পাচক . . [ ১১৬ ] পাচন দেহে অগ্নির মান্য হইলে যাহাতে পিত্তবৃদ্ধি হয়, এইরূপ দ্রব্যসেবন বিধেয় । পিত্ত পঙ্কাশয় ও আমাশয়ের মধ্যে অবস্থিতি করিয়া কি প্রণালীতে অtহার পরিপাক করে এবং অtহায়জনিত রস বায়ু, পিত্ত, কফ, মূত্র এবং পুরষ প্রভৃতিকে পরম্পর পৃথক করে, তাহ প্রত্যক্ষ হয় না বটে ; কিন্তু পিত্ত ঐ স্থানে ! অবস্থিত থাকিয়াই অগ্নিক্রিয় দ্বারা দেহে অপর চারিট পিত্ত.স্থানের ক্রিয়ার সাহায্য করে । সেই পক্ক ও আমাশয়ের মধ্যস্থিত পিত্তে পাচক নামে অগ্নি অধিষ্ঠান করে, যকৃৎ ও প্লীছ মধ্যে যে পিত্ত অধিষ্ঠিত, তাহাকে রঞ্জক অগ্নি কছে । এই অগ্নিই আহারসস্তুত রসকে রক্তবর্ণ করে। যে পিত্ত হৃদয় স্থানে সংস্থিত, তাহাতে সাধক নামে অগ্নি অবস্থিতি করে । ইহাতেই মনের সকল অভিলাষ সাধিত হয় । যে পিত্ত দৃষ্টিস্থানে অধিষ্ঠিত, তাহাতে আলোচক নামে অগ্নি ! অবস্থিতি করে, তন্দ্বারা পদার্থের রূপ অথবা প্রতিবিম্ব গৃহীত হয় । ত্বকে যে পিত্ত সংস্থিত, তাহাত্তে ভ্রাজক(গ্নি অবস্থিতি করে। তৈলমর্দন, অবগাহন, আলেপন প্রভৃতি ক্রিয়াদ্বার। যে সকল স্নেহ প্রভৃতি দ্রব্য শরীরে লিপ্ত হয়, এই পিত্তের দ্বারা vসই সকল দ্রব্যের পরিপাক ও দেহের ছায়ার প্রকাশ হয় । ( সুশ্রুত স্বত্রস্থা” ২১ অ” ) { পিত্তের বিষয় পিত্তশব্দ দেখ । ] ৩ স্থপকার, যাহারা পাক কাৰ্য্য সম্পন্ন করে, তাহাকে | পাচক কহে, চলিত ‘রমুই বামুন” । সুশ্রুতে কল্পস্থানে লিখিত | আছে, রাজা ৰিশেষরূপ পরীক্ষা করিয়া পাচক রাখিবেন । পাচকের তত্ত্বাবধান জন্ম একজন সদ্গুণসম্পন্ন বৈদ্যকে তাহার ' অধ্যক্ষরূপে রাখিবেন । রাজা যে পাচক রাখিবেন, তাহার নিম্নলিখিত গুণসকল থাকিবে— কুলীন, ধাৰ্ম্মিক, স্নিগ্ধ, সৰ্ব্বদা কাৰ্য্যতৎপর, নিলোভ, সরল, কৃতজ্ঞ, প্রিয়দর্শন, ক্রোধাদি শূন্ত, অtলস্তবর্জিত, জিতেন্দ্ৰিয়, ক্ষমাশীল, শুচি, নম্র, প্রতারণাহীন প্রভৃতি । আহারই প্রাণধারণের মূল । এই জন্য এই সকল গুণসম্পন্ন একজন সহুৈদ্যের অধীনে পাচক রাখিয়া দিবেন। পাচক ও পরিচারক প্রভৃতি সকলেই বৈদ্যের অধীনে থাকিবে । ( সুশ্রত কল্পস্থা” ১ অ” ) “পুত্রপৌত্রগুণোপেতঃ শাস্ত্রজ্ঞে মিষ্টপাচকঃ । শুরশ্চ কঠিনশ্চৈব সুপকারঃ স উচ্যতে ॥” (চাণক্য ) পুত্র, পৌত্র এবং গুণযুক্ত, শাস্ত্রজ্ঞানী, মিষ্টপাচক অর্থাৎ যে উত্তমরূপ পাক করিতে পারে, এবং পূর ও কঠিন হইলে তাহাকে স্বপকার (পাচক ) কহে । সুপকার দেখ। ] | ৪ অল্লাদি পীককারক ঔষধ, যে