পাতা:বিশ্বকোষ একাদশ খণ্ড.djvu/১০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পশ্চিম অমুশোচন । চরমকালে শোক, চলিত পস্তান। পর্য্যtয়—অমুতাপ, বিপ্রতিসার । “উক্রেতি পরুষং বাক্যং পশ্চাত্তাপসমম্বিতঃ।” (রামা ৩৫১।৩৬) পশ্চাত্তাপিল (ত্রি ) পশ্চাত্তাপ অস্ত্যৰ্থে ইনি। পশ্চাত্তাপযুক্ত । যাহারা অমুশোচনা করে । পশ্চাৎসদু (ত্রি ) পশ্চাৎ সীদন্তীতি সদক্ষিপ, পশ্চাদ দিক স্থিত দেবতা। “পশ্চাৎসন্তাঃ স্বাহী” ( শুক্লযজু ৯৩৫ ) পশ্চাদক্ষ ( অব্য ) অক্ষের পশ্চাদ্ভাগ । ( তাও ব্রা ১।৩৩৫ ) পশ্চাদপবর্গ (ত্রি ) পশ্চাৎ নিম্পাদিত । ( কাত্যা শ্রেী” ২।৭।২৭ ) পশ্চাদ্ভূক্তি ( স্ত্রী ) পরে কথন, পরে বল । পশ্চাদোষ ( পুং ) উষার শেষভাগ । ( শুক্লযজুঃ ৩০।১৭ ) পশ্চাত্ত্বাগ (পুং ) পৃষ্ঠভাগ, পেছনদিক, শেষ ভাগ । “ভবতি শশিনোহপরাহ্রে পশ্চাদ্ভাগে ঘটস্তেব ॥” (বৃহৎস° ৪৪) পশ্চাদ্বত (পুং ) পশ্চিম বায়ু পশ্চিমে বাতাস । ( তৈত্তি"সং ২৪৯১ ) পশ্চানুতাপ ( পুং ) পশ্চাৎ অমুতাপ, পস্তান । পশ্চাম্মারুত (পুং ) পশ্চিমদিকে প্রবাহিত বায়ু । ( রঘু ৭৫১) পশ্চারুজ (পুং ) বালকদিগের রোগভেদ । ইহার নিদান-- মাতার কদন্নাদিভোজন জন্ত বিকৃত স্তন্যপানে শিশুর দেহস্থ পিত্ত প্রকুপিত হইয়৷ গুহাদেশে দাহ ও উত্তাপ, মল হরিত বা পীতবর্ণ এবং প্রবল জর হয়, ইহাই পশ্চারুজ নামে খ্যাত। ইহা অতি কষ্টদায়ক । এই রোগে রক্তচন্দন, অনন্তমূল, গুণমালতী, চোরকাচকী এই সমুদায়ের প্রলেপ ও অবলেহ প্রশস্ত । পশ্চাদ্ধ (ত্রি ) অপরশ্চাসাবৰ্দ্ধশ্চ ইতি ( অপরস্যান্ধে পশ্চভাবে বক্তব্যঃ । পা ২১।৪৮ বাৰ্ত্তিক ) ইত্যস্ত পশ্চভাবঃ। শেষাৰ্দ্ধ, তাপরাদ্ধ । “পশ্চাৰ্দ্ধেন প্রবিষ্ট শরপতনভয়াছুয়স পূৰ্ব্বকায়ম্।।” (শকু ১ অঙ্ক) পশ্চাদ্ব্য (ত্রি ) পৃষ্ঠদেশ সম্বন্ধীয় । ( শতপথব্রা” ৪২৪৷৫ ) পশ্চিম (ত্রি ) পশ্চাদ্ভবং ( অগ্রাদি পশ্চাৎ ডিমছ। পা ৪।৩১৩ বাপ্তিক ) ইত্যস্ত বার্কিকোক্কা ডিমচ, । ১ পশ্চাদ্ভব । “স্মরন্তঃ পশ্চিমামাজ্ঞাং ভক্ত, সংগ্রাম্যায়িনঃ ॥” ( রঘু ১৭৮) ২ স্থিয়াং টপ, । পশ্চিমাচলাবচ্ছিন্ন দিক, যে দিকে স্বৰ্য্য অস্তাচলে গমন করেন, সেই দিকের নাম পশ্চিম । পর্যায়— প্রতীচী, বারুণী, প্রত্যকৃ। পশ্চিমদিক্‌স্থিত বায়ুর গুণ—তীক্ষ, কফ, মেহ, শোষক, সপ্তঃ প্রাণহর, দুষ্ট এবং শোষকারী। (রাজনি”) রাজবল্লভের মতে—অগ্নি, বপুঃ, বর্ণ, বল ও আরোগ্যবৰ্দ্ধক, কষায়, শোষণ, রোচন, বিশদ, লঘু জলের লঘুতাসম্পাদক, শৈত্য ও বৈমল্যকারক। (রাজব” ) [ సిసి ] or-Trror পশ্চিমদিকের অধিপতি বরুণ । "ইঞ্জে বহিঃ পিতৃপতির্নৈঋতো বরুণে মরুৎ। কুবের ঈশঃ পতয়ঃ পূৰ্ব্বাদীনাং দিশাং ক্ৰমাৎ ॥” (জ্যোতিস্তত্ব) মিথুন, তুলা ও কুম্ভরাশি পশ্চিমদিকের পতি ॥