পতঞ্জল JEE পরিণাম থাকে না । এইরূপ অবস্থার নাম নিরুদ্ধাবস্থা । । এই পাচ প্রকার চিত্তবৃত্তির মধ্যে প্রথমোক্ত অবস্থাত্রয়ের সহিত যোগের কিছুমাত্র সম্পর্ক নাই । যোগে সুখ হয়, ইহ জানিয়। বিগি গু চিত্তে কথম যোগসঞ্চার হইলেও হইতে পারে ; কিন্তু তাহ স্থায়ী হয় না। কাজে কাজেই পূৰ্ব্বেক্ত অবস্থাত্রয় যোগের উপযোগী মহে । একাগ্র ও নিরুদ্ধ এই দ্বিবিধ অবস্থায় যোগ হইয়া থাকে। এই ফুয়ের মধ্যে নিরুদ্ধ অবস্থাই একমাত্র শ্রেষ্ঠ । এই লি রন্ধ অবস্থা সহজে বোধগম্য হুইবার নহে । এই অবস্থা পাইবার জগু যোগীকে প্রথমে উপায় দ্বার চিত্ত্বের ক্ষিপ্ত, মৃঢ় ও বিক্ষিপ্ত অবস্থা দুর করিতে হয় । অনস্তর একাগ্র ও নিরুদ্ধ অবস্থা উপস্থাপিত করিতে হয় । যখন নির বা অবস্থার চরম হয়, তখন পুরুষ দ্রষ্টব্যরূপে অবস্থান করেন । তখন অtর কোনরূপ চিত্তের ধৰ্ম্ম থাকে না । যোগীর এই অবস্থাই চরম উদ্দেশু। এই সময় চিত্তের কোন অবস্থাই থাকে না। - চিত্তবৃত্তি । চিত্তের অবস্থাকি শষকে চিত্তবৃত্তি কহে। এই চিত্তবৃত্তি পাঁচ প্রকার, তাহার প্রত্যেকট আবার দুই প্রকার। তন্মধ্যে ক্লেশদায়ক এক প্রকারের নাম ক্লিষ্ট এবং ক্লেশের ( সংসার দুঃখের ) নাশক বলিয়া অল্প প্রকারের নাম অপ্লিষ্ট । বিষয়ের সহিত সম্পর্ক হইবামাত্র চিন্তু যে মিয়াকার প্রাপ্ত হয়, তাহার সেই বিষয়াকারপ্রাপ্তি হওয়ার নাম বৃত্তি । ইন্দিয় ও বহিঃ বিযয় এই ওয়ের সাথ পাশ মনের ৭িi৭ধ অবস্থা বা পরিণাম হইতেছে । সেই সকল মন-পরিণামের নামই বৃত্তি । তাহাকেই আমরা জ্ঞান পলিফা উল্লেখ করি। বিষয় অসংখ্য, সুতরাং বুন্তি ও অসংখ্য । বৃত্তি তাসংখ্য হইলে ৪ তাহীদের শ্রেণী বা ইহা ক্লিষ্ট ও অক্লিষ্ট এই রাগ, দ্বেষ, কাম, ক্রোধ প্রভৃতি বৃত্তি গুলি ক্লেশের অর্থাৎ সংসার দুঃথের কারণ বলিয়া ক্লিষ্ট । শ্রদ্ধ, ভক্তি, করণ প্রভূতি বৃত্তি সকল তাছার বিপপ্লীত অর্থাৎ দুঃখনিবৃত্তিরূপ মোক্ষের কারণ বলিয়া অক্লিষ্ট । কিছুকুত্তি গুলি হেয় এবং অক্লিষ্ট বুত্তি উপাদেয়। যোগের সময় কিন্তু এই ক্লিষ্ট ও অক্লিষ্ট সকল প্রকার বৃত্ত্বিই রুদ্ধ করিতে হয় । যে পঁচি প্রকার চিত্তবৃত্তির কথা বলা হইয়াছে, তাহ! এই,— প্রমাণ, বিপর্যায়, বিকল্প, নিদ্রা ও স্মৃতিবৃত্তি । ইহাদের মধ্যে প্রত্যক্ষ, অনুমান ও আগম এই তিন প্রকার প্রমাণ বৃত্তি । { প্রমাণ দেথ । ] মিথ্য জ্ঞান বা ভ্ৰম-জ্ঞানকে বিপৰ্য্যয় কহে । যে জ্ঞান বলিয়া {.६ * श् প্রকারগত বিভাগ অসংখ্য নহে । দুইভাগে বিভাগ করা মাষ্টতে পারে। 