ঔষধ সেবন করিলে পরিপাচনশক্তি বৃদ্ধি হয়, তাহাকে পাচকেীষধ কহে। مبي... مهيب. مسابح পাচড়া ( দেশজ ) চৰ্ম্মরোগভেদ । পাচন ( ক্লী) পাচ্যতে অনেনেতি পহু-ণিচূ-করণে লুটু । ১ প্রায়শ্চিত্ত। ( মেদিনী ) ২ দোষপাচক কাথৌষধি, দোষ পাচনসাধন দ্রব্যভেদ । জরাদি রোগসমূহে পাচনৌষধ ব্যবহারের বিধাম লিখিত আছে । চক্রপাণিদত্ত রোগভেদে মান প্রকার পাচন নির্দেশ করিয়াছেন । পাচন-প্রদt নের কাল-- “জরিতং ষড়ছেহতীতে লঘূ প্রতিভোজিতং । সপ্তাহtৎ পরতেtহস্তব্ধে মাসে স্তাৎ পাচলং ত্বরে ৷” ( চক্রদত্ত জ্বরচি” ) জয়যুক্ত ব্যক্তির ৬ দিন গত হইলে তাহাকে পাচন ঔষধ প্রয়োগ করিবে । পাচনের পরিমাণ – “দশরত্তিকমাষেণ গৃহীত্ব তোলকদ্বয়ং। দত্ত্বাস্তঃ ষোড়শ গুণং গ্রাহং পাদবিশেষিতং ॥” ( পরিভাষা ) দশ রক্তি মাষদ্বারা জুই তোলা পরিমাণ গ্রহণ করিয়া ইহার ১৬ গুণ পরিমাণ জল দিতে হইবে, পরে ইহা সিদ্ধ হইয়t পাদবিশেষ থাকিতে নামাইতে হয় । সকল পাচনের স্থলেই এই নিয়ম জানিতে হইবে । জরাদি করিয়া সকল রোগেই পাচনের ব্যবস্থা আছে । এই কাণেীষধ কাম অর্থাৎ অপর দোষকে পরিপাক করে, এই জন্তু এই ঔষধকে পাচন কহে । “প্রযুক্তং পাঁচয়েদীমং যত্ত্বৎপাচনমুচ্যতে।" ( বtভট চিকিৎসি ১ অ” ) চক্রপাণিদত্ত সকল প্রকার রোগে ৩২১ প্রকার পাচন নির্দেশ করিয়াছেন । ঘূণাক্রমে সেই সকল পাচনের নাম নির্দেশ করা গেল। { এই সকল পাচনের বিবরণ তত্ত্বৎশব্দে ও চক্রপাণিদন্ত গ্রন্থে দ্রষ্টব্য । ] জরাধিকারে সর্ব্বজরে---১ নাগরাদি ; বাতিক জয়ে ২ বিৰাদি পঞ্চমূলী, ৩ পিপ্পলীমূলাদি, ৪ কিরাতাদি, ৫ রান্নাদি, ৬ বিবাদি পঞ্চমূল্যাদি, ৭ পিপ্পল্যাদি, ৮ গুড় চ্যাদি, ৯ দ্রাগাদি পৈত্তিক জয়ে ১০ কলিঙ্গাদি, ১১ তিত্বাদি, ১২-১৩ লোপ্রাদি ( লেtধাদি পাচন দুই প্রকার ) ১৪ যবপটোল, ১৫ জুল্লtলভাদি, ১৬ ত্রায়মাণাদি, ১৭ যুদ্বীকাদি, ১৮ পপটুকাদি, ১৯ বিশ্বাদি, ২০ পর্পটাদি, ২১,২২,২৩ দ্রাক্ষাদি ( দ্রাক্ষাদি পাচন ৩ প্রকার ), ২৪ ধছাকাদি ; কফজরে ২৫ মাতুলুঙ্গাদি, ২৬ কটুকাদি, ২৭ নিৰ্ধাদি, ২৮ পিন্ধুবারাদি, ২৯ আমলক্যাদি, ৩• ত্রিফলাদি, ৩১ দশমূলী বা বাসককাথ, ৩২ মুস্তাদি ; বাতপৈত্ত্বিক জয়ে ৩৩ লবঙ্গ, ৩৪ ত্রিফলাদি, ৩৫ কিল্লাতাদি, ৩৬ নিদিগ্নিকাদি, ও৭ পঞ্চভদ্র, ৩৮ মধুকাদি ; পিতৃশ্লৈষ্মিক জরে ৩৯ পটােলাদি, ৪ গুড়চ্যাদি, ৪১-৪২ চতুর্ভদ্রক
পাতা:বিশ্বকোষ একাদশ খণ্ড.djvu/১১৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।