পাতা:বিশ্বকোষ একাদশ খণ্ড.djvu/১১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাকজ [ ১১২ ] পাকভাণ্ড স্বত্রস্থা ৪০ অঃ কোন কোন দ্রব্য গুরপাক ও কোন কোন দ্রব্য লঘুপাক ইহার বিষয় সুশ্রীতে স্বত্রস্থানে ৪৫ অধ্যায়ে বিশেষরূপে লিখিত আছে, বাহুল্য ভয়ে লিখিত হইল না । 锣 [ পুটপাকের বিষয় পুটপাক শব্দ দ্রষ্টব্য। ] চক্রদত্তে লৌহপাকের বিষয় এইরূপ লিখিত আছে,— ভক্তিপূৰ্ব্বক ঈশ্বরকে প্রণাম করিয়া লৌহ, পিত্তল বী দৃঢ় মৃন্ময় পাত্রে কাঠের জালে মুদ্র অগ্নিতে লৌহের পাক করিতে হইবে । শেষ পাকে ত্রিফলার কাথ, স্বত ও দুগ্ধ দিতে হয়। পাককালে লোহার হাত দিয়া মুহুৰ্ম্ম হু খুঁটিতে হয়, যদি ঔষধ পাত্রের তলায় লাগিয়া যায়, তাহ হইলে তৎক্ষণাৎ হাত দিয়া তুলিয়া দিতে হয়। লৌহের শেষ পাক তিন প্রকার - মুহু, মধ্য ও খর। এই তিন প্রকার পাক যথাক্রমে বায়ু, পিত্ত ও কফের পক্ষে হিতকর। অথবা সৰ্ব্ববিধ ধাতুর পক্ষেরই মধ্যম পাক হিতকর । লৌহ কৰ্দমের গুtয় দবীতে সংলগ্ন হইলে মৃদুপাক বলা যায়। দবী হইতে অনায়াসে স্বলিত ও দবীতে কষ্টে সংলগ্ন হইলে মধ্যপাক বলা যায়। খরপাক হইলে দবীতে সংলগ্ন হয় না। কেহ কেহ বলেন, প্রলেপ দিলে দৰ্ব্বা হইতে মুক্ত হয়, অথচ ইলুর মৃত্তিকার সদৃশ হয়, এইরূপ হইলে মৃদুপাক এবং যাহার অৰ্দ্ধাংশ চূর্ণ ও অৰ্দ্ধাংশ ইন্দূর মৃত্তিকার সদৃশ হয়, তাহাকে মধ্যপাক, আর লৌহ বালুকাপুঞ্জের দ্যায় হইলে ধরপাক কহে। এই তিন প্রকার পকেই সকলের পক্ষে গুণকারক হয়, কোন স্থানে ও বিফল হয় না। প্রকৃতিভেদে গুণদোষের ভেদ অল্পই ঘটিয়া থাকে। পাক শেষ হইলে নামাইয়া ত্রিফলাদির চূর্ণ প্রক্ষেপ দিবে। (চক্রদত্ত রসায়নাধি” পাকবিধি” । ) বাভটে কল্পস্থানে লিখিত আছে—দ্বতপাকস্থলে যখন ফেন নিবৃত্তি হইবে, তখন প্রকৃত ঘূতপক হইয়াছে জানিতে হইবে এবং তৈলপাকস্থলে ফেনোংপত্তি হইলে পাক সিদ্ধি জানিতে হইবে। এই মতে পাক তিন প্রকার মন, চিঙ্কণ ও থর। ( বাভট কল্পস্থাৎ ৬ অঃ । ) পাক ( দেশজ ) জন্ত, নিমিত্ত । পাককৃষ্ণ ( পুং ) পাকে কৃষ্ণং ফলে যন্ত। ১ কৃষ্ণফলপাক, চলিত পানী আমলা । ( শস্বচ”) ২ করঞ্জবৃক্ষ। (বৈদ্যকনি” ) পাককৃষ্ণফল (পুং ) ১ পানী আমলা। ২ করঞ্জবৃক্ষ। পাকখোলা ( দেশজ ) ১ পাকস্থান, যেখানে পাক হয়। ২ ভাজখোলা । পাকজ ( স্ত্রী ) পাকাজায়তে