বৌদ্ধধৰ্ম্ম . [' १88 l বৌদ্ধধৰ্ম্ম মনে করেন। খৃষ্টীয় ৬ষ্ঠ শতাব্দীতে এই গুহমতাবলম্বিগণ “মন্ত্রযান" নামে খ্যাত হন। ঐ সময় চীন ও জাপানে পর্যন্ত | বৌদ্ধ তান্ত্রিকের অভু্যদয় ঘটিয়াছিল । খৃষ্টীয় ৭ম শতাদে ভোটদেশে ( তিব্বতে ) ‘মন্ত্রযান' মত প্রচলিত হয় । খৃষ্টায় ম শতাৰে এই মন্ত্রযানই নানা বিভৎসমূৰ্ত্তিতে "কালচক্র” । নামে সম ; ভোটে দথা দিয়াছিল । ইহাই নেপালে "বজ্রযান’ নামে আঞ্জ ও প্রচলিত রহিয়াছে । প্রবাদ এই যে শঙ্কবাচার্য্য এবং কুমারিলভট্ট দুইজনে বৌদ্ধস্মকে ভারতবর্য হইতে নিৰ্ব্বাপিত করেন । কিন্তু এ প্রবাদের মুলে কিছুমাত্র সত্য আছে বলিয়া মনে হয় শঙ্করাচার্য্যের বহু পরে ও যে বৌদ্ধকৰ্ম্ম ভাবতে উজ্জ্বল ছিল, তাহfর যথেষ্ট প্রমাণ রহিয়াছে। শঙ্করের সহিত হিন্দুধর্মের অভু্যদয় হইলে ও পবা ক্রান্ত রাজন্তবর্গ .বী ও হিন্দুধৰ্ম্মকে কিছুকাল সম ভাবেই দেখিয়া অসিতে লব্ধ ধৰ্ম্ম | 1 ছিলেন । ৭ম শতাব্দীতে রাজা হর্ষবদ্ধন বৌদ্ধ ধন্মের প্রভূত উন্নতি BBB BB BB S BBB BB BB BBBS SSKKSS S gg S S S gGSB BBB মঃ ধনসম্প্রদায় ভুক্ত ছিলেন, কিন্তু সকল বৌদ্ধ সম্প্রদায়কেষ্ট সমভাবে দর্শন করতেন । তিনি পৌদ্ধাচাৰ্য্য মৈত্রায়ণীয় দিবকর মিত্রকে বিশেষ ভক্তি করতেন, তাহার ভগিনী রাজ্য শ্রী বে। ভিক্ষুণী হইয়াছিলেন । তাঁহারই সময় চীনপরিব্রাজক tং ডএন্সিয়াং ভারতবর্ষে আগমন করেন ; তিনি দেখিয় tয়াছেন যে সম্রাট্র চর্যবন্ধনে ব রাজচ্ছত্রতলে নানা সম্প্রদায়ের হিন্দু ও বৌদ্ধগণ মুখশান্তিতে অতিবাহিত করিতেছেন। এ সময় চীনযান ও মহাযান এই দুই সম্প্রদায়ী বৌদ্ধগণের মধ্যেই কিছু দলাদলি কর্ণসুবর্ণরাজ শশাঙ্ক বৌদ্ধদলনে বিশেষ তৎপর ছিলেন, কিন্তু এরূপ দৃষ্টাস্ত অতি বিরল। এই সময়ে কাশ্মীরেও বৌদ্ধধৰ্ম্মের প্রভাব সঙ্গীব ভাবেই ৰত্নমান ছিল । কিন্তু এখানে কায়স্থবংশীয় রাজা চুল ভবদ্ধনের স্থায় হণেৰ সংত শৈব প্রভাব অt অরে বদ্ধিত চাওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায় । তিনি নিজে শৈব হইলে ও বৌদ্ধধয়ের পুf ও বিরাগ প্রদর্শন করেন নাই । 5 || নপালে ও বাজ এবং সাধাবণ লোকে বৌদ্ধ ও হিন্দু- | পূৰ্ম্মে বু প্রতি সমভাবে সমদর্শী ছিলেন । মমির পূৰ্ব্বে বালয়ছি যে ৭৫ - খু: অন্ধ হইতে বৌদ্ধধন্মের অবনত আৰম্ভ হয়, কিন্তু পশ্চিম ভারতবর্ষে ইহার পূৰ্ব্বেন্থ মুসলমান কত্ত্বক সন্ধবিজ্ঞয় দ্বারা ( ৭১২ খৃ: ) অবনতির স্থত্রশাস্ত হইয়াছিল । সংহলে ভিক্ষুগণের মধ্যে যে সাম্প্রদাষিক বিরোধ ছিল,
