পর্তুগীজ ভাব দেখাইলেন মা। এখন তিনি কছিলেন, “উপযুক্ত অর্থ णाहेरल डिनि नब्रनिश्ब्रोप्छन्न निको श्रृंखै शौर्खाहेनछ ७ अक्ष পাঠাইতে পারেন। তবে তিনি নরসিংহরাজের কখন শত্রুত। করিবেন না।’ আদিল শার দূতকে বলিলেন যে, আদিল শা যে সকল পর্তুগীজ রাখিয়াছেন, তাহাদের সকলকে যদি গোয়tয় পাঠাইয়া দেন, তবে সন্ধির কথা তুলিবেন। আদিল শা কতকগুলি পর্তুগীজকে গোয়ার পাঠাইয়া দিলেন। ইহার আদিল শার পক্ষ অবলম্বন করিয়াছিল, এই কারণে আলবুকার্ক ইহাদিগকে কুর্গমধ্যে বন্দী রাখিলেন । হরমুজের পূর্বতন অধিপতির মৃত্যু হওয়ায়, আর একজন শাসনকর্তা নিযুক্ত হইয়াছিলেন। ইনি নামে মাত্র শাসনকৰ্ত্ত, নূরউদ্দীন নামে এক অমীিরই সৰ্ব্বেসৰ্ব্ব ছিলেন। পর্তুগীজদিগের সহিত তাহার সদ্ভাব ছিল না। পর্তুগীজ-পোস্তাধ্যক্ষ পেরো-দা-আলবুকার্ক অনেক কৌশলে তাহার কুটনীতি হইতে পর্তুগীজস্বর্থেরক্ষা করিয়াছিলেন। ক্রমে হরমুজ দ্বীপে নুরউদ্দীন ও তাহার ভ্রাতাই প্রবল হইয়া উঠিল। হরমুজ-অধিপতি ক্রীড়াপুত্তলিকা রহিলেন মাত্র । আমীরস্বরের অসাধারণ ऋग्नडांप्न अहमर ८लांकहे डांशं८लग्न ॐ*ग्न विज्रख् रुहेल ॥ ७ई হুযোগে পর্তুগীজেরাও হরমুজ দখল করির পর্তুগালরাজের বিজয় বৈজয়ন্তী তুলিবার চেষ্টায় ছিলেন, কিন্তু পোতাধ্যক্ষের ক্ষমতায় কুলাইল না । তিনি জাহাজ লুটিয়া অর্থ সংগ্ৰহ করিয়া আফন্সে-দা-আলবুকার্কের নিকট উপস্থিত হইলেন। ভ্রাতুপুত্রের নিকট আদ্যোপাস্ত অবগত হইয়া তিনি অবিলম্বে হরমুজমুখে (১৫১৫ খৃষ্টাব্দে ২১এ ফেব্রুয়ারী) যাত্রা করিলেন। এ সময়ে আদিল শার দূত সন্ধির প্রস্তাব লইয়া উপস্থিত ছিল, কিন্তু এ সম্বন্ধে আর কোন কথা হইল না। মস্কট সহরে আসিয়া আলবুকার্ক শুনিলেন, হরমুজে ঘোরতর বিদ্রোহ উপস্থিত। নুরুউদীনের ভ্রাতৃপুত্র ছামিদ ফুর্গ ও প্রাসাদ অধিকার করিয়াছে, তাহার হাতে হরমুজের অধিপতি ও নুরুউদ্দীন সপরিবারে বন্দী হইয়াছেন। আল্বুকার্ক তাড়াতাড়ি হরমুজে আসিয়া তোপধ্বনি করিয়া আপনার আগমন সংবাদ জ্ঞাপন করিলেন । হামিদ ভীত হইয়া অধিপতি ও নু উদ্দীনকে ছাড়িয়া দিলেন ও আলবুকার্কের নিকট বহু উপহার জৰাসহ সন্ধির প্রস্তাব করিয়া দূত পাঠাইলেন। পর্তুগীজ-প্রতিনিধি অতি সমাদরে দূতকে জানাইলেন, যদি পর্তুগালরাজের বিজয়পতাকা রাজপ্রাসাদের মাথায় তুলিয়া দাও, তাহ হইলে পর্তুগালরাজ সন্ধি করিবেন। তাছাই হইল, নিৰ্ব্বোধ হামিদ পর্তুগালরাজের পতাকা প্রাসাদচুড়ায় উঠাই দিলেন। সমস্ত পর্তুগীজ জাহাজ হইতে এককালে XI 1 רצ ] পর্তুগীজ নেয়ন্ত্ৰ তোপধ্বনি করিয়া রাজপতাকার লক্ষান রক্ষা করিল। হক মুজের অধিবাসিগণ তাবিল, হরমুজগহর পর্তুগীজদিগের অধিকারভূক্ত হইল। ফলেও তাহাই ঘটিল। ১৫১৫ খৃষ্টাব্দে ১লা এপ্রেল আলবুকার্ক সদলে জাহাজ ইট্রত্বে নামিয় রাজপ্রাসাদ ও দুর্গ অধিকারপূর্বক হামিদকে বিনাশ করিলেন এবং সকল আমীর ওমরাহের সন্মুখে হরমুজের সেই বন্দী নরপতিকে রাজা বলিয়া ঘোষণা করিলেন। অতঃপর সেখ ইসমাইলের নিকট হইতে দূত আসিল । আলবুকার্কও তাহার সাহায্যে কায়রোর মুলতানকে পরাজয় করিতে পরিবেন ভাবিয়া তিনিও ইসমাইলের সভায় দূত পাঠাইলেন। হরমুজৰীপ পর্তুগীজদিগের সম্পূর্ণ করায়ত্ত হইল। নামে মাত্র রাজা রহিলেন। পর্তুগীজ দুর্গাধ্যক্ষের পরামর্শ ব্যতীত রাজার কার্যা করিবার ক্ষমতা রহিল না । এইরূপে হরমুজে পর্তুগীজ অধিকার বিস্তার করিয়া আলবুকার্ক আদেন বন্দর-জয়ের আয়োজন করিতেছিলেন । তৎকালে এসিয়ার মধ্যে কালিকট, হরমুজ ও অীদেন এই তিনটাই সৰ্ব্বপ্রধান বাণিজ্যক্ষেত্র বলিয়া গণ্য ছিল। প্রথম দুইটার বাণিজ্য পর্তুগীজদিগের অধিকারে আসিয়াছে, কেবল তৃতীয়টা আসিতে বাকি। এই তৃতীয়ট কোনক্রমে হস্তগত করিতে পারিলে পর্তুগীজজাতি এসিয়ায় বাণিজ্য-জগতের সৰ্ব্বময়কর্তী হইবেন এবং পর্তুগালরাজও সমস্ত সভ্যজগন্ডের শীর্ষস্থান অধিকার করিবেন। এবার আলবুকার্ক উঠিয়। পড়িয়া লাগিলেন। তিনি ফনসেক নামক আপন গোমস্তাকে বহু অর্থ দিয়া প্রভূত যুদ্ধোপকরণ সংগ্রহের জঙ্গ গোয়ায় পাঠাইলেন এবং নানাস্থানের মুসলমান-রাজগণের নিকট দূত পঠাইয়া ভয় মৈত্রী দেখাইয় অনেককেই বশে আনিলেন । কিন্তু এবার সকলদিকে সুবিধা থাকিলেও বিধাত। বাদী হইলেন, আলবুকার্ক অসুস্থ হইয় পড়িলেন। দিন দিন তাহার পীড়া বৃদ্ধি পাইতে লাগিল । ২•এ অক্টোবর আপনার আত্মীয় ও প্রধান পোতাধ্যক্ষগণের সম্মুখে তাহার ভ্রাতু-পুত্রকে হরমুজের দুর্গাধ্যক্ষ করিলেন, স্বৰ্গরক্ষার জন্য উপযুক্ত উপদেশ দিলেন এবং হরমুজের পূৰ্ব্বতন নৃপতি সৈফ উদ্দীনের নাবালক পুত্রদ্বয়কে তাহার তত্ত্বাবধানে রাখিলেন। তিনি জানিতেন, এরূপ না করিলে বর্তমান হরমুজাধিপ সুবিধা পাইলেই ঐ দুই রাজপুত্রকে বিনাশ করিয়া ফেলিবে । ৮ই নবেম্বর, তিনি হরমুজে শেষ বিদায় লইলেন। ভারতাভিমুখে তাছার জাহাজ অগ্রসর হইল । মস্কটের নিকট কলহাট নামক স্থানে তাহার জাহাজ আসিলে নাবিকের একখানি মুসলমান রণপোত আক্রমণ করিল। এই
পাতা:বিশ্বকোষ একাদশ খণ্ড.djvu/১৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।