1 سرا والا ] পাতঞ্জল বিষয়দর্শনের পর অন্যথা হইয়া যায়, সেই জ্ঞানের নাম বিপর্যায়। যেমন—রজছুসপ, গুক্তিরঞ্জত বা মরুমরীচিকা প্রভৃতি । বস্তু নাই, অথচ শব্দজন্য একপ্রকার মনোবৃত্তি জন্মে । এইরূপ গনোবৃত্তির নাম বিকল্প। ইহার দৃষ্টান্ত আকাশ কুমুদ । আকাশকুসুম নাই, অথচ উহা শুনিবামার মনোমধ্যে একপ্রকার বৃত্তি জন্মে। যাহাতে সমুদয় মনোবৃত্তি লীন থাকে, সেই অজ্ঞানকে অবলম্বন করিয়া যখন যনো, বৃত্তি উদিত থাকে, তখন তাহাকে নিদ্রা বলা যায়। ৰস্তু একবার অমুহূত অর্থাৎ প্রমাণবৃত্তিতে আরূঢ় হইলে তাহা আর যায় না, সংস্কাররূপে প্রতিষ্ঠিত থাকে, তাহাকেই স্মৃতি কহে । তাৎপৰ্য্য এই যে, জাগ্রৎ অবস্থায় যাহা দেথা যায় ও যাহা গুনা যায়, চিত্তে তাহার সংস্কার আবদ্ধ হয় । উদ্বোপক উপস্থিত হইলে সেই সংস্কার বা শক্তি বিশেষ প্রবল হইয়া চিত্তে সেই পূৰ্ব্বানুভূত বস্তুর স্বরূপ পুনরুদিত করিয়া দেয় । ইহার নাম স্মৃতি । জাভাস ও বৈরাগী । অভ্যাস ও বৈরাগ্য দ্বারা উক্ত সকলপ্রকার বৃত্তিরই নিরোধ হইয় থাকে। যাহাতে রাজস ও তামসৰ্বত্তি উদিত না হয়, তদ্রুপ যত্ন বিশেষকে অভ্যtল কছে । অভ্যাসের সংক্ষেপ লক্ষণ এই যে, বিষয়াভিনিবেশ ত্যাগ করিয়া চিত্তকে যত্নপূৰ্ব্বক বার বার একাগ করা, এবং তাহার পূৰ্ব্বসাধক যমনিয়মাদি যোগাঙ্গের অনুষ্ঠান করা । প্রতিষ্ঠিত হয়, সেইরূপ যত্ন ও দ্রুপ অসুষ্ঠান করার নাম সৰ্পদ শ্রদ্ধা ঘেরাপ যত্ন দ্বার চিত্ত্বের একাগ্ৰতা আভাস । এই আভাস দীর্ঘকাল না। সু। BBBBB BBBB BBBB BBBB BB BBBS BB BB BBS চলিত হয়। দৃষ্ট পিষয় ও শাস্ত্র প্রতিপাদ্য বিষয় যুগপৎ উভয় বিষয়েষ্ট সম্পূর্ণ রূপ নিম্পূহ হইতে ; রিলে বশ কার নামে পারলৌকিক সুখভোগেচ্ছ। তলেক চেষ্টার বৈরাগ্য ছন্মে। ঐহিক ও পরিত্যাগ করিলে ক্রমে উৎকৃষ্ট বৈরাগ্য হয় । পর তবে বৈরাগ্য উপস্থিত হয় । তাঙ্গারই অব্যবহিত পরে অর্থাৎ তাদৃশ পরবৈরাগ্য জন্মিলে পর আগনা হইতেই গুরুষথ্যাতি বা প্রকৃতিপুরুষের পার্থক জ্ঞান ( সাক্ষাৎকার ) হয় । তৎকালে তাঙ্গার অর্থাৎ প্রকৃতির প্রতি ও বিতৃষ্ণ জন্মে। প্রাকৃতিক ঐশ্বৰ্য্য তখন আর তাঁহাকে প্রলোভিত করিতে পারে না । সুতরাং তখন তিনি নির্বিঘ্নে নিরোধসমাধির আশ্রয় করিয়া কালাতিপাত করিতে সমর্থ হন। সমাধি । সমাধি সম্প্রজ্ঞাত ও অসম্প্রজ্ঞাত ভেদে দুই প্রকার। বিতর্ক, বিচার, আনন্দ ও অস্মিত। এই চারিপ্রকার অবস্থা বা প্রভেদ গুণ
পাতা:বিশ্বকোষ একাদশ খণ্ড.djvu/১৮৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।