৩ চরম, শেষ । পশ্চিমঘাট, দাক্ষিণাত্যের বোম্বাই প্রেসিডেন্সীর অন্তর্গত একটা পৰ্ব্বতমাল। ভারতের পশ্চিম উপকূলে দেউলৰূপে দণ্ডায়মান থাকিয়া সমুদ্রতরঙ্গ ও শক্র হইতে তীরভূমিকে সুদৃঢ় রাখিয়াছে। বিন্ধ্যপৰ্ব্বতের পশ্চিমাভিমুখী শাখার শেষ সীমা হইতে আরম্ভ করিয়া ক্রমান্বয়ে দক্ষিণমুথে ত্রিবাস্কোড় রাজ্যের উত্তর পর্য্যস্ত আসিয়া বিস্তুত হইয়াছে। সমুদ্রতীর হইতে কোথাও কোথাও এই পৰ্ব্বত সুদীর্ঘ ও অত্যুচ্চ সিড়ির দ্যায় দেখা যায় । অধিকাংশস্থলে ইহার উচ্চতা প্রায় ৩• • • ফিটু, সমুদ্রতটবর্তী শিখরগুলি প্রায় ৪৭• • ফিটু উচ্চ। কিন্তু দক্ষিণসীমায় যেখানে এই পৰ্ব্বতমালা পূৰ্ব্বঘাট পৰ্ব্বতমালার সহিত আসিয়া মিলিত হইয়াছে, সেই স্থানের কোথাও কোথাও ইহার উচ্চতা ৭০০০ হইতে ৮৭৬• ফিটু লক্ষিত হইয় থাকে । পূৰ্ব্ব ও পশ্চিমঘাট পৰ্ব্বতের সঙ্গমস্থলে যে ত্রিকোণাকার অধিত্যক ভূমি অবস্থিত, তাহী স্বভাবতঃ ১০০০ হইতে ৩০০ • ফিন্টু উচ্চ। এখানে ইতস্ততঃ যে সকল শিখরশ্রেণী দেখিতে পাওয়া যায়, তাহ প্রায় ৪• • • ফিট উচ্চ। তন্মধ্যে দক্ষিণভারতের বিখ্যাত স্বাস্থ্যনিবাস নীলগিরি পর্বতস্থ উতকমন্দ উপত্যক৷ সমুদ্রপৃষ্ঠ হইতে ৭• • • ফিটু উচ্চ। ইহার দক্ষিণে দোদাবেই শিখর ৮৭৬• ফিটু উচ্চে মস্তক তুলিয়। দণ্ডায়মান আছে। এতদ্ব্যতীত বোম্বাই নগরের ২• ক্রোশ দক্ষিণপূর্বে ভোরঘাট নামক গিরিসঙ্কট (২০২৭ ফিটু উচ্চ ), প্রাচীনকালে সমুদ্রকুল হইতে দাক্ষিণাত্যে প্রবেশের ইহাই একমাত্র পথ বলিয়া সাধারণে পরিচিত ছিল। বোম্বাই নগরের উত্তর পূর্বে থলঘাটসঙ্কট (১৯১২ ফিটু উচ্চ ) ৷ বেনগুল বন্দর হইতে বেলগামের সেনানিবাসে যাইবার আরও একটা পথ আছে। পালঘাট নামক উপত্যকায় যাইবার জন্ত যে যে পথ আছে, তাহা ও পালঘাটসঙ্কট নামে খ্যাত। এই স্থান ১ • ক্রোশ বিস্তীর্ণ। মাম্রাজে যাইবার জন্ত এ স্থান দিয়াও মধ্যভারতে প্রবেশের জন্ত বেপুরের নিকট দিয়া একট রেলপথ গিয়াছে, পর্তুগীজ অধিকৃত গোয়ানগর হইতে দাক্ষিণাত্যে আসিবার জন্ত আরও একটী পথে গমনাগমনের সুবিধার্থ রেলপথ স্থাপিত হইয়াছে। পশ্চিমঘাট পৰ্ব্বত ভেদ করিয়া কোনও নদীপ্রবাহ মধ্যভারত হইতে পশ্চিমসাগরে পতিত হয় নাই । গোদাবরী, কৃষ্ণ ও কাবেরী নামক নীত্ৰয়ই এই পৰ্ব্বতপ্রবাহিত জলরাশি হইতে পশ্চিমঘাট