পাক পিবতি আজাকিং পা-কন্ ( ইন্ উীকাপাশলাতিনভিঃ কন। উৎ ৩৪৩ ) ৩ শিশু, স্তন্যপায়ী শিশু । ৪ বৃদ্ধত্বহেতু কেশের ধবলত, চুলপাকা। এ স্থাল্যাদি। (মেদিনী ) ৬ পেচক। ৭ রাষ্ট্রাদি । ৮ ভঙ্গ । ৯ ভীতি । ( শঙ্কর” ) ১০ অসুরভেদ। ( ভাগ“ ৭। ২ । ৪ ) ইন্দ্র ইহাকে বিনাশ করেন । [ পাকশাসন দেথ । ] (ত্রি ) ১১ প’ক কর্তা। পচ্যতে ফলং যত্র কালে আধারে ঘএ ১২ ফলপাকাধিকরণকালভেদ।
- পক্ষপ্তানেীঃ সোমস্ত মাসিকো ইঙ্গারকস্ত বক্রোক্তঃ ।
অ দর্শনাচ্চ পাকে বুধস্ত জীবন্ত বর্ষেণ ॥” ( বৃহৎস” ৯৭ অ” ) ভানুর পক্ষ পৰ্য্যন্ত, চন্দ্রের মাস, মঙ্গলের বক্রাতুসান্ধী দিম, বুধের দর্শন পর্যস্ত এবং বৃহস্পতির বর্ষকাল পর্যন্ত পাককাল হইয় থাকে। শুক্রের যশ্বাসে, শনির এক বর্ষে, রাহুর অৰ্দ্ধবর্ষে ও সুর্য্যগ্রহণে বর্ষপৰ্যন্ত এবং স্ত্ৰাষ্ট্র ও কীলকের পাক সদ্য হইয়া থাকে । ধূমকেতুর ত্রিমাসে, শ্বেতের সপ্তরাত্রাস্তে এবং পরিবেষ, ইন্দ্রচাপ, সন্ধা ও অভ্রসুচী সকলের সপ্তাহ পর্য্যন্ত পাক হইয়া থাকে । শীতোষ্ণের ব্যতিক্রম, অকালজাত ফল পুষ্পাদি, স্থির ও চরের অন্তত্ব এবং প্রস্থতিবিকৃতির পাক ষণুসে হইয়া থাকে । অক্রিয়মাণ কার্যকরণ ( যাহা কখন ব রে নাই, তাহ করা বা অনিচ্ছায় করা অথবা হঠাৎ করা ), ভূমিকম্প, অনুৎসব, দুরিষ্ট, অশোয্যের শোষণ ও স্রোতের অন্তত্ব ইহার ফলপাক ষষ্মাসে হইয় থাকে। কীট, মুষিক, মক্ষিক, মৃগ, বিহঙ্গ ও মারুত অথবা জলে লোষ্ট্রের তরণ, এই সকল তিনমাসে, অরণ্যে কুকুরগণের প্রসব, বন্তগণের গ্রামে সম্প্রবেশ, মধুনিলয়, তোয়ণ ও ইন্দ্ৰধ্বজ এই সকল একবর্ষে বা কিঞ্চিদধিক বর্ষে শৃগাল ও গৃধ্রসমূহ দশ দিবসে, তুর্য্যরব সদ্যঃ এবং আক্ৰষ্ট, বস্ত্রীক ও পৃথিবীবিদারণ একপক্ষে পাক, জনিত ফল প্রাপ্ত হইয়া থাকে। অনগ্নিপ্রদেশের প্রজলন, ঘুত, তৈল ও বসাদি বর্ষণ সদ্যঃ পাক প্রাপ্ত হয় । ছত্র, চিতি, যুপ, হতবহ ও বীজগণের পাক সপ্তপক্ষে, মতাস্তরে ছত্র ও [ ১১১ উডুম্বরেণ কণ্ঠেন কদম্বস্য দলেন চ | শীলেন করমর্দেন উদরাবৰ্ত্তকেন চ | পকান্নং নৈব ভুঞ্জীত ভুক্ত, রাত্রিমুপাবসে২। শাল কাষ্ঠস্য পঙ্কল্পিং শিল্পীসকস্য চৈৰ হি । কলিচণ্ডাক্তকস্যৈব বঞ্জাবারুণ কস্য চ | ভেরগুশাত্মলেশ্বপি পঙ্কান্নং গর্হিতং স্মৃতম্ ॥ যদা মৃন্ময়পত্রে তু পঙ্কং বৈ সাৰ্ব্বকালিকমৃ । মাসে পক্ষে তথাষ্টে E তংপাকং বিস্বজেৎ গৃহী । একদা তু জলং দদ্যাৎ দ্বিবরিং ন প্রদীপয়েৎ । ত্রিতাগং পুরয়েং পাত্ৰং পশ্চাত্তেয়ং ন দাপয়েৎ I” ( মৎস্যসুত্ব ৪২ পটল ) J পাক তোরণের ফল মাল পর্য্যন্ত হয় । অত্যন্ত বিরুদ্ধ জীবের পরস্পর স্নেহ, আকাশে ভূতগণের শব্দ, মীর্জার ও নকুলের সহিত যুষিকের দ্বন্দ্ব, ইহার ফল একমাসে হয় । গন্ধৰ্ব্বপুর, রসবিকৃতি ও হিরণ্যবিকৃতি মাস পর্য্যস্ত ; দিকৃ সকল, ধ্বজ, অ্যালয়, ংগু ও ধূমম্বারা আকুল হইলে একমাসে ফল পায়। যদি কথিত সময়ে ফল সৃষ্ট না হয়, তাহ হইলে তাহার দ্বিগুণ সময়ে অধিকতর ফল হয় ; কিন্তু কনক, রত্ন ও গে৷ প্ৰদানাদি শান্তিস্বারা দ্বিজগণ কর্তৃক যদি বিধিবৎ উপশমিত না হয়, তবে দ্বিগুণ সময়ে পাক হইবে। ইত্যাদি । ( অতি সংক্ষেপে ইহার বিষয় লিখিত হইল। এই পাকের বিবরণ বৃহৎসংহিতায় ৯৭ অধ্যায়ে বিশেষরূপে লিখিত অাছে।)
- ॥ যাহা কিছু ভোজন করা যায়, তাহ জাঠয়াগ্নিস্বারা পাক প্রাপ্ত হয়। এই পাকের বিষয় সুশ্রীতে লিখিত আছে—
ভূক্ত দ্রব্য সকল সম্যক্রূপ পাক ( পরিপাক ) হইলে গুণ ও অপ্রশস্তরূপে পরিপাক হইলে দোষ জন্মাইয় থাকে । কাহারও কাহারও মতে প্রত্যেক স্বাসেই পরিপাক eষ্টয়া থাকে। কেহ বলেন—মধুর, অল্প ও কটু এই ত্ৰিবিধ রসেই পাক হয় ; কিন্তু ইহ স্বসঙ্গত নহে, কারণ দ্রব্য গুণ ও শাস্ত্র পর্যালোচনা করিয়া দেখিলে ইহাই প্রতীত হয় যে, অমরসের পাক নাই, কারণ অগ্নিমান্য হইলে পিত্তই বিদগ্ধ হইয়া অমরসে পরিণত হয়। যদি অমরসের পাক স্বীকার করিতে হয়, তাহ। হইলে লবণরসের ও অল্পপ্রকার পকে সম্ভব ; কিন্তু তাহ হয় না, শ্লেয়া বিদগ্ধ হইয়াই লবণত্ব প্রাপ্ত হয় । কেহ কেহ বলেন যে, মধুররস পরিপাকে মধুরই থাকে এবং অমরস অমই থাকে, এই প্রকার সকল রসই অবিকৃত থাকে। তাহার উদাহরণ যথা—স্থালীগত দুগ্ধ পাক হইবার কালে মধুরই থাকে এবং শালি, যব, মুদগ প্রভৃতি ভূমিতে প্রকীর্ণ হইলে উত্তর কালেও তাহারা স্বভাব পরিত্যাগ করে না । আবার কাহারও কাহারও মত এইরূপ যে, মৃদু রস বলবান রসের অনুগামী হয় । এ বিষয়ে এইরূপ বিবিধ অনবস্থা দোষ ঘটে । অতএব এইরূপ সিদ্ধান্ত করা হইতেছে যে, শাঙ্গে চুই প্রকার পাক কথিত হইয়াছে। মধুর ও কটু। তাছার মধ্যে মধুর পাকে গুরু এবং কটু পাকে লঘু হইয়া থাকে। পৃথ্বী, অপু, তেজ, বায়ু ও আকাশ ইহাদিগকে গুণের অনুসারে গুরু ও লঘু এই দুই প্রকারে বিভক্ত করা যায়। পৃথ্বী ও অপূ গুরু এবং অবশিষ্ট তিনট লঘু। - দ্রব্যের পরিপাক কালে পৃথিবী ও জলের গুণ অধিক পরিমাণে থাকিলে মধুর পাক এবং অগ্নি, বায়ু বা আকাশের গুণ অধিক পরিমাণে থাকিলে কটুপাক কহে । ( মুশ্রুত