ইতি পাক-জন-ড। ১ পাকলবণ। ২ পরিণামশুল । ( রাজনি" ) (ত্ৰি ) ৩ পাকজাত, যাহা পীক জন্য উৎপন্ন হয় । - -- --- “ম্পর্শস্তস্তাস্তু বিজ্ঞেয়ো হযুধাশীতপাকজঃ ।” (ভাষাপরি ৩৬) পাকচক্র ( দেশজ ) ১ ষড়যন্ত্র । ২ ঘোরপাক । পাকড়া (দেশর ) ধর। পাকড়ী ( দেশজ ) ১ উষ্কাষ, তাড়। ২ গাইভেদ, পকট, পাকড়সী। পাকতস্ (অব) পাক-তল। পাকে প্রকারে, কোন গতিকে, কোন প্রকারে । পাকলে (অব্য ) পাকঃ বিপকপ্রজ্ঞঃ স্বার্থে ত্রা। বিপকপ্রজ্ঞ। ( ঋক্ ৮। ১৮ । ১৫ ) পাকদূর্ব (স্ত্রী) পাকযুক্ত দুৰ্ব্ব মধ্যপদলোপি কৰ্ম্মধা । পরিপক্ক দুৰ্ব্ব । ( ঋক্ ১• । ১৬। ১৩) (পুং ) পাকায় দৈত্যায় দ্বেষ্টি দ্বিষ-কিপ্‌। পাকশাসন, ইন্দ্র । ( হেম ) পাকপত্তন, পঞ্জাবের অন্তর্গত মণ্টোগমারি জেলার একটা নগর। অক্ষা ৩০° ২০' উঃ এবং দ্রাঘি- ৭৩° ২৫ ৫ •র্ণ পূঃ । শতদ্রু নদীতীরে অবস্থিত। ইহার প্রাচীন নাম অজুধান । জেনেরল কানিংহাম আলেক্সানারের ঐতিহাসিকগণের লিখিত শূদ্রক (Oxodruke )-গণের অধীনস্থ একট নগর সহিত এক নগর বলিয়া বোধ করেন । মুসলমান-দিগ্বিজয়ী মামুদ, তৈমুর প্রভৃতি এই স্থানে নদী পার হন । মুসলমান ফকির ফরিদউদ্দীনের নাম হইতে এই নগরের নামকরণ হইয়াছে। এই মুসলমান-ভক্ত সমুদয় দক্ষিণ পঞ্জাব মুসলমান-ধৰ্ম্মে দীক্ষিত করেন, এই জন্ত এখানে ভারতবর্ষের বহুস্থান এবং এমন কি আফগানিস্থান ও মধ্য এসিয়া হইতে বহুতর যাত্রীর সমাগম হইয়া থাকে, মহরম উপলক্ষে কখন কথন যাত্রীর সংখ্যা ৬০ • • • পর্য্যস্ত হয় । এইখানে উক্ত ফকিরের একটী বিগ্রহ আছে, এই বিগ্রহের যাহা অায় হয়, তাহা ইহার বংশধরেরা ভোগ করেন । এই নগর অতি সুন্দরভাবে অবস্থিত এবং রাস্ত ঘtট সাধারণতঃ সুন্দর। পাকপত্তন একটী বাণিজ্যপ্রধান স্থান, বাণিজ্যের প্রধান দ্রব্যের মধ্যে গম, কলাই, গুড়, চিনি প্রভৃতি প্রধান । রপ্তানির মধ্যে রেশম, লুঙ্গি প্রভৃতি প্রধান। সরকারি আদালত ও পুলিশ ষ্টেশন, পোষ্ট অফিস, টাউন স্কুল, বালিক-বিদ্যালয় প্রভৃতি কতকগুলি সাধারণ অট্টালিকা আছে । * পাকপত্র ( ক্লী ) পাকসাধনং পাত্ৰং মধ্যলো”। পাকসাধন পাত্র, স্থালী প্রভৃতি । পাকপুটী ( স্ত্রী) পাকায় পুট। কুন্তশালী, চলিত পোয়ান। পাকফল (পুং ) পাককৃষ্ণফলমন্ত । ফলপাক, পানী আমলা। পাকভাণ্ড ( ক্লী ) পাকায় পাকস্ত ভাণ্ডং । পাকপত্র, পাকস্থালী ।