পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/৭৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৌদ্ধধৰ্ম্ম বুদ্ধদেব অতুল রাজৈশ্বৰ্য্য পরিত্যাগ ও কঠোর সাধনা করিয়া সিঞ্চিলাভ করিয়াছিলেন, ক্রমে সেই ধৰ্ম্মই বৌদ্ধসাধারণের প্রধান উপাপ্ত এবং সেই ধৰ্ম্মহ বুদ্ধ ও বুদ্ধশক্তির মধ্যে সৰ্ব্ব প্রধান আসন লাভ করলেন। যে শূন্তৰাষ্ট্ৰ বৌদ্ধধৰ্ম্মের প্রধান লক্ষ্য, সেই মহাশূন্তই ধৰ্ম্মদেৰতার নামান্তর বলিয়া গণ্য হইলেন এবং এই নিরাকার মহাশূন্ত হইতেই সমস্ত বুদ্ধ, দেবদেবী ও সৰ্ব্বজগতের উৎপত্তি কল্পিত হইল । হিন্দু ও মুসলমান প্রভাবে মহাযান বোদ্ধপ্রভাব বিলুপ্ত হইলেও সাধারণের হৃদয়ে উক্ত ধৰ্ম্ম ম্বেবতাটা সে আসন পতিয়া বসিয়াছিলেন, তাছাকে সহজে কেহ সেই স্থান হইতে বিচুত করতে পারল না। যাহারা ধৰ্ম্ম দেবতাকে ভূতপূৰ্ব্ব বৌদ্ধ ধৰ্ম্মাবশেষ বলিয়া ছাড়িতে পারিল না, গৌড় বঙ্গের ব্রাহ্মণ- ' প্রধান সমাজে তাহার হীন জাতিতেই পরিণত হইল, তাহ1দিগের বংশধরেরা আজও ধৰ্ম্মঠাকুরের সেবক বা পূজক । মহাধান গ্রভাবের শেষাবস্থায় ধৰ্ম্ম নারীমূৰ্ত্তি পরিগ্রহ করিলেও পঙ্গের ধৰ্ম্মপুঞ্জকদিগের নিকট সে মূৰ্ত্তি দুই এক স্থল ভিন্ন সৰ্ব্বত্র আদৃত হইয়াছিল বলিয়া মনে হয় না। বাঙ্গালার প্রায় সৰ্ব্বত্রই | যেখানে বহুসংখ্যক নিয়শ্রেণীর হিন্দুর অর্থাৎ ডোম, পোদ, ভুলে, | বাগদী, কৈবৰ্ত্ত প্রভৃতির বাস, সেখানেই ধৰ্ম্মবাজ পূজিত ছন, বলতে কি কোথাও সেই ধৰ্ম্মঠাকুরের মূৰ্ত্তি নাই, কোথাও একখানি মুড়ী,কোথাও একখানি নোড়া, ধৰ্ম্মঠাকুরের পুজা দখল । কবিতেছেন। পাথরের আক্রবক্র বা ঢোপ অনুসারে যে, যে রূপই । কল্পনা করিয়া লডন, তাহাতে ক্ষতি নাই ; প্রকৃতপক্ষে তাহার কোন রূপ ছিল না, যদিও কোথাও ধ্যানীবুদ্ধমূৰ্ত্তি ধৰ্ম্মরাজরূপে । পূজিত হইতেছেন, কিন্তু মানাস্থান হইতে যে ধৰ্ম্মঠাকুরের ধ্যান পাওয়া গিআছে, তাছা পাঠ কারলেই শূন্তমূৰ্ত্তির পরিচয় পাইবেন—

  • ধস্তাস্তো নাদি মধ্যে ন চ করচরণেী নাস্তিকায়ে নির্ণাদং নাকারো নৈব রূপং ন চ ভয়মরণে নাস্তি জন্মানি যন্ত । যোগীক্সৈ জ্ঞানগম্যং সকলদলগতং সৰ্ব্বলোকৈকনাথং ভক্তানাং কামপুরং মুরনরবরদং চগুয়েৎ শূন্তমূৰ্ত্তিং ।” - এই শূন্তমূৰ্ত্তি করূপে হইল তাহা সৰ্ব্বদর্শনসংগ্রহে বৌদ্ধদৰ্শন প্রস্তাবে এইরূপ দৃষ্ট হয়—

