পাতা:বিশ্বকোষ একাদশ খণ্ড.djvu/১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পর্তুগীজ - জলমিল সহসা নিজ উচ্চপদ ছাড়িয়া দিতে চাহিলেন না। ৰয়ং সেই দুষ্ট কাপ্তেনগণের কথায় নির্ভর করিয়া তিনি আলবুকার্কের বিরুদ্ধে পর্তুগালরাজের নিকট অতিযোগ করিয়া পাঠাইলেন। আলবুকার্কও সেই সঙ্গে তাহার যথাযথ উত্তর প্রেরণ করিলেন । এই গোলমালের সময়ও অলমিদা অঞ্জরীপ হইয়া দভোল ও মহিম আক্রমণ করেন এবং তাহার ভারতে আয়ুষ্কাল ফুরাইয়াছে জানিয়া আশাতিরিক্ত ধনরত্ন সংগ্ৰহ করিয়া লইলেন । এই সময়ে চেউলের অধিপতি নিজাম উলমুলক্ পর্তুগালরাজের অধীনতা স্বীকার করেন । ১৫১৯ খৃষ্টাব্দে ৮ই মার্চ মহা জঁাকজমকে অল্মিদ কোচিনে উপস্থিত হইলেন ও যাহাতে আলবুকার্ক কোনরূপে শাসন-ক্ষমতা গ্রহণ করিতে না পারেন, সেজন্ত সেই দুষ্ট কাপ্তেনগণের সহিত ষড়যন্ত্র করিতে লাগিলেন । এদিকে দুই গবর্ণরে বিবাদ দেখিয়া কোচিনরাজও মালরপ্তানী ৰন্ধ করিলেন । এ সংবাদ পাইয়া অল্মিদা আলবুকার্ককে কিছুদিন ক্ষান্ত হইতে অমুরোধ করিলেন। কোচিনরাজ আল্‌বুকার্কের পক্ষাবলম্বন করিয়া অল্মিদার ব্যবহারের কথা জানাইবার জন্ত পর্তুগালে দূত পাঠাইতে প্রস্তুত হইলেন ; তথাপি অলমিদ আপনার শাসন-কর্তৃত্ব ছাড়িলেন না। এ ছাড়া যাহাতে আলবুকার্কের বন্ধুবিচ্ছেদ ও স্বহৃভেদ ঘটে, তাহার মানসন্ত্রম নষ্ট হয়, কোচিনরাজের সহিত অাদে অলিপি করিতে না পান, নানাদিকে চর লাগাইয়া অল্মিদা এরূপ গৰ্হিত ব্যবস্থাও করিয়াছিলেন । শেষে যখন দেখিলেন যে, আল্বুকার্ক কিছুতেই তাহার বগুত। স্বীকার করিলেন না, তখন সেই উচ্চপদস্থ রাজপুরুষের নামে এই ৰলিয়া অভিযোগ করিলেন যে, তিনি পর্তুগীজ গবর্ণর ও তাহার অধীনস্থ সমস্ত পর্তুগীজদিগের উচ্ছেদসাধনের জন্ত সামীরাজের সহিত ষড়যন্ত্ৰ করিতেছেন । এই মিথ্যা অভিযোগবলে করনুরুদুর্গে আলবুকার্ক বন্দী হইলেন, তাহার বাসগৃহাদি অলমিদার তাদেশে বিধ্বস্ত হইল ; কিন্তু আল্‌বুকার্ককে বেশীদিন আর কষ্টভোগ করিতে হইল না। ১৫১৯ খৃষ্টাব্দে ২৯এ অক্টোবর, তাহার ভ্রাতৃপুত্র মার্সাল ডম ফাৰ্ণাম্বে কৌটিল্হে পৰ্ত্ত গালরাজের আদেশপত্র লইয়া কন্নদূরে অসিলেন। এখানে জাসিয়া আলবুকার্ককে বন্ধী দেখিয়। বড়ই আশ্চৰ্য্যাম্বিত হইলেন এবং অবিলম্বে তাহাকে মুক্তি দিবার আদেশ করিলেন। . অল্মিদ দেখিলেন, আর তাহার চালাকি