বিষ [ १8 ] - বিষ ংসসাদ ও অচেতনতা নষ্ট হয় । ইহার স্পর্শমাত্রে সমস্ত বিষ বিনষ্ট এবং গবস্তৃত বিকৃতচৰ্ম্ম প্রকৃতিস্থ হইয় থাকে । ইহার নাম মৃত্যুপাশচ্ছেদ ঘৃত । ধুতুরার মূল বা অঙ্কোঠ (অাকড় } বৃক্ষের মূল কিম্বা বঁশের মুল দুগ্ধ দ্বারা পেষণ করিয়া পান করিলে কুকুরের বিষ বিনষ্ট হয়। ষ্টবিদ্র, দারুহরিদ্র, রক্তচন্দন, মঞ্জিষ্ঠা ও নাগকেশৱ এই গুলি শীতল জলে পেষণ করিয়া তন্দ্বারা প্রলেপ দিলে সন্ধুই লতাবিষ নষ্ট হয় । সুপিষ্ট জীরক ঘূত ও সৈন্ধবের সহিত মিশাইয়া কিঞ্চিৎ উষ্ণ কল্পিবে, পরে উহা মধু দিয়া মাড়িয়া দষ্টস্থানে প্রলেপ দিলে বৃশ্চিকের বিষ বিদূরিত হইয়া যায়। স্বৰ্য্যাবৰ্ত্ত (শূলট ) বৃক্ষের পাতা মৰ্দ্দন করিয়া তাহাঙ্গ স্বাণ লইলে ক্ষণকাল মধ্যেই বৃশ্চিক দংশন জন্য বিষ বিনষ্ট হয়। নরমূত্র পরিধিঞ্চনে তৎক্ষণাৎই যে, বৃশ্চিক দংশন জ্বালার নিবৃত্তি;হয় ইহা শতধ দৃষ্টি ফলপ্রদ। বিষ বিয়ছিজের লক্ষণ । বিস্তুপীড়িত ব্যক্তি আরোগ্য লাভ করিলে বাতদি দোষ ও ধাতুর স্বাভাবিক অবস্থা, অল্প ভক্ষণে অভিলাষ মলমূত্রেরও যথাযথভাবে নির্গম হয়। তদ্ভিন্ন রোগীর বর্ণপ্রসন্নতা, ইন্দ্রিয়পটুতা ও মনের প্রফুল্লত হইয়া সে ক্রমে ক্রমে চেষ্টাক্ষম হইতে থাকে। { ভাবপ্র” বিষাধিকার ) এতদ্বিন্ন চরক সুশ্ৰুতাদি চিকিৎসা গ্রন্থ সমূহে ও বিষ-চিকিৎসার বিবিধ প্রণালী লিপিবদ্ধ হইয়াছে । বাহুল্যভয়ে তাহ প্রদত্ত হইল না । পারিভাষিক বিষ । কৃষ্ণুপুরাণে উল্লিখিত হইয়াছে, খাটি বিধই কেবল বিষ নয়, পরস্তু ব্ৰহ্মস্ব ও দেবস্বকেও বিষ বলা যায় ; সুতরাং সে ছুটীও সৰ্ব্বতোভাবে সযত্নে পরিত্যাগ করা কর্তৃব্য । “ন বিষং বিষমিত্যাহব্রহ্মস্বং বিষমুচ্যতে। দেবস্বঞ্চাপি যত্নেন সদণপরিহরেত্ত্বত: ॥* ( কুৰ্ম্মপু” উপবি’ sa श्र" ) নীতিশাস্ত্রকার চাণক্যও কতকগুলি বিষয়কে বিষ আখ্যায় অভিহিত করিয়াছেন। তাহার মতে দুরধীত বিদ্যা, অজীর্ণ অবস্থায় ভোজন, দরিদ্রের বহু পরিজন, বুদ্ধের যুবতী স্ত্রী, রাত্রিকালে ভ্রমণ, রাজার অনুকূলতা, অন্যাসক্ত স্ত্রী এবং অদৃষ্ট ব্যাধি, এই সকলই বিষ অর্থাৎ বিযভূল্য। "রাধীতা বিষং বিস্ত অঞ্জীৰ্ণে ভোজনং বিষং ! বিষং গোষ্ঠী দরিদ্রস্ত বুদ্ধস্ত তরুণী বিষম্ ॥ বিমং চঙক্রমণং রাত্রে বিষং রাজ্ঞোহমুকুলত । বিয়ং গ্রিস্লোহপ্যন্ত দ্রো বিষং ব্যাধির বীক্ষিতঃ ॥” ( চাণক্য ) পাশ্চাত্যমতে ৰিষ-লক্ষণ । বিষ কাহাকে বলে এই প্রশ্নের মীমাংসা সম্বন্ধে বৈজ্ঞানিক পণ্ডিতগণের যথেষ্ট আলোচনা দেখিতে পাওয়া যায়। কেহ বলেন, পদার্থসমূহের অভ্যন্তরে মানুষের স্বাস্থ্য বা জীবন-নাশকারক যে ক্রিয়াশক্তি বর্তমান থাকে উহাই বিষ । কেহ কেহ বলেন, যাহা দেহুসংস্পৃষ্ট হইলে অথবা কোন প্রকারে দেহাভ্যন্তরে প্রবিষ্ট হইলে স্বাস্থ্যের হানি বা জীবন নষ্ট হইতে পারে তাহাই বিষ । সাধারণ লোকের কথা এই যে অতি অল্পমাত্রায় যে পদার্থ দেহে প্রবিষ্ট হষ্টয়া জীবন নাশ করে তাহাই বিধ । ফলতঃ বিষের ঐরূপ সংজ্ঞা নিৰ্দ্ধারণ যথাযথ নহে, কেন না তাহ হইলে উহ। অতিব্যাপ্তি বা অব্যাপ্তিদোষদুষ্ট হয় । অতি অল্পমাত্র কাচচূর্ণ উদ্বরস্থ হইলে তাহাতেও প্রাণনাশ হইতে পারে, কিন্তু তাহা বলিয়া উহা বিশ্বসংজ্ঞায় অভিহিত হইতে পারে না। যে অন্ন আমাদের দেহের পক্ষে নিত্য প্রয়োজনীয়, দৈহিক অবস্থা বিশেষে বা পরিমাণাধিক্যে উছাও বিষের ন্যায় কাৰ্য । করিতে পারে। এমন কি,যে বায়ু ব্যতিরেকে এক মুহূৰ্ত্তও আমরা জীবন ধারণ করিতে পারি না, সময়বিশেষে ও দেহের অবস্থাবিশেষে সেই বায়ুই স্বাস্থ্যের হানি করে ; সুতরাং বিষের যথাযথ সংজ্ঞা নিৰ্দ্ধারণ সহজ ব্যাপার নহে । কিন্তু আমাদের ভাবায়ু, ব্যবহারিক প্রয়োজনের নিমিত্ত্ব অনেকগুলি পদার্থ বিষ-সংজ্ঞায় অভিহিত হইয়া আসিতেছে । সেই সকল পদার্থ সম্বন্ধেই এস্থলে আলোচনা করা হইবে । পাশ্চাত্য প্রদেশেও বিষ সম্বন্ধে যথেষ্ট বৈজ্ঞানিক আলোচনা দৃষ্ট হয়। পাশ্চাত্য চিকিৎসা-বিজ্ঞানে বিষ-বিজ্ঞান “টক্সোলজী” ( Toxology ) নামে অভিহিত হইয়া থাকে । মেডিক্যাল জুরি প্রডেন্স নামক চিকিৎসাবিজ্ঞানের মধ্যে বিষবিজ্ঞান একটা প্রধান অঙ্গ। বিষক্রিয়ার লক্ষণ কে এবং সেই সকল দুলক্ষণের শান্তিই বা কিরূপে সংসাধিত হইতে পারে, তদ্বিষয়ের সবিশেষ পরিজ্ঞান চিকিৎসা-ব্যবসায়িমাত্রের: একান্ত প্রয়োজনীয় । পাশ্চাত্য চিকিৎসাবিজ্ঞান পঠে জানা যায়, বিষের ক্রিয়া বিবিধ। এই ক্রিয়া স্থানীয় ও দূরব্যাপিনী। বিষের স্থানীয় ক্রিয়ায় কোন স্থানের চৰ্ম্মাদি বিদীর্ণ হয়, কোথাও প্রদাহ উপস্থিত হয়, অথবা জ্ঞানজনক বা গতিজনক (Sensory or motor) atą: Bolto Erfr ffaf zref* পায় । দূরব্যাপিনী ক্রিয়া অন্তবিধ । স্পষ্ট স্থানে উছার ক্রিয়া প্রকাশ পাইতে পারে,অথবা নাও পারে; কিন্তু দূৰ্ববৰ্ত্তী দেহ যন্ত্রের উপরে উহাব সবিশেষ ক্রিয়া প্রকাশ পাইয়া থাকে। এই অবস্থায় রোগের লক্ষণের ন্তায় বিষক্রিয়ার লক্ষণ প্রকাশ পায়। যখন দূরব্যাপিনী ক্রিয় প্রকাশ পায়, তখন বুঝিতে হইৰে ৰে বিশ্বেল্প ক্রিয়t
পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/৭৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।