পর্তুগীজ d, বহু প্লোত দগ্ধ করেন। এখানকার নগরাধ্যক্ষ তিমোজা জাসিয়া তাহার আমুগত্য স্বীকার করিয়াছিলেন । পর্তুগালরাজ বেছ হীরামুক্তাখচিত স্ববর্ণের রাজমুকুট কোচিনয়াজের ਦੇ পাঠাইয়াছিলেন। গবর্ণর অল্মিদ কোচিনে মহাসমারোহে সেই রাজমুকুট অর্পণ করিতে আসিলেন ; কিন্তু কোচিনরাজ সিংহাসন পরিত্যাগ করায় তাহার উত্তরাধিকারী নাম্বদানের শিরে সেই মুকুট অর্পিত হইল । এই কোচিন নগরেই অলমিদার প্রধান আবাস নিৰ্ম্মিত এবং এই স্থানই ভারতীয় পর্তুগীজদিগের সর্বপ্রথম শাসনকেন্দ্র ৰলিয়া গণ্য হইল । পর্তুগীজদিগের প্রভাব ক্রমশঃই বিস্তৃত হইতে দেখিয় সামরীরাজ মিসরাধিপ সুলতানের সাহায্য লইলেন এবং উভয়ে মিলিয়া বহুসংখ্যক নৌবল সংগ্ৰন্থ করিলেন ; কিন্তু উৎকোচগ্রাহী মুসলমান-চরমুখে এই সংবাদ পাইয় পৰ্ত্ত - গীজের প্রথমে কায়রে হইতে আগত নৌবল বিপৰ্য্যস্ত করিলেন ; কিন্তু তৎপরেই মুসলমান নৌসেনা গিয়া পর্তুগীজদিগকে তাড়াইয়া অঞ্জস্বীপ অধিকার করিয়া লইল । • তৎপরে পর্ব গীজ পোতাধ্যক্ষ ডম্ লোরেন্সে প্রথমে চেউল ও পরে দভোল আক্রমণ করেন । শেষোক্ত স্থানে ভয়ানক অগ্নিকাও করিয়া তিনি কোচিনে ফিরিয়া আসেন । এই সময়ে পর্তুগীজ নেদস্থাদিগের হাতে সমুদ্রগর্ভে মলবারের এক প্রধান বণিকপুত্র প্রাণ হারাইয়াছিলেন । এই নিরপরাধ ধনীপুত্রের প্রাণনাশে কল্পনুররাজ সন্ধিভঙ্গ করিয়া পর্তুগীজদিগের ঘোর শক্র হইলেন। সামীরাঙ্গও ২১টা কামান পাঠাইয় তাহাকে উত্তেজিত করিলেন। কন্ননূরপতির প্রায় ৪• হাজার নায়রসৈন্ত একত্র করিয়া জলে ও স্থলপথে ভীমবেগে পর্তুগীজদিগকে আক্রমণ করিল। এই সময়ে লোরেন্সে'দি-ব্ৰিটো অসমসাহসে অনবরত গোলাবর্ষণ করিয়৷ সেই প্রভূত শত্রুদিগকে স্তম্ভিত করিয়াছিলেন ; কিন্তু সেই বিপুলবাহিনীর প্রবল আক্রমণ আর কতক্ষণ তিনি সহ করিবেন । একে একে পর্তুগীজ যোদ্ধগণ বহুসংখ্যক শত্রুবিনাশ করিয়া দেহত্যাগ করিতে লাগিল। দি-ব্রিটোর হৃদয়ে জয়লাভের আর আশা রহিল না। এই সময়ে তাহার সৌভাগ্যক্রমে পর্তুগাল হইতে তুস্তাও-দা-কান্হী ১১ খানি জাহাজ ও ৩•• শত নোযোদ্ধাসহ কল্পনুরে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। এই নববলের আক্রমণে নায়ুরসৈন্তগণ ছত্রভঙ্গ হইয়া পৃষ্ঠপ্রদর্শন করিল। কল্পনুররাজ সন্ধি করিতে বাধ্য হইলেন। পর্ব গীজেরাও আপনাদের সুবিধা বুঝিয়া কোন আপত্তি করিল না। পর্তুগীজ গবর্ণর আসিয়া ভূস্তাও-দা-কানূহার অভ্যর্থনা [ ১s J পর্তুগীজ করিলেন। দ-কান্ছ আর কালবিলম্ব না করিয়া পোশানি নামক স্থানে সামীরাজের অধীন কএকখানি মুসলমান বাণিজ্যপোত ধ্বংস করিয়া ও বিস্তর বাণিজ্যদ্রব্য লুটিয়া লইয়া দেশে ফিরিলেন। (৬ই ডিসেম্বর ১৫০৭ ) ইহার পর মুলতানের প্রেরিত ও মীয়ছোপেন-পরিচালিত নৌযোগণের সহিত পর্তুগীজদিগের ঘোরতর জলযুদ্ধ ঘটে। এই যুদ্ধে মুসলমানের হস্তে পর্ভ গীজ গবর্ণর জলমিদার পুত্র প্রাণ বিসর্জন করেন। সেই সঙ্গে মুসলমানেরাই সম্পূর্ণक्लt» °ब्रांछिड झईब्रांश्लि । বে সময় তৃন্ত te-দা-কান্হী লিসবন পরিত্যাগ করেন, সেই সময়ে আফন্সে-দা-আলবুকার্কও ৬ খানি জাহাজের অধিপতি হইয়া প্রেরিত হন। যাত্রাকালে পর্তুগালরাজ ডম মানুএল র্তাহাকে ৰলিয়া দিয়াছিলেন, অলমিদা তিনবর্ষকাল গবৰ্ণর থাকিবেন, তৎপরে তিনিই রাজ প্রতিনিধি ও গবর্ণর হইবেন । এই উচ্চাশয় হৃদয়ে পোষণ করিয়া আলবুকাক প্রথমে ভারতসাগরে প্রবেশ করিয়াই হরমুজ (অর্মজ) দ্বীপ একপ্রকার অধিকার করিয়া তথায় এক স্থায়ী দুর্গ নিৰ্ম্মাণ করিলেন । র্তাহার সহগামী ক একজন পোতাধ্যক্ষ অর্মঙ্গাধিপতির নিকট উৎকোচ পাইয় অথবা দুর্গ নিৰ্ম্মাণ অনাবশুক মনে করিয়া তাহার সহিত বিবাদ করেন, এমন কি শেষে তাহারা আলবুকার্ককে পরিত্যাগ করিয়া পর্তুগীজ-গবর্ণর অলমিদার নিকট আসিয় তাহাদের প্রধান অধ্যক্ষ আল্বুকার্কের নামে অনেক অভিযোগ উপস্থিত করিলেন । উদ্ধত কাপ্তেনগণের কথায় বিশ্বাস করিয়া অলমিল হরমুজের অধিপতি সৈফউদ্দীন ও তথাকার শাসনকৰ্ত্তা খোজ। আতরকে লিখিলেন, “আলবুকার্ক পর্তুগালরাজের বিন অাদেশে আপনাদের সহিত বিরোধ উপস্থিত করিয়া অন্যায় কাৰ্য্য করিয়াছেন । রাজার নামে তিনি যে সকল অঙ্গায় কার্য্য করিয়াছেন, তজ্জন্ত তাছাকে উপযুক্ত শাস্তি ভোগ করিতে হইবে।” খোজ আতর সেই পত্র আলবুকার্ককে দেখাইয়াছিলেন এবং তাষ্টে আলবুকার্কও বুঝিয়াছিলেন যে, ভারতে উপস্থিত হইলে তিনি কিরূপ অভ্যর্থন লাভ করিবেন । যখাকালে আলবুকার্ক আপনার অপূৰ্ব্ব অধ্যবসায় গুণে হরমুজে পর্তুগীজ আধিপত্যস্থাপন ও হরমুজাধিপতিকে কর দিতে বাধা করিয়া ভারতে উপস্থিত হইলেন । তৎকালে অলমিদা পুত্রহত্যার প্রতিশোধ লইবার জন্য দীউ আক্রমণের আয়োজন করিতেছিলেন। আলবুকার্ক আলিয়াই রাজাদেশ জ্ঞাপন করিয়া পাঠাইলেন ও র্তাহার হস্তে শাসনক্ষমতা অপর্ণ করিয়া অলমিদাকে স্বদেশষাত্রা করিতে অনুরোধ করিলেন ।
পাতা:বিশ্বকোষ একাদশ খণ্ড.djvu/১২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।