বিষমজ্বর o [ ex ) विषाक्षप्त ময়ূরপুচ্ছের টান, ছাগরোম, সর্ষপ, বট, হিঙ্গু, গোহাড় ও মরিচ এই সকল সমভাগে ছাগমুম্বারা পেষণ করিয়া যথাবিধি ৰূপ ( ভাপর ) প্রদান করিলে সৰ্ব্বপ্রকার বিষমজর, গ্ৰছ, ডাকিনী, পিশাচ ও প্রেতজষ্ঠ বিষ্ণুরসমূহ নষ্ট হয়। গুলঞ্চ, মুগ্ধ, চিরতা, আমলকী, কণ্টকারী, কঠ, বিৰমূলের ছাল, সোণাছাল, গাম্ভারীছাল, পারুলছাল, গণিয়ারী ছাল, কটকী, ইজযব, দুরালভা, এই সকল দ্রব্যের সমষ্টিতে ২ তোলা পরিমাণ লইয়া ৩২ তোলা জলে জাল দিয়া ৮ তোলা জল অবশিষ্ট থাকিতে নামাইয়া ছাকিয়া ২ মাৰা পিপুল চুর্ণ ও ২ মাঘ মধু উহাতে প্ৰক্ষেপ দিয়া প্রত্যহ সেবন করিলে বাতিক, পৈত্তিক, শ্নৈগ্নিক, দ্বন্দ্বজ ও চিরোৎপন্ন রাত্রি-জর নিবারিত হয়। হিঙ্গুল, গন্ধক ও পারদ প্রত্যেক একতোলা লইয়া অশ্বখবন্ধল, ধুতুরার মূল, কণ্টকারীর মূল এবং কাকমাচী, ইহান্ধের প্রত্যেকের রসে তিন তিনদিন পৃথকৃ পৃথক রূপে ভাবনা দিয়া দুই বা তিন রতি প্রমাণ বটিকা প্রস্তুত করিয়া দুগ্ধের সহিত সেবন করিলে অচিরে রাত্ৰিজর বিনষ্ট হয়। পারা, গন্ধক, শঙ্খভন্ম প্রত্যেক একতোলা তুতেভষ্ম অৰ্দ্ধতোলা এইগুলি একত্র মিশ্ৰিত করিয়া দাবীশাক ( কুলেখাড়া ) জয়ন্তী ও নটে-শাক, ইহাদের প্রত্যেকের রসে সাত সাতবার ভাবনা দিয়া ও রতি প্রমাণ বট করিবে । পুরাতন স্বতের সহিত সেবন করিলে তৃতীয়কজরের উপশম হয়। হরিতাল, মন:শিলা, গন্ধক, তুতে ও শস্থভষ্ম সমভাগে লইয়া ঘৃতকুমারীর রসে মর্দন করিয়া দুইটী ছোট শরার মধ্যে পূরিয়া গজপুটে পাক করিয়া পুনৰ্ব্বার ঘৃতকুমারীর রসে মৰ্দ্দন করিতে হইবে, পরে ৩ বতি প্রমাণ বট প্রস্তুত করিয়া ঘৃত ও মরিচচূর্ণের সহিত সেবনাস্তে তক্রামুপান করিলে চাতুর্থকজর আশু প্রশমিত হয়। প্রলেপকজরে সাধারণতঃ কফজরের চিকিৎসা বিধেয় । নিমছাল, শুঠ, গুলঞ্চ, দেবদারু, শট, চিরতা, কুড়, পিপুল, গজপিপুল ও বৃহতী ইহাদের সমষ্টিতে দুইতোলা, অথবা ২ তোলা নিসিন্দার পাতা, ৩২ তোলা জলে সিদ্ধ করিয়া ৮ তোলাজল অবশিষ্ট থাকিতে নামাইয়া ছাকিয়া পান করিলে কফজর নষ্ট হয়। প্রলেপকজরে ইহা বিশেষ উপকারী । ( নিসিন্দার পাতার কাথে অৰ্দ্ধতোলা মরিচচূর্ণ মিশাইয়া লইতে হইবে )। পবিত্র হইয়া ননী প্রভৃতি অমুচর এবং মাতৃকাগণের সহিত শিবদুর্গার অর্চনা করিলে শীঘ্রই সৰ্ব্বপ্রকার বিষমজর হইতে মুক্তিলাভ হইয়া থাকে। এবং সহস্ৰমৃদ্ধ জগৎপতি বিষ্ণুর সহস্ৰনাম উচ্চারণ করিয়া স্তব করিলেও সৰ্ব্বপ্রকার জর বিনষ্ট হয়। (মহাভারতাদিতে বিষ্ণুর সহস্রনাম উক্ত আছে) ব্রহ্ম, অশ্বিনীকুমারদ্বয়, ইন্স, হুতাশন, হিমাচল, গঙ্গা