পাতা:বিশ্বকোষ একাদশ খণ্ড.djvu/১৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাণিনি সম্পর্ক নাই, ফলতঃ যেরূপ সংস্কৃত শব্দ হউক না কেন, অমুসন্ধান করিলে একপ্রকার সকল শব্দই সাধিত ও ব্যুৎপাদিত হুইতে পারে। পাণিনি-দর্শনের তুল্য সকল পদ-সাধন-বিযয়ে জায় দ্বিতীর গ্রন্থ নাই। যদিও কলাপাদি অন্যান্য আধুনিক ব্যাকরণ দ্বারাও কতকগুলি পদ সাধিত হইতে পারে বটে, কিন্তু ঐ সকল ব্যাকরণ দ্বারা বেদব্যাখ্যাকরণেচ্ছু ধাৰ্ম্মিকজনগণের সম্পূর্ণ উপকার দর্শে না, যে হেতু আধুনিক বৈয়াকরলিকের বৈদিক শব্দসাধনের উপায় স্বরূপ স্বতন্ত্র স্বত্রাদি রচনা করেন নাই। ব্যাকরণকে সহজবোধ করিবার জন্য বৈয়াকরণিকের বৈদিক প্রকরণ রচনা করেন নাই । এই দর্শনে ( বৈদিক ও লৌকিক ) সংস্কৃত শব্দ সকল সাধিত ও বুৎপাদিত ছ গুয়ায় ইহার শব্দামুশাসন ও ব্যাকরণ এই দুইটী १ङल झट्रेव्राप्छ् । ব্যাকরণশাস্ত্র প্রধান বেদাঙ্গ অর্থাৎ বেদের যে শিক্ষা, কল্প, ব্যাকরণ, নিরুক্স, ছন্দেীগ্রন্থ ও জ্যোতিম ভেদে চয়ট অঙ্গ অাছে, তাহার মধ্যে প্রধান অঙ্গ ব্যাকরণ । যেমন যজ্ঞাদিরূপ কৰ্ম্মের প্রধান অঙ্গের নিম্পত্তি হইলে অন্তান্ত গুণীভূত অঙ্গের অনুষ্ঠান জন্ত স্বর্গাদি স্বরূপ প্রকৃত ফলের কোন হানি হয় না, সেইরূপ যে ব্যক্তি ষড়ঙ্গ বেদ অধ্যয়নে অশক্ত হইয়া বেদাঙ্গের প্রধান ব্যাকরণশাস্ত্র অধ্যয়ন করে, তাহার ও ষড়ঙ্গ বেদtধ্যয়ন জম্ভ প্রকৃত ফল প্রাপ্তিবিষয়ে কিছুমাত্র ক্ষতি হয় না। এজন্ত সকল ব্যক্তিরই যে ব্যাকরণশাস্ত্র পাঠ অবশুকর্তব্য ও হিতকর, তাহ সিদ্ধ হইল। এই দর্শন অধ্যয়ন করিলে সংস্কৃত ভাষায় বুৎপত্তি জন্মে। সংস্কৃত ভাষায় বুৎপত্তি থাকিলে নানা উপকার ও বেদাদি শাস্ত্রের রক্ষা হয় এবং সাধুশন্স প্রয়োগাদি দ্বার জনসমাজে অসীম হুখ্যাতি, অসামা সম্মান এবং অসদৃশ বিদ্যানন্দভোগ করিয়া অস্তে স্বৰ্গবাস হইয় থাকে। পাণিনিদর্শন পাঠে এই সকল অভীষ্ট লাভ হইয়া থাকে। "এক শব্দঃ সম্যক্ জ্ঞাতঃ সুষ্ঠ, প্রযুক্তঃ স্বর্গে লোকে কামধুগু ভবতীতি" ( সৰ্ব্বদর্শনস” ) একটা শব্দ যদি সমাকৃপ্রকারে জ্ঞাত হইয়া যথাযথ প্রযুক্ত হয়, তাহ হইলে সেই শব্দ স্বর্গে এবং লোকে কামধুক্‌ হুইয়া থাকে । শ্রুতিতে আছে— “চত্বারি শৃঙ্গ ত্রয়ো অস্ত পাদ হে শীর্ষে সপ্তহস্তাসে অস্ত । ত্রিধাবন্ধে বৃষভে রোরীতি মহো দেবো মর্ত্যা অবিবেশ ॥” ( শ্রুতি ) ভাষ্যকার ইহার এইরূপ বাখ্যা করিয়াছেন,—এই পাণিনিদর্শনের চারিট শৃঙ্গ অর্থাৎ চারিট পদ-জাত নাম, আখ্যাত, XI [ ১৫৭ ] 8 e পাণিনি উপসর্গ ও নিপাত ; লড়াদি বিষয় ভূত, ভবিষ্যৎ ও বৰ্ত্তমানকাল ইহার পাদস্বরূপ । ব্যঙ্গ ও ব্যঞ্জক ভেদে দুইটী শীর্ষদেশ, ইহা নিত্য ও অনিত্য । সপ্তহস্ত তিঙের সহিত সুপ্‌ প্রভৃতি সপ্ত বিভক্তি সপ্তহস্তবাচ্য। উরঃ, কণ্ঠ ও শিল্প এই তিন স্থলে ইহা বদ্ধ। প্রসিদ্ধ বৃষভরূপে অারোপিত হইয়াছে, অর্থাৎ অর্থবোধপূৰ্ণক শব্যাদির উচ্চারণাদি করিলে সাক্ষাৎ ফলপ্রদ হইয় থাকে, নচেৎ কেবল রৌরবী অর্থাৎ শব্দকৰ্ম্ম । মহোদেব = মহাদেব মরশধৰ্ম্ম মনুষ্যদিগের প্রতি আবিষ্ট হউন । এই দর্শন মতে জগতের নিদানস্বরূপ স্ফোটtথ্য নিরবয়ব নিত্যশৰাই পরব্রহ্ম। "অনাদিনিধনং ব্রহ্ম শকতত্ত্বং যদক্ষরং । নিবৰ্ত্ততেহর্থভাবেন প্রক্রিয়া জগতে যতঃ ॥* ( সৰ্ব্বদর্শনস” ) অক্ষর শব্দতত্বই অনাদি নিধন ব্রহ্ম, যাছা হইতে অর্থাৎ যে শব্বতত্ত্ব হইতে জাগতিক প্রক্রিয়া সকল অর্থভাবে নিবর্তিত হইয় থাকে। এই মতে শব্দ দুইপ্রকার—নিত্য ও অনিত্য । নিত্যশব্দ একমাত্র স্ফোট, তদ্ভিন্ন বর্ণাত্মক শব্দসমূহ মনিত্য। বর্ণাতিরিক্ত স্ফোটাত্মক যে একটা নিত্যশব্দ আছে, তদ্বিষয়ে অনেক যুক্তি প্রদর্শিত হইয়াছে, তন্মধ্যে প্রধান যুক্তি এই যে যদি স্ফোট স্বীকার না করা যায়, তাহা হইলে কেবল বর্ণাত্মক শব্দ দ্বার কোন ক্রমেই অর্থবোধ হইতে পারে না। দেখ, ইহা সকলেই স্বীকার করিয়া থাকেন, আকার, গকার, নকার ও ইকীয় এই চারিট বর্ণস্বরূপ যে অগ্নিশৰ তদ্ধার বহ্নির বোধ হয় । কিন্তু তাহ কেবল ঐ চরিটী বর্ণদ্বার সম্পাদিত হইতে পারে না, কারণ যদি ঐ চারিটী বর্ণের প্রত্যেক বর্ণদ্বারা বহ্নির বোধ হুইত, তাহ হইলে কেবল আকার কিংবা গকার উচ্চারণ করিলেও বহ্নির বোধ হয় না কেন ? এই দোষ পরিহারের জন্য ঐ চারিট বর্ণ একত্র হইয়া বহির বোধ জন্মাইয় দেয়, এ কথা বলাও বালকত প্রকাশ মাত্র, যে হেতু বর্ণ সকল অtণ্ড বিনাশী, পর পর বর্ণের উৎপত্তি কালে পূৰ্ব্ব পূৰ্ব্ব ৰণ সকল বিনষ্ট হইয়া যায়, সুতরাং অর্থবোধের কথা দূরে থাকুক, তাহাদিগের একত্র অবস্থানই সস্তবে না। এই জন্য স্বীকার করিতে হইবে যে, ঐ চরিট বর্ণদ্বারা প্রথমতঃ স্ফোটের অভিব্যক্তি অর্থাৎ শ্বটতা জন্মে, পরে স্ফুট ফোট দ্বার বহ্নির বোধ হয় । এস্থানে কেহ কেহ পূৰ্ব্বোক্ত রীড়িত্রমে পুৰ্ব্বপক্ষ করিয়া থাকেন যে, প্রত্যেক বর্ণদ্বারা স্ফোটের অভিব্যক্তি স্বীকার করিলে পূৰ্ব্বোক্ত প্রত্যেক বর্ণদ্বারা অর্থবোধস্থলীয় দোষ ঘটে