থাৎ অজ্ঞান নিদ্রাভিভূত থাকে। কিঞ্চিম্মাত্র চেতন লাভ করিয়া সে কতক গুলি সংস্থtরের বশবৰ্ত্তী হয়। তখনও তাহার পূর্ণচৈতনা হয় নাই। সংস্কারের পবে বিজ্ঞান বা চেতন । চেতন হইলে দ্রব্যের নাম এবং রূপের জ্ঞান জন্মে ; নামরূপের উপলব্ধি হইলে যুড়ায়তন অর্থাৎ ঘড়িঞ্জিয়ের ক্রিয়া আরম্ভ হয়। সেই ইঞ্জিয়ক্রিয়া হইতে বাহিরের বস্তুর সহিত সংস্পৰ্শ ঘটে। সংস্পর্শ ইষ্টতে বেদন বা অনুভূতি এবং অনুভূতি হইতে তৃষ্ণ অর্থাৎ মুখপ্রাপ্তির এবং দুঃখ পরিহারের ইচ্ছ। এই তৃষ্ণা হইতে কার্য্যের চেষ্টা বা উপাদান। চেষ্টার আরম্ভ হইলে একটা অবস্থার উৎপত্ত্বি হইবে, তাহা ভাল কিংবা মদ ও হইতে পারে, এই অবস্থার নাম ভব । তাহার পরেই জাতি অর্থাৎ নবজীবনের উৎপত্তি । যাহার উৎপত্তি আছে,তাহার বিনাশ অবশুম্ভাবী ; সুতরাং জীবনে শোক দুঃখ জরামরণ প্রভৃতি অবশুই ভোগ করিতে হইবে। যাহাতে এই জরামরণ দুঃখাদি হহঁতে নিস্তার পাওয়া যায়, সেই পন্থা আবিষ্কার করাই বুদ্ধধৰ্ম্মের মুখ্য উল্লেখ । এখানেও যোগশাস্ত্রের সহিত উক্ত মতের বড় বিরোধ নাই । অবিস্তাই সকল অমঙ্গলের নিদান । এই অবিদ্যার বিনাশ উভয়েরই উদ্দেশু। কিন্তু ইহার মধ্যে একটা গুরুতর কথা আছে । যোগ-শাস্ত্রকার দার্শনিক শাশ্বতবাদী—তিনি অমৃতত্ব এবং অপরিবর্তনশীলতার আকাঙ্কী। যাহা ক্ষণস্থায়ী এবং পরিবর্তনশীল তাছাই অমঙ্গল এবং সেই অমঙ্গল পরিহার করাই জীবের প্রধান কর্তব্য। কিন্তু বৌদ্ধধৰ্ম্মে আত্মার অস্তিত্ব আদৌ স্বীকৃত হয় আর্য্য-সভা धठौष्ठामबू९*ाप
পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/৭১৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।