| | | তাহা অগ্ৰবোধির রাজত্বকালে অনেক পরিমাণে নিৰ্বাপিত চর কারণ এই সময়ে তামিলগণ বৌদ্ধদের প্রতি অত্যাচার করার ইহাদের মধ্যে একতার বন্ধন দৃঢ়তর হইয়া উঠে। সমরোধ পরাক্রম বাহু (১ম) ( ১১৫৩—১১৮৪ খৃ: ) নৃপতির রাজত্বকালে সৰ্ব্ব সম্প্রদায়ের মধ্যে একতাবন্ধনের জন্ত বিশেষ চেষ্ট হয় এবং ১১৬৫ খৃষ্ঠান্ধে অমুরাধপুরের সঙ্গীতিতে তাহা কাৰ্য্যে পরিণত হয় । খুষ্ঠায় ১৩শ শতাব্দীর প্রথমে কলিঙ্গ হইতে মাঘ নামে এক ৰাজ পুনরায় বৌদ্ধদেব প্রতি অত্যাচার আরম্ভ করেন । প্রায় ১২৫০ খৃষ্টাব্যে বিজয়বাহু রাজা হঠয়া এষ্ট অত্যাচাব নিরাবণ করেন এবং বৌদ্ধধৰ্ম্মকে সজীব করেন । তাহাব পুত্ৰ পরাক্রমবা (৩য় ) অতিশয় ধৰ্ম্মান্নুরাগী ও শিক্ষানুরাগী ছিলেন । সংস্কৃত ভাষায় তাহার অগাধ পাণ্ডিত্য ছিল এবং বল শুিত তাহার সভায় স্থান পাইতেন । সিংখলে বৌদ্ধধৰ্ম্ম অদ্য পর্যন্তও সমভাবে বর্তমান রহিয়াছে । খৃষ্টান, মুসলমান ও হিন্দু ধন্মের আক্রমণ সহ করিয়াও তাহা একেবারে তিবৈহিত হয় নাই ! সিংস্থলে উচ্চশ্রেণীর সকলেষ্ট বৌদ্ধধৰ্ম্মবিশ্বাসী। কিন্তু বর্তমান সিংহলী বৌদ্ধধৰ্ম্ম হিন্দুধৰ্ম্মেব ছায়া ও তৎ প্রভাবে জড়িত । তান্ত্রিকতার প্রাধান্ত যখন আরম্ভ হইয়াছে, তখন হইতেই বৌদ্ধধৰ্ম্মের অবনতির স্বত্রপাত। এজন্য কেবল হিন্দুরা দায়ী নহে । বৌদ্ধগণও শেষকালে এই তান্ত্রিকতায় আস্থা স্থাপন করিয়া নানাপ্রকার অলৌকিক ক্রিয়াকলাপ ও সিদ্ধিলাভের আশায় ইহার চচ্চ করিতেন । অসঙ্গের তিরোভাব এবং ধৰ্ম্মকীৰ্ত্তির আবির্ভাব্য এই সময়ের মধ্যেই বৌদ্ধ তান্ত্রিকতার পরিপুষ্টি সাধিত হয় । ভোটদেশী লাম তীরনাথ লিথিয়াছেন যে, ধৰ্ম্মকীৰ্ত্তির পরই অনুত্তর-যোগ প্রবল হইয়াছিল। গৌড়ের পালরাজগণ বৌদ্ধধৰ্ম্মাবলম্বী ছিলেন, তাহার প্রমাণের অভাব নাই। এই পালরাজগণের সভায় বহু সিন্ধুবজ্রাচার্য্য নানা অলৌকিক কাৰ্য্য দেখাইয়া সাধারণকে বিমুগ্ধ করিয়াছিলেন । এই সময়ে বজ্রযানের পরিণতিকাল । সময়েই গুরুকর্তৃক কর্ণে তান্ত্রিক বীজ মন্ত্রদানের ব্যবস্থা হয়। এই পালবংশ ৭৭৫-১১৬১ খৃঃ হাঃ রাজত্ব করেন । ইহাদের সময়ে বিক্রমশিলার মঠ তান্ত্রিক শাস্ত্র-চর্চার এক প্রধান স্থান ছিল । পালরাজ-বংশের পরে সেনরাজগণ প্রবল হন । ই হার যদিও হিন্দুধৰ্ম্মাবলম্বী ছিলেন, কিন্তু বল্লালসেন নিজে তান্ত্রিক ধৰ্ম্ম গ্রহণ করার বৌদ্ধদের প্রতি অত্যাচার করেন নাই। ১২• • খু: অন্ধে ভারতে বৌদ্ধধৰ্ম্মের প্রভাব লোপ এই