পহলবী s & [ কালের বিশুদ্ধ ইরাণীয় ভাষা হইতে শাসনীয় যুগের পহ্লবী ভাষার আকার অসুবিধ। ঐ পহলবীতে সেমিতীক ভাষার শব্যের প্রাচুর্য দেথা যায়। শাসনীয় যুগের অপেক্ষ প্রাচীন পহ্লবীতে সেমিতীক শব্দের প্রাচুর্যও বেশী। শাসনীয় যুগের প্রথমাবস্থার উৎকীর্ণ লিপিগুলির ভাষা দেখিলে বোধ হয় যে, সেমিতীক শবো ইয়াণীয় রীতিতে কতকগুলি ইরানীয় শব্দ মিশাইয়৷ ঐ ভাষা লিখিত হইয়াছে। খৃষ্ট জন্মের তিন চারি শতাব্দী পূৰ্ব্বেও পালবী ভাষাতে সেমিতীক শব্দের লামাঙ্ক সংশ্ৰব ছিল, তাহা দেখা যায় ; নিনেতা লগরের স্থানে স্থানে ঐরাপ ভাষায় খোদিত লিপিই তাহার প্রমাণ। নিনেভার ঐ লিপিগুলি খৃষ্টজন্মের পূর্ববর্তী ৭ম শতাবীর হুইবে । ডাঃ হৌগ অনুমান করেন যে, প্রাচীন পালবীতে সেমিতীক শব্দের প্রাচুর্য দেখিলে বোধ হয় যে, তাহ জাসিন্ধীয় ভাষা হইতে উৎপন্ন বটে, কিন্তু কোণাকার অক্ষরে উৎকীর্ণ আসিরীয় লিপির ভাষা হইতে অনেক পৃথক্ । পহ্লবীভাষার মুসৌষ্ঠবসম্পন্ন অবস্থা আমরা শাসনীয় যুগের প্রথম কালবৰ্ত্তী রাজগণের শিলালিপি ও মুদ্রালিপিতেই দেখিতে পাই । পারস্তে মুসলমানাধিকার হওয়া অবধি ঐ দেশের ভাষায় আরবী হইতে বহুসংখ্যক সেমিতীক শব্দ প্রবেশ করিয়াছে। পহলীভাষায় যে সকল সেমিতীক শব্দ যে ভাবে মিশ্রিত হইয়াছে, আরবী শব্দগুলি তাহ হইতে সম্পূর্ণ পৃথক। আধুনিক পারস্ত ভাষায় ( ফারসীতে) সংখ্যা ও বিশেষণ শব্দ গুলি প্রধানতঃ আরবী শব্দ, কিন্তু ক্রিয়াপদগুলি প্রায়ই আরবী নহে । পহলীতে যে সমস্ত সেমিতীক শব্দ মিশিয়াছে, সেগুলি বরং সংজ্ঞা ও বিশেষণই নহে। আধুনিক ফারসীতে যে শব্দগুলি সেমিতীক নহে, প্রাচীন পহলবীতে সেইগুলিই বরং সেমিতীক অর্থাৎ প্রায় সমস্ত সৰ্ব্বনাম, অব্যয়, সাধারণ ক্রিয়াপদ, অনেকগুলি ক্রিয়ার বিশেষণ ও সংজ্ঞা পদই সেমিতীক, প্রথম দশটী সংখ্যাবাচক শব্দ ও সেমিতীক, কিন্তু অধিকাংশ বিশেষণই সেমিতীক নহে । আধুনিক ফারসীতে যে সকল আরবী শব্দ অাছে, পহলবীভাষায় তাহার প্রত্যেকটর ইরাণী প্রতিশষা পাওয়া যায়। পহ্লবীভাষায় লিখিতে হইলে সেমিতীক শব্দগুলির ইরাণী প্রতিশব্দ লেখা না লেখা লেখকের ইচ্ছাধীন, কিন্তু সৰ্ব্বনাম ও অব্যয় শব্দগুলির ইরাণী প্রতিশব্দ ব্যবতার হয়ই না ; এজন্ত অনেকের প্রতিশবা স্থির করাও দুর্ঘট ছইয়া পড়িয়াছে। পহ্লবীতে এইরূপে সেমিতীক শব্দের বাহুল্য থাকিলেও উহাদের স্বজাতীয় বিভক্তিগুলি নাই । প্রাচীন শাসনীয় লিপিতে সেমিতীক বিভক্তির বর্তমানতাও 3 ونه و পহলী -- দেখা যায়। এইরূপে সেমিতীক শব্দের বাহুল্য থাকিলেও উহাদের স্বজাতীয় বিভক্তিগুলি নাই। প্রাচীন শাসনীয় লিপিতে সেমিতীক বিভক্তির বর্তমানতাও দেখা যায়। এইরূপে পহলীভাষীর আবার ইট লিখন রীতি দাড়াইয়া গিয়াছে । একটা শাসনীয় রীতি, অপরটা কালীয় রীতি। কালীয় রীতিতে সেমিতীক শবা গুলিতে সেমিতীক বিভক্তি থাকে না, তৎপরিবর্তে কালীয় বিভক্তি যোগ হয়। “রাজার রাজা” এই অর্থে শাসনীয় পল্লবীতে "মালকান মালক” পদ হয়, আর কালীয় পল্লবীতে “মালী মালক” পদ হয়। ইরামীর বহুবচনের বিভক্তি “ইন” ব্যবহৃত হইয়াছে । এতদ্ভিন্ন সেমির্তীক রীতিতে ক্রিয়াপদের কোন রূপান্তর হয় না, কিন্তু কালীয় রীতিতে ক্রিয়াপদে নানাবিধ ইরাণীর প্রত্যয় যোগ ছইঞ্জ থাকে । এই দ্বিবিধ রীতি দেখিয়া ডাঃ হেীগ অসুমাম করেন, পহুলৰী ভাষা কোন কালে কোন জাতির কথোপকথনের ভাষা ছিল না । ইরাণীয়ের সেমিতীকদিগের নিকট লিখনপ্রণালী শিক্ষা করে। অক্ষরের উচ্চারণ শিখিয় তাহার। ভাবপ্রকাশক কতকগুলি সেমিতীক শব্দ সেমিতীক আকারেই আপনাদের ভাষায় গ্ৰহণ করে, কিন্তু ষে ভাবপ্রকাশের জন্ত তাহারা যে শব্দটী গ্রহণ করিল, সে শব্দটর সেমিতীক অক্ষয়গত উচ্চারণ ত্যাগ করিয়া ইরাণীয়ের। আপনাদের ভাষার তদ্ভাবব্যঞ্জক শব্দের উচ্চারণেই ঐ শব্দটী উচ্চারণ করিতে আরম্ভ করিল, অর্থাৎ মালক শব্দ সেসিতীক শব্ব, উহার অর্থ সেমিতীক ভাষায় "রাজা”, আর ইরাণীয়ের ভাষায় রাজা অর্থে "শাহ’ শব্ব চলিত, এক্ষণে ইরাণীয় সেমিতীক অক্ষর লিখিয়া তস্থার। আপনাদের “শাহ” শব্দ লিখিবার জন্ত সেমিতীক বর্ণমালা হইতে বিভিন্ন বর্ণযোজনার কষ্ট স্বীকার না করিয়া “শাহ” শব্দের অর্থপ্রকাশক সেমিতীক “মালকা” শব্দটাই সম্পূর্ণ গ্রহণ করিয়া উহার অক্ষরগত মূল উচ্চারণ ত্যাগ করিয়া উহাকে "শাহ” শধো করিতে লাগিল । এইরূপে ইরাণী লিথিল, সেমিতীক শৰা “মালকা”, কিন্তু তাহাকে পড়িল “শাহ” । যে সকল ইরাণীয় শব্দের সেমিতীক প্রতিশব্দ পাওয়া গেল না, কেবল সেইগুলি লিখিবার জন্য ইরাণীয়ের সেমিতীক বর্ণমালার বর্ণগত উচ্চারণ অৱলম্বনে বর্ণযোজনাস্বাক্ষা শব্দগঠন করিয়া হইল। এইরূপ লেখাপড়া দ্বার। ক্রমশঃ যে ভাষা গঠিত হইল, তাহাই পহলী । সেমিতীক শব্দ সংগ্ৰহ করিয়া বাক্যের শৃঙ্খলা রক্ষার্থ নিজ ভাষাস্থ্যায়ী যে
- এই সেমিতীক “মালকা" শবাই এখন গালেঞ্চ" "মালিক" মল্লিক” रुश्द्र #fछोईप्रादह, चर्ष चर्षिकांग्रैौ ।