খাটিতেছে না। তিনি ১৫ই নবেম্বর আলবুকার্ককে শাসনভার অপর্ণ করিয়া [ ১১ ] পর্তুগীজ মানমুখে ও ভগ্নহৃদয়ে স্বদেশ যাত্রা করিলেন । যাহার। তাহার সহিত আলবুকার্কের বিপক্ষতাচরণ করিয়াছিল, তাহারাও র্তাহার সঙ্গে জাহাজে উঠিল । সালীন উপসাগরের তীরে নিরীহ অধিবাসীদিগের প্রতি অত্যাচার করার অলমিদ অধিৰাসীর প্রস্তরাঘাতে পঞ্চস্থলাভ করিয়াছিলেন। প্রথম পৰ্ব গীজ গবর্ণরের ইহাই পরিণাম । আল্‌বুষ্কার্কের শাসন। এখন আলবুকার্ক সৰ্ব্বপ্রধান পোতাধ্যক্ষ (Captaingeneral) ও ভারতের শাসনকর্তী হইলেন। এখন তিনি সামীরাজের পরাক্রম নষ্ট করিবার জন্ত উঠিয়া পড়িয়া লাগিলেন । কোচিনপত্তিও সামরীরাজের গতিবিধি লক্ষ্য করিবার জন্ত দুই জন ব্রাহ্মণ চর নিযুক্ত করিলেন। চর মাসিয়া ংবাদ দিলেন যে, রাজা বা তাহার অধিকাংশ সৈন্যই রাজধানীতে নাই, কালিকট আক্রমণ করিতে হইলে এখনই প্রকৃত সময় । ডিসেম্বর মাসের শেষদিবসে ২••• পর্তুগীজ ২• খানি যুদ্ধজাহাজ ও বহুসংখ্যক তরী লইয়া কালিকটে অগ্রসর হইল । মাল্যুকার্ক ও র্তাহার ভ্রাতৃপুত্র প্রধান অধিনায়ক ইইয়া চলিঙ্কেন । ১৫১০ খৃষ্টাব্দে ৪ঠা জানুয়ারী, পৰ্ত্ত গীজগণ কালিকটে অবতরণ করিয়াই মুসলমানবুহ ভেদ করিল। ভাবুকার্ক সেদিন সৈন্তগণকে বিশ্রাম করিতে আদেশ করেন ; কিন্তু তাহার ভ্রাতু-পুত্রের তাহ ভাল লাগিল না । তিনি অবিলম্বে সৈগুচালনা করিয়া রাজবাটী আক্রমণ ও ভস্মসাৎ করিলেন । প্রথমে কেহ বাধা দেয় নাই ; কিন্তু রাজবাটী আক্রমণ করিলে ও সেই সংবাদ চারিদিকে পৌছিলে পঙ্গপালের মত নায়রসৈন্ত আসিয়া পর্তুগীজদিগকে আক্রমণ করিল। আলবুকার্ক নিজে অগ্রগামী সৈন্ত ও র্তাহার ভ্রাতু-পুত্র মার্সাল পার্শ্ব-সৈন্য চালাইতেছিলেন । নায়রের প্রথমে পাশ্বরক্ষিদিগকেই আক্রমণ করিল। পর্তুগীজের এ আক্রমণ সহ করিতে পারিল না, স্বয়ং মার্সাল ও তাছার সহকারী সেই সঙ্গে আরও অনেক প্রধান প্রধান যোদ্ধা প্রাণ বিসর্জন করিলেন । আল বুকার্কও ছুইটী গুরুতর আঘাত পাইয়াছিলেন, তাহাকে ভুলিয়া লইয়া পর্তুগীজের পৃষ্ঠপ্রদর্শন করিয়াছিল। তৎকালে ডম আন্টোনিও ও রাবেল নামে দুই পৰ্ত্ত গীজ কাপ্তেন সসৈন্তে আসিয়া না পৌঁছিলে বোধ হয় অার একজন পৰ্ত্ত গীজকেও প্রাণ লইয়া ফিরিতে হইত না । আলবুকার্ক ক্ষত আরোগ্য হইবামাত্র প্রতিশোধ লইবার জষ্ঠ পুনরায় বিপুল আয়োজন করিতে লাগিলেন। সাহায্য