“অস্তি নাস্তি তদুভয়ামুভয়চতুষ্কোটিখিনিমুক্তং পুস্তরূপং” বাস্তৰিক বৌদ্ধদিগের সৰ্ব্বোচ্চদর্শনই শুষ্ঠৰাম । প্রজ্ঞাপার | মিত প্রভৃতি প্রসিদ্ধ বৌদ্ধগ্রন্থগুলিতে শূন্ততা ও মহাশূন্তত

|

লছয়াই বিশেষভাবে আলোচনা । কোন হিন্দুশাস্ত্র এরূপ শূন্তবাদ সমৰ্থন করেন নাই, এবং পরবত্তী হিন্দুদাৰ্শনিকগণ শূন্তবাদ १०न कaिtङरे मङ्गवान् श्हेंबरश्न । मशयानमिtश्रब ७हे भूत्र ' [ १8७ ] . বৌদ্ধধৰ্ম্ম বাদের আলোচনা করিবার কারণ এই যে মহাযান সম্প্রদায় এক্ষণে অঙ্গ বঙ্গ কলিঙ্গ হইতে এককালে অস্তর্ধিত হইলেও, ব্রাহ্মণ-গ্রাধান্ত-নির্দেশক , কোন হিন্দুশাস্ত্রে শূন্তবা স্বীকৃত না হইলেও আজও বঙ্গ উৎকলবাসীর ইতর সাধারণের মধ্যে শূন্তবাদের প্রভাব বিলুপ্ত হইতে পারে নাই, কেবল শূন্তপুরাণ বলিয়া মহে, বহু ধৰ্ম্মমঙ্গলে ও ডোম, হাড়ী, বাউরি প্রভৃতি নীচ জাতির ধৰ্ম্মবিশ্বাসে সেই শূন্তরূপ স্বম্পষ্ট প্রতিভাত রহিয়াছে। কেবল বঙ্গের উক্ত সাম্প্রদায়িক মঙ্গলগ্রন্থ বা নীচজাতির বিশ্বাস বলিয়৷ . নহে, ময়ূরভঞ্জের দুর্ভেস্থ জঙ্গলাবৃত প্রদেশ হইতে আবিষ্কৃত সিদ্ধান্ত-উড়,ম্বর, মমমুপটল, অনাকার-সংহিতা প্রভৃতি উৎকল পুথি হইতেই মহাযানধৰ্ম্মের বিগত স্মৃতি পাওয়া গিয়াছে । সিদ্ধান্ত উড় স্বরের প্রারম্ভেই এই শ্লোকটা দৃষ্ট হয়— “অনাকাররূপং শূন্তং শূন্তং মধ্যে নিরঞ্জন । নিরাকারমঙ্গজ্যোতিঃ সংজ্যোতির্ভগবানয়ম্।” ধৰ্ম্মপুঞ্জাপ্রবর্তৃক রামাই পণ্ডিতের শূন্তপুরাণেও এই শ্লোকট *tZリー “শুনুরূপং নিরাকারং সহস্রাবল্পনাশনম্। সৰ্ব্ব পঞ্চ: পরোপে ব: তস্মাষ্ট্রং বরণে তব ॥” সুতরাং দেখা যাইতেছে উভয় গ্রন্থকারের লক্ষ্য পুস্তবাদ, উদ্দেগু এক । নেপালী বৌদ্ধগণের স্বয়ম্ভ,পুরাণের প্রারম্ভেও এইরূপ শ্লোক प्रश्प्रिांछ “নমো বুদ্ধায় ধৰ্ম্মায় সঙ্ঘরূপায় বৈ নমঃ । স্বয়স্তবে বিখ্রস্থান্ত ভনিবে ধৰ্ম্মধাতবে ॥১ অস্তি নাস্তি স্বরূপায় জ্ঞানরূপস্বরূপিণে। শূন্তরূপম্বরূপায় নানারূপায় বৈ নমঃ ॥৩” রামাই পণ্ডিতের পদ্ধতিতে ও আমরা দেখিতে পাই যে, সেই মহাশূন্তমূৰ্ত্তি “ললিত অবতার"-রূপ ধৰ্ম্ম হইতে আঞ্চাশক্তি পাৰ্ব্বতাঁর জন্ম, অতঃপর সেই পাৰ্ব্বতী হইতে ব্ৰহ্মা, বিষ্ণু ও মংেস্বরের উৎপত্তি । এই ধৰ্ম্মরাজ আদ্য বা অনাস্ত নামেও সকল ধৰ্ম্মমঙ্গলে পরিচিত । ময়ূরভঞ্জের অনাকারসংহিতাতেও দেখি-- “ব্রহ্মা বিষ্ণু রুদ্র তাপরে দুর্গাএ পড়াস্তি আঞ্চর গুরু। " সাম জজু কুক্‌ অথৰ্ব্বএ আদি পড়াস্তি অনাপ্তষ্ঠাকুর ।” ७थान अक्रl, १िभू, म८९१ब्ल ७ शुभैी श्रें८७७ श्रांश्व वा अनfश्न ঠাকুরের শ্রেষ্ঠতা ঘোষিত হইতেছে। * পূৰ্ব্বেই বলিয়াছ যে, মহামান-প্ৰবৰ্ত্তক উপনিষদের ব্রন্ধকেই মহাশূন্থরূপে গ্রহণ করিয়াছিলেন, রামাইপণ্ডিতের শূন্তপুরাণেও সেই কথা, সেই মহাশূন্তে লম্ব বা ব্রহ্মনিৰ্মাণের কথাই দেখি। উক্ত অনাকার-সংহিতায় লিখিত আছে—