ও মরূদ গণের যথাবিধি পূজা করিলে বিষমজরের শাস্তি হয়। ভক্তিসহকারে পিতা মাতা এবং গুরুজনের পূজা ও ব্রহ্মচৰ্য্য, তপ, সত্য, ব্রতনিয়মাদি, জপ, হোম, বেদপাঠ বা শ্রবণ, সাধু-সন্দর্শন প্রভৃতি কাৰ্য্য কায়মনোবাক্যে প্রতিপালন করিলে অচিরে জরাদি হইতে মুক্তিলাভ করা যায়। “সোমং সামুচরং দেবং সমাতৃগণমীশ্বরম্। পুঞ্জয়ন্ প্ৰযতঃ শীঘ্ৰং মুচ্যতে বিষমজরাং বিষ্ণুং সহস্রমূদ্ধানং চরাচরপতিং বিভূং। স্তুবন নাম সংশ্রেণ জরান সৰ্ব্বানপোহতি ॥ ব্ৰহ্মাণমশ্বিনাবিস্ত্ৰং ছতভক্ষং হিমাচলম্। • গঙ্গাং মরুদ্রগণাংশ্চেষ্টান পূজয় জয়তি জরান । ভক্ত্যা মাতুঃ পিতুশ্চৈব গুরূণাং পুঞ্জনেন চ। ব্ৰহ্মচর্যোণ তপসা সত্যেন নিয়মেন চ । জপহোম প্রদানেন বেদানীং শ্রবণেন চ । জরাৰিমুচ্যতে শীঘ্ৰং সাধুনাং দর্শনেন চ । ( চরকচি ও অ” ) বিষমজরাক্রান্তরোগীর নিজের হাতের নয় মুষ্টি তধুলের অন্ন দ্বারা একটী পুত্তলিকা প্রস্তুত করিয়া তাই হরিদ্রীয় রঞ্জিত করিতে হইবে ; পরে চারিট হরিদ্র রঙের পতাকা ও অশ্বথপত্ৰবচিত চারিট ঠোঙ্গ (পুটিকা) হরিদ্রারসে পরিপূর্ণ করিয়া উহার চারিধারে স্থাপম করিবে । উক্ত পুত্তলিক বীরণ চাচিকায় ( বেনার পাতাদ্বারা নিৰ্ম্মিত চাচ বা আসন বিশেষে ) স্থাপন করিয়া ‘বিষ্ণুন মোহন্ত’ ইত্যাদি মস্ত্রে সংকল্প করিয়া “জরস্ত্রিপাদ স্থিরশিরা, ষড়ভুঞ্জো নবলোচনঃ। ভস্ম প্রহরণে রুদ্রঃ কালাম্ভকযমেীপম:” ॥ এই ধ্যান ও আবাহন মন্ত্র পাঠ করিতে হইবে। পরে নয় কড়া কড়ি দিয়া গন্ধ, পুষ্প, ধূপাধি ক্রয় করিয়া তন্দ্বার পুজা সমাপনস্তে সন্ধ্যাকালে নিম্নোক্ত মন্ত্র পাঠ পূৰ্ব্বক জরিত ব্যক্তিকে নিমৰ্থন করিতে হইবে । অর্থাৎ এই মন্ত্রে তাহাকে ঝাড়িয়! ফেলিতে হয় । ( তিন দিন পর্য্যন্ত এইরূপ করিবাব বিধান আছে ) । মন্ত্র যথ1,--- - “ওঁ নমো ভগবতে গরুড়াসনায় ত্র্যম্বকীয় স্বস্ত্যন্ত্র বস্তুত: স্বাহ ও র্ক ট প শ ৰৈলতেয়ায় নমঃ ওঁ ষ্ট্র ক্ষ: ক্ষেত্রপালায় নমঃ ওঁ হ্ৰীং ঠ ঠ ভোভো জর শৃণু শৃণু হন হন গর্জ গর্জ ঐকাহিকং দ্ব্যাংিকং এ্যাহিকং চাতুৰ্থকং সাপ্তাহিকং অৰ্দ্ধমাণিকং মাসিকং নৈমেষিকং মৌচুৰ্ত্তিকং ফট, ফট, কুং ফুট, श्र. श्म श्म इम भृश्याः भूश् छूपा५ि *श् चाश्” ५्र' मज। পাঠ সমাপন করিয়া কোন বৃক্ষে, শ্মশানে বু! চতুষ্পথে উক্ত পুত্ৰলী বিসর্জন দিতে হইবে আর এই সকল পুজাদি বাস্তুর দক্ষিণ প্রদেশে কোন গুচি স্থানে করার বিধান আছে।
পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/৯৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।